রবিবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০১৬

মানুষের মস্তিস্কের তথ্য ধারন ক্ষমতা কত? জানেন কি???




হিউম্যান ব্রেন বা ‘মানব মগজ’। এই মানব মগজ হচ্ছে সবচেয়ে জটিল বিষয়গুলোর একটি।  মানুষের মগজের ওজন গড়ে ৩ পাউন্ড। শরীরের আকারের তুলনায় মানুষের ব্রেনই সবচেয়ে বড়।  মানুষের ব্রেনই সবচেয়ে বড় অংশ হল সেরিব্রাম। এই সেরিব্রামের ওজন পুরো মগজের ৮৫ শতাংশ। মগজের হোয়াইট মেটার বা শ্বেতাংশ ৬০ শতাংশ আর গ্রে মেটার বা ধূসরাংশ ৪০ শতাংশ। আর এই হোয়াইট মেটার বা শ্বেতাংশ এবং  গ্রে মেটার বা ধূসরাংশের ৭৫ শতাংশই পানি। মানুষের ব্রেনের ৬০ শতাংশই চর্বি। গর্ভে আসার পর থেকে মগজে প্রতি মিনিটে ২৫০,০০০ নিউরন তৈরি হয়। এই মগজ মানুষের শরীরের ২৫ শতাংশ অক্সিজেন খরচ করে। মগজে তথ্য প্রক্রিয়াজাত হয় সেকেন্ডে ১/২ মিটার থেকে ১২০ মিটার গতিবেগে।

এবার আসি কাজের কথায়।

মানুষের মস্তিস্কের তথ্য ধারন ক্ষমতা কত?

 

 


মানব মস্তিষ্কের প্রায় ৫০ বিলিয়ন থেকে ২০০ বিলিয়ন নিউরোন রয়েছে। প্রতিটি নিউরনে রয়েছে ১ হাজার থেকে ১০ হাজার ট্রিলিয়ন সিন্যাপস। প্রতিটি সিন্যাপস বার বার সক্রিয় করা হয় ভেরিয়েবল থ্রেশহোল্ড (অগ্নিসংযোগ/স্পার্ক) এর মাধ্যমে। যদি আমরা ধরেনি প্রতিটি সিন্যাপসে ২৫৬ টি আলাদা থ্রেশহোল্ড হয় এবং প্রতিটি  নিউরন ১০ হাজার সিন্যাপস শেয়ার করে তাহলে সব গুলো সিন্যাপসের তথ্য ধারন ক্ষমতা প্রায় ৫০০ থেকে ১,০০০ টেরাবাইট। অর্থাৎ মানুষের মগজের তথ্য ধারন ক্ষমতা প্রায় ৫০০ থেকে ১,০০০ টেরাবাইট (যদিও এই সংখ্যায় মতভেদ আছে, কারো কারো মতে এই সংখ্যা আরও বেশি)। এত্ত মেমরি থাকা সত্তেও মানুষ তার মস্তিস্কের  মাত্র ১০% ব্যবহার করতে পারে (আফসোস)।








এবার এক নজরে দেখেনি মানুষের ব্রেন সম্পর্কে কিছু তথ্যঃ

# মানুষের মস্তিকের প্রতি সেকেন্ডে ১০১৫ টি হিসাব করার ক্ষমতা আছে। যা পৃথিবীর সবচে বড় সুপার কম্পিউটারেরও নেই…!!
# মানব মস্তিস্কের প্রায় ৭৫ ভাগই পানি!!!
# বাচ্চা অবস্থায় একটি মানুষের মস্তিস্কের ওজন থাকে ৩৫০-৪০০ গ্রাম। প্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় যা বেড়ে হয় ১৩০০-১৪০০ গ্রাম !
# একজন মানুষের ব্রেইন,অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রানীর চেয়ে প্রায় ৩ গুন বড়।
# ব্রেইন মানুষের দেহের মোট আয়তনের মাত্র ২% হলেও দেহে উৎপন্য মোট শক্তির ২০ ভাগেরও বেশী খরচ করে সে একাই।
# জাগ্রত থাকা অবস্থায় মস্তিস্ক প্রায় ২৫ ওয়াট পাওয়ার সৃষ্টি করে,যা একটি লাইট বাল্ব জালানোর জন্য যথেষ্ট।
# একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মস্তিষ্ক অক্সিজেন ছাড়া মাত্র ৫ মিনিট টিকতে পারবে।
# মানুষের নিউরনে তথ্য চলাচলের সর্বনিম্ন গতিবেগ হলো প্রায় ২৫৮.৪৯০ মাইল/ঘণ্টা, আর বর্তমান বিশ্বে সবচে দ্রুততম গাড়ি “বুগাত্তি ভেরন ই.বি ১৬.৪” এর গতিবেগ ২৫৩ মাইল/ঘন্টা।
# একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ প্রতিদিন প্রায় ৭০০০০ বিষয় নিয়ে চিন্তা করতে সক্ষম।
# ৩০ বছর বয়সের পর থেকে মানুষের ব্রেনের ভর প্রতি বছর .২৫% করে বাড়তে থাকে।
# সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনিস্টাইনের মস্তিস্কের ভর ছিলো ১২৭৫ গ্রাম,যা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম।

মঙ্গলবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০১৬

চিনির পরিবর্তে আমরা খাচ্ছি মেগনেসিয়াম সালফেট???

চিনির পরিবর্তে আমরা খাচ্ছি মেগনেসিয়াম সালফেট???
"এমন কোনো রোগ নাই যা আমাদের হবে না"



শুনুন তাহলে বিষ+বিষ এর ভয়াবহ কাহিনী যা আমদের খাওয়ানো হচ্ছে। নিষিদ্ধ ঘন চিনি (সোডিয়াম সাইক্লামেট) হাজার হাজার টন আমদানি হয়ে দেশে ঢুকছে কিভাবে? অনেক দিনের চেষ্টায় ক্লু পেয়ে গেলাম বণিক বার্তা পত্রিকার এক সংবাদে। সাইট্রিক এসিড নামে আমদানি হচ্ছে এই বিষ। দেয়া হচ্ছে, মিষ্টি, বেকারি আইটেম, আইসক্রিম, বেভারেজ, জুস, চকোলেট, কন্ডেন্সড মিল্ক প্রভৃতি মিষ্টি
জাতীয় খাদ্য দ্রব্যে।

চিনির চেয়ে প্রায় পঞ্চাশ গুণ বেশি মিষ্টি এই ঘন চিনি পৃথিবীর অনেক দেশেই নিষিদ্ধ। ক্যান্সার, কিডনি বিকল, হজম শক্তি হ্রাস সহ নানাবিধ জটিল রোগের সৃষ্টি করতে পারে এই চিনি।
সাইট্রিক এসিড এর মত দেখতে হুবহু এক রকম বলে অসাধু ব্যবসায়ীরা অতি সহজেই সাইট্রিক এসিড নামে ও কোডে ঘন চিনি আমদানি করছে।
ঢাকার মিটফোর্ড থেকে বের করলাম আরও এক নামে ঘন চিনি আমদানি হচ্ছে। সোডিয়াম সাইট্রেট দেখতেও ঘন চিনির মত দেখতে। সাইট্রিক এসিড এবং সোডিয়াম সাইট্রেট নামে আসছে নিষিদ্ধ বিষ ঘন চিনি। বণিক বার্তার সাংবাদিক ভাই খবর দিলেন মিটফোর্ডে দুই রকম
ঘন চিনি বিক্রি হয়। একটা পিউর অন্যটা ভেজাল মিশ্রিত। পিউর ঘন চিনি কেজি ২২০ টাকা হলে ভেজাল ঘন চিনি ১৪০ টাকা কেজি। মাথাটা ঘুরে গেল!! বিষের সাথে বিষ! সেখানে সংবাদ নিলাম কম দাম বিধায় এই ভেজাল ঘন চিনির বিক্রি সর্বাধিক। সবাই গাড়ি ভর্তি করে এই ভেজাল ঘন চিনি নিয়ে যায় বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যে দেয়ার জন্য।
ভেজাল মিশাতে হলে তো ঘন চিনির মতই অন্য কোন একটি দ্রব্য মেশাতে হবে, যার দাম হবে খুব কম এবং মিষ্টি অথবা টেস্টলেস হতে হবে। কি হতে পারে তা?? দুই দিন ঘুমাতে পারিনি। সমানে পারমুটেশন কম্বিনেশন করতে লাগলাম। কি সেই আইটেম? কেউ বলে না। গুগলে ঘন চিনির ছবি
বের করে তার সাথে মিল রেখে খুঁজতে লাগলাম আইটেম।
হটাত মাথার মধ্যে বিদ্যুৎ চমকে উঠল। প্রথমে বিশ্বাস হচ্ছিল না, কি করে সম্ভব!! আমার এক ভাই সার (ফার্টিলাইজার) বিক্রি করে। তাকে বললাম, “চিনির মত দানাদার সার কি আছে
রে?” ইউরিয়া? না ইউরিয়া গোলাকার এবং খুব খারাপ স্বাদ। আর কি আছে? আচ্ছা ম্যাগনেসিয়াম সালফেট সার? ভাই আমার
লাফ দিয়ে উঠল!! হ্যাঁ ভাই, ম্যাগনেসিয়াম সালফেট সার দেখতে চিনির মত দানাদার, দাম কম ১৫/২০ টাকা কেজি এবং স্বাদহীন।
এবার আমি লাফ দিয়ে উঠে গুগলে ছবি দেখলাম। ঘন চিনি এবং ম্যাগনেসিয়াম সালফেট সার দেখতে একই রকম। বিশ্বাস হচ্ছিল
না, যে আমাদের সার খাওয়াচ্ছে আর একটি বিষের সাথে। সেই সাংবাদিক ভাইয়ের দ্বারা মিটফোর্ড থেকে ভেজাল এক কেজি সার কিনে আমি সরকারীভাবে চিঠি দিয়ে ১০০ গ্রাম নমুনা
পরীক্ষার জন্য পাঠালাম সরকারী ল্যাব (সারের জন্য) খামার বাড়ির মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইন্সটিটিউটে। ঘুম হারাম হয়ে গেল আমার টেনশনে। রিপোর্ট পেলাম সেই ঘন চিনির নমুনায়
ম্যাগনেসিয়াম সালফেট সার পাওয়া গেছে।
যা সন্দেহ করেছি তাই। সেই সার মিশ্রিত ঘন চিনির প্যাকেট বা নমুনা না দেখেই এত হাজার লাখ আইটেমের মধ্যে ম্যাগনেসিয়াম সালফেট সার কিভাবে নির্বাচিত করলাম, তা সত্যিই হবাক হবার বিষয়!!

কয়েকজন বিজ্ঞানী রসায়নবীদকে জিজ্ঞাস করলাম, সার খেলে কি হয়? তাঁরা হতবাক হয়ে গেলেন। কেন সার খাবেন কেন? আমি
বললাম, যদি খাই। ম্যাগনেসিয়াম সালফেট সার সাথে ঘন চিনি!! হেসে তাঁরা উত্তর দিলেন, "ভাই আপনার শখ লাগলে আপনি খান। তবে দুনিয়ার কোন অসুখ থেকে বাদ যাবেন না এবং প্রথম
শেষ হবে বাচ্চারা"।
নানা ধরণের মিষ্টি জাতীয় খাদ্যে দীর্ঘদিন ধরে এক বিষ ঘন চিনির সাথে আর এক বিষ রাসায়নিক সার ম্যাগনেসিয়াম সালফেট খেয়ে আমাদের পরিণতি কি হচ্ছে?? পৃথিবীর কোথাও আছে মানুষকে সার খাওয়ানোর উদাহরণ??
কোথায় আছি আমরা? কোথায় আমাদের গন্তব্য? কে আমাদের বাঁচাবে, বাঁচাবে আমাদের সন্তানদের?

STROKE (স্ট্রোক): মনে রাখুন শব্দটির প্রথম ৩টি অক্ষরঃ S, T এবং R.

STROKE (স্ট্রোক): মনে রাখুন শব্দটির প্রথম ৩টি অক্ষরঃ S, T এবং R.

আমরা সবাই-ই যদি এই ছোট্ট সাধারণ সণাক্তকরণ উপায়টা শিখে ফেলি, তবে হয়তো আমরা স্ট্রোকের ভয়ংকর অভিজ্ঞতা থেকে আমাদের প্রিয়জনদের রক্ষা করতে পারবো।




একটি সত্যি গল্পঃ
একটা অনুষ্ঠানে গিয়ে একজন ভদ্রমহিলা হঠাৎ হোঁচট খেয়ে পড়ে গেলেন। উঠে দাঁড়িয়ে তিনি বললেন, সবকিছু ঠিক আছে, মেঝের টাইলসে তার নতুন জুতোর হীল বেঁধে যাওয়ায় তিনি পড়ে গিয়েছিলেন। কেউ একজন এম্বুলেন্স ডাকার কথা বললেও তিনি তাতে রাজি হলেন না।

সবকিছু ঠিকঠাক করে, পরিস্কার করে তিনি নতুন করে প্লেটে খাবার নিলেন। যদিও মনে হচ্ছিলো যেন তিনি একটু কেঁপে কেঁপে উঠছেন। অনুষ্ঠানের সম্পূর্ণ সময় জুড়েই তিনি উপস্থিত থাকলেন। পরদিন দুপুরে ভদ্রমহিলার স্বামী ফোন করে জানালেন, তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সন্ধ্যা ছয়টার সময় তিনি মারা গেলেন।

মূলত যে ঘটনাটি ঘটেছিল তা হলো, তিনি অনুষ্ঠান চলাকালীন সময় স্ট্রোক করেছিলেন। সেখানে যদি কেউ জানতেন, কিভাবে স্ট্রোক সনাক্ত করা সম্ভব, তাহলে হয়তো ভদ্রমহিলা আজও বেঁচে থাকতেন।

সবাই যে মৃত্যুবরণ করে, তা নয়। অনেকের ঠাঁই হয় বিছানায়, সাহায্যহীন, ভরসাহীন মূমুর্ষূ অবস্থায়। মাত্র তিনটা মিনিট সময় নিয়ে এটা পড়ে ফেলুন।
একজন মস্তিষ্কবিশেষজ্ঞ বলেছেন, যদি একজন স্ট্রোকের শিকার রোগীকে স্ট্রোক হবার তিন ঘন্টার মধ্যে হাসপাতালে নেয়া যায়, তবে তাকে সম্পূর্ণভাবে সুস্থ অবস্থায় ফেরত পাওয়া সম্ভব। শুধু আমাদের জানতে হবে কিভাবে স্ট্রোক চেনা যায়, এবং কিভাবে রোগীকে উল্লেখ্য সময়ের মধ্যে মেডিকেল কেয়ারে নেয়া যায়।

স্ট্রোককে চিনুন...
সহজ তিনটি ধাপঃ- S T ও R...পড়ুন এবং জানুন!

মাঝে মাঝে স্ট্রোকের উপসর্গ সনাক্ত করা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। আমাদের অজ্ঞতার কারণেই নেমে আসে যাবতীয় দুর্যোগ। স্ট্রোকের শিকার রোগীর মস্তিষ্কে যখন ভয়ানক রকম ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে, পাশে দাঁড়ানো প্রিয়জনটিই হয়তো বুঝতে পারছে না, কি অপেক্ষা করছে তাদের কাছের মানুষের জীবনে।

সহজ উপায়ে স্ট্রোক সনাক্ত করার উপায়, সহজ তিনটি প্রশ্ন জিজ্ঞেস করুনঃ

S – Smile রোগীকে হাসতে বলুন।
T – Talk রোগীকে আপনার সাথে সাথে একটি বাক্য বলতে বলুন। উদাহরণঃ আজকের দিনটা অনেক সুন্দর।
R – Raise hands. রোগীকে একসাথে দুইহাত উপরে তুলতে বলুন।

এর কোনো একটিতে যদি রোগীর সমস্যা বা কষ্ট হয়, তৎক্ষণাৎ দেরি না করে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। এবং চিকিৎসককে সমস্যাটি খুলে বলুন। (রোগী বলতে স্ট্রোকের শিকার সন্দেহ করা ব্যক্তি বোঝানো হয়েছে)
সনাক্তকরণের আরেকটি উপায় হচ্ছে, রোগীকে বলুন তার জিহবা বের করতে। যদি তা ভাঁজ হয়ে থাকে, বা অথবা যদি তা বেঁকে যেকোনো একদিকে চলে যায়, সেটাও স্ট্রোকের লক্ষণ। তৎক্ষণাৎ তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
একজন খ্যাতনামা হৃদবিশেষজ্ঞ বলেছেন, যদি আমরা সবাই-ই এই সহজ ব্যাপারগুলো জেনে রাখি, তবে আমরা একজনের হলেও জীবন বাঁচাতে পারবো।
সুতরাং, আপনি শিখলেন, আপনার বন্ধু ও প্রিয়জনদেরও শেখান !!!!!

সোমবার, ১১ জানুয়ারী, ২০১৬

দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞানের শ্রেষ্ঠ আবিষ্কার ও তাদের সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা

বিজ্ঞান যেমন জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করেছে তেমনি আমাদের জীবনকে করেছে অনেক সহজ এবং গতিশীল। প্রতিদিন আমরা বিভিন্ন ধরণের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে থাকি। মূলত এর সবই বিজ্ঞানের আবিষ্কার। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বহুল ব্যবহৃত এমন কিছু শ্রেষ্ঠ আবিষ্কার
ও তাদের বর্ণনা ...
ছাপাখানাঃ
--------------
বই পুস্তক বা কোন তথ্য ছাপার কথা বললেই আসে ছাপাখানার কথা। পূর্বে বিভিন্ন ফাইল, বই পুস্তক হাতে লিখে প্রকাশ করা হত। এটি সর্বপ্রথম ১৪৪০ সালে জন গুটারবারগ আবিষ্কার করেন। একটি ছাপাখানা প্রতিষ্ঠার উদ্দেশে তার এই আবিষ্কার। যদিও প্রাথমিক দিকে এর গঠন আজকের মত ছিল না। তবে এশিয়াতে প্রথম ছাপাখানার ব্যবহার শুরু হয় চীনে। কম্পিউটার আবিষ্কারের সাথে সাথে এর বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। বর্তমানে ছাপাখানা কিন্তু আমাদের বাড়িতেই যা প্রিন্টার হিসেবে পরিচিত।
ক্যালকুলেটরঃ
--------------
প্রতিদিনের হিসাবের কাজে সবচেয়ে বেশি বাবহ্রিত হয় ক্যালকুলেটর।নবম শতকে চীনে আবিষ্কৃত ক্ষুদ্র ক্যালকুলেটর অ্যাবাকাস। সর্বপ্রথম ১৬৪২ সালে গণিতবিদ ব্লেইসি প্যাসকেল ক্যালকুলেটর আবিষ্কার করেন। উইলিয়াম সেওয়ারদ ১৮৮৬ সালে বাণিজ্যিক ক্যালকুলেটর আবিষ্কার করেন। তবে আধুনিক ক্যালকুলেটর আবিষ্কার ১৯৬৩ সালে এবং আবিস্কারক বেল পাঞ্চ কোম্পানি।
বিদ্যুৎঃ
--------------
বিজ্ঞানের সকল আবিষ্কারের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার বিদ্যুৎ। বিদ্যুৎ আবিষ্কার ছাড়া চার্জ বাবহ্রিত সকল আবিষ্কার বিফলে পরিণত হত। বিদ্যুৎ কে আবিষ্কার করেছে তা সঠিকভাবে বলা দুরুহ। খ্রিস্টপূর্ব ৬০০ থেকে শুরু করে খ্রিস্টাব্দ ১৯৩৫ সাল পর্যন্ত ভিবিন্ন গবেষণার ফলে আজকের অবস্থানে বিদ্যুৎ । বিদ্যুৎ তৈরির উৎসগুলোর মধ্যে প্রাকৃতিক গ্যাস, কয়লা, পেট্রোলিয়াম, নিউক্লিয়ার শক্তি, সৌর শক্তি, বায়ু শক্তি অন্যতম।
টেলিফোনঃ
--------------
মোবাইলের ব্যাবহারে টেলিফোন চাহিদা কমে গেলেও এর গুরুত্ব অনেক। আলেকজেনডার গ্রাহাম বেল ১৮৭০ সালে টেলিফোন আবিষ্কার করেন। এটি আবিষ্কারের পিছনে ছিলেন অ্যান্টনি মিউকি, ফিলিপ রিস, ইলিশা গ্রে এবং আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল। কিন্তু ১০ মার্চ ১৮৭৬ সফলভাবে টেলিফোন আবিষ্কার করেন আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল। আর টেলিফোনের ব্যাবহারে প্রথম বাক্য ছিল “এখানে আসো, তোমাকে আমার প্রয়োজন”।
বৈদ্যুতিক বাতিঃ
--------------
বিদ্যুৎ আবিষ্কারের মধ্যে দিয়ে মানুষ এর বিভিন্ন ব্যবহার শুরু করে। পাশাপাশি রাতের অন্ধকার দূর করে আলোকিত করার সপ্ন বাতিক্রম কিছু নয়। এর থেকেই আবিষ্কার বৈদ্যুতিক বাতির। এর আবিস্কারক আমেরিকান বিজ্ঞানী টমাস আলভা এডিসন। তার আবিষ্কারের এক বছর পূর্বে ব্রিটিশ বিজ্ঞানী জোসেফ সন একই ধরনের বাতি আবিষ্কার করেন। কিন্তু তা ব্যবহার উপযোগী ছিল না। সর্বপ্রথম মানুষ সফলভাবে বৈদ্যুতিক বাতির ব্যবহার শুরু করে ১৮৭৯ সালে। আর বর্তমানে পৃথিবীর প্রায় সকল মানুষ বৈদ্যুতিক বাতি ব্যবহার করে।
কম্পিউটারঃ
--------------
যুগে যুগে বিখ্যাত কিছু আবিষ্কার হয়েছে যা মানুষের জীবনকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করে। তেমনি এক বিস্ময়কর আবিষ্কার কম্পিউটার। কম্পিউটার আবিষ্কার যেন মানুষের জীবনে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। যুগান্তকারী এই কম্পিউটারের আবিস্কারক হাওয়ারড আইকেন। ডেস্কটপ কম্পিউটার সর্বপ্রথম মানুষের হাতে আসে ১৯৭৪ সালে। পরবর্তীতে ১৯৮১ সালে অ্যাডাম অসবর্ণ ল্যাপটপ আবিষ্কার করেন।
টেলিভিশনঃ
--------------
মানুষের বিনোদন জোগাতে বিজ্ঞানের সর্বপ্রথম আবিষ্কার টেলিভিশন। এর আবিস্কারক জন লেজি বেয়ারড, ফার্নসয়রথ এবং জরিকিন। টেলিভিশনের ব্যবহার সর্বপ্রথম শুরু হয় ১৯৫৮ সালে। এটি শোনার পাশাপাশি দেখার সুবিধাও রয়েছে। বর্তমানে বিশ্বের তিন বিলিয়নেরও বেশি মানুষ টেলিভিশন ব্যবহার করে। আবিষ্কারের শুরু থেকে টেলিভিশনের গঠন পরিবর্তন। হচ্ছে। একসময়ের বারো ইঞ্চি লম্বা টিউবযুক্ত টেলিভিশন থেকে আজ আমরা পঞ্চাশ ইঞ্চি এল.সি.ডি টেলিভিশন দেখতে পায়।
বিমানঃ
--------------
বিমানের ধারণা আসে মুলত রাইট ভাত্রিদয়ের পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে। ১৯০৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর অরভিল এবং উইল্ভার রাইট প্রথম মানুষের ভাসমানের সম্ভাব্যতা নিয়ে পরীক্ষা চালান। আর বাণিজ্যিকভাবে ১৯১১ সালে এরোপ্লেন আবিষ্কার করা হয়। বর্তমানে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়ার সবচেয়ে দ্রুতগামী মাধ্যম হচ্ছে এরোপ্লেন। এরোপ্লেন এর নীতির উপর ভিত্তি করেই জেট বিমান, রকেট ইত্যাদি আবিষ্কৃত হয়েছে। বর্তমানে বিমানের যাত্রী সংখ্যার সঠিক হিসাব নেই। তবে ধারণা করা হয় বিমান যাতায়াতকারী যাত্রীর সংখ্যা ১.৫ বিলিয়ন।
এয়ার-কনডিশনঃ
--------------
বছরের সকল সময় আরমামদায়ক আবহাওয়া সৃষ্টিতে বাবহ্রিত যন্ত্র এয়ার কন্ডিশন । বর্তমান বিশ্বের ৯৫ ভাগ মানুষ অফিস, বাড়িঘরে এয়ার কন্ডিশন ব্যবহার করে থাকে। আমেরিকান বিজ্ঞানী উইলিস কারিয়ার এটি আবিষ্কার করেন। ১৯০২ সালে একটি প্রিন্টিং এর দোকানের অতিরিক্ত আদ্রতা কমাতে একটি পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। এটিই বর্তমানে এয়ার কন্ডিশন হিসেবে সমগ্র বিশ্বে বাবহ্রিত হচ্ছে।
ক্রেডিট কার্ডঃ
--------------
বর্তমানে বড় বড় বিপণিতে কেনাকাটা করতে নগদ টাকার পরিবর্তে একটি কার্ড ব্যবহার করা হয়। এটি কোনকিছু ক্রয় করে বিপনিবিতানে বসে শুধু একটি কার্ড দিয়ে দাম পরিশোধ করা যায়। আর এই প্লাস্টিক কার্ডই ক্রেডিট কার্ড। সর্বপ্রথম ১৯২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে এর ব্যবহার সফলভাবে শুরু হয়। সর্বপ্রথম ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারী যুক্তরাষ্ট্রের জন.বিগিন ।
ডিজিটাল ক্যামেরাঃ
--------------
১৯৭৫ সালে স্তেভেন সাসন ডিজিটাল ক্যামেরা আবিষ্কার করেন। সর্বপ্রথম আবিষ্কৃত ডিজিটাল ক্যামেরা ছিল ০.০১ মেগা পিক্সেল ক্ষমতাসম্পন্ন ।আর আজ আমরা ১৬০ মেগা পিক্সেল ক্ষমতাসম্পন্ন ক্যামেরা ব্যবহার করে থাকি। এমনকি বর্তমানে মোবাইল ফোনেও ডিজিটাল ক্যামেরা সুবিধা রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ সৃতি ধরে রাখা সহ গবেষণায় বিভিন্ন ডিজিটাল ছবির জন্য ডিজিটাল ক্যামেরা বাবহ্রিত হয়ে থাকে।
ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েভঃ
--------------
বর্তমানে যে কোন প্রয়োজনে আমরা ইন্টারনেটের সাহায্য নিয়ে থাকি। আর ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের কাছে ডব্লিউ.ডব্লিউ.ডব্লিউ শব্দটি খুব পরিচিত। আর এই শব্দ তিনটির পূর্ণ রুপ ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েভ। সর্বপ্রথম ১৯৯০ সালে ব্রিটিশ বিজ্ঞানী টিম বারনারস লি এটি আবিষ্কার করেন। বর্তমানে সারা বিশ্বে ১.৯ বিলিয়ন মানুষ এটি ব্যবহার করে থাকে। এই শব্দ তিনটি দারাই সকল ওয়েভসাইট তৈরি হচ্ছে আর আমরা পেয়ে যাচ্ছি আমাদের প্রয়োজনীয় তথ্য।
অটোমোবাইলঃ
--------------
মানুষ চলার পথকে আরও অনেক আরামদায়ক এবং দ্রুত করতে বিজ্ঞানের এক আবিষ্কার অটোমোবাইল। সর্বপ্রথম জার্মানির একদল বিজ্ঞানী রাস্তায় এটির ব্যবহার শুরু করেন। কিন্তু তারা সফল হতে পারেন নি। পরবর্তীতে স্বদেশীয় দুই বিজ্ঞানী কার্ল বেলজ এবং ডেইলমলারের আবিষ্কৃত অটোমোবাইল খুব জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। আর এজন্য অটোমোবাইলের আবিস্কারক হিসেবে বিবেচনা করা হয় কার্ল বেনজকে।
মোবাইল ফোনঃ
--------------
বর্তমান সময়ে মানুষের জীবনের একটি অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে মোবাইল। প্রিয়জনের সাথে যোগাযোগ থেকে শুরু করে গেইম খেলা, হিসাব নিকাশ, ইন্টারনেট ব্রাউজিং সহ সকল কাজে মোবাইল ব্যবহার করা হয়। বহুল বাবহ্রিত এই যন্ত্রটির আবিষ্কার কৌশল এসেছে আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেলের টেলিফোন আবিষ্কারের মাধ্যমে। সর্বপ্রথম তারহীন এই মোবাইল ফোন বাজারে আসে ১৯৮৩ সালে। আর প্রথম বাজারজাত কোম্পানি মটোরলা। বর্তমানে বিশ্বের শতকরা৭৫ ভাগ মানুষ মোবাইল ব্যবহার করে থাকে।
এ. টি.এমঃ
--------------
জরুরী বা ছুটির দিনে বাংকে গচ্ছিত টাকা উঠানোর একটি বিশেষ পদ্ধতি এ. টি.এম বা অটোমেটেড টেলার মেশিন। বিজ্ঞানী লুথার জর্জ সিমজান এটি আবিষ্কার করেন। এখানে একটি পিন কোডের মাধ্যমে গোপনীয়তা বজায় রাখা হয়। বর্তমানে বিশ্বের সকল দেশে এটি বহুলভাবে বাবহ্রিত হচ্ছে।
রেফ্রিজারেটরঃ
--------------
কোন খাবার টাটকা রাখতে বহুল বাবহ্রিত যন্ত্রের নাম রেফ্রিজারেটর। সর্বপ্রথম উইলিয়াম কুলেন ১৭৮৪ সালে রেফ্রিজারেটরের ডিজাইন করেন । কিন্তু এর কোন ব্যাবহারিক কোন প্রয়োগ হয় নি। পরবর্তীতে ১৮০৫ সালে আমেরিকান উদ্ভাবক অলিভার ইভান রেফ্রিজারেটরের নকশা করেন। সবচেয়ে উন্নত রেফ্রিজারেটর আবিষ্কার করেন আফ্রিকান-আমেরিকান বিজ্ঞানী থমাস এল্কিন এবং জন স্ট্যান্ডার্ড। বর্তমানে এটি সকল দেশের মানুষ কম বেশি ব্যবহার করে থাকে।

শীতে ত্বকের যত্নের টিপস

শীতে যা করবেন
﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌
✩শীতের শুষ্ক আবহাওয়া শরীর থেকে পানি শুষে নেয়। তাই ভেতর থেকে শরীরকে আর্দ্র রাখা খুব জরুরী। তাই প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন।
✩ খাদ্য তালিকায় যোগ করুন শীতের ফলমূল ও সবজি – টমেটো, গাজর, ফুলকপি, কমলা এগুলো ভিটামিন সি এর ভালো উৎস। যা ত্বকের ইলাস্টিসিটি বজায় রাখতে সাহায্য করে।
শীতে যা করবেন না
﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌
✩ ঠোঁটে পেট্রোলিয়াম জেলী /ভ্যাসলিন না লাগানোই ভালো। দীর্ঘদিন ব্যবহারে ঠোঁট কালো করে ফেলে।
✩ যতই আরাম লাগুক অতিরিক্ত গরম পানিতে গোসল না করাই ভালো। এতে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে পরে। করতে চাইলে গরম পানিতে আপনার পছন্দের তেল কয়েক ফোঁটা মিশিয়ে নিন।
তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন
﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌
যাদের ত্বক খুব তৈলাক্ত তারা ক্লিনজিং ও ময়েশ্চারাইজিংয়ের ক্ষেত্রে অয়েল ফ্রি প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন। ঘরোয়া ময়েশ্চারাইজার হিসেবে এক্ষেত্রে টমাটোর রস খুব কার্যকর। ক্লিনজিং ও টোনিংয়ের পর লেটুস পাতার রস, মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে লাগাতে পারেন। আনারস, আপেল, পাকা পেঁপের সঙ্গে মধু মিশিয়ে প্যাক ব্যবহার করতে পারেন।
শুষ্ক ত্বকের যত্ন
﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌
শুষ্ক ত্বকের প্রধান কাজ হল ত্বকের ময়েশ্চারাইজার ধরে রাখা। ভিটামিন-ই অয়েল ১/২ চামচ, ১/২ চামচ গ্লিসারিন মিশিয়ে প্রতিদিন লাগাতে পারেন। ত্বকে পুষ্টি জোগাতে ডিমের কুসুম, ১ চা-চামচ মধু, আধা চামচ অলিভ অয়েল ও গোলাপজল মিশিয়ে সারা মুখে লাগিয়ে ১৫ মি. রেখে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ দিন ব্যবহার করতে পারেন।
মিশ্র ত্বকের যত্ন
﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌
প্রতিদিন হালকা ক্লিনজার ব্যবহার করতে পারেন। তবে ত্বকের শুষ্ক জায়গাগুলো অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার লাগাবেন। সিদ্ধ করা মিষ্টি কুমড়ো চটকে তার সঙ্গে মধু ও দুধ পরিমাণ মতো মিশিয়ে ২০ মি. রেখে তারপর ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। এ প্যাকটি সপ্তাহে ৩ দিন ব্যবহার করলে উপকার পাবেন।
ঠোঁটের যত্ন
﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌
শরীরের অন্য যেকোনো অংশের চেয়ে ঠোঁটের ত্বক অত্যন্ত পাতলা ও সংবেদনশীল। শীতে ঠোঁট খুব সহজেই আর্দ্রতা হারিয়ে শুকনো খরখরে হয়ে যায়, ফেটেও যায়। ঠোঁটের আর্দ্রতা বজায় রাখতে ঠোঁটে লাগান চ্যাপস্টিক /লিপবাম। Brut’s bee, aquafina, nivea lip therapy, maybelline baby lips, The body shop shea chap stick ভালো মানের চ্যাপস্টিকের মধ্যে অন্যতম। চ্যাপস্টিক বা লিপবাম সাথে রাখুন সবসময়। ভুলেও জিভ দিয়ে ঠোঁট ভেজাবেন না। এতে ঠোঁট আরও শুষ্ক হয়ে ফেটে যাবে।
সপ্তাহে ২ দিন ঠোঁটে লাগান বাড়িতে তৈরি লিপস্ক্রাব। এজন্য ১ চা চামচ চিনি, ১/২ চা চামচ লেবুর রস ও ১/২ চা চামচ মধু মিশিয়ে ঠোঁট আলতো ভাবে ঘষুন। মরা চামড়া উঠে গিয়ে ঠোঁট পরিষ্কার হয়ে যাবে।
হাত ও পায়ের যত্ন
﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌
গোসলের পর ভেজা থাকতেই হাত পায়ে লাগান লোশন বা বডি বাটার। এই শীতে হাত পায়ের ত্বক সুরক্ষায় বডি বাটার খুবই উপকারী। যাদের ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক তারা লোশনের সাথে মিশিয়ে নিন আমন্ড অয়েল /অলিভ অয়েল /বেবি অয়েল।
– সপ্তাহে ২-৩ দিন ব্যবহার করুন বডি স্ক্রাব। বাজারে পাওয়া যায় হাত পায়ের যত্নে বিশেষ স্ক্রাবও।
– যাদের শীত এলেই পা ফাটে, তারা সপ্তাহে একদিন বাড়িতেই পেডিকিউর করুন।
– উষ্ণ গরম পানিতে পা কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রেখে পিউমিস স্টোন বা বাফার দিয়ে ঘষে মরা চামড়া তুলে ফেলুন। তারপর গোড়ালিতে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। গোড়ালির সুরক্ষায় নানা রকম ফুট ক্রিমও পাওয়া যায়।
– রাতে পায়ে পুরু করে ভ্যাসলিন মেখে মোজা পরে ঘুমান। তাহলে আর পা ফাটবে না।

চুলের যত্ন
﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌
শীতের সময় চুলে খুশকির উপদ্রব বেড়ে যায়। খুশকিমুক্ত থাকতে নিয়মিত সপ্তাহে দুই দিন কিটোকোনাজল শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।
হাতের তালু ও পায়ের তলার যত্ন
﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌
এ সময় ১০ ভাগ ইউরিয়া, ভেসলিন লাগালে হাতের তালু অনেকটা মসৃণ হয়ে আসে। শীতে অনেকের পায়ের তলা ফেটে যায়।
৫ ভাগ সেলিসাইলিক অ্যাসিড অয়েন্টমেন্ট অথবা ভেসলিন নিয়মিত মাখতে পারেন।
ময়েশ্চারাইজেশন
﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌
শীতে ত্বক সুরক্ষার প্রধান উপায় হলো ত্বকের পর্যাপ্ত ময়েশ্চাইরেশন। শীতের শুষ্কতা ত্বক থেকে আর্দ্রতা শুষে নেয়। ফলে ত্বক হয়ে পরে শুষ্ক ও রুক্ষ। ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে গোসল /মুখ ধোয়ার পর ভেজা ভাব থাকতেই ত্বকে লাগান ক্রিম /লোশন। ওয়াটার বেসড ক্রিম /লোশনের বদলে বেছে নিন অয়েল বেসড ক্রিম/লোশন।
রাতে ত্বকের বাড়তি সুরক্ষায় করুন ডিপ কন্ডিশনিং। আপনার পছন্দের যেকোনো তেল যেমন আমন্ড অয়েল, অলিভ অয়েলের সাথে মেশান ভিটামিন ই অয়েল (ভিটামিন ই ক্যাপসূল আকারে ওষুধের দোকানে পাওয়া যায়)। একসাথে মিলিয়ে মুখে ম্যাসাজ করুন। আমন্ড অয়েল /অলিভ অয়েল ও ভিটামিন ই ত্বক নরম রাখতে ও ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

✩ এই শীতেও থাকুন সজীব ও উজ্জ্বল। উপভোগ করুন শীতকে।

পানি বিশুদ্ধ বা বিশুদ্ধকরণের ও সঠিকভাবে পানি সংরক্ষণ করার সহজ পদ্ধতি ও নিয়ম

মানবদেহের ৭৫ শতাংশই পানি। বিশুদ্ধ পানির অপর নাম জীবন। পরিপাক, সংবহন, পুষ্টিকণা পরিবহন, খাদ্য শোষণ ও বিপাক, তাপমাত্রা ও ভারসাম্য রক্ষাসহ শরীরের প্রতিটি কাজে পানির প্রয়োজন হয়। অথচ এই পানিই কখনো কখনো নানা রোগের কারণ হয়ে উঠতে পারে। ডায়রিয়া, কলেরা, জন্ডিস, টাইফয়েড ইত্যাদি রোগ আসলে পানিবাহিত।এই জন্য বলা হয় অবিশুদ্ধ পানি প্রাণঘাতক।
জাতিসংঘের ভাষ্য অনুযায়ী, বিশ্বে প্রতি নয়জনের একজন বিশুদ্ধ ও পরিষ্কার পানির আওতায় নেই। প্রতি তিনজনে একজন সঠিক পয়োনিষ্কাশনের আওতার বাইরে। ফলে দেখা দিচ্ছে নানা রোগবালাই। কেবল বিশুদ্ধ ও পরিচ্ছন্ন পানি ব্যবহারের মাধ্যমে দুনিয়াজুড়ে পানিবাহিত রোগ এবং এ কারণে মৃত্যুর ঝুঁকি ২১ শতাংশ কমানো যেতে পারে।
পানি বিশুদ্ধ করার সঠিক পদ্ধতি কোনটি, এ নিয়ে অনেকেরই আছে বিভ্রান্তি। আপনি বিশুদ্ধ জেনে যে পানি পান করছেন প্রতিদিন, তা কি প্রকৃতই বিশুদ্ধ? স্বচ্ছ পানিতেও মিশে থাকতে পারে ক্ষতিকর জীবাণু! অনেকে ফুটিয়ে পানি পান করেন। কিন্তু সঠিক উপায়ে ফুটিয়ে নিচ্ছেন তো আপনার পানের পানি? আসুন জেনে নেই পানি বিশুদ্ধকরণের সহজ পদ্ধতি ও সেগুলোর ভালোমন্দ।
১. ফুটানো:
﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌
পানি ফুটিয়ে (Boiling) জীবানু মুক্ত করার পদ্ধতিটা প্রায় সকলেরই জানা। সরাসরি ডোবা বা জলাশয়ের পানির ক্ষেত্রে অন্তত ২০ মিনিট ধরে ফুটানোর কথা বলা হয়। তবে আমেরিকান সরকারী পরিবেশ সংরক্ষণ এজেন্সির (USEPA) মতে, ফিল্টারকৃত থিতানো পানি ১ মিনিট ধরে পূর্ণমাত্রায় ফুটালেই কাজ হবে (এক মাইলের চেয়ে বেশি উচ্চতার জায়গায় ৩ মিনিট; কারন, উঁচু জায়গায় পানির স্ফুটনাংক কমে যায়)। অর্থাৎ অপেক্ষাকৃত পরিষ্কার পানির জন্য ১ মিনিট টগবগ করে ফুটানো যথেষ্ট। এটা পানি ফুটানোর সবচেয়ে অদক্ষ পদ্ধতি। পৃথিবীর কোনো পানির শোধনাগারে জীবানু মুক্ত করার জন্য এই পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়না।
* পানি ফুটিয়ে নেওয়ার সবচেয়ে উত্তম পদ্ধতি হলোঃ পানি ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় কমপক্ষে ১০ মিনিট ধরে ফোটাতে হবে। তারপর তা ঠান্ডা করে কলসি, কাচের জগ বা পরিষ্কার পাত্রে সংরক্ষণ করতে হবে। এতে জীবাণু, পরজীবী এমনকি তার ডিম ও লার্ভাসহ সবই ধ্বংস হয়, ধাতব লবণ থিতিয়ে পড়ে ও দ্রবীভূত গ্যাস বের হয়ে যায়। । রেখে দেওয়া ফোটানো পানিতে আবার জীবাণুর আক্রমণ হতে পারে—বিশেষ করে, যদি তা বেশি দিন রেখে দেওয়া হয়। তাই রোজকার পানি রোজই ফুটিয়ে নেওয়া ভালো।
* পানি ফোটালে জীবাণু ও পরজীবী ধ্বংস হয় বটে, তবে সব রাসায়নিক উপাদান নষ্ট হয় না। ফোটানো পানিতে কখনো কখনো ক্যালসিয়াম কার্বনেট জাতীয় তলানি পড়ে। এর সবগুলো যে খারাপ, তা নয়। তবে খনিজ উপাদানের কারণে পানি ঘোলাটে বা অপরিচ্ছন্ন দেখালে ছেঁকে নেওয়া যেতে পারে।
পানির সর্বোচ্চ বিশুদ্ধতা নিশ্চিত করার জন্য ফুটানোর পরে ফিল্টার ব্যবহার করতে হবে। ফিল্টার যদি না থাকে তাহলে পানি পান করার আগে কয়েক স্তর পুর বিশিষ্ট ছাঁকনি দিয়ে তা ছেঁকে নিতে হবে।
নোটঃ- অনেকেই পানি দীর্ঘসময় ধরে ফুটান। এটা খুবই ক্ষতিকর। দীর্ঘ সময় ধরে পানি ফুটালে পানিতে অক্সিজেনের পরিমান কমে যায়। আর পানিতে মিশ্রিত ধাতব উপাদানের মাত্রা বেড়ে যায়। যা স্বাস্থ্যের জন্য অপকারী।
২.আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি:
﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌
পরিষ্কার ও স্বচ্ছ পানি জীবানু মুক্ত করার জন্য অতিবেগুনি বিকিরণ (ultra violet radiation) খুবই কার্যকরী একটা পদ্ধতি। যে কোনো ধরণের ব্যাকটেরিয়া, সিস্ট এবং স্পোর ধ্বংস করতে এই অতিবেগুনি রশ্মী অত্যন্ত শক্তিশালী একটা অস্ত্র; তবে ঘোলা পানিতে কিংবা পানিতে নাইট্রেট, সালফেট বা ফেরাস (আয়রন) আয়ন একে কাজ করতে বাধা দেয়। এছাড়া অতিবেগুনি রশ্মি পানির বেশি গভীরে প্রবেশ করতে পারে না, তাই পানিকে অগভীর ধারায় প্রবাহিত করতে হয় (সর্বোচ্চ ৩০ সেমি বা ১ ফুট)। পানিকে তাৎক্ষনিক ভাবে জীবানুমুক্ত করলেও পরবর্তীতে সেই পানি সরবরাহ লাইনে/পাইপে অন্য কোন জীবানু উৎস থেকে দুষিত হলে সেটা ঠেকানো যায় না; এছাড়া এটার খরচও বেশি। তাই এই পদ্ধতির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ ও পরীক্ষা নিরীক্ষার কাজে সীমাবদ্ধ। তবে জেনে রাখতে ক্ষতি নাই, হয়তো কখনো কোনো পরিস্থিতিতে কাজে লেগে যেতে পারে।
৩. সৌর পদ্ধতি:
﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌
দুষিত পানিকে সূর্যালোকে রেখে দিলে সেখানকার ডায়রিয়া সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া অকার্যকর হয়ে যায়। ধারণা করা হয় রোগবাহী জীবানুগুলো সূর্যালোকের প্রভাবে দুর হওয়ার পেছনে তিনটি কারণ কাজ করে:
ক) অতিবেগুনি-এ রশ্মীর কারণে ব্যাকটেরিয়ার বিপাক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্থ হয় এবং কোষ কাঠামো ধ্বংস হয়।
খ) ৩২০-৪০০ মিমি তরঙ্গদৈর্ঘের অতিবেগুনি রশ্মি পানিতে দ্রবীভুত অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে এবং অক্সিজেনের অত্যন্ত সক্রিয় রূপ উৎপাদন করে (ফ্রি রেডিক্যাল, হাইড্রোজেন পার অক্সাইড); এগুলোও রোগ-জীবানুগুলো নষ্ট করে দেয় বলে ধারণা করা হয়,
এবং
গ) সৌরশক্তি সঞ্চয়ে পানির তাপমাত্রা বেড়ে যায়, ৫০°সে. এর অধিক তাপমাত্রায় এই জীবানুনাশী প্রক্রিয়াগুলো তিনগুন দ্রুততর হয়।
সৌর পদ্ধতিকে ইংরেজিতে SODIS বলে। এই পদ্ধতিতে জীবানুমুক্ত করতে ৩০°সে. তাপমাত্রায় প্রায় ৫ ঘন্টা পূর্ণ সূর্যের আলোতে রাখতে হয় পানিকে। এসময়ে সৌর বিকিরণের মাত্রা থাকতে হয় ৫০০ ওয়াট/বর্গমিটার (সব তরঙ্গদৈর্ঘ মিলিয়ে)। ৪৫°সে. এর অধিক তাপমাত্রায় অতিবেগুনি রশ্মি এবং তাপমাত্রার সম্মিলিত ক্রিয়ায় জীবানুনাশী দক্ষতা আরো বৃদ্ধি পায়।
এই পদ্ধতিতে পানি সরবরাহ ব্যবস্থায় পানি শোধন করা যাবে না, কিন্তু যেসব প্রত্যন্ত স্থানে পরিশোধিত পানির অন্য কোনো উপায় নেই সেখানে এটা জীবন রক্ষা করতে পারে। দূর্গম এলাকায় ভ্রমনকারী এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিধ্বস্থ অঞ্চলে দূষিত পানি জনিত রোগ ঠেকাতে এই পদ্ধতি খুবই কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
৪. ক্লোরিন দ্বারা:
﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌
ক্লোরিন বিভিন্ন রূপে পানির জীবানুনাশ করার জন্য বহুল ব্যবহৃত একটি কেমিকেল। বিংশ শতকের গোড়ার দিকে পানিশোধণে ক্লোরিন ব্যবহার শুরুর করার পর সারা বিশ্বে পানিজনিত রোগে মৃত্যূহার অনেক হ্রাস পেয়েছে।
জরুরি অবস্থায় পানি শোধন কাজে হ্যালোট্যাব বা ক্লোরিনের ট্যাবলেট ফার্মেসিতে পাওয়া যায়। কত পরিমাণ পরিষ্কার পানিতে একটি ট্যাবলেট দিতে হবে সেটা ট্যাবলেটের মোড়কে লেখা থাকে। এভাবে পরিশোধিত পানিতে কিছুটা ক্লোরিনের গন্ধ থাকে। তবে, সেই পানিকে সামান্য গরম করলেই সমস্ত গন্ধ চলে যাওয়ার কথা। আমাদের দেশে মানুষ পানিতে ক্লোরিন তথা ব্লিচিং-এর গন্ধ পেলে নাক সিটকায়, অথচ উন্নত বিশ্বে এই গন্ধ পেলেই পানি পান করতে নিরাপদ বোধ করে মানুষ, আর সরবরাহকৃত পানিতে ক্লোরিনের গন্ধ না থাকলেই সেই পানি পান করতে ইতস্তত করে।
ঢাকা শহরে সরবরাহকৃত পানির একটা বড় অংশ ডিপ টিউবওয়েলের পানি, যাতে জীবানু থাকার সম্ভাবনা খুবই কম। তবে সরবরাহ লাইনে লিক দিয়ে দূষণ হওয়া অসম্ভব নয়। অনেক এলাকাতেই পানির লাইন পয়ঃনিষ্কাশন নালার মধ্যদিয়ে গিয়েছে – যা অত্যন্ত ঝুকিপূর্ণ। এছাড়া বাসা-বাড়ির পানির ট্যাংকিগুলো পানিতে জীবানু প্রবেশের অন্যতম পথ। তাই এই ট্যাংকিগুলো এবং ব্যবহারের শুরুতে পুরা পানি সরবরাহ পাইপগুলোকে জীবানুমুক্ত করে নেয়া জরুরি।
ছাঁকন পদ্ধতি:
﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌
এই পদ্ধতিতে দরকার গকে চারটি কলস বা মাটির চারি। চারি হচ্ছে মাটির তৈরি বড় বোল বা গামলা।
চারটি কলস বা চারি উপর নিচ করে সাজাতে হয়। প্রথমে কলসে সাধারণ পানি দেওয়া হয়। দ্বিতীয় কলসে বালু ও তৃতীয় কলসে নুড়ি পাথর রাখতে হয়। বালি ও নুড়ি পাথরে পানি পরিশোধিত হয়ে চতুর্থ কলসে পড়ে। সাধারণত গ্রামাঞ্চলে এই পদ্ধতিতে পানি বিশুদ্ধ করা হয়।
পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট:
﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌
নানা রকম ট্যাবলেট ব্যবহার করে পানি বিশুদ্ধ করা যায়। এর মধ্যে হ্যালোজেন অতি পরিচিত ট্যাবলেট। প্রতি তিন লিটার পানিতে একটি ট্যাবলেট গুলিয়ে রেখে দিলে এক ঘণ্টা পর তা থেকে বিশুদ্ধ পানি পাওয়া যায়।
পটাশ: ২৪ লিটার পানিতে এক গ্রাম পটাশ মিশিয়ে ছয় ঘণ্টা রেখে দিলে সেই পানি বিশুদ্ধ হয়ে যায়।
ফিটকিরি: সামান্য পরিমাণ ফিটকিরি পানিতে মিশিয়ে ছয় ঘণ্টা অপেক্ষা করে তা থেকে বিশুদ্ধ পানি পাওয়া সম্ভব। এক্ষেত্রে পাত্রের উপর থেকে পানি সংগ্রহ করতে হবে ও তলানি ফেলে দিতে হবে।
আয়োডিন: প্রতি লিটার পানিতে দুই শতাংশ আয়োডিনের দ্রবণ মিশিয়ে এত ঘণ্টা রেখে পানি বিশুদ্ধ করা যায়।
শহরে যে ট্যাপের পানি পাওয়া যায় তা মূলত ব্লিচিং ও ক্লোরিন দিয়ে পরিশোধিত করা হয়। যা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই চুল পড়া ও ত্বক খসখসে হয়ে যাওয়ার জন্য দায়ী। এছাড়াও যে হাঁড়িতে পানি ফুটানো হয় তার তলায় অনেক সমর শক্ত আস্তরণ পড়তে দেখা যায় এটি ক্লোরিন ও ব্লিচিংয়ের জন্য হয়ে থাকে।
এই পদ্ধতিতে পরিশোধিত পানি ত্বক ও চুলের জন্য ক্ষতিকার হলেও শহরাঞ্চলের জন্য পানি বিশুদ্ধ করার অন্য কোনো সহজ উপায় নেই। তাই বলবো এই পানি ভালো ভাবে ফুটিয়ে ও ছেঁকে পান করার উচিত।”
বৃষ্টির পানি:
﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌﹌
যেসব অঞ্চলে পানি সহজলভ্য নয় সেখানে বর্ষাকালে বৃষ্টির পানি জমা করে রাখা হয়। এক্ষেত্রে বৃষ্টি শুরু হওয়ার ১০ মিনিট পর থেকে পানি সংগ্রহ করতে হবে। পরিষ্কার পাত্রে পানি সংগ্রহ করা উচিত। এই পানি বেশি দিন সংরক্ষণের জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সুর্যের আলো থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে হবে। পরে ব্যবহারের আগে তা ভালো মতো ছেঁকে ব্যবহার করা যাবে।
আর “ফুটানো পানির ক্ষেত্রে তা ভালো ভাবে ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে মাটির পাত্রে বা কলসে সংরক্ষণ করলে অনেকদিন পর্যন্ত তা ভালো থাকে। প্লাস্টিকে পানি রাখলে তার নিচে তলানি জমে ও পান করার অযোগ্য হয়ে যায়।”
* ভ্রমণে, বনজঙ্গলে, ক্যাম্পে বা দুর্গত এলাকায় পানি বিশুদ্ধকরণ বড়ি দিয়ে পানি বিশুদ্ধ করা হয়। এই পদ্ধতি সম্পূর্ণ নিরাপদ নয়, তবে জরুরি পরিস্থিতিতে কাজ চালানো যেতে পারে।
* বাইরে বা ভ্রমণের সময় কেনা পানির চেয়ে বাড়ি থেকে বোতলে পানি নেওয়ার চেষ্টা করুন। কাচ ও স্টিলের পাত্রে পানি সংরক্ষণ করাই সবচেয়ে ভালো।
অনেকেই ফিল্টারের মাধ্যমে পানি বিশুদ্ধ করে নিচ্ছেন। কিন্তু ফিল্টারগুলো মানসম্মত ও বিশুদ্ধকরণে কার্যকর কিনা সেটাও যাচাই করে দেখবেন। পত্র-পত্রিকায় নকল ফিল্টার তৈরির সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে প্রায়ই। যাইহোক, পানি বিশুদ্ধ করে পান করুন, সুস্থ থাকুন।

বিজ্ঞানের মজার মজার ১০০টি তথ্য

মজার মজার বিজ্ঞান বিষয়ক তথ্য।
আমাদের চারপাশেই বহু জিনিস আছে যা সাধারণভাবে দেখলে খুবই স্বাভাবিক মনে হতে পারে। তবে বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে দেখলে এর মধ্যেই পাওয়া যাবে কিছু মজার তথ্য। এমনই কিছু তথ্য দেওয়া হলো। তথ্যগুলো একই সঙ্গে মজার ও শেখার বিষয়ও বটে।
নোটঃ -নিজের ও বাচ্চাদের প্রয়োজনে শেয়ার করে পোস্ট লিংক সেইভ করে সময় নিয়ে পড়তে থাকুন আর বাচ্চাদেরও পড়তে দিন ...কারন বাচ্চারা এসব অত্যুৎসাহী, বিস্ময়কর, মজার, রহস্যময়, অদ্ভুত ও উদ্ভট তথ্য অতি উৎসাহের সাথে জানবে এবং এগুলো তাদেরকে আরো অন্যান্য জিনিষ জানার জন্য আগ্রহী করে তুলবে। বড়রাও এ তথ্যগুলো জেনে আনন্দিত হতে পারে।
1) খরগোশ ও টিয়াপাখি দুটোই খুব সুন্দর প্রাণী। অনেকেই এগুলো বাসায় পোষে। তবে বাসায় থাকা খরগোশ বা টিয়াকে পেছন থেকে চুপি চুপি এসে চমকে দেওয়ার চেষ্টা বৃথা। কারণ এই দুটি প্রাণী মাথা না ঘুরিয়েও পিছনে কী ঘটছে দেখতে পায়।
2) কোনো খাবারের স্বাদ জানতে আমরা জিহ্বা ব্যবহার করি। চিন্তা করো তো প্রায় সব প্রাণীরই তো জিহ্বা আছে, তাই না। আচ্ছা হাত বা পা দিয়ে কখনো খাবারের স্বাদ জানা যায়! অবিশ্বাস্য মনে হলেও প্রজাপতি এই কাজটিই করে। প্রজাপতি কোনো খাবারের ওপর বসে পা দিয়ে এর স্বাদ নেয়। কারণ মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর ক্ষেত্রে স্বাদ গ্রহণের গ্রন্থি থাকে জিহ্বায়। কিন্তু প্রজাপতির ক্ষেত্রে এই গ্রন্থি থাকে পায়ে।
3) প্রায় প্রতিদিনই তো বাসায় ঘর ঝাড়ু দেওয়া হয়। খেয়াল করে দেখো এর মধ্যে ধুলার মতো ময়লা থাকে। আর এই ময়লার মধ্যে তোমার শরীরের ত্বকের কোষও আছে। মজার বিষয় হলো, আমাদের বাড়িঘরের ধুলোর মতো গুঁড়ো ময়লার অধিকাংশই আমাদের শরীর থেকে ঝরে যাওয়া মৃত ত্বক কোষ।
4) আদিকালে পৃথিবীজুড়ে ঘুরে বেড়াত ডাইনোসরসহ বিভিন্ন প্রাগৈতিহাসিক প্রাণী প্রজাতি। বৃহদাকৃতির ডাইনোসরের একটি প্রজাতি ছিল স্টেগোসাউরাস। প্রায় নয় মিটার লম্বা দাবনাকৃতির এই ডাইনোসর প্রজাতির মস্তিষ্ক ছিল কাঠবাদামের সমান।
5) খাটো বলে মন খারাপ। লম্বা হওয়ার এক বুদ্ধি বাতলে দিতে পারি। মহাকাশচারী হও, এতে একটু হলেও লম্বা হতে পারবে। বিস্ময়কর মনে হলেও সত্যি, মহাকাশে কিছুদিন টানা থাকলে উচ্চতা কিছুটা বাড়ে। মহাকাশে অভিকর্ষণ বল না থাকায় মানুষের শরীরের ওপর নিচের দিকে টান থাকে না। এ কারণে মানুষের উচ্চতা বাড়ে।
6) অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের বিশেষ বৈশিষ্ট্যের প্রাণী ক্যাঙ্গারু আর ইমু পাখি। লাফিয়ে লাফিয়ে চলা আর পকেটে বাচ্চা রাখার জন্য ক্যাঙ্গারু সবার কাছেই মোটামুটি পরিচিত। আচ্ছা ক্যাঙ্গারুকে কখনো পেছনে হাঁটতে দেখেছো কেউ। উত্তর হবে ‘না’। পায়ের গঠনের কারণে ক্যাঙ্গারু ও ইমু পাখি পেছনে হাঁটতে পারে না বললেই চলে।
7) চিড়িয়াখানায় জলহস্তী দেখেছো। বিশালদেহী প্রাণীটির পা বেশ ছোট হলেও এটি মানুষের চেয়ে দ্রুতগতিতে দৌড়াতে পারে। আর দেখতে নিরীহ হলেও জলিহস্তী কিন্তু হিংস্রতম প্রাণীর একটি।
8) কাঁটাঘড়ি দেখেছো। তিনটি কাঁটায় দেখায় সেকেন্ড, মিনিট আর ঘণ্টা। এই ঘড়িতে ব্যাটারি না থাকলে বা নষ্ট হয়ে গেলেও কিন্তু দিন-রাত মিলে ২৪ ঘণ্টায় অন্তত দুবার সঠিক সময় দেখায়।
9) মানুষ কখনোই চোখ খোলা রেখে হাঁচি দিতে পারে না। হাঁচি এলে মানুষের চোখ আপনাআপনিই বন্ধ হয়ে যায়।
10) ইংরেজি বলায় অনেকেই বেশ সাবলীল। এই ইংরেজি বাক্যটি দ্রুত বলার চেষ্টা করে দেখো তো— Sixth sick sheik’s sixth sheep’s sick.
11) ১২৫০ সালে রজার বেকন আতশী কাচ আবিস্কার করেন ।
12) ১৮৬৬ সালে আলফ্রেড নোবেল ডিনামাইট আবিস্কার করেন ।
13) ১৯৬১ সালে ব্যাংক অব স্টকহোম প্রথম ব্যাংকনোট ছাড়ে ।
14) ১৯৬২ সালে প্রথম টেলিফোন এবং টিভি সিগন্যাল আদান প্রদানে সক্ষম যোগাযোগ উপগ্রহ টেলস্টার উৎক্ষেপন করা হয় ।
15) ১৯৭৯ সালে জাপানের সনি প্রথম ওয়াকম্যান বাজারে ছাড়ে।
16) ৪,৮০০ বছর আগে মিশরীয়রা ৩৬৫ দিনের বছর সম্পর্কে জানতো ।
17) ৮৮% মানুষই ডানহাতি হয়ে থাকে
18) অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দিন অপেক্ষা রাতেই শিশু জন্মহার বেশী ।
19) আকার অনুযায়ী গুবরে পোকা (বিটল) হল পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী পোকা। একটা রাইনোসোরাস গুবরে পোকা তার নিজের ওজনের চেয়ে প্রায় ৮৫০ গুন বেশী ওজন বইতে পারে ।
20) আমরা জ্বর মাপার জন্য যে থার্মোমিটার ব্যবহার করি সেটি ১৬০৭ সালে প্রথম আবিষ্কার হয়। এটি আবিষ্কার করেন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী গ্যালিলিও।
21) আমরা যেসকল পোকাকে আলোর প্রতি আকৃষ্ট বলে মনে করি, প্রকৃতপক্ষে ব্যাপারটি তা নয়, এসব পোকা আসলে বাল্বের অন্ধকারতম জায়গাটির খোঁজ করতে থাকে ।
22) ইলেকট্রিক ঈল মাছ প্রায় ৬৫০ ভোল্ট শক দিতে পারে ।
23) উটপাখির চোখ তার মসিতস্কের চাইতে বড় ।
24) উটের চোখের তিনটি পাতা থাকে ।
25) এক কাপ কফিতে ১০০০ এরও বেশী রাসায়নিক পদার্থ থাকতে পারে ।
26) একজন পুরুষ দেহে এক সেকেন্ডে প্রায় ১০০০ কোষ শুক্র তৈরী হয়, প্রায় ৮৬০০০০০০ এক দিনে ।
27) একটা কম্পিউটারের অন্তত দশ লক্ষাধিক শক্তিশালী হ্ওয়া লাগবে মানব মস্তিস্কের সমান কাজ করতে হলে ।
28) একটা নয়া মডেলের শক্তিশালী কম্পিউটার একটা ০.১ গ্রাম ওজনের গোল্ডফিসের মস্তিস্কের সমানও কাজ করতে সক্ষম নয় ।
29) একটা পেন্সিল দিয়ে গড়ে ৩৫ মাইল লম্বা দাগ টানা যায় ।
30) একটা বজ্রপাত ভূপৃষ্ঠে ১০০০০০০০০ (১০ মিলিয়ন) ভোল্ট শক্তিতে আসতে পারে ।
31) একটা রাই গাছের শিকড় মাটির নীচে ৪০০ মাইল বিস্তার লাভ করতে পারে ।
32) একটা রাবার অনুতে ৬৫,০০০ পরমানু থাকে।
33) একটি কুকুরের গন্ধ শোকার ক্ষমতা মানুষের চাইতেও ১০০০ গুন বেশী ।
34) একমাত্র ভেনাস বা শুক্রগ্রহই আমাদের সৌরজগতের গ্রহগুলোর উল্টো দিকে ঘোরে ।
 35) একমাত্র হামিংবার্ড পেছন দিকে উড়তে পারে।
36) একসময় চাইনিজরা কাগজ বানাতে রেশমি সুতা ব্যবহার করত ।
37) এযাবৎকালের সবচেয়ে উচুতম গাছটি হল একটি অস্ট্রেলিয়ান ইউক্যালিপটাস গাছ, যার উচ্চতা ৪৩৫ ফুটের মতো ।
38) এ্যান্টার্কটিকার ভষ্টককে পৃথিবীর সবচাইতে শীতল সহান বলা হয়, এখানে -১২৯ ডিগ্রি ফারেনহাইটের (-৮৯ সেল) রেকর্ড আছে (১৯৮৩, ২১ জুলাই)।
39) এ্যালকোহোল পুরুষের শরীরের টেস্টোস্টেরন যৌন হরমোনকে কমিয়ে দিলেও নারী শরীরে তা বাড়িয়ে দেয়
40) গোল্ডফিশের স্মৃতি ৩ সেকেন্ড পর্যন্ত স্থায়ী থাকে ।
41) চিংড়ির হ্রৎপিন্ড মাথায় থাকে ।
42) চিঠিতে জিপ কোডের ব্যবহার আমেরিকার ডাকবিভাগের দ্বারা শুরু হয় ১৯৬৩ সালে ।
43) চিতাবাঘ কিন্তু সিংহের মতো গর্জন দেয় না, অনেকটা বিড়ালের মতোই ডাকে ।
44) চেইন বা জিপারের আসল আবিস্কর্তা ছিলেন এলিয়াস হাওয়ে।
45) জন্মের পর জিরাফের বাচ্চা প্রায় ৬ ফুট উচু হতে মাটিতে পড়ে, কোনোপ্রকার আঘাত ছাড়াই ।
46) জিরাফ অধিকাংশ সময় ২৪ ঘন্টার মধ্যে মাত্র ২০ মিনিট ঘুমায় । যদিও কখনও কখনও ২ ঘন্টাও ঘুমায় তবে তা খুবই ব্যতিক্রম ।
47) জিরাফ তার ২১ ইঞ্চি লম্বা জিহ্বা দিয়ে নিজের কান পরিস্কার করতে পারে ।
48) ডিএনএ প্রথম আবিস্কৃত হয় ১৮৬৯ সালে। এটি আবিষ্কার করেন সুইস ফ্রেডরিক মিস্কলার।
50) দ্রুত গতির দৌড়বিদরা ঘন্টায় প্রায় ৩০ কি.মি (১৮ মাইল) বেগে দৌড়াতে পারে । কিন্তু একটা চিতাবাঘ ঘন্টায় ৭৬ কি.মি বা ৪৬ মাইল বেগে দৌড়াতে পারে ।
51) দ্রুত গতির সাতারুরা ঘন্টায় প্রায় ৬ মাইল বেগে সাতার কাটতে পারে ।
52) নীল তিমি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় প্রাণী । এর জিহ্বা একটা হাতির মতো লম্বা এবং এর হৃদযন্ত্র একটা গাড়ির সমান ।
53) পানি ছাড়া ইদুর উটের তুলনায় বেশিক্ষন টিকতে সক্ষম ।
54) পুটোর গড় তাপমাত্রা প্রায় -৩৯০ ডিগ্রি ফারেনহাইট ।
55) পৃথিবী যদিও নিজ অক্ষে ঘন্টায় ১০০০ মাইল বেগে ঘোরে, কিন্তু অবিশ্বাস্য গতিতে সামনের দিকে এগিয়ে চলে, যা প্রায় ঘন্টায় ৬৭০০০ মাইল বেগে।
56) পৃথিবীতে বছরে প্রায় ১০০০০০০ এরও বেশী ভুমিকম্প হয়ে থাকে। কিন্তু এগুলো খুব ক্ষণস্থায়ী এবং কম কম্পন সম্পন্ন তায় আমরা টের পাই না। তবে রিক্টার স্কেলে কিন্তু এই কম্পন ঠিকই ধরা পরে।
57) পৃথিবীর ৩% পানি বিশুদ্ধ, তারমধ্যে ২% পানি জমাট বরফরুপে আছে, বাকি ১% পানি আমরা ব্যবহার করে থাকি ।
58) পৃথিবীর কেন্দ্রস্থলের তাপমাত্রা ধরা হয় ৫৫০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
59) পৃথিবীর ভূপৃষ্ঠের আকার হলো ৫,২৫,০০,০০০ বর্গ মাইল ।
60) পৃথিবীর ভূপৃষ্ঠের মাত্র ১১% (প্রায়) খাদ্য উৎপাদনে ব্যবহার হয় ।
61) পৃথিবীর সবচাইতে ছোট পাখি হলো হামিংবার্ড।
62) পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মরুভূমি হলো সাহারার মরুভুমি। এটির আয়তন প্রায় ৩,৫০০,০০০ বর্গ মাইল ।
63) পেন্সিলে রবার যোগ করার ধারণা আসে প্রথম জোসেফ রিচেনডর্ফার এর কাছ থেকে ।
64) প্রজাপতির ইংরেজি আসল নাম ছিলো ফ্লুটারবাই, বাটারফ্লাই নয় ।
65) প্রতি ঘন্টায় বিশ্বজগৎ চারদিকে শতকোটি মাইল বিস্তৃত হচ্ছে ।
66) প্রতি বছর আমেরিকাতে প্রায় ৭০০ এর মতো ঘূর্নিঝড় হয় ।
67) প্রতি সেকেন্ডে পৃথিবীতে প্রায় ১০০ বার বজ্রপাত হয়ে থাকে। এবং গড়ে বজ্রপাতে প্রতি বছর প্রায় ১০০০ লোক মারা যায় ।
68) প্রতিদিন মহিলারা গড়ে ৭০০০ বাক্য বলে থাকে, আর পুরুষরা বলে থাকে ২০০০ বাক্য ।
69) প্রথম এ্যালার্ম ঘড়ি আবিস্কার হয় ৩,৫০০ বছর আগে এক মিশরীয়র দ্বারা ।
70) প্রথম চাকা তৈরি করে সুমেরীয়রা, ৩৪৫০ বি.সি ।
71) প্রথম নোবেল পুরস্কার উইলহেম রনজেন ১৮৯৫ এ এক্সরে আবিস্কার করে (পদার্থবিদ্যা) পান ।
72) প্রথম বাইসাইকেল তৈরী হয় ১৮১৭ সালে ।
73) প্রথম লেখার ও আবিস্কার করে সুমেরীয়রা ।
74) প্রায় শত বছর আগে চিনারা রকেট তৈরি করে , যা দেখতে তীরের মতো ।
75) বই এর ইংরেজি শব্দ বুক এসেছে ল্যাটিন শব্দ লিবার থেকে ।
76) বরফ এলাকার ভালুকেরা এক বসায় প্রায় ৮৬ টির মতো পেঙ্গুইন খেয়ে ফেলতে পারে।
77) বাঁশের এমন কিছু প্রজাতি আছে যেগুলো দিনে প্রায় ৩ ফুট পর্যন্ত বাড়ে।
78) বাদুর প্রায় ৯০০ ধরনের হয়ে থাকে, তাদের মধ্যে রক্তচোষা বাদুরের দাত সবচেয়ে কম ।
79) বাদুররা আসতানা ছেড়ে সবসময় বাম দিকে উড়াল দেয় ।
80) বিশ্বে প্রায় ৯৫০০ প্রজাতির ঘাস আছে ।
81) বুধ গ্রহের (মার্কারী) তাপমাত্রা দিনে ৪০০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেডেরও বেশী হয়ে থাকে, কিন্তু রাত্রে – ২০০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেডের নীচে নেমে যায় ।
82) ব্যাঙের সবচেয়ে বড় জাতটির নাম গোলিয়া ।
83) মঙ্গলগ্রহ বা মারস এর নামকরন রোমান যুদ্ধদেবতার নামে করা হয়, মার্চ মাসের নামও তার নামানুসারে করা ।
84) মরুভূমি পৃথীবির প্রায় একসপ্তমাংশ জুড়ে আছে ।
85) মরুভূমির তাপমাত্রা প্রায় ৭৭ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে উঠতে পারে ।
86) মাছেরা কিন্তু কথা বলে । কিছু কিছু মাছ দাঁতে দাঁত ঘসে শব্দ সৃষ্টির মাধ্যমে যোগাযোগ করে ।
87) মাথা ছাড়াও তেলাপোকা ৯ দিন বেচে থাকতে পারে ।
88) মাধ্যাকর্ষন শক্তি থেকে বের হতে একটি রকেটকে সেকেন্ডে ৭ মাইল গতিতে চলতে হয় ।
89) মানব মস্তিস্ক শরীরের আয়তনের মাত্র ২% হলেও এর শক্তি চাহিদা অনেক । মোট শক্তির ২০% ।
90) মানব হৃৎপিন্ড দিনে প্রায় ১০০,০০০ বার স্পন্দিত হয় ।
91) মিশরের আসওয়ান সবচেয়ে শুস্ক এলাকা এবং সেখানে বছরে মাত্র .০২ ইঞ্চি বৃষ্টি হয় ।
92) যদি আলোর গতিতেও যাত্রা শুরু করা হয়, তাহলেও নিকটস্থ ছায়াপথ এন্ড্রোমিডাতে যেতে বিশ লক্ষ বছর লাগবে ।
93) যদিও রেইনফরেস্ট পৃথীবির ভূপৃষ্ঠের মাত্র ৭% জুড়ে আছে, কিন্তু পৃথীবির অন্তত ৪০% প্রানী ও গাছপালা এর উপর নির্ভরশীল থাকে ।
94) লাল ও সবুজ গ্যাসের ট্রাফিক সিগন্যাল বাতি প্রথম শুরু হয় লন্ডনে ১৮৬৮ সালে । কিন্তু দুঃখজনকভাবে সেগুলো বিস্ফোরিত হয় এবং একজন পুলিশ নিহত হয়, প্রথম সফল সিগন্যাল বাতি স্থাপন হয় ১৯১৪ সালে ক্লিভল্যান্ড, ওহিওতে ।
95) শিকারের কারনে বিলুপ্ত হবার প্রায় ১০০ বছর পর ১৫০৭ সালে ডোডো আবিস্কার হয় ।
96) শোয়ার ৫ মিনিটের মধ্যেই ঘুমানোর অর্থ হলো আপনার ঘুমের ঘাটতি আছে । ১০-১৫ মিনিট হলে অবশ্য তা ঠিক আছে ।
97) সংস্কৃত হলো ইউরোপীয় ভাষার জননী ।
98) সবচাইতে বড় ফুল হলো রাফ্লেশিয়া আর্নল্ড, যা ৩ ফুটের মতো ও ১৫ পাউন্ড ওজনের হয়। দুর্লভ প্রজাতির এই ফুল ইন্দোনেশিয়াতে পাওয়া যায়।
99) সারা শরীর ঘুরে আসতে একটি রক্ত কোষের মাত্র ৬০ সেকেন্ডের মতো সময় লাগে।
100) স্তন্যপায়ী প্রানীদের মধ্যে ব্যতিক্রম হলো পাটিপাস এবং একিডনা, যারা ডিম পাড়ে এবং স্তন্যপান করায় ।
101) হাঙরের চামড়াকে একসময় সিরিশ কাগজ হিসেবে ব্যবহার করা হতো ।
102) হীরাকে এ্যাসিড দিয়েও গলানো সম্ভভব নয়, কেবল মাত্র তীব্র তাপের মাধ্যমেই একে গলানো সম্ভভব ।