বুধবার, ২৭ এপ্রিল, ২০১৬

স্মার্টফোনে ভাইরাস হুমকি!!!

মোবাইল বা স্মার্টফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় নিত্যপ্রয়োজনীয় অনুসঙ্গে পরিণত হওয়া ডিভাইসটিতে নিরাপত্তা হুমকি বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছে অ্যান্টিভাইরাস নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ম্যাকাফি। ম্যাকাফি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০০৯ সালের তুলনায় ২০১০ সালে নতুন ধরনের মোবাইল ম্যালওয়্যারের পরিমাণ বেড়েছে ৪৬ শতাংশ। বর্তমানে অন্যতম জনপ্রিয় মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম ‘অ্যানড্রয়েড’ও পরিণত হয়েছে ক্ষতিকর ট্রোজন ভাইরাসের অন্যতম লক্ষ্য।সেইসঙ্গে নকিয়া’র সিমবিয়ান এবং ব্ল্যাকবেরি অপারেটিং সিস্টেম চালিত মোবাইল ফোনও রয়েছে হ্যাকারদের নজরে। বিভিন্ন গেম, লিংক, বিজ্ঞাপনের ছদ্মবেশে মোবাইলে প্রবেশ করে এসব ভাইরাস। এরপর ব্যবহারকারীর অজান্তেই আক্রান্ত মোবাইল থেকে তথ্য চলে যায় অপরাধীর কাছে। তবে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মোবাইল ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া না হওয়া পুরোটাই নির্ভর করে ব্যবহারকারীর সতর্কতার ওপর।
২০০৭ সালে বাংলাদেশে মোবাইল ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া নিয়ে গুজব ছড়িয়েছিলো। কিন্তু তখন স্মার্টফোন বা বর্তমানে অ্যান্ড্রয়েড এর মতো জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম আসেনি। কিন্তু সম্প্রতি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন অপারেটিং সিস্টেমনির্ভর স্মার্টফোন এবং স্মার্টফোনে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট ব্যবহার, মোবাইল ব্যাংকিং, মোবাইলে নিত্যনতুন কাজের সঙ্গে বেড়ে গেছে নিরাপত্তা ঝুঁকিও।
সমসাময়িক স্মার্টফোন নির্মাতারা সাধারণত দাবি করেন, তাদের তৈরি মোবাইল ফোনে এমন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে যা ভাইরাস প্রতিরোধী। কিন্তু ম্যাকাফি, সিমানটেক বা ক্যাসপারস্কি ল্যাবের বিশেষজ্ঞরা পাল্টা যুক্তি দিয়ে বলছেন, ‘হ্যাকার বা সাইবার অপরাধীরা তো বসে নেই।’ তাই এখন স্মার্টফোন ভাইরাস নিয়ে ভাবার সময় হয়েছে।
ইন্টারনেট এবং কম্পিউটার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ম্যাকাফি-এর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কম্পিউটারের পাশাপাশি এখন স্মার্টফোনেও সাইবার আক্রমণের আশংকা বেড়ে গেছে, এর কারণ স্মার্টফোনের উন্নত সংস্করণ এখন অর্থ লেনদেনসহ ব্যবহৃত হচ্ছে বিভিন্ন ধরণের ডেটা সংরক্ষণের মাধ্যম হিসেবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘আপনার স্মার্টফোন যদি ভাইরাস আক্রমণের বাইরে মনে করেন, তারপরও দ্বিতীয়বার ভাবুন। আপনার স্মার্টফোনটি আপনি যে সব কাজে ব্যবহার করছেন বা তাতে যে ধরনের ডেটা রাখছেন তা আপনার অজান্তেই চুরি হয়ে যেতে পারে।’ যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি ইনফরমেশন সিকিউরিটি সেন্টার (জিটিআইএসসি)-এর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যতো বেশি সংখ্যক ব্যবহারকারী স্মার্টফোন ব্যবহার করবেন, ততো বেশি ধরনের অ্যাপ্লিকেশন আর্থিক লেনদেন ও অন্যান্য কাজে ব্যবহৃত হতে থাকবে, আর এর ফলে, সাইবার অপরাধীরা অপরাধ ঘটানোর ফাঁক-ফোকর পাবে আরো বেশি।

Android সমাচার (A to Z)

প্রতিনিয়ত অ্যান্ড্রয়েড ফোনের চাহিদা দিন দিন বেরেই চলছে। আমরা অ্যান্ড্রয়েড তো ব্যবহার করি ঠিকই, কিন্তু এখনো অনেকই অ্যান্ড্রয়েড সম্পর্কিত বহুল ব্যবহৃত বিভিন্ন শব্দাবলী জানেন না। বিশেষ করে নতুন অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা, যারা অ্যান্ড্রয়েড সম্পর্কে ততটা জানেন তাদের জন্য এই মেগা পোষ্ট। আসুন এবার শুরু করা যাক।

 

 

Android কি ?

অ্যান্ড্রয়েড হচ্ছে গুগলের একটি অপারেটিং সিস্টেম। আমরা কম্পিউটারে যেমন উইন্ডোজ, উবুন্টু, লিনাক্স ম্যাক ইত্যাদি অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করি, তেমনি স্মার্টফোন ও ট্যাবলেট ডিভাইসের জন্য তৈরি করা হয়েছে এই অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম। উইন্ডোজের যেমন এক্সপি, ভিসতা, ৭ ও ৮ ইত্যাদি সংস্করণ রয়েছে, ঠিক তেমনি অ্যান্ড্রয়েডেরও বিভিন্ন সংস্করণ রয়েছে। জনপ্রিয়তা পাওয়া সর্বশেষ কয়েকটি সংস্করণের নাম অ্যান্ড্রয়েড জিঞ্জারব্রেড (২.৩-২.৪), অ্যান্ড্রয়েড আইসক্রিম স্যান্ডউইচ (৪.০) এবং অ্যান্ড্রয়েড জেলি বিন (৪.১, ৪.২, ৪.৩), কিটক্যাট (৪.৪-৪.৪.৬)
A দিয়ে শুরুঃ-
AGPS: এ-জিপিএস মূলত অ্যাসিসটেড জিপিএস এর সংক্ষিপ্ত রুপ। এই প্রযুক্তি যেসব ডিভাইসে রয়েছে সেসব ডিভাইসের জিপিএস দ্রুত অবস্থান নির্ণয় করতে পারে। এ কাজের জন্য প্রযুক্তিটি মোবাইল নেটওয়ার্কের সাহায্য নেয়া। মোবাইল টাওয়ারের অবস্থান জেনে জিপিএস স্যাটেলাইটগুলো সহজেই ডিভাইসের সম্ভাব্য অবস্থান নির্ণয় করতে পারবে।
APK: অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের ইন্সটলযোগ্য ফাইল এক্সটেনশন। উইন্ডোজ ব্যবহারকারীরা যেমন .exe ফাইল ব্যবহার করে বিভিন্ন সফটওয়্যার ইন্সটল করে থাকেন, ঠিক তেমনি অ্যান্ড্রয়েডে .apk ফাইল ব্যবহার করে অ্যাপ্লিকেশান ইন্সটল করা হয়।
ADB: অ্যান্ড্রয়েড ডিবাগ সেতু. এটি বহুল ব্যবহৃত একটি টুল যা একটি ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ কম্পিউটার থেকে আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনকে সংযোগ করে ও কমান্ড পাঠায়।
Android Market: অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশনের জন্য Google-এর সংগ্রহস্থলের জন্য আসল নাম। মার্চ 2012 সালে এটি Google Play Store নামে পরিবর্তিত হয়।
AOKP: AOKP এর পূর্ণরুপ হচ্ছে Android Open Kang Project. অন্যতম কাস্টম রম ডেভেলপার গ্রুপ। যে গ্রুপটি অ্যান্ড্রয়েডের ওপেন সোর্স ডেভেলপ ও কাস্টোমাইজ করে বিভিন্ন সেটের উপযোগী কাস্টম রম রিলিজ করে।
Apps: Apps হচ্ছে অ্যাপ্লিকেশান এর সংক্ষিপ্ত রূপ। যা আপনি ডাউনলোড করে আপনার স্মার্টফোনে চালান। এটা ফ্রী বা কিনতে পাওয়া যায়।
B দিয়ে শুরুঃ-
Bootloader: বুটলোডার হচ্ছে ফোনের ইন্টারনাল মেমোরির একটি অংশ যা ফোনের অপারেটিং সিস্টেমকে চালু করে। অ্যান্ড্রয়েডের ক্ষেত্রে, ডিভাইসের (হার্ডওয়্যার) অপারেটিং সিস্টেম (অ্যান্ড্রয়েড) চালু করায় যা তাই বুটলোডার। অপারেটিং সিস্টেম চালু হওয়ার আগেই ছোটখাট পরিবর্তন আনার জন্য ডিভাইস রুট করা হয়ে থাকে। এছাড়াও কাস্টম রম ব্যবহারের জন্য বুটলোডার আনলক করার দরকার হয়। সাধারণত এই কাজে ডিভাইসের ওয়ারেন্টি বাতিল হয়। তবে অনেক ডিভাইসই আবার বুটলোডার লক করে আনরুট করে ওয়ারেন্টি ফিরিয়ে আনা যায়।
Brick: Brick এর অর্থ হচ্ছে ইট। আর ফোন বা ডিভাইস ব্রিক করা মানে একে অনেকটা ইটে রূপান্তরিত করা। মূলত রুট বা এ জাতীয় অ্যাডভান্সড কাজ করার সময় অসাবধানবশত ফোন ব্রিক হয়ে যেতে পারে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্রিক হওয়া ফোন ঠিক করা যায়। তবে হার্ড ব্রিক হলে সে ফোন ঠিক হওয়ার সুযোগ কমই থাকে। সাধারণত হার্ডওয়্যারে সমস্যা হলে, যেমন মাত্রাতিরিক্ত ওভারক্লকিং-এর ফলে সিপিইউ অনেক গরম হয়ে বন্ধ হয়ে গেলে ফোন হার্ড ব্রিক হয়ে থাকে।
Bug: Bug শব্দের আভিধানিক অর্থ হচ্ছে পোকা। আর স্মার্টফোনে Bug এর মানে হচ্ছে কোন ভুল বা ত্রুটি। সহজ ভাষায় কোন Apps ঠিকমতো কাজ না করাকে স্মার্টফোনে Bug বলা হয়ে থাকে।
C দিয়ে শুরুঃ-
Custom: সাধারণত ডিভাইসের সঙ্গে আসেনি এমন জিনিসগুলোকেই কাস্টম বলা হয়। যেমনঃ- যে রম ডিভাইসে দেয়া থাকে না তাকে কাস্টম রম বলে। রম সম্পর্কে জানতে ডকে দেখুন।
Custom Rom: গুগল তথা অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান কতৃক ব্যতীত অন্য যেসব রম ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করে ব্যবহারকারীরা ব্যবহারের সুবিদা পেয়ে থাকেন, সেগুলোকে কাস্টম রম বলে। উল্লেখ্য যে, সাধারণত কোম্পানি কতৃক দেয়া রম থেকে কাস্টম রমে অনেক সুযোগ সুবিদা থাকে।
Customize: নিজের মতো করে আলাদাভাবে বিভিন্ন সেটিংস ঠিকঠাক করা ও সাজানো। আপনার ডিভাইসের সিপিইউ কত দ্রুত বলে হিসেব করা হয়। ডিভাইস রুট করার মাধ্যমে সিপিইউ’র এই ক্লক স্পিড নিজের ইচ্ছেমতো বাড়ানো-কমানো যায়। এ নিয়ে নিচে ওভারক্লক ও আন্ডারক্লক বিষয়ে দেখুন।
CPU: সিপিইউ আপনার ডিভাইস পরিচালনার মূল কাজটি করে থাকে। এটিই নিয়ন্ত্রণ করে আপনার ডিভাইস কতটা দ্রুত কাজ করতে পারবে, কতটুকু কাজের ভার একসঙ্গে নিতে পারবে ইত্যাদি।
CaynozenMod/CM: সায়ানোজেন মূলত একজন রম ডেভেলপারের নাম যিনি অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের মাঝে সর্বাধিক জনপ্রিয়। বর্তমানে তিনি তার কিছু নিবেদিত ডেভেলপারদের সঙ্গে এক হয়ে সায়ানোজেনমড নামের এই কাস্টম রম তৈরি করে থাকেন। সংক্ষেপে একে সিএম বলেও ডাকা হয়। এর বিভিন্ন সংস্করণ একটি সংখ্যা দিয়ে বোঝানো হয় সেটি অ্যান্ড্রয়েডের কোন সংস্করণের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। যেমনঃ আইসক্রিম স্যান্ডউইচের জন্য CM9, জেলি বিনের জন্য CM10, কিটক্যাটের জন্য CM11 ইত্যাদি।
D দিয়ে শুরুঃ-
Device: যে কোন গ্যাজেট বা প্রযুক্তি পণ্যকেই ডিভাইস বলা যেতে পারে। একটি ঘড়ি যদি অ্যান্ড্রয়েডে চালিত হয় তাহলে আমরা ঘড়িটিকে ডিভাইস বলতে পারি। তবে স্বাভাবিক অর্থে ডিভাইস বলতে স্মার্টফোন বা ট্যাবলেট পিসিকে বোঝানো হয়ে থাকে। এটি নির্ভর করে কি ধরনের ডিভাইসের কথা বলা হচ্ছে এর উপর।
Dalvik Cache: রাইটেবল ক্যাশ যাতে আপনার অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের সকল এপিকে ফাইলের বাইটকোড অপটিমাইজ করা থাকে। আপনার সকল অ্যাপ্লিকেশান দ্রুত লোড নিতে ও ভাল পারফর্ম করতে এই ক্যাশে সকল ইনফর্মেশন দেয়া থাকে।
E দিয়ে শুরুঃ-
External: এর অর্থ আলাদা। যেমন এক্সটারনাল মেমোরি স্লট বলতে বোঝায় আলাদা মেমোরি কার্ড লাগানোর জায়গা।
F দিয়ে শুরুঃ-
Flash: ফ্ল্যাশ করা বলতে কাস্টম রম, রিকোভারি ইমেজ ইত্যাদি ফোনের ইন্টারনাল মেমোরিতে থাকা রম বা কোন সফটওয়্যারের অংশকে বদলে ইন্সটল করার পদ্ধতিকে বঝানো হয়।
Factory Reset: ফ্যাক্টরি রিসেট করলে এটি আপনার সকল যাবতীয় ইনফরমেশন ওয়াইপ বা মুছে ফেলবে। সাধারণত ফ্যাক্টরি রিসেট করতে হয় যখন ফোন অনেক স্লো, কোন কিছু ক্র্যাশ এবং প্যাটার্ন লক না খোলা গেলে। ফ্যাক্টরি রিসেট সেটিং বা রিকভারি মড থেকে করা যায়।
Fastboot: বুটলোডারের আরেকটি মোড, যা কিনা আপনি নিজেই ম্যানুয়ালি এর বিভিন্ন কাস্টমাইজ করে ফ্ল্যাশ দিতে পারবেন।
FC: FC এর পূর্নরুপ হচ্ছে force close. যখন কোন অ্যাপ ক্র্যাশ করে অটোমেটিক বন্ধ হয়ে যায় তখন এই লেখাটা আসে।
Firmware: ফার্মওয়্যার হল কোন একটি অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের সকল গুরুত্বপূর্ণ ফাইলের সমষ্ঠি। ফোনের সকল System Ui, System Apps, Settings সবকিছুই এই ফার্মওয়্যারের অংশ। এককথায় ফার্মওয়্যার অ্যান্ড্রয়েডের প্রাণ। এই ফার্মওয়্যার এর কোন ফাইলে সমস্যা হলে ফোন স্লো হয়ে যায় বা ল্যাগ করে। তখন ডিভাইসের যেকোন কাজ করতে অসুবিধা হয়। যখন এই সমস্যাটা হয় তখন উচিত ফোন রিস্টোর দেয়া অথবা ফার্মওয়্যার আপডেট দেয়া।
Froyo: অ্যান্ড্রয়েড ফ্রোয় (২.২). এটা গুগল ১০মে ২০১০ সালে তাদের নেক্সাস ওয়ান ডিভাইসে রিলিজ করার মাধ্যমে ঘোষণা করে।
G দিয়ে শুরুঃ-
Google: আমাদের আধুনিক প্রযুক্তির বস এবং অ্যান্ড্রয়েড মালিক।
GPU: জিপিইউ হচ্ছে “গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট”- এর সংক্ষিপ্ত রূপ। এর কাজ হল আপনার ডিসপ্লেতে যেসব জিনিস আসবে তা প্রসেস করা, কিছুটা বলতে পারেন আরেকটি প্রসেসর যার কাজ শুধু গ্রাফিক্স যেমন মুভি, গেম গ্রাফিক্স এসব প্রসেস করা। জিপিইউ শক্তিশালী হলে উন্নতমানের গেমস এবং এইচডি মুভি চালাতে কোন সমস্যা হবে না।
Gingerbread: অ্যান্ড্রয়েড জিঞ্জারব্রেড (২.৩-২.৪), অ্যান্ড্রয়েডের বহুল আলোচিত ও ব্যবহৃত অ্যান্ড্রয়েড ভার্শন। যেটা প্রথম নেক্সাস এস এ রিলিজ দেয়া হয়েছিল।
G1: এটি অ্যান্ড্রয়েডের প্রথম স্মার্টফোন, যা HTC T-mobile এর জন্য ২০০৮ সালে বাজারে রিলিজ করে। এটি HTC Dream নামেও পরিচিত।
Galaxy: স্যামসাং এর অ্যান্ড্রয়েড বেসড স্মার্টফোন সিরিজ।
Gmail: গুগল ওয়েব বেসড ইমেইল সেবা।
Google Play: মুভি, অ্যাপস, গেমস এবং বই বিক্রির গুগলের অনলাইন শপ। এটি ২০১২ সালের মার্চ এর ৬ তারিখ যাত্রা শুরু করে। এটি মূলত অ্যান্ড্রয়েড মার্কেটের পরিবর্তিত রূপ যা প্লেষ্টোর নামে বহুল পরিচিত।
Google Now: আপনার বা আপনার কাঙ্খিত যেকোন অবস্থান নির্ভুলভাবে নির্ণয় করতেঅ্যান্ড্রয়েড জেলি বিন এর গুগল সার্চ অ্যাপ এটি।
Google Wallet: প্লেষ্টোর সহ গুগলের বিভিন্ন সেবা কেনাকাটা করতে আপনার ভার্চুয়াল মানিব্যাগ এটি।
Gorilla Glass: CORNING থেকে তৈরি একটি স্ক্র্যাচ প্রতিরোধী কাচ যা এখন বেশিরভাগ স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেট এ ব্যবহৃত হচ্ছে।
GPS: জিপিএস হচ্ছে গ্লোবাল পজিশানিং সিস্টেম। আপনার ফোনে থাকা জিপিএস স্যাটেলাইটের মাধ্যমে আপনি পৃথিবীর যেই প্রান্তে থাকুন না কেন সে আপনার অবস্থান খুজে বের করবে।
Gyros/Gyroscope: জায়রোস্কোপ হলো কৌণিক অক্ষে নড়াচড়া বুঝতে পারে এমন একটি সেন্সর। এটি কৌণিক ত্বরণের উপর ভিত্তি করে কোন কিছুর অবস্থান নির্ণয় বা পরিমাপ করতে পারে। এক্সেলেরমিটারের কিছু সীমাবদ্ধতা দূর করার জন্য ব্যবহৃত হয়। অ্যাক্সেলেরোমিটার ছয়টি অক্ষে অর্থাৎ ডানে বামে সামনে পিছনে উপরে নিচে পজিশন নির্ণয় করতে পারলেও কৌণিক অক্ষ নিরূপণ করতে ব্যর্থ। অন্যদিকে অ্যাক্সেলেরোমিটার এবং জায়রোস্কোপ একত্রে ব্যবহারের ফলে একটি স্মার্টফোনে মোট ৬ টি অক্ষে মোশন সেন্স করতে পারে যা শুধুমাত্র অ্যাক্সেলেরোমিটারের তুলনায় কিছুটা বেশি সূক্ষ্ম ফলাফল দিতে সক্ষম।
H দিয়ে শুরুঃ-
Hack/Hacking: অ্যান্ড্রয়েডে হ্যাকিং বলতে অ্যান্ড্রয়েড সিস্টেমে নতুন কাস্টমাইজেশান যুক্ত করকে বুঝায়।
Hard Reset: এটি একটি প্রক্রিয়া যার।মাধম্যে আপনার ফোনের অপারেটিং সিস্টেম ফ্যাক্টরিতে বানানোর পর যেমন ছিল সে অবস্থায় নিয়ে যাওয়া। এটি করলে আপনার ফোনের সকল ড্যাটা ,লগিনইনস এবং পাসওয়ার্ড মুছে যাবে।
Honeycomb: অ্যান্ড্রয়েড হানিকম্ব (৩.২), শুধুমাত্র ট্যাবলেট পিসির জন্য বানানো রম বিশেষ। এটিই প্রথম ভার্শন যা ফুল ডুয়েল কোর প্রসেসর সাপোর্টেড। হানিকম্ব সংবলিত প্রথম ট্যাব হল Motorola Xoom.
I দিয়ে শুরুঃ-
iOS: অ্যাপলের আইফোন, আইপড টাচ ও আইপ্যাডের বিভিন্ন সংস্করণে ব্যবহৃত অপারেটিং সিস্টেম। একে গুগলের অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ধরা হয়।
Internal: ফোনের সঙ্গে বিল্টইন থাকা মেমোরি যা থেকে ফোনকে আলাদা করা যায় না।
Ice Cream Sandwich: গুগল জিঞ্জারব্রেডের পর হানিকম্ব-এ ব্যাপক ফিচার যুক্ত করে কিন্তু হানিকম্ব বানানো হয়েছিল ট্যাবের জন্য। তাই স্মার্টফোন ব্যাবহারকারীদের সন্তুষ্ট করেতে গুগল প্রায় একই ফিচার সংবলিত অ্যান্ড্রয়েড আইসক্রিম স্যান্ডউইচ (৪.০) রিলিজ করে। আইসক্রিম স্যান্ডউইচ সংবলিত প্রথম স্মার্টফোন হল Samsung Galaxy Nexus.
IMEI: আইএমআইই হচ্ছে “ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকিউপমেন্ট আইডেন্টি”। মূলত প্রত্যেক ফোনে একটি করে ইউনিক আইডেন্টফিকেশান দেয়া থাকে ফোনটিকে শনাক্ত করতে।
IPS: আইপিএস হচ্ছে “ইন-প্লেন সুইচিং”, মুলত.এটি উন্নত প্রযুক্তির স্মার্টফোন ডিসপ্লে বিশেষ। এটি আপনাকে সবচেয়ে ভাল এঙ্গেল ভিউ ও কালার দিবে। এটি সর্বপ্রথম আইফোনে ব্যবহৃত হয়েছে, পরবর্তীতে এখন অ্যান্ড্রয়েড বেসড সকল হাই রেঞ্জের স্মার্টফোনে এটি ব্যবহৃত হচ্ছে।
J দিয়ে শুরুঃ-
Jelly Bean: অ্যান্ড্রয়েড জেলি বিন (৪.১, ৪.২, ৪.৩), অ্যান্ড্রয়েডের আরেকটি বহুল আলোচিত ও ব্যবহৃত অ্যান্ড্রয়েড ভার্শন। এতে অ্যান্ড্রয়েডের নতুন সেবা Google Now ও Project Butter সংযোজন করে বাজারে রিলিজ করা হয়।
দিয়ে শুরুঃ-
Kernel: কম্পিউটার ও বিভিন্ন ডিভাইসে কার্নেল হচ্ছে সে জিনিস যা অ্যাপ্লিকেশান বা অপারেটিং সিস্টেম এবং হার্ডওয়্যারের মধ্যে সমন্বয় সৃষ্টি করে। মোবাইলের ক্ষেত্রে, আপনি যখন কোনো অ্যাপ্লিকেশান টাচ করেন, তখন সেই টাচ কোথায় হয়েছে এবং তার কী কমান্ড রয়েছে সেই নির্দেশটি হার্ডওয়্যারে পৌছানোর কাজটিই এই কার্নেল করে থাকে। অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম চালিত ফোন ও ট্যাবলেট লিনাক্সের বিভিন্ন কার্নেলের উপর তৈরি করা হয়ে থাকে।
Kitkat: KitKat হচ্ছে Android Version-4.4.x, এর Released Date ৩১শে অক্টোবর,২০১৩।
L দিয়ে শুরুঃ-
Launcher: অ্যান্ড্রয়েডে Launcher হচ্ছে সেই জিনিস যা আপনার মোবাইলের “Main View’ প্রদর্শন করে। আপনার ফোনের বিভিন্ন Featuresকে মোবাইলের Home Screen ফুটিয়ে তুলতেই মূলত Launcher ব্যবহৃত হয়ে থাকে। যেমন- ADW Launcher, Launcher Pro, Go Launcher, SPB Shell 3D Regina 3D, Launcher 7 ও Next Launcher 3D।
Linux: কম্পিউটারের চারটি অপারেটিং সিস্টেমের মধ্যে লিনাক্স একটি। এই অপারেটিং সিস্টেমটি ওপেন সোর্স ভিত্তিক। বহুল আলোচিত মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েড এই লিনাক্স কমান্ড দিয়েই তৈরি। অ্যান্ড্রয়েড ওপেন সোর্স ভিত্তিক বলে আমরা এটির সোর্স কোড বের করে ইচ্ছে মত কাস্টমাইজ করতে পারি।
Live wallpapers: এনিমেটেড ওয়ালপেপার যা অ্যান্ড্রয়েডের অন্যতম ফিচার। এটি অ্যান্ড্রয়েড ২.২ থেকে ব্যবহার শুরু হয়েছে।
Lollipop: Android Version 5.0 কে বলা হয় Lollipop (ললিপপ)। Lollipop এর রিলিজের তারিখ- ১২ই নভেম্বর, ২০১৪।
দিয়ে শুরুঃ-
Malicious: ক্ষতিকারক প্রোগ্রাম যা ডিভাইসের তথ্য হ্যাকারদের কাছে পাচার করতে পারে অথবা ডিভাইসের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ হ্যাকারদের দখলে দিয়ে দিতে পারে।
MiUi: অ্যান্ড্রয়েডের জনপ্রিয় কাস্টম রম গুলোর মধ্যে MiUi নিঃসন্দেহে অন্যতম। MiUiএর পূর্ণনাম XiaoMI User Interface। এটির নির্মাতা হল চাইনিজ অ্যান্ড্রয়েড ডেভেলপার ও স্মার্টফোন.ম্যানুফ্যাকচারার কোম্পানি Xiaomi Tech। এটির এত জনপ্রিয়তার মূল কারণ হল Xiaomi অ্যান্ড্রয়েডের স্টক রমকে কাস্টমাইজ করে এতে অ্যাপেল এর ios ও স্যামসাং এর টাচওয়িয (TouchWiz) এর মিলিত UI সংযোজন করে চমক দেখিয়েছে। এই রমটি i-phone রম নামেও পরিচিত কারণ এটির ইউজার ইন্টারফেস i-phone রম বেসড।
N দিয়ে শুরুঃ-
NFC: নিয়ার ফিল্ড কমিউনিকেশনের সংক্ষিপ্ত রূপ। এই প্রযুক্তির ফলে কোন প্রকার ইন্টারনেট বা ব্লুটুথ সংযোগ ছাড়াই দু’টি এনএফসি-এনাবলড ডিভাইস পাশাপাশি রেখে রেডিও সিগন্যালের মাধম্যে ফাইল ট্রান্সফার করা যায়। স্যামসাং গ্যালাক্সি এস থ্রি’র বিজ্ঞাপনে অনেকে এই প্রযুক্তির ব্যবহার দেখে থাকবেন।
Nexus: নেক্সাস গুগলের নিজস্ব স্মার্টফোন। (যার ম্যানুফ্যাকচারার হল LG, তবে Samsung এবং HTCও ২/১টি সেট বের করেছে) এটি “Pure Google” ডিভাইস নামেও পরিচিত মানে নেক্সাস ইউজে আসল অ্যান্ড্রয়েডের অনুভুতি পাওয়া যায় এবং অ্যান্ড্রয়েডের যেকোন আপডেট বা আপগ্রেড প্রথম নেক্সাস ডিভাইসে পাওয়া যায়। নেক্সাসের সিরিজের ডিভাইসগুলো হল Nexus One, Nexus S, Nexus 4, Nexus 7, Nexus 10, Galaxy Nexus.
O দিয়ে শুরুঃ-
OS: ডিভাইসের মূল সিস্টেম সফটওয়্যার। অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের অপারেটিং সিস্টেমই হচ্ছে অ্যান্ড্রয়েড। অন্য কোথায়, অ্যান্ড্রয়েডই হচ্ছে অপারেটিং সিস্টেম। তবে এর বিভিন্ন সংস্কণের বিভিন্ন নাম রয়েছে। যেমনঃ জিঞ্জারব্রেড, আইসক্রিম স্যান্ডউইচ, জেলি বিন ইত্যাদি।
Overclock: প্রসেসরের গতিকে স্বাভাবিকের চেয়ে বাড়িয়ে তোলাকে ওভারক্লক বলা হয়। তবে একটি নির্দিষ্ট সীমার বেশি ওভারক্লক করলে ডিভাইস স্থায়ীভাবে নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
OTG: OTG এর পূর্নরুপ হচ্ছে On The Go। এক বিশেষায়িত কেবল, যার সাহায্যে ওটিজি সাপোর্টেড অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে কীবোর্ড, মাউস, পেনড্রাইভ ও গেমপ্যাড চালানো যায়।
দিয়ে শুরুঃ-
Processor: সিপিইউকেই প্রসেসর বলে ডাকা হয়ে থাকে। তবে আরও সঠিকভাবে বলতে গেলে, ডিভাইসের যাবতীয় কাজ যে হার্ডওয়্যার সম্পন্নকরে তাকেই প্রসেসর বলে।
PIN: PIN এর পূর্নরুপ হচ্ছে Personal Identification Number. যাতে চারটি ডিজিট থাকে।
Pixel: ডিসপ্লের প্রতিটি ফোটাকে (ডট) পিক্সাল বলে। এই পিক্সালের জন্যই আমরা ডিসপ্লেতে বিভিন্ন ইমেজ ও টেক্সট দেখতে পারি।
Q দিয়ে শুরুঃ-
QR Code: এটি ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট বারকোড যখন স্মার্টফোনের মাধ্যমে এটি দিয়ে স্ক্যান করবেন তখন এটি ওয়েব লিঙ্ক ওপেন করতে পারবে, অ্যাপ্লিকেশানটির ডাউনলোডেড মার্কেট ওপেন করতে পারবে, ইত্যাদি।
দিয়ে শুরুঃ-
Retina Display: রেটিনা ডিসপ্লে এমন ধরনের ডিসপ্লে যা মানুষের সাধারন চোখ দিয়ে পিক্সেলগুলোকে আলাদা করা বোঝা সম্ভব
নয়। এর ছবির কোয়ালিটি,শার্পনেস খুবই উন্নত মানের।
Root:
ডিভাইসের পূর্ণ কর্তৃত্ব হাতে নেয়ার প্রক্রিয়া।
Rom: রম হচ্ছে রিড অনলি মেমোরির সংক্ষিপ্ত রূপ। অ্যান্ড্রয়েড জগতে রম দুই ধরনের হয়ে থাকে। স্টক রম ও কাস্টম রম। এগুলো হচ্ছে ফোনের ইন্টারনাল মেমোরিতে থাকা কিছু ড্যাটা যা অপারেটিং সিস্টেমের সঙ্গে লোড হয়ে থাকে। মূলত এটিই পুরো ডিভাইসের ইন্টারফেসকে নিয়িন্ত্রন করে। স্টক রম হচ্ছে যেটি দিভাইসটির প্রস্তুতকারক কোম্পানি দিয়ে থাকে, আর কাস্টম রম হচ্ছে যেটি ব্যবহারকারীরা আলাদা ডাউনলোড করে ইন্সটল করতে পারেন।
Reset: এটি ফোনকে পুনরায় বুট করে। রিসেট দু ধরনের সফট ও হার্ড। সফট রিসেট হল শুধুমাত্র ফোনকে অন অ্যান্ড অফ করার মাধম্যে ব্যাটারি পুল করে। আর হার্ড রিসেট ফ্যাক্টরি রিসেট নামেও পরিচিত। ফ্যাক্টরি রিসেট করলে এটি আপনার সকল যাবতীয় ইনফরমেশন ওয়াইপ বা মুছে ফেলবে। সাধারণত ফ্যাক্টরি রিসেট করতে হয় যখন ফোন অনেক স্লো, কোন কিছু ক্র্যাশ এবং প্যাটার্ন লক না খোলা গেলে। ফ্যাক্টরি রিসেট সেটিং বা রিকভারি মড
থেকে করা যায়।
Resolution: রেজুলেশান বুঝাতে কত সংখ্যক নিজস্ব পিক্সাল ডিসপ্লেতে আছে। সবচেয়ে কমন ফোন রেজুলেশান হল ১২৮০ বা ৭২০ পিক্সাল। ৭২০পি হল সর্ট ডাইমেনশান আর ১২৮০পি হল লং। যদি আপনার ডিসপ্লেতে উজ্জ্বল ও ঝঁকঝকে ছবি পেতে পার ইঞ্চি পিক্সাল ডিসপ্লেতে প্রচুর পরিমানে থাকা বাঞ্ছনীয়।
Recovery Mode: এডমিনিস্ট্রেশান সংক্রান্ত ফোন বা ট্যাবের যেকোন কাজ সম্পান্দন করতে রিকভারি মড ব্যবহার করা হয়। ফোন বা ট্যাব চালুর শুরুতে রিকভারি মড বুট করতে হয়। সাধারণত আনলক বুটলোডারে একটি সিম্পল রিকভারি মড দেয়া থাকে। তবে বেশি কাজ সম্পান্দনে কাস্টম রিকভারি মডই ব্যবহৃত হয়। জনপ্রিয় দুটি রিকভারি মড হল TeamWin Recovery Project (TWRP) এবং Clockwork (CWM)।
S দিয়ে শুরুঃ-
Stock: ফোন বা ডিভাইসের সাথে ডিফল্ট যেসব থাকে সেগুলোকে স্টক বলে। যেমনঃ স্টক ব্রাউজার, স্টক রম ইত্যাদি।
SDK: SDK এর পূর্নরুপ হচ্ছে Software Development Kit. এটি একটি বিশেষায়িত টুল কিট যার মাধ্যমে অ্যান্ড্রয়েড প্লাটফর্মের জন্য বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশান ডেভেলপ করা যায়।
Super AMOLED: ডিসপ্লে জগতে এমোলেড অনন্য। আর সুপার এমোলেড তার পরবর্তী সংযোজন। এটি এমোলেড থেকে উজ্জ্বল, অধিক ব্যাটারি সাশ্রয়ী এবং কম আলো প্রতিফলিত করে। উল্লেখ্য স্যামসাংই প্রথম এমোলেড ডিসপ্লে ব্যবহার করে।
Super AMOLED Plus: পূর্ববর্তী এমোলেডের ব্যাপক উন্নয়ন ঘটিয়ে সুপার এমোলেড প্লাস এর আগমন, যাতে ৫০% এরও বেশি সাব পিক্সাল এবং আরজিবি মেট্রিক্স সংযোজন করা হয়েছে। ফলে এটি এখন পাতলা, উজ্জ্বল এবং আরো কার্যকরী. স্যামসাং গ্যালাক্সি এস ৪ এর অন্যতম আকর্ষণ হল এই সুপার এমোলেড প্লাস ডিসপ্লে।
T দিয়ে শুরুঃ-
Tweak: ডিভাইসের কোন।সেটিংসে ছোটখাটো পরিবর্তন আনা।
TouchWiz: স্যামসাং এর নিজস্ব লউনচার বা ইউজার ইন্টারফেস।
U দিয়ে শুরুঃ-
Underclock: প্রসেসরের কাজ করার ক্ষমতা কমিয়ে আনাকে আন্ডারক্লক বলে। ফোন যখন অলস পড়ে থাকে সেই সময়ে প্রসেসরের কাজ কমিয়ে এনে ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়ানোর প্রক্রিয়াকে আন্ডারক্লক বলা হয়।
Unroot: রুট করে সুপারইউজার পারমিশন পাওয়া যায়। এই পারমিশনকে বাতিল করে ডিভাইসকে আগের মতো লক করার পদ্ধতিকে বলে আনরুট।
Unlock Root: একটি পিসি অ্যাপ যার সাহায্যে অনেক অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস এক ক্লিকে রুট করা যায়।
USB: USB = Universal Serial Bus. যার মাধ্যমে ফোন বা ট্যাবকে পিসির সাথে সংযোগ করা যায়।
V দিয়ে শুরুঃ-
Vanilla: একটি টিম যা স্টক অ্যান্ড্রয়েডকে বর্ণনা করে।
Vroot: একটি পিসিঅ্যাপ্স যার সাহায্যে Android ডিভাইস Root করা যায়।
W দিয়ে শুরুঃ-
Widget: ওইগেট হল কোন অ্যাপের সর্টকার্ট আইকন যা হোমস্ক্রিন বা ফোন’স ডেক্সটপ সেট করে ঐ অ্যাপকে দ্রুত এক্সেস করা যায়।
Wipe: ডিভাইসের কোন ইনফো মুছে ফেলাই হল ওয়াইপ।
X দিয়ে শুরুঃ-
XDA: এক্সডিএ হলো অ্যান্ড্রয়েড-ভিত্তিক ডেভেলপারদের সবচেয়ে বড় ফোরাম। বেশিরভাগ কাস্টম রমসহ বিভিন্ন অ্যাডভান্সড বিষয়ে এখানেই আলোচনা করা হয়।
Xperia: সনি এর অ্যান্ড্রয়েড বেসড স্মার্টফোন সিরিজ।
দিয়ে শুরুঃ-
YouTube: গুগল ওয়েব বেসড ভিডিও স্ট্রিমিং সেবা। স্টক রমে ইউ টিউব অ্যাপটি দেয়াই থাকে, না থাকলে প্লেস্টোর থেকে ডাউনলোড করে নেয়া যায়, কিন্তু এটি দিয়ে কোন ভিডিও ডাউনলোড করা যায় না।
Z দিয়ে শুরুঃ-
z4root:
একটি পিসি অ্যাপ যার সাহায্যে অনেক অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস এক ক্লিকে রুট করা যায়

সোমবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৬

এই প্রচন্ড গরমে সুস্থ থাকার কিছু টিপস

গ্রীষ্মের শুরুতে তাপমাত্রার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আসহনীয় গরম কিন্তু এই গরমে বাড়িতে বসে থাকার তো কোনো উপায় নেই। যান্ত্রিক জীবনের সাথে তাল মিলিয়ে সবাইকে প্রতিনিয়তই বাইরে যেতে হচ্ছে। আর গরম বাড়ার সাথে সাথে মানুষের অসুস্থ হওয়ার প্রবণতাও বাড়ছে। কারন সবাইকে কোনো না কোন কাজে প্রতিদিনই বাইরে যেতে হয়। সেক্ষেত্রে নিয়মিত খাওয়াদাওয়ার অভাব, পানি কম খাওয়া, বাইরের ধূলা বালি, রোদ ইত্যাদির জন্য সবাই প্রতিনিয়ত অসুস্থ হয়ে পড়ছে। কিন্তু একটু সতর্ক হলেই আমরা এই গরমেও নিজেদের সতেজ রাখতে পারি। সেক্ষেত্রে আমাদের কিছু বিষয়ের দিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। তাই আজ আমরা এই গরমে সুস্থ থাকার কয়েকটি উপায় তুলে ধরব।


আপনার পরিধেয় পোশাক নির্বাচন

এই গরমে সুস্থ থাকার একটি প্রধান উপায় হচ্ছে সঠিক পোশাক নির্বাচন। আর এই সময় সবচেয়ে উপকারী পোষাক হচ্ছে সূতি কাপড়ের তৈরি পোশাক। কারন সারাদিন বাইরে থাকার ফলে শরীরে যে ঘাম হয় তা সূতি খাপড় খুব সহজেই শুষে নিতে পারে। এছাড়া সূতির পাশাপাশি ধূপিয়ান, লিলেন, টাইডাই ও কটনও নির্বাচন করতে পারে। কাতান, টিস্যু, জর্জেট এই ধরনের কাপড় যথা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। এছাড়া যারা বাইরে যাওয়ার সময় শাড়ি পরে থাকেন তারা সূতি, খাদি কাপড় নির্বাচন করতে পারেন। আজকাল সূতি কাপড়ের উপর অনেক ধরনের হালকা ডিজাইনের নকশা দেখা যায়। এসব পোশাকও সবার গায়ে খুব ভালো মানিয়ে যায়। এছাড়া রঙ নির্বাচনের খেত্রেও অনেক সতর্ক থাকা উচিত। এ সময় উজ্জ্বল রঙের পোষাক না পরাই ভালো। হালকা নীল, ধূসর, বালামী, হালকা গোলাপী, সাদা, মেজেন্টা এই ধরনের রঙ বেশী ভালো হয়। ছেলেদের ক্ষেত্রে টি শার্ট, থ্রী কোয়ার্টার প্যান্ট অথবা সূতির চেক শার্ট বেছে নিতে পারেন। এই ধরনের পোষাক সব যায়গায় ব্যাবহারের জন্য খুবই মানানসই হয়।

পর্যাপ্ত পরিমানে পানি ও ঠান্ডা  জাতীয় পানিয় পান করা‍

এই সময় শরীর থেকে ঘামের মাধ্যমে প্রচুর পরিমানে পানি শরীর থেকে বের হয়ে যায়। ফলে শরীরে পানিশূন্যতা ও বিভিন্ন ধরনের রোগ হয়ে থাকে। তাই এই সময় সুস্থ থাকতে চাইলে প্রচুর পরিমানে পানি পান করুন। প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ গ্লাস পানি পান করুন। এছাড়া পানির সাথে সাথে বিভিন্ন ফলের জুস যেমন আম, তরমুজ, আখের রস, ডাবের পানি পান করুন। এ সময় বাড়িতে স্যালাইন অথবা গ্লুকোজ রাখুন। কারণ এগুলো শরীরে পানিশূন্যতা কমিয়ে শরীরে লবনের পরিমান ঠিক রাখতে সাহায্য করে। তবে রাস্তার পাশে অস্বাস্থকর পানীয় থেকে সাবধান থাকুন। কারন এগুলো পানে শরীর সুস্থ থাকার পরিবর্তে অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।


খাবারের ক্ষেত্রে সতর্কতা

এই সময় সচরাচর ভারী খাবার নয়া খাওয়াই ভালো। এছাড়া অতিরিক্ত তেল যুক্ত খাবারও এই সময় এড়িয়ে চলা উচিত। কারন ভারী খাবার খেলে এই সময় অতিরিক্ত গরম লাগবে এবং শরীর খারাপ হওয়ারও সম্ভাবনা থাকে। বিশেষ করে বিকালের নাস্তায় হালকা ফলমূল ও ফলের রস খেতে পারেন। এতে শরীর সুস্থ থাকবে। তাছাড়া ভিটামিন সি আর্থৎ টক জাতীয় ফল খেতে পারেন।

সঠিক জুতা নির্বাচন

গরমের সময় সবসময় খোলামেলা জুতা পরা উচিত। এতে শরীর ঠান্ডা থাকে। এ সময় কখনো মোজা পরা উচিত নয়। এতে পায়ে বাতাস চলাচল করতে পারে নয়া এবং শরীর গরম থাকে। প্রতিদিন ব্যাবহারের জন্য খোলামেলা স্যান্ডের ব্যাবহার করতে পারেন।

অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনটি সুরক্ষিত রাখার দশ উপায়

ব্যবহারকারী চাইলেই সুরক্ষিত রাখতে পারবেন নিজের অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনটি। হাতের অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনটি সুরক্ষিত রাখার দশ উপায় নিয়ে আজকে টিউন করলাম এই পেজে।




অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার
আপনার অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনটি ক্ষমতা প্রায় একটি কম্পিউটারের সমান। কিন্তু এতেও রয়েছে বিভিন্ন দুর্বলতা। কম্পিউটারের মতো সহজেই স্মার্টফোনটি ভাইরাসের শিকার হতে পারে। এ জন্য অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনটিতে অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ইনস্টল করা প্রয়োজন। ফলে অধিকাংশ ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা পাবে স্মার্টফোনটি।
ডাউনলোড করুন নিরাপদ অ্যাপ্লিকেশন
অ্যান্ড্রয়েড ফোনের জন্য রয়েছে অসংখ্য সফটওয়্যার ও অ্যাপ্লিকেশন। ব্যবহারকারী নিজের অজান্তেই অনেক ক্ষেত্রে ক্ষতিকর অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করেন। এ কারণে বিভিন্ন স্মার্টফোন নিরাপত্তা সংস্থা কোনো অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করার আগে এর নির্মাতা ও প্রদানকারী সাইট সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের।
মুছে ফেলুন অপরিচিত এসএমএস
অনেক স্মার্টফোন টেক্সট মেসেজ বা এসএমএস-এর মাধ্যমে ভাইরাস আক্রান্ত হয়। এমনও হতে পারে, আপনার স্মার্টফোনটিতে অপরিচিত নাম্বার থেকে মেসেজ এসেছে যে, আপনার ফোনটি ভাইরাসে আক্রান্ত। এ রকম মেসেজ খুললেই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে আপনার স্মার্টফোনটি। তাই সচেতন স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর উচিত সন্দেহজনক টেক্সট মেসেজ এলেই তা মুছে ফেলা।
সাবধান থাকুন
অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করার সময় নিশ্চিত হয়ে নিন অ্যাপ্লিকেশনটির নির্মাতা সম্পর্কে। আপনার অ্যাপ্লিকেশনটি ‘পাইরেটেড’ কপি কি না তাও জেনে নিন। কারণ, এ রকম অ্যাপে থাকে স্মার্টফোনের জন্য ক্ষতিকর ম্যালওয়্যার। আর তাই সবসময় ব্যবহার করুন নিরাপদ অ্যাপ্লিকেশন।
আপডেটেড রাখুন ওএস
কিছুদিন পরপরই বের হচ্ছে আপডেটেড ওএস, যার মাধ্যমেও নিশ্চিত করতে পারেন আপনার স্মার্টফোনটির নিরাপত্তা। আপডেটেড ওএস সবসময় চেষ্টা করে স্মার্টফোনটিকে আরও সুরক্ষিত রাখার ও বিভিন্ন নতুন সেবার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার। সুতরাং ব্যবহারকারীদের উচিত অপারেটিং সিস্টেমের নতুন ভার্সন বের হলেই স্মার্টফোনের অপারেটিং সিস্টেম আপডেট করে নেওয়া।
সাবধানে ব্যবহার করুন ‘ক্লাউড স্টোরেজ’
অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের ক্লাউড স্টোরেজ সুবিধাটি ব্যবহার করে সহজেই সংরক্ষণ করা যায় প্রয়োজনীয় তথ্য। তবে সেবাটি আরও সতর্কভাবে ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। ক্লাউড স্টোরেজ সেবাটির সঙ্গে একাধিক ফিচার ব্যবহার না করে পর্যাপ্ত ফাইল শেয়ার করার পরামর্শ দেন তারা।
ডেটা ব্যাকআপ রাখুন
যে কোনো সময় নষ্ট, চুরি অথবা হারিয়ে যেতে পারে আপনার অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনটি। সে ক্ষেত্রে আশঙ্কা রয়েছে আপনার মূল্যবান ও ব্যক্তিগত তথ্য হারিয়ে যাবার এবং অন্য কারও হাতে চলে যাওয়ার। এ ঝামেলা থেকে বাঁচার জন্য ব্যবহার করুন ব্যাকআপ। ফলে ফিরে পাবেন আপনার দরকারি তথ্যগুলো। আর যদি আপনার ফোনটি হারিয়ে যায় অথবা চুরি হয়, তাহলে ‘রিমোট-ওয়াইপ ফিচার’ ব্যবহার করে মুছে ফেলা যাবে ব্যক্তিগত তথ্য। এতে ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করা যাবে। সুতরাং ব্যবহার করুন ফিচারটি এবং নিরাপদ রাখুন আপনার ফোন।
আর্থিক লেনদেনে সাবধান
স্মার্টফোন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের মাধ্যমে লেনদেন না করার পরামর্শই দিয়েছেন। এতে করে ক্রেডিট কার্ডভিত্তিক ডেটা বেহাত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তারা জানিয়েছেন, ফোনের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন সহজ হলেও বেশ ঝুঁকিপূর্ণ।
এনক্রিপ্ট করুন ডেটা
এনক্রিপশন বলতে বুঝায় ডেটাকে গোপন কোডে পরিণত করা। এনক্রিপশন ব্যবহার করে মেশিন চালানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এনক্রিপশন ব্যবহার করে ডেটার নিরাপত্তা বাড়ানো সম্ভব হয়। এনক্রিপটেড ডেটাতে প্রবেশ করতে পাসওয়ার্ডের প্রয়োজন পড়ে। অ্যান্ড্রয়েড ফোনে সুবিধাটির জন্য সেটিংস থেকে সিকিউরিটি অপশন সিলেক্ট করে এনক্রিপ্ট চালু করতে পারবেন ব্যবহারকারী।
চালু করুন পাসকোড
অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনকে সুরক্ষিত রাখতে ব্যবহার করুন পাসকোড অথবা প্যাটার্ন লক। আপনার পাসকোড যদি সংখ্যামূলক হয়, তবে কোডটিকে চার ডিজিটের বেশি রাখুন। আকারে বড় এবং জটিল পাসকোড ব্যবহার করা বেশি নিরাপদ। পাসকোড বা প্যাটার্ন লকের মাধ্যমে নিরাপদ রাখুন আপনার অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনটি।

শুক্রবার, ৮ এপ্রিল, ২০১৬

মনোঃসংযোগ ধরে রাখার ১৫ টি উপায়

আমরা প্রতিদিন বিক্ষিপ্তভাবে নানা কাজ করি। আর এ কাজগুলো অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নির্দিষ্ট পরিকল্পনা অনুযায়ী সুবিন্যস্তভাবে করা হয় না। এক্ষেত্রে সঠিকভাবে মনোঃসংযোগ করতে পারলে তা দিনের কার্যক্রম ঠিকভাবে করতে সহায়ক হবে। এ লেখায় দেওয়া হলো কোনো একটি নির্দিষ্ট কাজে মনোযোগী হওয়ার কিছু উপায়। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে বিজনেস ইনসাইডার।
১. নিয়মিত শারীরিক অনুশীলন
শারীরিক অনুশীলন শুধু শরীরই ভালো করে না এটি মনের স্বাস্থ্যও ঠিক করে। কোনো একটি বিষয়ে মনোযোগী হওয়ার ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য শারীরিক অনুশীলনের গুরুত্ব রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শারীরিক অনুশীলন মস্তিষ্কের উন্নতি করে এবং মনোযোগ ধরে রাখতে সহায়তা করে।




২. ধ্যান
মস্তিষ্কের কার্যক্রম বাড়ানোর জন্য ধ্যান হতে পারে একটি দারুণ উপায়। এজন্য আপনার একটি ভালো সময় বেছে নিতে হবে, যে সময়ে আপনি সচেতন ও জেগে থাকবেন। এরপর সোজা হয়ে বসে নিজের শ্বাস-প্রশ্বাসের দিকে লক্ষ্য রাখবেন এবং তা দেহে কীভাবে কাজ করছে তা অনুভব করবেন। যখনই আপনি বিক্ষিপ্ত হয়ে যাবেন তখনই এ কাজটি করবেন।
৩. একসঙ্গে একাধিক কাজ বাদ দিন
বিভিন্ন গবেষণাতে দেখা গেছে, একসঙ্গে একাধিক কাজ বা মাল্টিটাস্কিং আপনার উৎপাদনশীলতা কমিয়ে দেয়। এর মূল কারণ মস্তিষ্কের নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি যেখানে হয় সেখানেই একাধিক বিষয় একসঙ্গে চালানো যায় না। ডানা ফাউন্ডেশনের বই ‘ব্রেইন ফিটনেস’-এ বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে জানানো হয়েছে, মাল্টিটাস্কিং তথ্য-প্রক্রিয়াজাত করার ক্ষেত্রে ‘বটলনেক’ তৈরি করে। এতে বাস্তবে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে যায় এবং নতুন বিষয় শেখার ব্যবস্থায় বাধা দেয়। এ কারণে হাতের কাজটি শেষ করাতেই সবচেয়ে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেন বিশেষজ্ঞরা।
৪. কর্মতালিকা করুন
আপনার সারা দিনে কোন কোন কাজ করতে হবে তার একটি তালিকা করুন। সময় বাঁচাতে হলে কোন কোন খাতে সময় ব্যয় করছেন তার আসল হিসেবটি বের করুন। প্রতি ঘণ্টা কোথায় কী কী কাজে যাচ্ছে তার তালিকা করুন। সেখান থেকে কোন কাজগুলোতে অতিরিক্ত সময় দিচ্ছেন তা বোঝার চেষ্টা করুন।
৫. সামান্য ক্যাফেইন গ্রহণ করুন
চা কিংবা কফির মাধ্যমে দেহে ক্যাফেইন গ্রহণ করা যায়। আপনি যদি সামান্য ক্যাফেইন গ্রহণ করেন তাহলে তা মনোযোগ বাড়াতে সহায়তা করে। তাই সামান্য চা বা কফি পান করা যেতে পারে।
৬. বিরতি নিন
একটানা কাজ করতে থাকলে তা কোনো কাজই সফলভাবে শেষ করতে নিরুৎসাহিত করে। এ কারণে নির্দিষ্ট সময় অন্তর বিরতি নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
৭. কাজের সময় কাজ
কাজের সময় শুধুই কাজ করুন। ব্যক্তিগত সময়ে শুধুই ব্যক্তিগত কাজ করুন। উভয় বিষয়ের মিশ্রণ আপনার জন্য বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। কাজের সময় ব্যক্তিগত চিন্তাভাবনা বাদ দিন। কিছু সময় শুধুই কাজের জন্য বরাদ্দ রাখুন।
৮. মস্তিষ্কের অনুশীলন করুন
কোনো একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে মনোযোগ দেওয়ার জন্য মস্তিষ্ককে প্রশিক্ষণ দিন। এজন্য আপনার ঐকান্তিক ইচ্ছা ও প্রচেষ্টা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনি যদি কোনো একটি দিকে মনোযোগী না হয়ে হাজার বিষয়ে মনোযোগ দিতে চান তাহলে তা কোনো কাজে আসবে না।
৯. নিরব স্থান বাছুন
আশপাশের শব্দ আপনাকে যদি বিরক্ত করে তাহলে এমন একটি স্থান খুঁজে বের করুন যেখানে কোনো বিরক্তিকর শব্দ হয় না। এ স্থানে আপনি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করা শুরু করুন। এতে আপনার কাজের গতি বাড়বে।
১০. দূরের জিনিসে দৃষ্টি নিবদ্ধ করুন
আমরা অনেকেই দিনের অধিকাংশ সময় কম্পিউটার স্ক্রিন, মনিটর, স্মার্টফোন কিংবা ট্যাবের দিকে তাকিয়ে ব্যয় করি। এতে আমাদের মন আগের তুলনায় অনেক বিক্ষিপ্ত হয়ে যাচ্ছে। এ সমস্যা কাটাতে কিছুক্ষণের জন্য হলেও কিছুটা দূরের কোনো বস্তুর দিকে মনোযোগী হন।
১১. ভালোভাবে ঘুমান
রাতে যদি ভালোভাবে ঘুম না হয় তাহলে দিনের কাজে মনোযোগ দেওয়া সম্ভব নাও হতে পারে। তাই রাতে ভালোভাবে ঘুমানোর দিকে মনোযোগী হোন।
১২. অফলাইনে কাজ করুন
অনলাইনের কারণে আমাদের দৈনন্দিন কার্যক্রমে ক্রমাগত ব্যাঘাত ঘটে। আর এ ব্যাঘাত থেকে বাঁচতে অফলাইনে থেকে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করুন। এতে কাজের গতি ও মনোযোগ যেমন বাড়বে তেমন কাজের মানও বাড়বে।
১৩. আদর্শ পড়ার স্থান ঠিক করুন
মনোযোগের সঙ্গে পড়াশোনার জন্য প্রয়োজন আদর্শ স্থান। ঘন ঘন স্থান পরিবর্তন আপনার পড়ার মনোযোগ নষ্ট করতে পারে। আর তাই পড়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট স্থান ঠিক করুন। সে স্থানে বসে নিয়মিত মনোযোগের সঙ্গে পড়াশোনা করার চেষ্টা করুন।
১৪. একঘেয়েমিকে উপভোগ করুন
কাজ করতে গিয়ে যদি আপনি ক্লান্ত হয়ে যান তাহলে একঘেয়েমিতে আক্রান্ত হতে পারেন। আর এ একঘেয়েমিও মাঝে মাঝে আপনার কাজে লাগতে পারে। যেমন ক্লান্ত হওয়ার পর একঘেয়েমিতে আক্রান্ত হয়ে অন্য কোনো কাজ না করে তা কিছুক্ষণ উপভোগ করুন।
১৫. সময় ধরে কাজ করুন
প্রত্যেকটি কাজ সমাধান করতেই একটি নির্দিষ্ট সময় লাগবে। আর এ সময়টি যদি আপনি আগে থেকে ঠিক করে রাখেন তাহলে তা কাজটি মনোযোগ দিয়ে করতে সহায়তা করবে। এজন্য করতেই হবে এমন কাজগুলো পৃথকভাবে তালিকাবদ্ধ করুন। এবার এই কাজগুলো প্রতিদিন নিয়মমাফিক করে ফেলার পরিকল্পনা করে ফেলুন। চেষ্টা করবেন পুরো ঝরঝরে মন নিয়ে কাজগুলো করতে। এর পাশাপাশি তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয় এমন কাজের তালিকা করে সেগুলো করার সময় বেঁধে নিন।

পিসি থেকে ম্যালওয়্যার পরিষ্কার করার উপায়

আপনার পিসিটি কি আজকাল খুব ধীরে চলছে? কোন কিছু ওপেন করতে গেলে নানা রকম পপ-আপ চলে আসছে? কিম্বা ব্রাউজারটি অল্পতেই হ্যাং করছে? এ গুলো সবই ভাইরাস, স্পাইওয়্যার অথবা অন্যকোন অনিষ্টকারী সফটওয়্যার দ্বারা আপনার পিসিটি আক্রান্ত হবার লক্ষণ। অনেক সময় হার্ডওয়্যার জনিত কারণেও এই সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে; কিন্তু আপনার পিসিতে কোন অনিষ্টকারী সফটওয়্যার রয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখা বুদ্ধিমানের কাজ। এখানে দেয়া হল কিভাবে আপনি তা করবেন।


প্রথম ধাপ: সেফ মোডে প্রবেশ করুন

প্রথমে আপনার পিসিটির ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করুন। যতক্ষণ পর্যন্ত আপনার সিস্টেম পুরোপুরি ভাইরাসমুক্ত না হচ্ছে ততোক্ষণ পর্যন্ত সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখুন। এর ফলে অনিষ্টকারী সফটওয়্যারগুলো আর বিস্তার লাভ করতে পারবে না অথবা আপনার প্রয়োজনীয় ডাটা চুরিও করতে পারবে না।
আপনার কাছে যদি মনে হয় আপনার পিসিটি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে তাহলে উইন্ডোজ সেভ মোডে রিস্টার্ট করুন। যেহেতু এই মোডে জরুরী সার্ভিস সমূহ ছাড়া আর কিছুই চালু হয় না তাই কোন ভাইরাস যদি উইন্ডোজ লোড হবার সাথে সাথে চালু হত সেগুলো সেফমোডে থাকার কারণে আর লোড হতে পারবে না।
সেভ মোডে লোড হবার জন্য প্রথমে পিসি সাট-ডাউন করুন। এরপর পিসি স্টার্ট দিয়ে F8 কী-টিকে বার বার চাপ দিন। আপনার সামনে আসবে অ্যাডভান্সড বুট অপশন মেন্যু সেখান থেকে “সেফ মোডে উইথ নেটওয়ার্কিং” নির্বাচন করুন এবং এন্টার চাপ দিন।
এই সেফ মোডে আপনার পিসিটি যদি দ্রুত চলে তাহলে ধরে নিতে পারেন আপনার পিসিতে ভাইরাস রয়েছে। তবে এমনও হতে পারে আপনার পিসিতে অনেক বেশী প্রোগ্রাম রয়েছে যেগুলো উইন্ডোজের সাথে সাথে লোড হয়ে থাকে।

দ্বিতীয় ধাপ: টেম্পোরারি ফাইলগুলো ডিলিট করুন

ভাইরাস স্ক্যান করবার আগে আপনার টেম্পোরারি ফাইলগুলো মুছে ফেলুন। মুছে ফেলবার জন্য আপনার প্রয়োজন হবে ডিস্ক ক্লিনআপ টুলটি যা উইন্ডোজের সাথেই থাকে। একে পেতে পারেন তিন ভাবে-
  • ১. start->search [disk cleanup]->enter।
  • ২. start->All Programs->Accessories->System Tools->Disk Cleanup
  • অথবা
  • ৩. উইন্ডোজ এক্সপ্লোরার থেকে হার্ড-ড্রাইভের উপর রাইট ক্লিক করে প্রোপারটিজ নির্বাচন করে ডিস্ক ক্লিনআপের অপশন পেয়ে যাবেন।

তৃতীয় ধাপ: ম্যালওয়্যার স্ক্যানার ডাউনলোড করুন

আপনার মেশিনে যে অ্যান্টিভাইরাস রয়েছে সেই স্ক্যানার ব্যবহার করে স্ক্যান করলে কিন্তু আপনি ম্যালওয়্যারগুলোকে পাবেন না। কারণ সে এই ভাইরাসগুলো ধরতে পূর্বেই ব্যর্থ হয়েছে বলেই আজ আপনাকে বিশেষভাবে স্ক্যান করতে হচ্ছে, তাই না?
ডাউনলোড করুন BitDefender Free Edition, Kaspersky Virus Removal Tool, Malwarebytes, Norman Malware Cleaner, অথবা SuperAntiSpyware এগুলোকে বলে অনডিমান্ড স্ক্যানার। আর সাধারণভাবে আমরা যে সকল অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করে থাকি তাদেরকে বলে রিয়েল টাইম অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রাম। অনডিমান্ড স্ক্যানার আপনি একের অধিক ইনস্টল করতে পারেন কিন্তু একের অধিক রিয়েল টাইম অ্যান্টিভাইরাস ইনস্টল করলে কিন্তু কাজ করবে না।
মনে রাখবেন কোন অ্যান্টিভাইরাসের সাহায্যে আপনি ১০০% নিরাপত্তা পাবেন না, আর তাই দুই-তিনটি স্ক্যানার ব্যবহার করে চেক করুন, যেন আপনার মেশিন সম্পূর্ণরূপে অনিষ্টকারী সফটওয়্যার মুক্ত হয়।

চতুর্থ ধাপ: ওয়েব ব্রাউজারটিকে ঠিক করুন

অনিষ্টকারী সফটওয়্যারগুলো আপনার উইন্ডোজের সিস্টেম ফাইল এবং অন্যান্য সেটিংগুলোর ক্ষতি সাধন করে থাকতে পারে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশী যেটি ঘটে তা হচ্ছে ব্রাউজারের হোম পেজ পরিবর্তন অথবা ইন্টারনেটের সংযোগ সেটিং পরিবর্তন করে ফেলা যাতে ইন্টারনেট সংযোগের সাথে সাথে আবার আপনি এই ভাইরাস দ্বারা আবার আক্রান্ত হন।
আর তাই ব্রাউজার লঞ্চ করবার পূর্বে আপনার হোমপেজ এবং সংযোগ সেটিংগুলো পরীক্ষা করে দেখুন। ব্রাউজারে হোমপেজ পরীক্ষা করবেন এভাবে, start-> control panel-> internet options। যদি এখানে অপরিচিত কোন ওয়েবসাইটের নাম দেখেন যা আপনি এর আগে কখনো শোনেননি তাহলে use blank বাটনটিতে ক্লিক করুন।
এরপর, সিলেক্ট করুন Connections ট্যাবটি এবং ক্লিক করুন LAN settings বাটনে। আপনার আইএসপি যদি প্রক্সি ব্যবহার করতে না বলে আপনাকে তাহলে এখানে Automatically detect settings সিলেক্ট করা অবস্থায় থাকবে।

পঞ্চম ধাপ: উইন্ডোজ নষ্ট হলে আপনার ফাইল সমূহকে রিকভার করুন

কোন মতেই যদি অনিষ্টকারী সফটওয়্যারগুলোর হাত থেকে রক্ষা না পান অথবা উইন্ডোজ যদি ঠিক মত কাজ না করে তাহলে আপনার হাতে থাকছে শেষ অস্ত্র উইন্ডোজ রি-ইনস্টল করা। তবে তার আগে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো সংরক্ষণ করুন ইউএসবি বা এক্সটারনাল ড্রাইভে। আপনার ই-মেইল ক্লায়েন্টের (আউটলুক বা উইন্ডোজ মেইল) সেটিং এবং মেসেজগুলো সেভ করতে ভুলবেন না। আপনার মেশিনের প্রয়োজনীয় ড্রাইভার, বিশেষ করে নেটওয়ার্ক ড্রাইভারটিকে সেভ করবার জন্য ব্যবহার করুন ডাবল ড্রাইভারের মত সফটওয়্যার।
আপনি ব্যাকআপ প্রক্রিয়া শুরু করবার আগেই যদি উইন্ডোজ কাজ করা বন্ধ করে দেয় অথবা স্টার্ট না হয় তাহলে আপনার ফাইলগুলোতে প্রবেশ করবার জন্য ব্যাবহার করুন হিরেন্স বুটসিডির মত কোন লাইভ সিডি।
সবকিছু ঠিকঠাক মত ব্যাকআপ হবার পর আপনার পিসিটিতে আবার নতুন করে উইন্ডোজ ইনস্টল করুন। ভাইরাস আক্রান্ত মেশিনে উইন্ডোজ রিইনস্টলের সময় ফরম্যাট করাটা বুদ্ধিমানের কাজ।

পিসিকে কিভাবে ভাইরাস মুক্ত রাখবেন

সবসময় রিয়েল টাইম অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করবেন। বাংলাদেশে অনেকেই অত্যধিক দামের কারণে অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যারগুলো কিনতে চাননা। তাদের জন্য একটা টিপস, অ্যান্টিভাইরাস কোম্পানিগুলো তাদের ট্রায়াল সংস্করণগুলো একমাস থেকে তিনমাস পর্যন্ত ট্রায়াল হিসেবে ব্যবহার করতে দেয়। ডাউনলোড করুন ট্রায়াল সংস্করণ, ব্যবহার করুন একমাস, তারপর আরেকটি ডাউনলোড করুন, সেটা শেষ হয়ে গেলে আরেকটি, তারপর আরেকটি…! ভালো কিছু অ্যান্টিভাইরাসের মাঝে রয়েছে, নরটন, অ্যাভাস্ট, এভিজি, কমোডো আর আপনার পিসিতে যদি অরিজিনাল উইন্ডোজ থাকে তাহলে ব্যবহার করতে পারেন মাইক্রোসফটের Microsoft Security Essentials। এই অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যারটি সম্পূর্ণরূপে ফ্রি।
আপনার ব্যাকআপ করা ডাটাগুলো রিস্টোর করবার আগে ভাইরাস স্ক্যান করে নিতে ভুলবেন না। উইন্ডোজ এবং অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যারগুলো সবসময় আপটুডেট রাখাটাও ভাইরাসমুক্ত থাকবার মূল চাবিকাঠি হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।

Collected