বৃহস্পতিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

মোবাইল রেডিয়েশনের ক্ষতিকর দিক এবং সুস্থতার উপায় ।

প্রিয়জনের সাথে ভাব আদান-প্রদান থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীক যোগাযোগ রক্ষা সহজ করে দিয়েছে বিজ্ঞানের ক্ষুদ্র একটি আবিস্কার, মোবাইল ফোন । আধুনিক স্মার্ট ফোনের সাথে ইন্টারনেটের সংযোগ দিয়ে আমরা যুক্ত হতে পারছি বিশ্ব তথ্য ভান্ডারের সাথে, বিনা খরচে কথা বলার পাশাপাশি একজন অন্য জনকে দেখতে পাচ্ছি । আধুনিককালে কম্পিউটারের অনেক কাজও মোবাইল ফোনের দ্বারা সম্পাদন করা যাচ্ছে । সুবিধার যেন শেষ নেই । তবে সুবিধার হাত ধরেই আসে অসুবিধা । আজকাল বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন শারিরীক ও মানসিক রোগের সন্ধান পাচ্ছে যা এই সহজলভ্য যন্ত্রটির সাথে সম্পর্কযুক্ত । এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ
ক্যান্সারঃ মোবাইল ফোন থেকে নির্গত নন-আয়োনাইজিং রশ্নির প্রভাবে ব্রেন টিউমার হওয়ার সম্ভাবনা অনেকখানি বেড়ে যায় এবং কখনও কখনও একে ক্যন্সারের কারন হিসেবে ধরা হয়।
শ্রবণশক্তি হ্রাসঃ মোবাইল ফোনের আরেকটি ক্ষতিকর প্রভাব হলো-এটা শ্রবণশক্তি হ্রাস করে। কানের ভেতরের পর্দা খুবই সংবেদনশীল। কাজেই দীর্ঘ সময় ধরে ফোনে কথা বলার ফলে কর্ণকুহরে অবিরাম প্রভাব পড়ে। যা কিনা আংশিক বধিরতা এমনকি কোন কোন ক্ষেত্রে সম্পূর্ন বধিরতার কারণ হতে পারে।
শুক্রাণু হ্রাসঃ গবেষকেদের দাবি, মুঠোফোন থেকে নির্গত ক্ষতিকর তরঙ্গ শুক্রাণুর ওপর প্রভাব ফেলে এবং শুক্রাণুর ঘনত্ব কমিয়ে দিতে পারে। হার্টের সমস্যাঃ মোবাইল থেকে নিঃসৃত ক্ষতিকর রশ্মি অনেকসময় হার্টের সমস্যা তৈরি করে।একটু সজাগ এবং সচেতন হলেই আমরা এসব ক্ষতিকর প্রভাব থেকে আমাদের সুরক্ষিত রাখতে পারি । উল্লেখযোগ্য হচ্ছে,
নিয়ন্ত্রিত ব্যবহারঃ বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া মোবাইল ফোনের ব্যবহার না করা ।
বাম কান ব্যবহার করাঃ গবেষনার দেখা যায়, আমাদের মস্তিস্কের বাম অংশ শারিরীক কার্যকলাপে অপেক্ষাকৃত কম অংশগ্রহন করে । সুতরাং বাম দিকের কান দিয়ে কথা বলার মাধ্যমে মস্তিস্কের অধিক সক্রিয় ডান অংশকে রক্ষা করতে পারি ।টেলিফোনের ব্যবহারঃ বাসায় বা অফিসে থাকাকালীন সময়ে প্রয়োজনীয় দূর যোগাযোগের ক্ষেত্রে টেলিফোন ব্যবহার করা যেতে পারে । যদি ল্যান্ডলাইন সংযোগ না থাকে তাহলে বাজারে প্রচলিত বিভিন্ন ধরনের ওয়্যারলেস টেলিফোন পাওয়া যায় যেখানে গ্রামীন, টেলিটক সিম ব্যবহার করেও টেলিফোন দিয়ে কথা বলা যায় ।
পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহনঃ পুষ্টিকর এবং কাচা ফলমূল জাতীয় খাদ্যগ্রহনের মাধ্যমে আমরা দৈনন্দিন ক্ষতিকে পুষিয়ে নিতে পারি ।

১০টি এমন টিপস যা আপনার গুগল সার্চের অভিজ্ঞতা বদলে দিবে

কোন তথ্য খুঁজে পেতে আমরা সবাই গুগলের সাহায্য নিয়ে থাকি। তবে গুগলে কিছু বিশেষ কীওয়ার্ড রয়েছে যা আপনার গুগলে সার্চ দেওয়ার অভিজ্ঞতাই বদলে দেবে।
১. খুব সহজে টাইমার তৈরি করতে পারেন গুগলে।

২. কোন শিল্পীর কিংবা ব্যান্ডের গানের তালিকা সহজেই পেতে পারেন গুগলে।

৩. প্রিয় লেখকের বইয়ের তালিকা দরকার ? সাহায্য নিন গুগলের।

৪. ফ্লাইটের তথ্য দেখতে পারেন গুগলের মাধ্যমে।

৫. আগামীকাল সূর্যোদয় কখন ? গুগলকে জিজ্ঞাসা করে দেখুন।

৬. বিখ্যাত প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতার নাম জানতে চান ? গুগল করেই দেখুন।

৭. Recursion লিখে গুগলে সার্চ দিলে গুগলের মাথা খারাপ হয়ে যায় নাকি ?

৮. Festivus লিখে সার্চ দিন, বাম পাশে একটি অ্যালুমিনিয়াম বার দেখাবে।

৯. zerg rush লিখে সার্চ দিলে গেম শুরু হয়ে যাবে সার্চ রেজাল্ট পেজে।

১০. কোন শব্দের উৎপত্তি এবং বিস্তারিত পেতে চাইলে নিচের মত চেষ্টা করে দেখতে পারেন।

১১. দুটি খাবারের তুলনা করতে গুগল বেশ পারদর্শী।

পাসপোর্ট কেন করবেন? কিভাবে করবেন? কোথায় করবেন? হারিয়ে গেলে কি করবেন? পাসপোর্ট নিয়ে একটি মেগা টিউন

পাসপোর্ট বিদেশ যাওয়ার অপরিহার্য অনুষঙ্গ।বৈধভাবে পৃথিবীর যে কোন দেশে যেতে হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তির একটি পাসপোর্ট প্রয়োজন। এটি রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতিরও বড় দলিল।জাতীয় পরিচয়পত্র বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে অন্যতম জোরালো প্রমাণপত্র।কিন্তু দেশের গন্ডি পেরোলেই এ পরিচয়পত্র প্রায় অচল।সেখানে কেবল পাসপোর্টই ব্যাক্তির হয়ে স্বাক্ষ্য দিতে পারে।প্রমাণ করতে পারে তিনি বাংলাদেশের নাগরিক। তাই শুধু বিদেশ যাওয়া নয়, মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতির জন্যও প্রত্যেক নাগরিকেরই পাসপোর্ট থাকা উচিত।
তাছাড়া জীবনে অনেক প্রয়োজনের বিষয় হঠাৎ এসে হাজির হয়। একজন ছাত্র হয়তো আকষ্মিকভাবে বিদেশে একটি বৃত্তি পেয়ে যেতে পারেন, চাকরি জীবনে হঠাৎ আসতে বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আবার নিজে বা পরিবাবরের কোনো সদস্যের অসুস্থতায় চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়া লাগতে পারে। আগে থেকে পাসপোর্ট না থাকলে এমন জরুরী অবস্থায় দিশেহারা হয়ে যেতে হয়। কারণ এটি এমন জিনিস যা চাইলেই এক/দু’দিনে পাওয়া সম্ভব নয়। তাই নিজের পাসপোর্টটি করে রাখাই ভালো।


পাসপোর্টের ধরণ:
সাধারণভাবে পাসপোর্ট দুই ধরনের। হাতে লেখা পাসপোর্ট ও মেশিনে পাঠযোগ্য পাসপোর্ট। তবে বর্তমানে হাতে লেখা পাসপোর্ট ইস্যু করা হচ্ছে না। কেবল পুরনো পাসপোর্টের নবায়ন হচ্ছে। আগামি বছর পর্যন্ত এ ধরনের পাসপোর্ট ব্যবহার করা যাবে। তাছাড়া অনেক দেশের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ এখন হাতে লেখা পাসপোর্ট গ্রহণ করেন না। তাই মেশিনে পাঠযোগ্য পাসপোর্টই কার্যকর। আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার (আইসিএও) নীতিমালা অনুযায়ী ২০১২ সালের এপ্রিল মাস থেকে মেশিনে পাঠযোগ্য পাসপোর্ট (মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট-এমআরপি) চালু হয়েছে।
মেশিনে পাঠযোগ্য পাসপোর্ট
মেশিনে পাঠযোগ্য পাসপোর্ট (এমআরপি) দেখতে হাতে লেখা পাসপোর্টর মতোই। তবে কার্যকারিতার দিক থেকে বেশ পার্থক্য আছে। মেশিনে পাঠযোগ্য পাসপোর্টে ছোট্ট ইলেকট্রনিক চিপ থাকে। সে চিপে সংরক্ষণ করা হয় পাসপোর্টধারী ব্যাক্তির বিভিন্ন তথ্য। বিশেষ সফটওয়্যারসম্পন্ন কম্পিউটার এ পড়তে পারে। বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন বিভাগ যাত্রীদের তথ্য এ পাসপোর্ট থেকে তাদের তথ্য ভান্ডারে নিয়ে সংরক্ষণ করে। কোনো ব্যাক্তিকে সন্দেহভাজন মনে হলে তাদের কাছে থাকা তথ্যের সঙ্গে মিলিয়ে দেখে।
কিভাবে আবেদন করবেন
নির্ধারিত ফরম পূরণের মাধ্যমে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা যায়। কাগজের মুদ্রিত ফরম পূরণ করে আবেদন করতে হয়। অনলাইনেও আবেদন প্রক্রিয়ার একটি অংশ সম্পন্ন করা যায়। তবে সে ক্ষেত্রেও মুদ্রিত ফরম পূরণ করে জমা দিতে হবে।
পাসপোর্ট অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় ও আঞ্চলিক কার্যালয়ে এ ফরম পাওয়া যায়। এছাড়া পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট থেকেও এ ফরম ডাউনলোড করা সম্ভব। এখানে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে পারেন
অনলাইনে ফরম পূরণের জন্য প্রথমেই যান পাসপোর্ট অফিসের এই সাইটে – http://www.passport.gov.bd/ । নির্দেশনা ভালোভাবে দেখুন, সতর্কতার সাথে একাউন্ট খুলুন । আপনার নাম ও ব্যক্তিগত তথ্যাদি ( যেমন নামের বানান, প্যারেন্টস এর নাম )  যেন শিক্ষাগত সার্টিফিকেটের মতই হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন।
আবেদনপত্রে যা যা আছে:
চার পৃষ্ঠার এ আবেদনপত্রে আবেদনকারীকে নাম, বাবার নাম, মাতার নাম, তাদের পেশা, জাতীয়তা, জন্মস্থান, জন্ম তারিখ, জন্ম সনদপত্র নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা, যোগাযোগের তথ্য সরবরাহ করতে হবে। এসব তথ্য সঠিক এবং নির্ভূল ভাবে পূরণ করে আবেদনকারীকে নির্দিষ্ট জায়গায় স্বাক্ষর ও তারিখ লিখতে হবে। এ ছাড়া আবেদনকারীকে একটি ৫৫ × ৪৫ মিলিমিটার আকারের রঙিন ছবি (পাসপোর্ট সাইজ ছবি) ফরমে আঠা দিয়ে লাগানোর পর সত্যায়িত করতে হবে। ছবিটি এমনভাবে সত্যায়িত করতে হবে যেন সত্যায়নকারীর স্বাক্ষর এবং সীলমোহর এর অর্ধেক অংশ ছবির উপর আর বাকি অর্ধেক অংশ ফরমের কাগজে থাকে। এক্ষেত্রে, দুটি আবেদন ফরম পূরণ করে জমা দিতে হবে।
যারা সত্যায়িত করতে পারবেন:
আবেদন ফরমের সত্যায়ন করতে পারবেন- ১. সাংসদ ২. সিটি করপোরেশনের মেয়র, ডেপুটি মেয়র ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর ৩. গেজেটেড কর্মকর্তা ৪. বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ৫. উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ৬. পৌরসভার মেয়র ৭. বেসরকারি কলেজের শিক্ষক ৮. বেসরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ৯. দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক ১০. পৌর কাউন্সিলর ১১. রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা বা করপোরেশনের নতুন জাতীয় বেতন স্কেলের সপ্তম বা তদূর্ধ্ব গ্রেডের কর্মকর্তারা।
পাসপোর্টের ফি :
পাসপোর্টের জন্য দুই ধরনের ফি নির্ধারিত হয়েছে। সাধারণ পাসপোর্টের জন্য তিন হাজার টাকা এবং জরুরি পাসপোর্টের জন্য ছয় হাজার টাকা ব্যাংকে জমা দিতে হবে। টাকা জমা দিতে হবে আগের মতোই সোনালী ব্যাংকের নির্ধারিত শাখায়। (টাকা জমা দেওয়ার সময় আরো VAT হিসেবে আরও ১০ টাকা জমা দিতে হবে)। টাকা জমা দেয়ার পর আপনাকে দেয়া রশিদের অংশে একটি নম্বর লিখে দিবে। এই নম্বরটি আপনার পাসপোর্ট ফরমের ক্রমিক নং ২৫ এ নিদিষ্ট শূন্যস্থানে বসাতে হবে। এরপর রশিদটি আপনার পাসপোর্ট ফরমের ১ম পাতার উপরের অংশে ডানদিকে আঠা দিয়ে সংযুক্ত করতে হবে।

http://www.dip.gov.bd/?q=node/29

 
যে সকল কাগজপত্র লাগবে:
সঠিকভাবে পূরণ করা আবেদন ফরমের সঙ্গে প্রার্থীকে আবেদনকারীর একটি রঙিন ছবি আঠা দিয়ে নির্দিষ্ট স্থানে লাগিয়ে দিতে হবে, সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা জন্ম সনদপত্রের ফটোকপি। অপ্রাপ্তবয়স্ক (১৫ বছরের কম) আবেদনকারীর ক্ষেত্রে আবেদনকারীর বাবা ও মায়ের একটি করে রঙিন ছবিও লাগবে।
আবেদন পত্র জমা দেওয়ার আগে:
আবেদন পত্র জমা দেওয়ার আগেই তা নির্দিষ্ট আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা এটি ভেরিফিকেশন বা যাচাই করবেন। আবেদপত্রটি ভেরিফিকেশন করানোর আগে এর সঙ্গে ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার রশিদটি আঠা দিয়ে আবেদন পত্রের সঙ্গে যোগ করে দিতে হবে। এ ছাড়া আবেদনপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত ছবিটিও যথাযথ কর্মকর্তাকে দিয়ে সত্যায়িত করে নিতে হবে।ছবিটি এমনভাবে সত্যায়িত করতে হবে যেন সত্যায়নকারীর স্বাক্ষর এবং সীলমোহর এর অর্ধেক অংশ ছবির উপর আর বাকি অর্ধেক অংশ ফরমের কাগজে থাকে। পাশাপাশি জাতীয় পরিচয় পত্র বা জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপিটিও সত্যায়িত হতে হবে। যদি কারও জাতীয় পরিচয় পত্র না থাকে তাহলে পাসপোর্ট ফরমের তৃতীয় পৃষ্ঠায় নির্দিষ্ট স্থানে বসবাসরত এলাকার জনপ্রতিধি দ্বারা প্রত্যয়ন করিয়ে নিতে হবে। এমআরপির আবেদন ফরম সংগ্রহ ও জমা দেওয়া যাচ্ছে দেশের ১০টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে। প্রতিটি আঞ্চলিক অফিসের অধীনে রয়েছে কয়েকটি জেলা।
আঞ্চলিক অফিস-  ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, সিলেট, রাজশাহী, বরিশাল, রংপুর, যশোর ও গোপালগঞ্জ।
ঢাকা: ঢাকা, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ জেলা।
ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোণা ও কিশোরগঞ্জ জেলা।
চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলা।
কুমিল্লা: কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা।
সিলেট:  সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলা।
রাজশাহী: রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, জয়পুরহাট ও বগুড়া জেলা।
বরিশাল: বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলা, পিরোজপুর ও ঝালকাঠি জেলা।
রংপুর: রংপুর, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও গাইবান্ধা জেলা।
যশোর: যশোর, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা, নড়াইল, খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলা।

http://www.dip.gov.bd/?q=node/34
 
আবেদনপত্র জমা দেওয়ার নিয়ম:
আবেদন পত্রটির ভেরিফিকেশন করে দায়িত্বরত কর্মকর্তা আবেদনপত্র যাচাই করে সিলসহ স্বাক্ষর করবেন। এরপর আবেদনপত্রটি নির্দিষ্ট স্থানে জমা দিতে হবে। পাসপোর্ট অফিসেই খোলা আছে বেশ কয়েকটি বুথ। এসব বুথেই জমা দিতে হবে। আবেদনপত্রটি জমা দেবার সময় পাসপোর্ট অফিসের দায়িত্বরত ব্যাক্তি আপনার তথ্যগুলো কম্পিউটারে এন্ট্রি করে রাখবেন। এরপর তিনি আপনাকে একটি টোকেন দেবেন। এরপর সে টোকেনসহ আবেদনপত্রটি নিয়ে ছবি তোলার জন্য আরেকজন কর্মকর্তার কাছে যেতে হবে। জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য যেভাবে ছবি তোলা হয়েছিলো, এখানেও একইভাবে নির্দিষ্ট মাপের ছবি তোলা হবে। এছাড়াও দুই হাতের আঙ্গুলের ছাপও দিতে হবে ইলেকট্রনিক মেশিনে । এরপর নেয়া হবে ইলেকট্রনিক স্বাক্ষর। তবে, ইলেকট্রনিক স্বাক্ষর আবেদন পত্রের স্বাক্ষরের সঙ্গে যেনো মিল থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এই প্রক্রিয়া শেষে কর্তৃপক্ষ পাসপোর্ট সংগ্রহের জন্য একটি আলাদা ডকুমেন্ট দেবে এবং আবেদনপত্রটি রেখে দিয়ে আপনাকে পাসপোর্ট সংগ্রহ করার তারিখও জানিয়ে দেবেন।আবেদন ফরম জমা দেওয়ার সময় আবেদনকারীকে অবশ্যই নিজে উপস্থিত থাকতে হবে। ফরম জমা দেওয়ার সময় আবেদনকারীর আঙুলের ছাপ রাখা হবে এবং মুখের ছবি তোলা হবে।
পুলিশ প্রতিবেদন:
কয়েকটি ব্যাতিক্রম ছাড়া বাকী সব ক্ষেত্রে পাসপোর্টের জন্য পুলিশ প্রতিবেদন লাগে। আবেদনপত্র জমা হওয়ার পর পাসপোর্ট অধিদপ্তর আবেদন বা ফরমের একটি কপি পুলিশ বিভাগের কাছে পাঠিয়ে দেয়। সেখান থেকে এটি সংশ্লিষ্ট থানায় যায়। সেখান থেকে একজন কর্মকর্তা আবেদনকারীর ঠিকানায় সশরীরে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেন। সাধারণভাবে কয়েকটি জিনিস দেখা হয়। এর মধ্যে রয়েছে-আবেদনকারীর ঠিকানা সঠিক কি-না,  এটি তার বর্তমান ঠিকানা হলে তিনি সেখানে অবস্থান করেন কি-না, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অন্যান্য তথ্য সঠিক কি-না। এ ক্ষেত্রে পরিদর্শনে আসা পুলিশ কর্মকর্তা আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্ম সনদ, পৌরসভা/ইউনিয়ন পরিষদের সনদপত্র, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র এবং পাসপোর্ট সাইজের ছবি চাইতে পারে।এছাড়া থানায় রক্ষিত তথ্যভান্ডারের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হয় আবেদনকারী কোনো অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িত কি-না। তবে এসব কোনো বড় ইস্যু হয় না। পুলিশ কর্মকর্তা কনভিন্সড হলে প্রতিবেদন ইতিবাচক না হওয়ার কথা নয়। মনে রাখবেন, এ প্রতিবেদন যদি ইতিবাচক না হয় তাহলে পাসপোর্ট অধিদপ্তর আপনার পাসপোর্ট ইস্যু করবে না।
কিছু ক্ষেত্রে পুলিশ প্রতিবেদন প্রয়োজন নাই-
১.  জাতীয় সংসদের সদস্য,
২.  তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য,
৩.  সিটি কর্পোরেশন এবং পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলর,
৪.  উপজেল পরিষদ চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান,
৫.  ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান,
৬.  সকল পর্যয়ে সামরিক-বেসামরিক সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারী,
৭.  সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান/সংস্থার প্রত্যানয় সাপেক্ষে আধাসরকারী  ও রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থায় কর্মরত স্থায়ী কর্মকর্তা ও কর্মচারী,
৮.  অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং তাদের স্ত্রী
৯.  সরকারী কর্মকর্তা/কর্মচারী এবং তাদের  স্ত্রী  এবং ১৫ (পনের) বছরের কম বয়সের সন্তান।
১০. ৫ /১০ বৎসর অতিক্রান্ত কিন্তু ১২ বছরের অধিক নহে এমন বৈধ সমর্পনকৃত (সারন্ডারড) পাসর্পোটের ক্ষেত্রে পুলিশ প্রতিবেদনের প্রয়োজন নেই|
বি:দ্র: স্ত্রী / ১৫ বৎসরের নিচের বয়সের সন্তানদের ক্ষেত্রে- কর্মকর্তা/কর্মচারীরর সন্তান এবং তার উপর নির্ভরশীল মর্মে প্রত্যয়ন  দিতে হবে।
পাসপোর্ট সংগ্রহ:
কর্তৃপক্ষের দেওয়া তারিখে পাসপোর্ট সংগ্রহ করা যাবে। তবে, এই সময়ের মধ্যে অবশ্যই পুলিশ ভেরিফিকেশন শেষ হতে হবে। পাসপোর্ট দেবার আগে ডিবি পুলিশ বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানায় ভেরিফিকেশন করে। আর পুলিশের রিপোর্ট দেওয়ার পরই পাসপোর্ট পাওয়া যায়।
এমআরপি পাসপোর্টের বৈশিষ্ট্য:
মেশিনে পাঠযোগ্য পাসপোর্ট বিভিন্ন দেশের উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর পাসপোর্টের আদলে তৈরি। এ পাসপোর্টে উন্নত দেশগুলোর পাসপোর্টের মতোই বিশেষ কাপড়ের কভার ব্যবহার করা হয়েছে। হাতে লেখা পাসপোটের মতোই শুরু থেকে ৫ থেকে পঞ্চম পৃষ্ঠা পর্যন্ত ছবিসহ প্রয়োজনীয় এক পাতায় আছে। আছে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বরও। পুরোনো পাসপোর্টে বিভিন্ন দেশের ভিসা লাগানো থাকলে সেগুলো এই পাসপোর্টে থাকছে না। এ পাসপোর্টে এক পাতার এসব তথ্যের পাশাপাশি একপাশে আছে বিশেষ সাংকেতিক নম্বর, যাকে ‘যন্ত্রে পাঠযোগ্য এলাকা’ বলা হয়। এই নম্বরের মধ্যেই থাকছে পাসপোর্টধারীর সব তথ্য, যা কম্পিউটার পড়তে পারে। জানা গেছে, পুরো প্রক্রিয়াটিই চলছে আন্তর্জাতিক মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের অনুমোদন সংস্থা আইসিএভি-এর নির্দেশনা অনুসারে। এমআরপির তথ্যগুলো যখনই কম্পিউটার এই নম্বরের মধ্যে পড়ে, তখনই মনিটরে সেসব তথ্য দেখা যায়। এই পৃষ্ঠায় রয়েছে জাতীয় পশু বাঘ ও জাতীয় ফুল শাপলার জলছাপ। আরও আছে নানা ধরনের নিরাপত্তা দাগ। পাতার বিভিন্ন স্থানে বাঘের ছবির সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের নাম ও শহীদ মিনারের ছবি। এসব জলছাপ বিশেষ আলো দিয়ে দেখলে লেজার রশ্মির মতো দেখায়। এমআরপির শেষ পাতায় আছে সংসদ ভবনের ছবি ও পরিচিতি।
পাসপোর্টের মেয়াদ
সাধারণভাবে পাসপোর্টের মেয়াদ ১০ বছর। এরপর এটি বাতিল হয়ে যাবে। পাসপোর্টধারী ব্যাক্তিকে নতুন পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে হবে। তাছাড়া বিদ্যমান পাসপোর্টের মেয়াদ ৫ বছর পার হওয়ার আগেই তা নবায়ন করতে হবে। নবায়ন করা না হলে ৫ বছর পর এ পাসপোর্ট তার বৈধতা হারাবে।
কিছু লক্ষণীয় বিষয়:
•    যে কোন সমস্যায় দায়িত্বরত আনসারদের সহায়তা নিন।
•    যে কোন সময় ব্যবহারের জন্য স্ট্যাপলার, পিন, আঠা, কলম ইত্যাদি সঙ্গে রাখবেন।
•    পুরো ঢাকা নগরীকে তিনটি অধিক্ষেত্রে বিভক্ত করা হয়েছে- উত্তরা, আগারগাঁও, যাত্রাবাড়ী অধিক্ষেত্র। টাকা জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে যার ঠিকানা যে অধিক্ষেত্রের অন্তর্গত, তাকে সেই অধিক্ষেত্রের পাসপোর্ট অফিসে টাকা জমা দিতে হবে।
•     ছবি তোলার দিন পরিচ্ছন্ন কাপড় পরে যাবেন।

সোমবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

বাংলাদেশের সবগুলো ব্যাংকের ওয়েবসাইট লিঙ্ক ও ব্যাংক সম্পর্কে কিছু তথ্য

বাংলাদেশের ব্যাংক সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও বাংলাদেশের সবগুলো অর্থাৎ ৫৭ টি ব্যাংকের ওয়েবসাইট লিঙ্ক … ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষা ও ব্যাংকের ভাইবার জন্য উপকারে আসবে … শেয়ার করে লিঙ্ক সেইভ রাখুন কাজে লাগবে
বর্তমানে তরুণরা ব্যাপক হারে ব্যাংকের প্রতি ঝুঁকছে। কারণ এখানে আছে অনেক সুযোগ-সুবিধা, ভালো বেতন আর চাকরির নিরাপত্তা। অন্য দিকে বেশির ভাগ ব্যাংকেই যে কোনো বিষয়ে পাস করা শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারছে। এর ফলে প্রায় সবাই ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। ব্যক্তির যোগ্যতা অনুযায়ী এখানে আছে পদোন্নতি। প্রায় সব ব্যাংকে হয়েছে ডিজিটালাইজেশন। ফলে কষ্টের কাজও কমে গেছে। সব মিলিয়ে আধুনিক দুনিয়ায় আধুনিক ক্যারিয়ারের ক্ষেত্র হলো ব্যাংক।
প্রাচীনতম ব্যাঙ্ক
————–
পৃথিবীর প্রাচীনতম ব্যাঙ্ক হিসেবে মন্টে ডেই পাসচি ডি সিয়েনা চিহ্নিত হয়ে আছে। এর সদর দফতর ইতালীর সিয়েনায়। ১৪৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত ব্যাঙ্কটি এখনও আর্থিক লেনদেন পরিচালনা করে আসছে।


ইতিহাস
———
আধুনিক যুগের চিন্তা-চেতনা অনুযায়ী ধারণা করা হয় যে, ব্যাঙ্কিং পদ্ধতির উন্মেষ ঘটে মধ্যযুগ এবং রেনেসাঁর শুরুতে। ইটালীর উত্তরাঞ্চলের ধনী শহর বিশেষ করে ফ্লোরেন্স, ভেনিস এবং জেনোয়ায় ব্যাঙ্কিং প্রথা শুরু হয়। বর্দি এবং পেরুজি পরিবার চতুর্দশ শতকে ফ্লোরেন্সের ব্যাংকিং জগতে একচ্ছত্র প্রাধান্য বিস্তার করেছিল। তারা ইউরোপের বিভিন্ন অংশে ব্যাংকের শাখা প্রতিষ্ঠা করেছিল।[২] এছাড়াও, অধিকাংশ জনপ্রিয় ইটালীয়ান ব্যাঙ্কই ছিল মেডিসি ব্যাঙ্কের নিয়ন্ত্রণে। ১৩৯৭ সালে গিওভেন্নী মেডিসি মেডিসি ব্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠা করেন।[৩] শুরুর দিকে পরিচিত রাষ্ট্রীয় সঞ্চয় ব্যাঙ্ক হিসেবে রয়েছে ব্যাঙ্কো ডি স্যান জিওর্জিও (ব্যাংক অব সেন্ট জর্জ)। ব্যাঙ্কটি ১৪০৭ সালে ইটালীর জেনোয়ায় প্রতিষ্ঠিত হয়।।
শব্দের উৎপত্তি
—————-
মধ্যযুগের ইংরেজী হিসেবে ব্যাঙ্ক (bank) শব্দটি বিভিন্ন ভাষা থেকে উৎপত্তি হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। তন্মধ্যে – মধ্যযুগে ফরাসী শব্দ ব্যাঙ্ক, প্রাচীন ইটালীয়ান ভাষার ব্যাংকা, প্রাচীন উচ্চস্তরের জার্মান শব্দ ব্যাঙ্ক, ব্যাঙ্ক বেঞ্চ, কাউন্টার অন্যতম। রেনেসাঁ যুগে ফ্লোরেন্সের ব্যাঙ্কারগণ বেঞ্চকে ডেস্ক বা লেনদেনের জায়গা হিসেবে ব্যবহৃত করতো। বেঞ্চের উপরিভাগ সবুজ টেবিলক্লথ দিয়ে ঢাকা থাকতো
বাংলাদেশে ব্যাংক
————————––
নতুন অনুমোদনকৃত ব্যাংকসহ বাংলাদেশে মোট তফসিলী ব্যাংকের সংখ্যা ৫৭ টি…
ছয় নতুন ব্যাংক
০ ইউনিয়ন, মধুমতি, দি ফারমারস, মেঘনা, মিডল্যান্ড ও সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার এ্যান্ড কমার্স ব্যাংক


State-owned commercial banks রাষ্ট্রায়ত্ত চারটি ব্যাংক:
————————–—
Sonali Bank
Janata Bank
Agrani Bank
Rupali Bank Limited


স্থানীয় বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ৩০ টি …
————————–————-
AB Bank Limited, Bangladesh Commerce Bank Limited, Bank Asia Limited, BRAC Bank Limited, Dhaka Bank Limited, Dutch Bangla Bank Limited, Eastern Bank Limited, Farmers Bank Limited, IFIC Bank Limited, Jamuna Bank Limited, Meghna Bank Limited, Mercantile Bank Limited, Midland Bank Limited
Modhumoti Bank Limited, Mutual Trust Bank Limited, National Bank Limited, NCC Bank Limited, NRB Commercial Bank Limited
NRB Global Bank Ltd, One Bank Limited, Prime Bank Limited
Pubali Bank Limited, South Bangla Agriculture and Commerce Bank Ltd, Southeast Bank Limited, Standard Bank Limited
The City Bank Limited, The Premier Bank Limited, Trust Bank Limited, United Commercial Bank Ltd, Uttara Bank Limited
There are 8 Islamic Commercial Banks:
Al-Arafah Islami Bank Limited
[Exim Bank (Bangladesh)|Export Import Bank of Bangladesh Limited] [First Security Islami Bank Limited] ICB Islamic Bank
Islami Bank Bangladesh Limited
Shahjalal islami bank Limited
Social Islami Bank Limited
Union Bank Limited
Foreign commercial banks- বিদেশী ব্যাংক ১২টি।
Bank Alfalah
Citibank NA
Commercial Bank of Ceylon
Habib Bank Limited
HSBC ( The Hong Kong and Shanghai Banking Corporation Ltd. )
National Bank of Pakistan
Standard Chartered Bank
State Bank of India
Woori Bank
ICICI Bank
– উন্নয়ন ব্যাংক পাঁচটি। Specialized banks
Specialized Banks (SDBs): 4 specialized banks are now operating which were established for specific objectives like agricultural or industrial development. These banks are also fully or majorly owned by the Government of Bangladesh.
Bangladesh Krishi Bank
Rajshahi Krishi Unnayan Bank
Bangladesh Development Bank Ltd
BASIC Bank Limited
Probashi Kallyan Bank
The Dhaka Mercantile co-operative Bank Ltd
ব্যাংকের কাজ
——————-
ব্যাংকের একটা সংজ্ঞা থেকে এর কাজ সম্পর্কে জানা যায়। ‘ব্যাংক হলো জনগণের এক অংশের কাছ হতে আমানতস্বরূপ অর্থ গ্রহণ এবং গৃহীত অর্থ অন্য অংশকে ঋণস্বরূপ প্রদান করা’। বর্তমানে ব্যাংকগুলো যে কার্যক্রম চালাচ্ছে সে থেকে কয়েকটা বিষয়কে ব্যাংকের মূল কাজ বলা যায়। যেমন :
– আমানত গ্রহণ।
– ঋণ দান।
– চেক প্রচলন।
– বৈদেশিক বাণিজ্য।
এছাড়া আরো অনেক কাজ করলেও এগুলোই প্রধান।
ব্যাংকে কাজের ক্ষেত্র
———————–
ক্যারিয়ার হিসেবে নেয়ার জন্য কাজের ক্ষেত্র হিসেবে ব্যাংকে প্রধানত চারটি উইং আছে। আধুনিক ব্যাংকের উইংগুলো হলো-
১. অপারেটিং উইং।
২. ইনভেস্টমেন্ট উইং।
৩. ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংকিং উইং।
৪. ইন্টারনাল কান্ট্রোল অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স উইং।
অপারেটিং উইং
——————-
এ উইং ব্যাংকের কার্যাবলির মূল বিষয়গুলো সম্পাদন করে। এখানে বেশ কিছু বিভাগ কাজ করে থাকে। যেমন-
– আর্থিক প্রশাসন বিভাগ।
– নীতি এবং সাধারণ হিসাব বিভাগ।
– বাজেট এবং খরচ সংরক্ষণ বিভাগ।
– প্রিন্টিং এবং স্টেশনারি বিভাগ।
– তথ্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তি বিভাগ।
– অবকাঠামো বিভাগ।
– সফটওয়্যার বিভাগ।
– বিভিন্ন শাখা তদারকি বিভাগ।
– উন্নয়ন এবং মার্কেটিং বিভাগ ইত্যাদি।
ইনভেস্টমেন্ট উইং
———————–
ইনভেস্ট বা বিনিয়োগের কাজই প্রধানত এ উইং করে থাকে। কোথায় কীভাবে বিনিয়োগ করা যায় তা নির্ধারণ করা এর কাজ। এটিও বেশ কিছু বিভাগের সমন্বয়ে গঠিত।
– ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও ভোক্তা বিভাগ।
– সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ।
– বিনিয়োগ নীতি ও পরিকল্পনা বিভাগ।
– মনিটরিং বিভাগ।
ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংকিং উইং
———————
বৈদেশিক বাণিজ্যের বিষয়টি দেখা এ উইংয়ের প্রধান কাজ। কতগুলো বিভাগের সমন্বয়ে গঠিত এ উইং।
– বৈদেশিক বাণিজ্য পরিচালনা বিভাগ।
– নিযুক্তক (এজেন্সি) এবং প্রতিনিধিত্বশীল (করেসপন্ডিং) ব্যাংকিং বিভাগ।
– গার্মেন্টস বিভাগ।
– রাজস্ব তহবিল ব্যবস্থাপনা বিভাগ।
– বৈদেশিক রেমিট্যান্স বিভাগ।
ইন্টারনাল কন্ট্রোল অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স উইং
————————–—————
ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ বিষয়াদি পরিচালনা ও দেখার কাজ করে এ উইং। এটিও কয়েকটি বিভাগের সমন্বয়ে গঠিত।
– অডিট এবং তত্ত্বাবধান বিভাগ।
– মনিটরিং বিভাগ।
– কমপ্লায়েন্স বিভাগ।
এ ছাড়া সব ব্যাংকে আরেকটি গুরুত্বপূণ উইং থাকে। সেটা হলো- হিউম্যান রিসোর্স উইং।
হিউম্যান রিসোর্স উইং
————————
হিউম্যান রিসোর্স বা মানবসম্পদ উইং ব্যাংকে কর্মরত জনবল এবং নতুন নিয়োগ দেয়ার বিষয়টি এ উইং দেখে। এর কয়েকটি বিভাগ হলো-
– অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড পারসোনেল প্লানিং বিভাগ।
– ডিসিপ্লিন অ্যান্ড আপিল বিভাগ।
– স্টাফ ওয়েলফেয়ার ট্রেনিং বিভাগ।
এ ছাড়া আরো কিছু বিভাগ আছে। যেমন-
– এসএমই সার্ভিস।
– শেয়ার বিভাগ।
– আইন বিভাগ।
– ব্যাংক ফাউন্ডেশন (যেমন- ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশন)
▬▬▬▬۩۞۩▬▬▬▬

বাংলাদেশের সবগুলো ব্যাংকের ওয়েবসাইট লিঙ্ক
———————————————————–
1) AB Bank Limited
http://www.abbl.com
2) Agrani Bank Limited
http://www.agranibank.org
3) Al-Arafah Islami Bank Limited
http://www.al-arafahbank.com/
4) Bangladesh Commerce Bank Limited
5) Bangladesh Development Bank Limited
http://www.bdbl.com.bd
6) Bangladesh Krishi Bank
http://www.krishibank.org.bd
7) Bank Al-Falah Limited
http://www.bankalfalah.com
8) Bank Asia Limited
http://www.bankasia-bd.com
9) BASIC Bank Limited
http://www.basicbanklimited.com
10) BRAC Bank Limited
http://www.bracbank.com
11) Citibank N.A
http://www.citi.com/domain/index.htm
12) Commercial Bank of Ceylon Limited
http://www.combankbd.com
13) Dhaka Bank Limited
http://www.dhakabank.com.bd
14) Dutch-Bangla Bank Limited
http://www.dutchbanglabank.com
15) Eastern Bank Limited
http://www.ebl-bd.com
16) EXIM Bank Limited
http://www.eximbankbd.com
17) First Security Islami Bank Limited
http://www.fsblbd.com
18) Habib Bank Ltd.
http://www.habibbankltd.com
19) ICB Islamic Bank Ltd.
http://www.icbislamic-bd.com/
20) IFIC Bank Limited
http://www.ificbankbd.com
21) Islami Bank Bangladesh Ltd
http://www.islamibankbd.com
22) Jamuna Bank Ltd
http://www.jamunabankbd.com
23) Janata Bank Limited
http://www.janatabank-bd.com
24) Meghna Bank Limited
http://www.meghnabank.com.bd
25) Mercantile Bank Limited
http://www.mblbd.com
26) Midland Bank Limited
http://www.midlandbankbd.net/
27) Modhumoti Bank Ltd.
http://modhumotibankltd.com/
28) Mutual Trust Bank Limited
http://www.mutualtrustbank.com
29) National Bank Limited
http://www.nblbd.com
30) National Bank of Pakistan
http://www.nbp.com.pk
31) National Credit & Commerce Bank Ltd
http://www.nccbank.com.bd
32) NRB Bank Limited
http://www.nrbbankbd.com
33) NRB Commercial Bank Limited
http://www.nrbcommercialbank.com/
34) NRB Global Bank Limited
http://www.nrbglobalbank.com
35) One Bank Limited
http://www.onebankbd.com
36) Premier Bank Limited
http://www.premierbankltd.com
37) Prime Bank Ltd
http://www.prime-bank.com
38) Pubali Bank Limited
http://www.pubalibangla.com
39) Rajshahi Krishi Unnayan Bank
http://www.rakub.org.bd
40) Rupali Bank Limited
http://www.rupali-bank.com
41) Shahjalal Islami Bank Limited
http://www.shahjalalbank.com.bd
42) Social Islami Bank Ltd.
http://www.siblbd.com
43) Sonali Bank Limited
http://www.sonalibank.com.bd
44) South Bangla Agriculture & Commerce Bank Limited
http://www.sbacbank.com/
45) Southeast Bank Limited
http://www.sebankbd.com
46) Standard Bank Limited
http://www.standardbankbd.com
47) Standard Chartered Bank
http://www.standardchartered.com/bd
48) State Bank of India
http://www.statebankofindia.com
49) The City Bank Ltd.
http://www.thecitybank.com
50) The Farmers Bank Ltd
http://www.farmersbankbd.com
51) The Hong Kong and Shanghai Banking Corporation. Ltd.
http://www.hsbc.com.bd
52) Trust Bank Limited
http://www.trustbank.com.bd
53) Union Bank Limited
http://www.unionbank.com.bd/
54) United Commercial Bank Limited
http://www.ucbl.com
55) Uttara Bank Limited
http://www.uttarabank-bd.com
56) Woori Bank
http://www.wooribank.com

শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

আঙ্গুলের ছাপে সিম রেজিস্টেশন করে বড় কোন ভূল করছেন না তো ??? (কপি-পেস্ট)

হাজার কোটি টাকা ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে যারা ব্যবসা করে যায় তাদের কাছে আপামর জনসাধারনের ফিঙ্গারপ্রিন্ট তুলে দেওয়ার যৌক্তিকতা নিয়ে ভাবলাম। বিশ্বাসের জায়গাতে জুয়া চলবেনা। এয়ারটেলের ডাটাবেস হইতে সব আঙ্গুলের ছাপ ভারতীয় ইন্টেলিজেন্সের কাছে যাবেনা তার গ্যারান্টি কি? কিংবা জিপির হাত ধরে ইউরোপ, আমেরিকা? ভাবুন, প্যারিস হামলার পর অবিস্ফোরিত বোমায় কোন বাঙ্গালীর ফিঙ্গারপ্রিন্ট পাওয়া গেল। ভাবুন, ফিঙ্গারপ্রিন্ট এর বদৌলতে কোন আন্তর্জাতিক জংগী সংগঠনের সাথে বাংলাদেশের একটা মেলবন্ধন কোন বিদেশী পত্রিকার হেডলাইন হল…ফ্যান্টাসি মনে হচ্ছে? বাদ দেন।



 খালি ভাবুন, মিথ্যা আসামীকে বাঁচানোর জন্য সত্য প্রমাণ খুঁজতে গিয়ে উকিলগণের চুল ছিঁড়ার মুহূর্তে বাদী পক্ষের উকিল একটা ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে আসলেন (ক্রয় মারফত); ভাবুন, যে তল্লাটে মিথ্যা মামলা দায়ের করে হোক অথবা সত্য মামলাতেই হোক যেখানে মিথ্যা আসামী ধরে জেলে ভরার একটা তুমুল কম্পিটিশন সেখানে কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আঙ্গুলের ছাপের ডাটাবেস নিয়ে বসে আছে… ভাবতে বিরক্ত লাগছে?-বাদ দেন। চলুন ফ্যাক্ট দেখি কয়েকটা… মিডিয়া মারফত আমরা ইতিমধ্যেই জানি বায়োমেট্রিক সিম নিবন্ধনের ইতিহাসে বাংলাদেশ পৃথিবীতে দ্বিতীয় দেশ হিসাবে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে যাচ্ছে! রাষ্ট্রীয়ভাবে এধরনের একটা ভুল সিদ্ধান্ত কোন দেশ প্রথম নিয়েছিল তা জানতে ইচ্ছা হয়? আমারও ইচ্ছা হল, ঘেঁটে চমকপ্রদ তথ্য পেলাম। এই দুর্ঘটনা প্রথম ঘটায় কোন দেশ- অনুমান করেন তো দেখি কোন মাথামোটারা এই কার্য সাধন করেছিল? সমঝদার মানুষের জন্য ইঙ্গিতই যথেষ্ঠ, তবুও বললাম, ২০১৩ তে পাকিস্তান এই ঘটনা ঘটিয়ে বিশ্বের ইতিহাসে প্রথম ডিজিটাল বোকাচোদা হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে। বোঝার ব্যাপার একটাই, ব্যক্তি হিসাবে না ভেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে ভাবার চেষ্টা করুন। সরকারি ডাটাবেসের জন্য ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়া আর কোন বেনিয়া মাল্টিন্যাশনাল কর্পোরেটের কাছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট জমা দেওয়ার মধ্যে ফারাকটুকু বুঝতে পারলেই খেল খতম। সরকারের কাছে একটাই আরজি, অপরাধ দমনে ফিঙ্গারপ্রিন্ট অবশ্যই জরুরী বিষয়। প্রয়োজনে ন্যাশনাল আইডি রিনিউইয়াল হিসাবে সরকারি উদ্যোগে ফিঙ্গারপ্রিন্ট জমা নেওয়া হোক। অপরাধ নিধন চাইলে অপরাধীর ভেরিফিকেশনের দায়িত্বটা রাষ্ট্রের হাতেই বর্তাক। ন্যাশনাল আইডি দিয়ে সিম রেজিস্ট্রেশন হলে তো প্রাথমিক শনাক্তকরণ হয়েই যায়। মোবাইল মাধ্যমে কোন ক্রাইম হলে তার সাথে ফিঙ্গারপ্রিন্টের কি সম্পর্ক? ভয়েস কলে কি অপরাধী ফিঙ্গারপ্রিন্ট রাইখা আসবে? যত্তসব ননসেন্স!! কথা সহজ, কোটি টাকা ট্যাক্স ফাঁকি দিয়া চলতে থাকা কিছু বেনিয়া মাল্টিন্যাশনাল ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে এই ভয়ানক ডাটাবেস করতে দিয়ে রাষ্ট্রের এবং তার নাগরিকদের মাথার উপর ছড়ি ঘুরাতে দেওয়া যাবেনা। ফিঙ্গারপ্রিন্ট একজন মানুষের চূড়ান্ত লেভেলের প্রাইভেট, এ জিনিস লিফলেট বানাইয়া বেচার জন্য কারো হাতে তুলে দিতে আমরা রাজি না। সমেস্যা নাই, সোজা আঙ্গুলে ঘি না উঠলে বাঙ্গালী চিরকালই আঙ্গুল বাঁকাইয়া অভ্যস্ত।
বিঃদ্রঃ এই কথাগুলো সবাইকে জানান, আর বলুন যাতে কেউ এই বায়োমেট্রিক নিবন্ধন না করে। ব্যবসায়ি বলে কথা, দিনশেষে একটা ভারী সংখ্যক মানুষ রেজিস্ট্রেশন না করলে এতগুলা সিম বন্ধ করে দেওয়া এত সহজ হবেনা।


★সংগৃহীত লজিক্যাল, এরকমটাই ভাবছিলাম! তার আগেই লিখে ফেলেছেন কেউ। তাই শেয়ার না দিয়ে পারলাম না। কৃতজ্ঞতা লেখকের কাছে।

মঙ্গলবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

“জিকা ভাইরাস” কী? এর ক্ষতি সম্পর্কে ধারনা

বর্তমান বিশ্বে আতঙ্কের আরেক নাম "জিকা ভাইরাস"। সম্প্রতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জিকা ভাইরাস নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে। এ ভাইরাসটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এবং তাতে ৩০ থেকে ৪০ লাখ লোক আক্রান্ত হতে পারে।  ভারত, পাকিস্তানে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার খবর পাওয়া গেলেও বাংলাদেশ এখনো এ থেকে মুক্ত। তবে প্রতিবেশী দেশ হওয়ায় বাংলাদেশকেও বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে। আর এই "জিকা ভাইরাস" সম্পর্কে ১৫টি তথ্য নিয়ে লিখছি আমার আজকের টিউন।


১.'জিকা' নামকরণের ইতিহাস

‘জিকা’  নামটি নেওয়া হয়েছে উগান্ডার জিকা বন থেকে। ১৯৪৭ সালে হলুদ জ্বর নিয়ে গবেষণার সময় বিজ্ঞানীরা জিকা বনে একটি খাঁচায় একটি বানর রাখে। পরে বানরটি জ্বরে পড়লে তার দেহে একটি সংক্রামক এজেন্টের উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়। ১৯৫২ সালে এর নাম দেয়া হয় জিকা ভাইরাস। এরপর ১৯৫৪ সালে নাইজেরিয়ায় এক মানুষের দেহে এই ভাইরাস পাওয়া যায়।

২. জিকা ভাইরাস কী?

পশ্চিম গোলার্ধের গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এলাকায় একটি ভাইরাস জিকা।  ইয়েলো ফিভার, ওয়েস্ট নাইল, চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গু যে গোত্রের সদস্য, জিকা ভাইরাসও একই গোত্রের অন্তর্ভুক্ত একটি ফ্লাভিভাইরাস। যা অনেকটা ডেঙ্গুর মতো হলেও তার চেয়ে হালকা প্রভাব ফেলে দেহে।

৩. কিভাবে ভাইরাসটি ছড়ায়?

এডিস মশার মাধ্যমে দ্রুত এ ভাইরাসটি ছড়ায়। ভাইরাসটির সংক্রমণ  ঘটেছে এমন কোনো রোগীকে এডিস মশা কামড়ানোর মধ্য দিয়ে এর স্থানান্তর হয়। পরে ওই মশাটি অন্য ব্যক্তিদের কামড় দিলে তা ছড়াতে থাকে। এরপর ওই ব্যক্তিদের মাধ্যমেই ভাইরাসটির বিস্তার ঘটতে থাকে।

৪. কিভাবে বুঝব জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছি কি না?

সংক্রামিত ব্যক্তিদের শরীরে ভাইরাসটির সামান্য উপসর্গ দেখা যায়। যেমন জ্বর, মাথাব্যথা, র্যাশ এবং চোখ গোলাপি রঙ ধারণ করা। প্রকৃতপক্ষে শতকরা ৮০ শতাংশ সংক্রামিত ব্যক্তিই আঁচ করতে পারেন না যে তাদের শরীরে ভাইরাসটি রয়েছে। এসব কারণে ভাইরাসটি নির্ণয় করা কঠিন আর এ সুযোগে ভাইরাসটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে আপনার রোগটি হয়েছে বলে সন্দেহ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

৫. ভাইরাসটি কাদের ক্ষেএে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর?

এ রোগটি সাধারণ মানুষের তেমন ক্ষতি করে না। কয়েক দিন বিশ্রাম করলেই তা সেরে যায়। শুধু গর্ভবতী নারীদের আক্রান্ত হলেই শিশুর মারাত্মক ক্ষতির আশঙ্কা থাকে।

৬. গর্ভাবস্থার কোন পর্যায়ে জিকা ভাইরাস বেশি বিপজ্জনক?

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে যদি জিকা ভাইরাস আক্রমণ করে তাহলে তা বেশি বিপজ্জনক। এ সময় ভাইরাসটি গর্ভস্থ শিশুর দেহে আক্রমণ করে এবং শিশু মস্তিষ্কের ক্ষতি ও বিকলাঙ্গ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

৭. ভাইরাসটি শিশুর মস্তিষ্কের ক্ষতি করে কিভাবে?

গর্ভবতী নারীরা এ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে তা শিশুর মারাত্মক ক্ষতি করে এবং শিশু বিকলাঙ্গ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ কারণেই জিকা ভাইরাস বিশ্বের মনোযোগ টেনেছে। এটির মূল কারণ মাইক্রোসেফালি নামে একটি নিউরোলজিক্যাল ডিসঅর্ডার ও ভাইরাসটির মধ্যে যোগসূত্র। এর কারণে সদ্যজাত শিশুদের মস্তিষ্ক স্বাভাবিক আকারের চেয়ে ছোট হয়। এছাড়া এর কারণে শিশুদের মাঝে বিকাশজনিত সমস্যা দেখা দেয় এবং কখনো কখনো মৃত্যুও হতে পারে।

৮. কতটি দেশে এর সংক্রমণ ঘটেছে?

আমেরিকাজুড়ে এখন পর্যন্ত অন্তত ২৫টি দেশে ভাইরাসটি স্থানীয়ভাবে সংক্রমিত হয়েছে। দেশগুলো হচ্ছে বার্বাডোজ, বলিভিয়া, ব্রাজিল, কেপ ভেরদে, কলম্বিয়া, ডোমিনিকান রিপাবলিক, ইকুয়েডর, এল সালভাদর, গুয়েতেমালা, গুইয়ানা, হাইতি, হন্ডুরাস, মেক্সিকো, পানামা, মারতিনিক, প্যারাগুয়ে, পুয়ের্তো রিকো, সেন্ট মার্টিন, সুরিনাম, সামোয়া, দ্য ইউএস ভার্জিন আইল্যান্ডস ও ভেনেজুয়েলা। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট সিডিসি এ তথ্য দিয়েছে।

৯. বিশ্বের কোন কোন দেশে গর্ভবতী নারীদের জন্য এটি বিপজ্জনক? বাংলাদেশে এ রোগটি আক্রমণের সম্ভাবনা কতখানি?

বিশ্বের প্রায় দুই ডজনের কিছুটা বেশি দেশে এ ভাইরাসটির আশঙ্কা রয়েছে। এসব দেশের মধ্যে ক্যারিবিয়ান, মধ্র আমেরিকান ও দক্ষিণ আমেরিকান দেশ উল্লেখযোগ্য। এল সালভাদোর, কলম্বিয়া, হন্ডুরাস, ইকুয়েডরের মত দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলি ২০১৮  সাল পর্যন্ত মহিলাদের সন্তানধারণের পরিকল্পনা বাতিল করতে বলেছে  বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু’। তারা জানিয়েছে জিকা ভাইরাস ‘বিস্ফোরণের মত ছড়িয়ে পড়ছে।’ ভারতেও এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে সতর্কতা জারি করেছে ‘হু’। এ কারণে ভারত থেকে বাংলাদেশেও আক্রমণ হতে পারে জিকা ভাইরাসের।

১০. আমি গর্ভবতী এবং জিকা ভাইরাস আক্রান্ত দেশে ভ্রমণ করেছি। এখন  কী করা উচিত?

গর্ভবতী নারী এবং জিকা ভাইরাস আক্রান্ত দেশে ভ্রমণ করলে আপনার রক্ত পরীক্ষা করতে হবে। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে আল্ট্রাসাউন্ড পরীক্ষাও করতে হবে। চিকিৎসক আপনার দেহের লক্ষণ মিলিয়ে জিকা ভাইরাস হয়েছে কি না, তা জানাবেন।

১১. জিকা ভাইরাস আক্রান্ত হলে শিশুরও পরীক্ষা করতে হবে কি?

জিকা ভাইরাস আক্রান্ত হলে শিশুরও পরীক্ষা করতে হতে পারে। তবে এক্ষেত্রে মায়ের যদি জিকা ভাইরাস আক্রান্ত দেশগুলোতে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা থাকে কিংবা অন্য কোনোভাবে জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তবে শুধু তা হলেই শিশুর পরীক্ষা প্রয়োজন হতে পারে।

১২. জিকা ভাইরাসের কোনো  চিকিৎসা আছে কি?

না। জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে কোনো চিকিৎসা নেই। তবে এ রোগটি সাধারণ মানুষের তেমন ক্ষতি করে না। কয়েক দিন বিশ্রাম করলেই তা সেরে যায়।

১৩. এর  কী কোনো টিকা রয়েছে?

না। এখনও জিকা ভাইরাসের টিকা আবিষ্কৃত হয়নি। তবে এটি বানানোর চেষ্টা করছেন গবেষকরা। এটি হাতে আসতে এক দশক সময় লাগতে পারে।

১৪.কিভাবে নিরাপদ থাকবেন?

যেহেতু এখন পর্যন্ত এটি প্রতিরোধে কোনো টিকা বা এর চিকিৎসায় কোনো ওষুধ আবিষ্কার হয়নি তাই সংক্রামিত অঞ্চল বা দেশগুলো ভ্রমণ থেকে বিরত থাকতে হবে। ভাইরাসটির সংক্রমণ থেকে বাঁচতে এটাই একমাত্র উপায় বলে বিশেষজ্ঞদের মত।

১৫. আগেই ভাইরাসটি শনাক্ত হলেও কেন তা প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি?

অতীতে জিকা ভাইরাস আক্রান্তদের তেমন কোনো ক্ষতিকর প্রভাব পাওয়া যায়নি। তাই ভাইরাসটির প্রতিরোধক ওষুধ তৈরি করা হয়নি। এছাড়া ভাইরাসটিকে তেমন ক্ষতিকর মনে না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে টিকাও আবিষ্কৃত হয়নি। বর্তমানে এ ভাইরাসের ক্ষতিকর দিক জানতে পারার পর এ ভাইরাসটি প্রতিরোধে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।



শেষ কথা

উপরের বর্ণিত বিষয়গুলোই ছিল জিকা ভাইরাস নিয়ে বর্ণীত ১৫ টি তথ্য (যতুটুকু আমার জানা ছিল)। টিউনটি কেমন লাগলো তা টিউমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না। টিউনটি ভাল লাগলে বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করে সবাইকে জানিয়ে দিন। তাহলে আজকের মত এই পর্যন্ত আবারও দেখা হবে পরবর্তী টিউনে। ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সকলকেই।