শুক্রবার, ২৫ মার্চ, ২০১৬

মানব প্রজাতির স্বাস্থ্যের অনেক ক্ষতি করছে ওয়াইফাই

মানুষ স্বভাবতই অভ্যাসের দাস। বস্তুকেন্দ্রিক কোনো কিছুতে নূণ্যতম সুবিধা পেলে সেই সুবিধার নেতিবাচক দিক বিবেচনা না করেই মানুষ সেই সুবিধা গ্রহন করতে থাকে।
অথচ পাছে এই ভাবনা থাকে না যে, আজকের এই সুবিধা হয়তো অনতিবিলম্বেই তার এবং এই গোটা বিশ্বের মানুষের জন্য অমঙ্গল বয়ে আনবে। যেমন ধরা যাকে ইন্টারনেট সেবা ওয়াইফাই’র কথাই। অনেক বিশেষজ্ঞরা দীর্ঘদিন ধরেই ওয়াইফাইয়ের ক্ষতিকারক দিকগুলো নিয়ে বিস্তর কথা বলে যাচ্ছেন কিন্তু মানুষ একটু সুবিধার জন্য ওই কথাগুলো শুনেও না শোনার মতো আছে।

চিকিৎসাশাস্ত্রের বিভিন্ন জার্নাল মারফত জানা যায়, গত বছরগুলোতে গোটা বিশ্বেই ব্রেন টিউমার, লিউকোমিয়া এবং দুর্বল স্মৃতিশক্তিজনিত সমস্যা বেশি দেখা দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্বব্যাপী যতই ওয়াইফাইয়ের মাধ্যমে ইলেকট্রেস্মগ ছড়াচ্ছে ততই মানুষের মধ্যে এধরনের রোগের প্রবনতা বাড়ছে। আনাদৌ নামের একটি এজেন্সিকে একদল বিজ্ঞানী জানান, বিজ্ঞানী বা গবেষক সমাজে এটা স্বীকৃতি যে মোবাইল, ওয়্যারলেস ল্যান, বেসি সেল এবং অন্যান্য তারবিহীন যন্ত্র থেকে যে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড (তরিৎ চৌম্বকীয় শক্তি) নির্গত হয় তার মানবশরীরের রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে শুধু তাই নয় শরীরের তাপমাত্রা থেকে শুরু করে পানির ভারসাম্যতাও নষ্ট করে।
স্টকহলমের ক্যারোলিন্সকা ইনিস্টিটিউটের নিউরোসায়ান্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ওলে জনসন এবিষয়ে বলেন, মানব প্রজাতির উপর করা পরীক্ষা নিরীক্ষার মধ্যে ওয়্যারলেস প্রযুক্তি প্রয়োগ হলো সবচেয়ে বড় পরীক্ষা। আমরা ইতোমধ্যেই ইলেকট্রেস্মগ দ্বারা আক্রান্ত, আর একারণে মানুষের শরীরে বিভিন্ন রোগের মাত্রাও বেড়ে গেছে। বিশ্বের মানুষের চাহিদা অনুযায়ী তারবিহীন প্রযুক্তিও ছড়িয়ে যাচ্ছে, একে বন্ধ করার উপায় নেই।
বিশেষজ্ঞদের মতে পৃথিবীর রাজনীতিবিদদের এখনই এই সমস্যা থেকে বাঁচার উপায় খুঁজে বের করা দরকার। কারণ এখনই যে পরিমান মানুষ এবং প্রকৃতি উভয়েই তারবিহীন প্রযুক্তির কারণে আক্রান্ত হচ্ছে, এর হার আগামীতে আরও বাড়ার আগেই যদি সমাধান বের না করা যায় তাহলে একদিন হয়তো মহামারী আকারে মানুষকে মরতে দেখতে হতে পারে। শুধু মানুষই মারা যাচ্ছে বা যাবে তা নয়, বৃক্ষরাজি সরাসরি ওয়াইফাইয়ের কারণে আক্রান্ত হচ্ছে।
দীর্ঘমেয়াদী মাথাব্যথা, স্মৃতিশক্তি দুর্বল, ঝিমঝিম ভাব, হতাশা, ঘুমে সমস্যা হলো ওয়াইফাই আক্রান্তদের সাধারণ সমস্যা। কিন্তু এর বাইরেও অটিজম, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিকের মতো খারাপ রোগও হতে পারে এর কারণে। তামাক এবং এক্সরে রশ্মির কারণে মানবদেহে কি কি সমস্যা হচ্ছে তা আমরা এই সময়েই দেখতে পাচ্ছি, কিন্তু ওয়াইফাই সমস্যার কারণে আগামী ২০ বছর পরে পৃথিবীতে কি ঘটতে যাচ্ছে সেটা দেখার জন্য মানুষ অপেক্ষা করবে নাকি এখনই এর প্রতিকারে ব্যবস্থা নেবে তা ভাবার সময় এসেছে।
নিউইয়র্কের একদল গবেষক নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চলের উপর ওয়াইফাইয়ের ক্ষতিকারক প্রভাব পরিমাপে জরিপ চালান। সেই জরিপে দেখা যায়, ওই অঞ্চলের গাছের বৃদ্ধি স্বাভাবিক গাছের তুলনায় কম এবং সেখানে বসবাসরত মানুষের ত্বকে সমস্যা শুরু হয়ে যায়। এই ত্বকের সমস্যা দীর্ঘদিন চললে একটা সময় মেলানিন নষ্ট হয়ে যায় এবং তখনই শরীরে ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। যেমনটা আমরা ইউরোপে ত্বকের ক্যান্সারে আক্রান্ত অগুনতি মানুষের মধ্যে দেখতে পারি।

বিশ্বে মোবাইলে সাইবার ঝুঁকিতে শীর্ষে আছে বাংলাদেশও

বিশ্বের ২১৩ দেশে সাইবার সিকিউরিটি কোম্পানি ক্যাসপারস্কির ২০১৫ সালের তৃতীয় এবং চূড়ান্ত ল্যাব রিপোর্ট ‘আইটি থ্রেট ইভোলিউশন ইন কিউ থ্রি টু থাউজেন্ড ফিফটিন’ অনুযায়ী মোবাইলে সাইবার ঝুঁকিতে সবার শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ (প্রতি ৪টি ডিভাইসের অন্তত ১টি এখানে ভাইরাসাক্রান্ত)।
প্রতিবেদন অনুযায়ী ২১৩টি দেশের মধ্যে কম্পিউটারে ভাইরাসের আক্রমণের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৯তম। আর এসব ভাইরাসের ৬৪.৪৪ শতাংশই স্থানীয় এবং আঞ্চলিক ভাইরাস।
সে হিসেবে আঞ্চলিক ভাইরাস সংক্রমণের দিক থেকেও সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বর্তমান সময়ের সিকিউরিটি থ্রেটের বেশিরভাগই মোবাইল ফোনকেন্দ্রিক আর মোবাইল মেলওয়্যারের সবচেয়ে বেশি হার নিয়ে প্রথম সাইবার ঝুঁকির দেশ হিসেবে বাংলাদেশের নাম উঠে এসেছে।

এ ব্যাপারে ক্যাসপারস্কি ল্যাবের মেলওয়্যার-বিশেষজ্ঞ টিম আর্মস্ট্রং বলেন, মোবাইল ফোনে মেলওয়্যার ভাইরাস ছড়িয়ে দেয়ার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে হ্যাকাররা। তিনি বলেন, গত বছরের (২০১৪) তুলনায় এ বছর (২০১৫) মোবাইল ফোনে মেলওয়্যার ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সর্বশেষ (ডিসেম্বর ২০১৫) প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশে মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৩ কোটি ৩৭ লাখ ২০ হাজার।
এর মধ্যে মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫ কোটি ১৪ লাখ ৫৩ হাজার। বাংলাদেশে বড় একটি অংশ মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার করার কারণে বিশ্বের সাইবার ক্রিমিনালরা বাংলাদেশের প্রতি বেশি নজর দিচ্ছে। এদিকে থ্রিজির মাধ্যমে দ্রুতগতিতে ব্রাউজিং সেবা পাওয়া ও স্মার্টফোনের মূল্য সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে আসায় সাধারণ মানুষ ভুলে মোবাইল মেলওয়্যারে আক্রান্ত হচ্ছে।
মূলত মোবাইল কনটেন্টে সংযুক্ত ভাইরাসই মোবাইল মেলওয়্যার। সাধারণত মোবাইল থেকে কোনো ওয়েবসাইট ব্রাউজ করার সময় ‘নিষিদ্ধ বিজ্ঞাপন, সিস্টেম স্লো বা এ ধরনের সতর্কবার্তা প্রদর্শন, কোনো গান বা ভিডিও খুঁজতে গেলে ভিন্ন ফরম্যাটের ফাইল দেখানো বা তা নিজ থেকে ডাউনলোড হতে শুরু হওয়া ইত্যাদি মোবাইল মেলওয়্যারের কারণেই হয়ে থাকে।
নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আক্রান্ত হ্যান্ডসেটের অবস্থা স্প্যাম ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত কম্পিউটারের মতোই হচ্ছে। বাজারে যেসব অ্যান্টিভাইরাস পাওয়া যাচ্ছে, তা বর্তমানে প্রেরিত স্প্যামগুলোর ভাইরাস থেকে হ্যান্ডসেটকে মুক্ত রাখতে ততোটা সক্ষম নয় বলেও জানান বিশেষজ্ঞরা।
যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি ইনফরমেশন সিকিউরিটি সেন্টার (জিটিআইএসসি) থেকে প্রকাশিত বার্ষিক উত্থানশীল সাইবার হুমকি শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়, যত বেশি সংখ্যক ব্যবহারকারী স্মার্টফোন ব্যবহার করবেন, তত বেশি অ্যাপ্লিকেশনই আর্থিক লেনদেন ও অন্যান্য কাজে ব্যবহৃত হতে থাকবে, যার মাধ্যমে সাইবার অপরাধীরা অপরাধ সংঘটনের সুযোগ পাবে আরও বেশি। মোবাইলে অ্যাড সংক্রান্ত মেলওয়্যারের বাইরেও অনেকভাবে ভাইরাস ছড়ানো হচ্ছে।প্রথমদিকে কম্পিউটার ভাইরাসের মতোই এক্সিকিউটেবল ফাইলরূপে স্প্যামগুলো আসত যার কারণে সে স্প্যামগুলো শনাক্ত ও ব্লক করা খুবই সহজ ছিল।
কিন্তু বর্তমানে এ ঝুঁকিপূর্ণ স্প্যাম বা মেলওয়্যারগুলো আসছে এমপি থ্রি ফাইল, পিকচার বা এ জাতীয় মিডিয়া ফাইলের ছদ্মবেশে, যার কারণে ব্যবহারকারীর জন্য কোনটি স্প্যাম আর কোনটি স্প্যাম নয়, তা শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়েছে। মেলওয়্যার ট্র্যাক করা ও নিরাপত্তার জন্য সফটওয়্যার তৈরি ও সরবরাহ করা একটি কোম্পানি অ্যাডাপটিভ মোবাইলের কর্মকর্তা কনি জানান, অ্যাডাপটিভ মোবাইল একটি বিশেষ ভাইরাস চিহ্নিত করেছে যার নাম বিসেলো। এটি দু’ভাবে ছড়াতে পারে।
প্রথমত এটি এমএমএসের ছদ্মবেশে আক্রমণ করতে পারে। কিংবা ফোনের ব্লুটুথ ওয়্যারলেস প্রযুক্তি ব্যবহার করে সার্চ করলে তখন এটি মোবাইলে প্রবেশ করতে পারে। অ্যাডাপটিভ মোবাইল এ ভাইরাসটিকে বলছে এয়ারবোর্ন ভাইরাস বা বাতাসবাহী ভাইরাস।

রবিবার, ১৩ মার্চ, ২০১৬

অ্যান্ড্রয়েড ওস কি এর সৃজনশীলতা বা নতুনত্ব কি হারাতে বসেছে? আসুন একটু বিশ্লেষন করে দেখি।

বর্তমান বিশ্বে অ্যান্ড্রয়েড একটি বহুল জনপ্রিয় মোবাইল ওস, যা প্রায় বিশ্বের ৭০% মোবাইলে অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। অ্যান্ড্রয়েড ওস প্রতিনিয়ত আপডেট হচ্ছে এবং এরই ধারাবাহিকতায় গুগল অ্যান্ড্রয়েড ওস এর জন্য বেশ কয়েক দিন আগে Android N নামে একটি নতুন আপডেট প্রিভিউ ভার্সন হিসেবে তাদের ডেবলপার্সদের জন্য উন্মোক্ত করেছে। যেটি যাচাই বাছাইয়ের পর সাধারন ইউজারদের জন্য উন্মোক্ত করা হবে।

গুগলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে Android N হবে এযাবৎ কালের মধ্যে অ্যান্ড্রয়েড ওস এর জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ আপডেট  আর এটি স্মার্ট ফোন ইউজারদের এক নতুন এক্সপেরিয়েন্স দিতে সক্ষম হবে। কিন্ত মজার বিষয় হচ্ছে Android N এর হট এবং নতুন বেশ কয়েকটি ফিচার অন্য ওস এর কনসেপ্ট্ থেকে ধার করে নেয়া। তো চলুন ধার করে নেয়া ফিচারগুলো এক নজরে দেখি:
১.ডিরেক্ট রিপলাই: এটি হচ্ছে এমন একটি ফিচার যার মাধ্যমে আপনি কোন অ্যাপ ওপেন না করে অ্যাকশন সেন্টার বা নোটিফিকেশন সেন্টার থেকে সরাসরি মেসেজ রিপ্লাই করতে পারবেন। কিন্ত উইন্ডোজ মোবাইল ব্যবহারকারীরা ইতিমধ্যে এই ফিচারটি ব্যবহার করে আসছে।
২.বান্ডেল নোটিফিকেশনস: এটি এমন একটি ফিচার যেটি অ্যাপের ধরনের উপর নির্ভর করে ঐ অ্যাপটির নোটিফিকেশনগুলো বান্ডেল আকারে দেখাবে এবং ডিলিট করা যাবে। উইন্ডোজ ১০ মোবাইল ব্যবহারকারীরা ইতিমধ্যে এই ফিচারটির সাথে পরিচিত।
৩.ডাটা সেভার: এটি একটি গুরুত্বপূর্ন ফিচার যা 3g ডাটা ব্যবহার এবং খরচ কমাতে সাহায্য করবে এবং ডাটা ব্যবহারকে লিমিট সেটিং এর মাধ্যমে কনট্রোল করা যাবে। এই অসাধারন ফিচারটি উইন্ডোজ ফোন ব্যবহারকারীরা শুরু থেকেই উপভোগ করে আসছে।
৪.ইন বিল্ট DPI সেটিংস্: DPI এর অর্থ হচ্ছে ডটস্ পার ইনচ্। এই ফিচারটির মাধ্যমে ছবি ও ভিডিও এর রেজুলেশন ইচ্ছে মত পরিবর্তন করা যাবে। এই ফিচারটির সাথে iOS এবং Windows 10 ফোনের ইউজাররা আগে থেকেই পরিচিত।
৫.ডার্ক থিম: ডার্ক বা কালো থিম জন্মলগ্ন থেকেই উইন্ডোজ ফোনের জন্য একটি অবিচ্ছেদ্য ফিচার। যদিও Android N আপডেটে এটি নতুন ফিচার হিসেবে আসছে।
তো সবশেষে দেখা যাক ধার করে নেয়া এসব হট এবং নতুন ফিচার নিয়ে Android N কোয়ালিটি স্মার্ট ফোন ইউজারদের মনে কতটুকু জায়গা করে নিতে পারে। নাকি সময়ের সাথে সাথে অ্যান্ড্রয়েড ওস বর্তমান প্রতিযোগিতাপূর্ন বাজারে ধীরে ধীরে তার গুরুত্ব হারাতে থাকবে। এটির উত্তর শুধু সময়ই দিতে পারবে। আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন।

রবিবার, ৬ মার্চ, ২০১৬

হ্যাকার কারা এবং হ্যাকিং কি ?

 হ্যাকিং অনেক ধরনের,যার কোন শেষ নেই।কিন্ত আমরা আমাদের চোখের সামনে বা খবরে যেটা দেখি কেবল মাত্র সেটাই জেনে থাকি।কিন্ত আমরা যেগুলো জানি তার থেকে আরো ভয়ংকর হ্যাকিং বা হ্যাকার আছে যারা নিজের পরিচয় গোপন রাখে এবং এসব কাজে নিজের পরিচয় দেয় না।হ্যাকিং মানে আমরা বর্তমান বা আগে থেকে যেটা জেনে আসছি সেটা হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাই হ্যাক,ফেইসবুক আইডি হ্যাক,ইমেইল হ্যাক,মোবাইল হ্যাক ইত্যাদি।কিন্ত এর নাগালে আরো অনেক হ্যাকিং আছে যা আমাদের সবার জানা নেই।
হ্যাকিং একটি প্রক্রিয়া যেখানে কেউ কোন বৈধ অনুমতি ছাড়া কোন কম্পিউটার বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কে প্রবেশ করে। যারা এ হ্যাকিং করে তারা হচ্ছে হ্যাকার। এসব কথা তোমরা প্রায় সবাই জান। আমরা প্রায় সবাই জানি হ্যাকিং বলতে শুধু কোন ওয়েব সাইট হ্যাকিং আবার অনেকের ধারনা হ্যাকিং মানে শুধু কম্পিউটার বা কম্পিউটার নেটওয়ার্ক হ্যাক করা, আসলে কি তাই? না আসলে তা না। হ্যাকিং অনেক ধরনের হতে পারে। তোমার মোবাইল ফোন, ল্যান্ড ফোন, গাড়ি ট্র্যাকিং, বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক্স ও ডিজিটাল যন্ত্র বৈধ অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে তা ও হ্যাকিং এর আওতায় পড়ে। হ্যাকাররা সাধারনত এসব ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রের ত্রূটি বের করে তা দিয়েই হ্যাক করে।
হ্যাকারঃ যে ব্যক্তি হ্যাকিং practice করে তাকেই হ্যাকার বলে। এরা যে সিস্টেম হ্যাকিং করবে ঐ সিস্টেমের গঠন, কার্য প্রনালী, কিভাবে কাজ করে সহ সকল তথ্য জানে। আগে তো কম্পিউটারের এত প্রচলন ছিলনা তখন হ্যাকাররা ফোন হ্যাকিং করত। ফোন হ্যকার দের বলা হত Phreaker এবং এ প্রক্রিয়া কে বলা হ্য Phreaking। এরা বিভিন্ন টেলিকমনিকেশন সিস্টেমকে হ্যাক করে নিজের প্রয়োজনে ব্যবহার করত।
হ্যাকার প্রধানত দুইধরনের দেখা যাই।
  1. Ethical Hacker
  2. N0n-Ethical Hacker 
এদের আর অনেক ভাগ আছে এদের কাজে দিক দিয়ে। হ্যাকারদের চিহ্নিত করা হয় Hat বা টুপি দিয়ে। এদের মধ্যে কিছু হলঃ-
  • White hat hacker

  • Grey hat hacker

  • Black hat hacker

  • Green hat hacker

  • Red hat hacker

  • yellow hat hacker

  • Blue hat hacker

আরও অনেক আছে তবে এইগুলাই প্রধান। এদের কাজের কিছু ধরন নিচে দেওয়া আছে।


  • Black hat hacker: আর সবছেয়ে ভয়ংকর হ্যাকার হচ্ছে এ Black hat hacker। এরা কোন একটি সিকিউরিটি সিস্টেমের ত্রূটিগুলো বের করলে দ্রুত ঐ ত্রূটিকে নিজের স্বার্থে কাজে লাগায়। ঐ সিস্টেম নষ্ট করে। বিভিন্ন ভাইরাস ছড়িয়ে দেয়। ভাবিষ্যতে নিজে আবার যেন ঢুকতে পারে সে পথ রাখে। সর্বোপরি ঐ সিস্টেমের অধিনে যে সকল সাব-সিস্টেম রয়েছে সে গুলোতেও ঢুকতে চেষ্টা করে।

  • White Hat Hacker: সবাই তো মনে করে হ্যাকিং খুবই খারাপ কাজ তাই না? না হ্যাকিং খুব খারাপ কাজ না। White Hat Hacker হ্যাকাররাই প্রমান করে যে হ্যাকিং খারাপ কাজ না।যেমন একজন White Hat Hacker একটি সিকিউরিটি সিস্টেমের ত্রূটিগুলো বের করে এবং ঐ সিকিউরিটি সিস্টেমের মালিককে ত্রূটি দ্রুত জানায়।সিকিউরিটি সিস্টেমটি হতে পারে একটি কম্পিউটার, একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্কে্‌ একটি ওয়েব সাইট, একটি সফটওয়্যার ইত্যাদি।

  • Grey Hat Hacker: এরা হচ্ছে দু মুখো সাপ। কেন বলছি এবার তা ব্যাখ্যা করি। এরা যখন একটি একটি সিকিউরিটি সিস্টেমের ত্রূটিগুলো বের করে তখন সে তার মন মত কাজ করবে। তার মন ঐ সময় কি চায় সে তাই করবে। সে ইচ্ছে করলে ঐ সিকিউরিটি সিস্টেমের মালিককে ত্রূটি জানাতেও পারে অথবা ইনফরমেশনগুলো দেখতে পারে বা নষ্টও করতে পারে। আবার তা নিজের স্বার্থের জন্যও ব্যবহার করতে পারে। বেশিরভাগ হ্যাকাররাই এ ক্যাটাগরির মধ্যে পড়ে।

  • Blue hat hacker :- এরা আসলে হ্যাকিংয়ের সাথে তেমন জড়িত নয় কোন সফটওয়ার বা সিস্টেম শুরু করার পূর্বে এরা ঐ সফটওয়ার বা সিস্টেমের খারাপ বা ক্ষতিকারক দিকগুলো যাচাই বাছাই করে তা শোধরানের চেষ্টা করে।

  • green hat hacker:-এদের কাজ হলা আনলাইন এ সাধারন মানুষদের নিরাপত্তা দেওয়া।এরা যে কোন সময় যে কোন কাজ করতে পারে। এরাই সাধারন মানুষের কাছে সেরা।

  • Red hat hacker:-আপনারা টিভি অথবা ফ্লিমে দেখে থাকবেন যে পুলিশদের সাইবার ওয়ার্ল্ডে সাহায্য করার জন্য কিছু হ্যাকার আছে। এরাই Red Hat, এদের কাজ হল পুলিশদের জন্য হ্যাকিং করা।
আর কিছু আছে। যেমন -
  • Hacktivist:-এরা মূলত কোন রাজনৈতিক ব্যাপার ধর্ম সোসাল অ্যাটাক ইত্যাদির সাথে জড়িত। তবে অধিকাংশ হ্যাকটিভিস্টরা মূলত ডস অ্যাটাক বা ডি- ডস অ্যাটাকের সাথেই জড়িত।

  • Anarchists: Anarchists হচ্ছে ঐ সকল হ্যাকার যারা বিভিন্ন কম্পিউটার সিকিউরিট সিস্টেম বা অন্য কোন সিস্টেম কে ভাঙতে পছন্দ করে। এরা যেকোন টার্গেটের সুযোগ খুজে কাজ করে।

  • Crackers:- অনেক সময় ক্ষতিকারক হ্যাকার দের cracker বলা হয়। খারাপ হ্যকাররাই Cracker। এদের শক বা পেশাই হচ্ছে ভিবিন্ন পাসওয়ার্ড ভাঙ্গা এবং Trojan Horses তৈরি করা এবং অন্যান্য ক্ষতিকারক সফটয়ার তৈরি করা।ক্ষতিকারক সফটওয়ারকে Warez বলে। এসব ক্ষতিকারক সফটওয়ারকে তারা নিজেদের কাজে ব্যবহার করে অথবা বিক্রি করে দেয় নিজের লাভের জন্য।   (তুমি কি এদের একজন? তাহলে তো তুমি ই হচ্ছ হ্যাকিং এর কিং)

  • Script kiddies: এরা কোন প্রকৃত হ্যকার নয়। এদের হ্যাকিং সম্পর্কে কোন বাস্তব জ্ঞান নেই। এরা বিভিন্ন Warez ডাউনলোড করে বা কিনে নিয়ে তার পর ব্যবহার করে হ্যাকিং।
হ্যাকাররা অনেক বুদ্ধিমান এটা সর্বোজন স্বীকৃত বা সবাই জানে। অনেক ভালো ভালো হ্যাকার জীবনেও কোন খারাপ হ্যাকিং করেনি। কিন্তু তারা ফাঁদে পড়ে বা কারো উপর রাগ মিটানোর জন্য একটি হ্যাকিং করল। তখন আমরা তাকে উপরের কোন ক্যাটাগরিতে ফেলবো? সেও Grey Hat Hacker কারন তার হ্যাকিংটা নির্ভর করছে তার ইচ্ছে বা চিন্তার উপর।

মাইক্রোসফটের প্রতিষ্টাতা বিল গেটস-এর সেরা ২৫ টি উক্তি

🕮 আপনার সবচেয়ে অখুশি কাস্টমাররাই আপনার শিক্ষা নেওয়ার সবচেয়ে বড় উৎস। ’অর্থাৎ আপনার অসন্তুষ্ট ক্রেতাদের থেকেই আপনি শিক্ষাগ্রহণ করতে পারবেন। তাদের সকল অভিযোগই হচ্ছে শিক্ষার মূল উৎস। ”—সূত্র: বিজনেস দি স্পিড অব থট, ১৯৯৯
🕮 আমি কোন কঠিন কাজ করার জন্য সবসময় একজন অলস বাক্তিকে পছন্দ করবো, কারন সে ওই কাজটি করার একটি সহজ উপায় বের করবে।
🕮 পৃথিবী পরিবর্তন করে ফেলতে চাইলে বিয়ের আগেই করো। বিয়ের পরে পৃথিবী পরিবর্তন তো পরের কথা, টিভির চ্যানেলই চেঞ্জ করতে পারবে না।
🕮 যখন তোমার পকেট ভর্তি টাকা থাকবে তখন শুধুমাত্র তুমি ভুলে যাবে যে ‘তুমি কে’; কিন্তু যখন তোমার পকেট ফাঁকা থাকবে তখন সমগ্র দুনিয়া ভুলে যাবে ‘তুমি কে’!
🕮 সাফল্য একটি পরিপূর্ণ শিক্ষক। এটি স্মার্ট মানুষের চিন্তায় তারা কখনো ব্যর্থ হবে না এটি ঢুকিয়ে দেয়।’–সূত্র: দি রোড এহেড, বিল গেটস, ন্যাথান মাইহারভোল্ড এবং পিটার রিনিয়েরসন, ১৯৯৫
🕮 মানুষ সবসময় পরিবর্তনে ভয় পায়। তা আমরা দেখতে পাই, যখন বিদ্যুৎ আবিষ্কার হয়। তখন মানুষ বিদ্যুৎ ব্যবহারে ভয় পেত। তারা কয়লা এবং গ্যাস চালিত ইঞ্জিন ব্যবহারের ক্ষেত্রেও ভয় করত। যার অজ্ঞ থেকেছে তারা সব সময় নতুনকে বরন করে নিতে ভয় পেয়েছে। একটু সরাসরি বলতে গেলে, অজ্ঞতাই ভয়ের জন্ম দেয়।
🕮 আপনি যদি কোন কিছু ভালো ভাবে করতে না পারেন অন্তত চেষ্টা করুন।
🕮 আপনি যদি গরীব হয়ে জন্ম নেন তাহলে এটা আপনার দোষ নয়, কিন্তু যদি গরীব থেকেই মারা যান তবে সেটা আপনার দোষ।
🕮 আমাদের জন্য সফলতার প্রথম মূলমন্ত্র হলো, সব সময় খুব চৌকস ব্যক্তিদেরই কাজে নিয়ে আসুন। আমরা যদি উপযুক্ত ব্যক্তিদের নিয়োগ করে পূর্ণগতিতে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে উদ্বুদ্ধ করতে না পারি, তাহলে পেছনে পড়ে থাকাটাই হবে অনিবার্য পরিণতি। বদৌলতে কোম্পানিও বড় জোর মাঝারি বা নয় ভালো, নয় খারাপ অবস্থাতেই থেকে যাবে।’
🕮 আমরা যদি পরবর্তী শতাব্দীর কথা চিন্তা করি তবে তারাই নেতা হবে যারা অন্যদের ক্ষমতায়ন করে।’–সূত্র: জোসেফ প্রিচার্ডের বিল গেটস: এ বায়োগ্রাফি, ২০১২।
🕮 আমাদের এমন কিছু মানুষ প্রয়োজন যারা আমাদেরকে তাদের মতামত জানাবে, এভাবেই আমরা উন্নতি করতে পারব।
🕮 সবচেয়ে অসুখী মানুষের প্রতি লক্ষ্য করুণ, অনেক কিছু শিখতে পারবেন।
🕮 আমাদেরকে প্রচুর টাকা ঢালতে হবে আমাদের স্বভাবের পেছনে, যদি তা আমরা বদলাতে চাই ”
🕮 একটি নির্দিষ্ট সময়ে গিয়ে অর্থের কোন উপযোগিতা আমার কাছে নেই। একটি সংস্থা গঠন এবং তা থেকে প্রাপ্ত সম্পদ বিশ্বের দরিদ্রতম স্থানে প্রদান করাতেই এর উপযোগিতা নিহিত।’–সূত্র: দি টেলিগ্রাফ, ২০১৩
🕮 একবার পরীক্ষায় কয়েকটা বিষয়ে আমি ফেল করেছিলাম কিন্তু আমার বন্ধু সব বিষয়েই পাশ করে। এখন সে মাইক্রোসফটের একজন ইঞ্জিনিয়ার আর আমি মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা।
🕮 জীবন কতগুলো পরীক্ষার সেমিষ্টারে বিভক্ত নয়। এখানে কোনই গ্রীষ্মকালীন ছুটি নেই এবং খুব কম সংখ্যক লোকই তোমার সার্মথ্য চেনাতে সাহায্য করতে আসবে। ”
🕮 পুঁজিবাদ একটি বিস্ময়কর ব্যাপার যা মানুষের মাঝে প্রেরণা যোগায়। ইহার কারনে কিছু উদ্ভাধন হতে পারে, কিন্তু এ পৃথিবীর সকল এলাকার জন্য ইহা মঙ্গল জনক নয়।
🕮 বিল গেটস বলেন- আমি এটা বিশ্বাস করি যে, আপনি যদি মানুষদের সমস্যা দেখান এবং তার সমাধানও দেখান তবে মানুষ স্থানান্তর হবে।
🕮 যদি আপনি গরীব হয়ে জন্মগ্রহণ করেন, সেটি আপনার দোষ নয়। কিন্তু যদি আপনি গরীব হয়ে মারা যান, তাহলে সেটি আপনার দোষ।
🕮 সফলতা উৎযাপন করা ভালো তবে ব্যর্থতার দিকেও নজর দিতে হবে।
🕮 সরকার মানুষের জন্য নীতি তৈরি করে এবং তারা মানুষদের সম্পদ প্রদান করে থাকে যাদের তা প্রয়োজন। তারা গবেষণার জন্য অর্থ সংগ্রহ করে থাকে, যা দ্ধারা নতুন কোন কিছু আবিষ্কারের মাধ্যমে মানুষের জীবন মান উন্নত করতে পারে।
🕮 I really had a lot of dreams when I was a kid, and I think a great deal of that grew out of the fact that I had a chance to read a lot. আমি যখন ছোট ছিলাম, তখন আমার সত্যি সত্যি অনেক অনেক স্বপ্ন ছিল। আর এ স্বপ্ন তৈরি হয়েছিল, কারণ আমার অনেক অনেক পড়ার সুযোগ ঘটেছিল।
🕮 🕮 🕮 কে বলেছে আমরা দারিদ্র্য কিংবা রোগব্যাধিকে মির্মূল করতে পারব না? আমরা অবশ্যই পারব৷ সমস্যা যত বড়ই হোক না কেন, আশা মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে, নতুন কিছু উদ্ভাবন করতে অনুপ্রেরণা জোগায়৷ কিন্তু সমস্যাকে নিজের চোখে না দেখলে শুধু আশা দিয়ে সমস্যা সমাধান করা যায় না৷আমি হতাশাবাদীদের দলে নই৷ কিন্তু আমাদের স্বীকার করতে হবে যে প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনকে যদি আমরা বৈষম্য দূরীকরণের কাজে না লাগাই, তাহলে ভবিষ্যতে আমরা এমন সব উদ্ভাবন নিয়ে বসে থাকব, যা পৃথিবীকে আরও বিভক্ত করে ফেলবে৷ উদ্ভাবন দিয়ে কী হবে, যদি তা স্কুলে শিক্ষার মান না বাড়ায়? যদি ম্যালেরিয়া নির্মূল করা না যায়, দারিদ্র্য দূর করা সম্ভব না হয়, দরিদ্র কৃষকের অন্নের নিশ্চয়তা না থাকে?
তোমরা স্নাতকেরা অসংখ্য উদ্ভাবনে নেতৃত্ব দেবে, পৃথিবীকে এগিয়ে নিয়ে যাবে৷ তোমাদের বয়সে আমি পৃথিবীকে যতটা চিনতাম, আমি বিশ্বাস করি, আজ তোমরা তার চেয়ে অনেক বেশি জানো৷ আমি যা করেছি, তোমরা তার চেয়ে অনেক বেশি কিছু করতে পারবে, যদি তোমরা এতে তোমাদের মনপ্রাণ ঢেলে দাও৷ আমি সেই প্রত্যাশায় রইলাম৷—[১৫ জুন, ২০১৪ যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে দেওয়া বিল গেটসের বক্তব্যের নির্বাচিত অংশ]
বিল গেটসের দৃষ্টিতে সাফল্যের সূত্র ৫ টি
——————————
আপনি যদি জীবনের সাফল্য চান তাহলে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির উদাহরণ বিবেচনা করাই সবচেয়ে ভালো। আর বিশ্বের এক সময়ের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি বিল গেটস সম্প্রতি সাফল্যের জন্য কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছেন। এ লেখায় রয়েছে সেই সূত্রগুলো।
১. ‘না’ বলা শিখুন
আপনি কোনো কাজে অসমর্থ হলে সেজন্য নিশ্চয়ই অপারগতার কথা জানাবেন। কিন্তু এজন্য না বলতে অনেকেই আনাড়িপনার পরিচয় দেন। ফলে পরিস্থিতি জটিল হয়ে পড়ে। আর তাই না বলার বিষয়টি শিখে নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ পরামর্শটি বিল গেটস পেয়েছেন বিশ্বসেরা একজন বিনিয়োগকারী ওয়ারেন বাফেটের কাছ থেকে।
২. সমালোচনা গ্রহণ করুন
সমালোচনাকে অনেকেই ভালোভাবে নিতে পারেন না। যদিও বিল গেটসের পরামর্শ হলো, সমালোচনাকে সব সময় সাদরে গ্রহণ করতে হবে। সমালোচনাকারীর কথা ভালো না লাগলেও তা মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে এবং তা থেকে নানা দোষ-ত্রুটি সমাধানের পথ খুঁজতে হবে।
৩. আশাবাদী হওয়া
আশাবাদী হওয়ার বিষয়টি অনেক সহজ মনে হলেও অনেকের পক্ষেই আশাবাদী হওয়া কঠিন। আর আশাবাদী না হলে কোনো বিনিয়োগ কিংবা ব্যবসাই শুরু করা সম্ভব নয়। আশা ছাড়া দুর্গম চলার পথে এগিয়ে যাওয়া অসম্ভব।
৪. বিফলতার প্রস্তুতি
জীবনের সব কাজেই যে সফলতা পাওয়া যাবে এমন কোনো কথা নেই। নানা প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে ব্যর্থতা আসতেই পারে। কিন্তু সেজন্য প্রস্তুত থাকা প্রয়োজন। বিফলতায় নিরাশ না হয়ে বরং তা থেকে শিক্ষা নিতে হবে। পূর্ণোদ্যমে নতুন কাজে ঝাপিয়ে পড়তে হবে।
৫. লক্ষ্য নির্ধারণ ও সেদিকে অগ্রসর হওয়া
সাফল্যের জন্য প্রয়োজন একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করা এবং ক্রমাগত সেই লক্ষ্যের দিকে অগ্রসর হওয়া। জীবনে লক্ষ্য নির্ধারণ না করলে অগ্রসর হওয়ার উপায় থাকে না। তাই নির্দিষ্ট একটি সঠিক লক্ষ্য নির্ধারণ করে সে লক্ষ্য অনুযায়ী সব কার্যক্রম পরিচালিত করতে হবে।

ল্যাপটপ ব্যাবহারকারিদের জন্য ২০+ টিপস (ল্যাপটপ ব্যাবহার করলে কাজে আসবেই)

অনেকেই এখন ডেস্কটপ এর পরিবর্তে ল্যাপটপ ব্যাবহার করছে। যদিও প্রোফেশনাল কাজের জন্য ডেস্কটপই উপযুক্ত। তবে যারা শখের বশে কম্পিউটার ব্যবহার করেন, তাদের ল্যাপটপ কেনাই উচিত। ল্যাপটপ সাধারনত দুই ধরনের হয়ে থাকে- নেটবুক, নোটবুক।
ল্যাপটপ1
যারা হাল্কা কাজ বা অনলাইনে কাজ করে থাকেন তারা সাধারনত নেটবুক ব্যাবহার করে থাকেন। আর অপেক্ষাকৃত ভারী কাজ ও হাই গ্রাফিক্স এর গেমিং এর জন্য অনেকে নোটবুক কিনে থাকেন। শুধু ল্যাপটপ কিনে ব্যাবহার করলেই চলবে না। ব্যাবহার এর সাথে সাথে নিয়মিতভাবে এর যত্নও নিতে হবে। আপনার ল্যাপটপটি যাতে দীর্ঘদিন ঠিকভাবে সার্ভিস দিতে পারে সে জন্য কিছু টিপস মেনে চলা উচিত। এতে করে ল্যাপটপের পারফরমেন্স ভাল থাকবে।
ল্যাপটপ ব্যাবহার করলে কাজে আসবেই
  • ব্যাটারি দিয়ে ল্যাপটপ চালানো না লাগলেও ২/৩ সপ্তাহে মাঝে মাঝে ব্যাটারি থেকে চালাতে হবে, নতুবা ব্যাটারি আয়ু কমে যাবে।
  • ব্যাটারিতে ল্যাপটপ চালানোর সময় স্ক্রিনের ব্রাইটনেস কমিয়ে দিন।
  • মাঝে মাঝে ব্যাটারির কানেক্টর লাইন পরিষ্কার করুন।
  • ভালো মানের এন্টিভাইরাস ব্যবহার করুন।
  • দরকারি ছাড়া অন্য উইন্ডোগুলো মিনিমাইজ করে রাখুন।
  • হার্ডডিস্ক থেকে মুভি-গান প্লে করুন, কারণ সিডি/ডিভিডি র‌্যাম অনেক বেশি পাওয়ার নেয়।
  • এয়ার ভেন্টের পথ খোলা রাখুন ও সহজে বাতাস চলাচল করে এমনভাবে ল্যাপটপ রাখুন, সরাসরি সূর্যের আলোতে রাখবেন না।
  • শাট ডাউনের পরিবর্তে হাইবারনেট অপশন ইউজ করুন।
  • ব্লু-টুথ ও ওয়াই-ফাই কানেকশন বন্ধ রাখুন।
  • হার্ডডিস্ক ও সিপিইউ-এর মেইনটেন্যান্সে কোনো কাজ করবেন না।
  • অপ্রয়োজনীয় প্রোগ্রামগুলো বন্ধ করুন।
  • মাঝে মাঝে মেমোরি ক্লিনের জন্য Ram Cleaner, Ram Optimi“er, Mem Monster, Free Up Ram, Super Ram নিয়মমাফিক ডিফ্রাগমেন্ট করুন।
  • আপাতত দরকার নেই এমন প্রোগ্রাম আনইনস্টল করুন।
  • ল্যাপটপ এর উপর ময়লা পরলে তা পরিষ্কার করা যেই কাজটা আমরা অনেকেই করি না। আর অবশ্যই সঠিক পরিস্কারক দ্রব্য ব্যবহার করা উচিত।
  • ল্যাপটপের কি বোর্ড ও মাউস এর পরিবর্তে এক্সটারনাল কি বোর্ড ও মাউস ব্যবহার করা। এতে করে ল্যাপটপের কিবোর্ড এবং মাউস প্যাড ভাল থাকবে দীর্ঘ দিন।
  • ল্যাপটপে বেশি গ্রাফিক্সের গেমস না খেলা, এতে করে ল্যাপটপ খুবই উত্তপ্ত হয়ে যায় যা ভেতরের অন্যান্য যন্ত্রপাতির জন্য ক্ষতিকারক।
  • ল্যাপটপে যথা সম্ভব ছোট সাইজের সফটওয়্যার ব্যবহার করা উচিত।
  • ল্যাপটপ য়থা সম্ভব কম সময়ের জন্য চালানো উচিৎ।
  • সরাসরি তাপ থেকে ল্যাপটপ দূরে রাখা উচিত।
  • ল্যাপটপ বেশিক্ষণ কোলের ওপর রেখে ব্যবহার করা উচিত নয়। কিছুদিন আগে একদল গবেষক ল্যাপটপ ব্যবহারকারীর মাঝে এক জরিপ চালিয়ে দেখেছেন, যারা কোলের ওপর রেখে অনেকক্ষণ ল্যাপটপ ব্যবহার করেন তাদের প্রজনন ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।
  • ল্যাপটপে বিল্ট-ইন কিছু ডিভাইস আছে যেমন : ব্লু-টুথ, ওয়াই-ফাই, ইনফ্রারেড ইত্যাদি। প্রয়োজন না থাকলে ল্যাপটপ ব্যবহারের সময় এসব ডিভাইস বন্ধ করে রাখুন। এতে ব্যাটারির শক্তি খরচ কম হবে।
  • ল্যাপটপ বহনে ল্যাপটপের জন্য বিশেষভাবে তৈরি ব্যাগ ব্যবহার করুন। এসব ব্যাগ ল্যাপটপকে বাইরের আঘাত থেকে রক্ষা করতে পারে। এছাড়া ভ্রমণে ল্যাপটপ বহন করার জন্য কাঁধে ঝুলানোর সুবিধাযুক্ত ব্যাগ ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে বহনে সুবিধার পাশাপাশি আরেকটি সুবিধা হলো, বাইরে থেকে বোঝাই যাবে না যে আপনি ল্যাপটপ বহন করছেন। তাই ছিনতাইকারীর দৃষ্টি থেকে রক্ষা পেতে পারেন।
  • ল্যাপটপে গেম খেলা বা কোনো কিছু টাইপ করার জন্য এক্সটার্নাল কি-বোর্ড এবং মাউস ব্যবহার করুন। কারণ, এসব ক্ষেত্রে বেশি ব্যবহারে ল্যাপটপের টাচ প্যাড এবং কি-বোর্ডের আয়ু কমে যেতে পারে।
  • ঘরে বা বাইরে বিদ্যুত্ ব্যবহারের সুবিধা আছে এমন স্থানে সরাসরি বিদ্যুত্ ব্যবহারের মাধ্যমে ল্যাপটপ চালান। ল্যাপটপের ব্যাটারির একটি নির্দিষ্ট আয়ু আছে। একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক বার চার্জ হওয়ার পর এই ব্যাটারিটি নষ্ট অর্থাত্ ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে যায়।
  • ল্যাপটপের এয়ার ভেন্টটি নিয়মিত পরিষ্কার করুন। কারণ এয়ার ভেন্ট বন্ধ হয়ে গেলে প্রচুর তাপ উত্পন্ন হবে, যা ল্যাপটপের জন্য ক্ষতিকর। খাবার ও পানীয় থেকে ল্যাপটপ দূরে রাখুন। না হলে অসাবধানতাবশত ল্যাপটপের ওপর পানি পড়ে নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
  • ল্যাপটপ ডেস্কটপের মতো একটানা ব্যবহার করা ঠিক নয়। বেশ কয়েক ঘণ্টা ব্যবহার করার পর ল্যাপটপ কিছু সময় বন্ধ রাখা উচিত। আপনার চোখের সুবিধার জন্য স্ক্রিনের লাইট আপনার চোখের সঙ্গে মানানসই করে রাখুন। মনে রাখবেন, এমন হাই কালার দিয়ে রাখবেন না যেটি আপনার চোখের সহ্যের বাইরে। প্রয়োজনে ঋষীঁ নামের একটি জনপ্রিয় সফটওয়্যার দিয়ে এ কাজটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে করতে পারেন।

কম্পিউটারের ক্ষতিকর প্রোগ্রাম(VIRUS,WORM) এর ইতিবৃত্ত

কম্পিউটার ব্যবহার করি কিন্তু ক্ষতিকর প্রোগ্রাম VIRUS,WORM এর নাম জানি না বা VIRUS,WERM এর যন্ত্রণা ভোগ করি নাই এমন মানুষ কম আছে। আবার কিছু কিছু মানুষ আছে যারা VIRUS এর নাম শুনলে এতো ভয় পায় যে কম্পিউটারকে গান শুনা,ছবি দেখা, ও ছোট-খাটো কাজ ব্যতীত অন্য কাজই করে না। কিন্তু বেশীর ভাগ মানুষই এই VIRUS সম্পর্কে তেমন কিছু জানে না। আসা করি এই লেখাটি পড়লে VRIUS সম্পর্কে অনেক ধারনা পাবেন। VIRUSএর Full Meaning হলো- Vital Information Resources Under Seize . Dr. Cohen (Professor of University of Southern California) Says “A program that can ‘infect’ other programs by modifying them to include a version of itself”. VIRUS অন্যান্য Software এর মতই কিছু কোড এর সমন্বয়ে তৈরি হয়ে থাকে। কিন্তু এই কোড গুলো  কম্পিউটার ব্যবহারকারির ক্ষতি সাধন করে। বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি সাধন এর মধ্যে রয়েছে – কম্পিউটার গতি ধীর করা, File মুছে ফেলা, তথ্য চুরি করা, কম্পিউটার Restart করা আরও অনেক কিছু। VIRUS এর ইতিহাস এক এক জায়গায় এক এক রকম। তার মধ্য থেকে সব চেয়ে নির্ভরযোগ্য তথ্য গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করছি যদি কোন ভুল থাকে জানাবেন সংশোধন করে নিবো। সর্বপ্রথম VIRUS এর ধারনা করে John von Neumann ১৯৪৯ সালে। তার “Theory and Organization of Complicated Automata” তে বলেন – একটি কম্পিউটার প্রোগ্রাম হতে পারে যার আত্ম-প্রতিলিপি নির্মাণ এর ক্ষমতা থাকবে। মানে একটি কম্পিউটার প্রোগ্রাম যে নিজে নিজে কাজ করতে পারবে। আমরা অনেকেই ভাইরাসকে (VIRUS) কম্পিউটার ওয়ার্ম(WORM) ও ট্রোজান হর্স(TROJAN HORSE) এর সাথে মিলিয়ে ফেলি। আসলে ভাইরাস (VIRUS) ও কম্পিউটার ওয়ার্ম(WORM) ও ট্রোজান হর্স(TROJAN HORSE) সম্পূর্ণ আলাদা জিনিস। ভাইরাস আক্রমণের ক্ষেত্রে Host Application বা বাহকের প্রয়োজন পড়ে যেমন Boot-Sector Virus ও Macro Virus কিন্তু ওয়ার্মের (WORM) ক্ষেত্রে তেমনটি নয়। ওয়ার্ম(WORM)  খুব সহজেই নিজেদের একাধিক কপি তৈরি করতে পারে (reproduce) ও বিস্তারের ক্ষেত্রে দুটি কম্পিউটারের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে বাহন হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। এর ট্রোজান হর্স(TROJAN HORSE)  হল একটি ফাইল যা এক্সিকিউটেড বা Open হবার আগ পর্যন্ত কোন ক্ষতি করে না।তবে Open করলেই শুরু করে দিবে তার কাজ।
 

 কম্পিউটারের ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য কিছু VIRUS ও WORM এর কথা-


  • পৃথিবীর সর্বপ্রথম VIRUS আবিস্কার হয় ১৯৮১ সালে যাকে বলা হয় “in the wild” এটা সর্বপ্রথম Apple II তে floppy disk মাধ্যমে ছড়ায় Elk Cloner নামে। তবে এটা কোন ক্ষতি করতো না শুধু মাত্র ছোট্ট একটা কবিতা Display করতো মনিটরে। কবিতাটা ছিল-
1
2
3
4
5
6
7
8
9
10
11
It will get on all your disks
It will infiltrate your chips
Yes it’s Cloner!
It will stick to you like glue
It will modify ram too
Send in the Cloner!
  • ১৯৮৬ সালে তৈরি হয় প্রথম Documented file VIRUS। যা MS-DOS অপারেটিং সিস্টেমে পরিচালিত কম্পিউটারে আক্রমন করে। সেই বছরই প্রথম Trojan horse VIRUS মুক্তি পায় তখনকার জনপ্রিয় PC Write নামক shareware প্রোগ্রামে।
Computer_Worm
 
  • ১৯৮৭ সালের নভেম্বরে Lehigh University,U.S.A  তে আবিস্কার হয় Lehigh নামক VIRUS। এটাই হল প্রথম VIRUS যা কম্পিউটারের মেমরিতে কাজ সম্পাদান করতো। এটা তখনই কজ করতে পারত যখন এই VIRUS File টা Open করা হতো। এই Lehigh VIRUS টি “COMMAND.COM” নামে একটি File এর মাধ্যমে আক্রমন করতো।
  • ১৯৯২ সালে সম্পূর্ণ পৃথিবীতে সর্বপ্রথম সব চেয়ে বড় আঘাত আনে Michelangelo নামক VIRUS।এটা তুলনামূলক কম ক্ষতিকর ছিল।
  • ১৯৯৬ সালে সম্পূর্ণ পৃথিবীতে প্রথম Macro Virus ছড়িয়ে পড়ে। যা মূলত অপারেটিং সিস্টেম Windows 95 এর ক্ষতি করতো। পরবর্তীতে অবশ্য Linux অপারেটিং সিস্টেমেও ক্ষতি করতো।
  • ১৯৯৯ সালে Melissa নামক VIRUS এর উৎপত্তি ঘটে। এটা Macro Virus এবং WORM এর সমন্বয় ছিল।এটা Microsoft Outlook and Outlook Express এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীর  E-mail প্রোগ্রাম এর মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তো। তখন এই Melissa নামক VIRUS বিশ্ব অনেক গুলো Company ও সাধারন ব্যবহারকারীর ক্ষতি করে।
  • ২০০০ সালে LoveLetter WORM এর উৎপত্তি ঘটে। যা “Love Bug” নামেও পরিচিত। এটা E-mail এর মাধ্যমে ছড়াত। ব্যবহারকারি যখন ঐ E-mail টি Open করার সাথে সাথে ঐ ব্যবহারকারীর তো ক্ষতি হতই সাথে সাথে তার Address Book এ যত E-mail ID থাকতো সেগুলতেও ছড়িয়ে পড়তো। তখন এই Love Bug প্রায় ১০ হাজার Corporate e-mail Systems বন্ধ করে দেয়।
  • ২০০৩ সালের জানুয়ারীতে “Slammer” নামক WORM প্রায় ১০০০০০০ টি  কম্পিউটার আক্রমন করে মাত্র ৩ ঘণ্টার মধ্যে। এতে ব্যবসায়ী ও Airlines  Company গুলোর বেশী ক্ষতি হয়।
  • ২০০৭ সালে “Storm WORM ”  নামক WORM এর উৎপত্তি ঘটে। এটা E-mail এর মাধ্যমে ছড়াত। একটি E-mail আসতো, সেখানে একটি News থাকতো আর Film Download করার কথা জিজ্ঞাসা করতো। এই WORM টি ১৩ দিনের মধ্যে প্রায় ১.৩ মিলিয়ন কম্পিউটারের ক্ষতি করে।
  • ২০০৯ সালে “Conficker” নামক WORM ইন্টারনেট এর মাধ্যমে প্রায় ৯ মিলিয়ন Windows অপারেটিং সিস্টেমে চালিত কম্পিউটারে ছড়িয়ে পড়ে।
এই ছিল আমার জানা কম্পিউটারের ক্ষতিকর প্রোগ্রামের (VIRUS,WORM) ইতিহাস এর কিছু অংশ।

বুধবার, ২ মার্চ, ২০১৬

ঘুম না আসলে করণীয় ৭টি বিষয়

  • ঘুম না আসার কারণ খুঁজে বের করুন – ঘুম না আসার পেছনে কোন বিশেষ কারণ আছে কিনা সেটা খুঁজে বের করুন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নানামুখী টেনসন ঘুম না আসার পেছনে অন্যতম কারণ হিসেবে থাকে। যতক্ষণ মাথায় টেনসন থাকবে ততক্ষণ ঠিকমতো ঘুমাতে পারবেন না, এটাই স্বাভাবিক। সম্ভব হলে মাথা থেকে এই টেনসন ঝেড়ে ফেলুন। নয়তো নিজে নিজে বা কারও সাহায্য নিয়ে টেনসনের মূল কারণটা সমাধান করার চেষ্টা করুন। যদি অনেক চিন্তা-ভাবনা মাথায় ঘুরতে থাকে তাহলে কোথাও সেটা লিখে ফেলুন। এতে মাথাটা একটু হলেও হালকা হবে।
  • গরম পানি দিয়ে গোসল করুন – রাতে ঘুম না আসলে মৃদু গরম পানি দিয়ে গোসল করে ফেলুন। এতে শরীর অনেক হালকা মনে হবে। শরীরের কোষগুলোর মধ্যে শিথিলতা চলে আসবে। আর আশা করা যায় এতে খুব সুন্দর একটা ঘুম দিতে পারবেন আপনি।
  • পাতলা কাপড় পড়ুন – ঘুমানোর সময় যতটা হালকা হয়ে ঘুমানো যায় ততোটাই ভালো। ভারী-মোটা কাপড় ত্যাগ করে হালকা ট্রাউজার, পাতলা টিশার্ট পড়ে ঘুমানোর চেষ্টা করুন ।
  • ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতি থেকে দূরে থাকুন – ঘুম না আসলে অনেকে মোবাইলে, কম্পিউটারে সময় কাটায়। কিন্তু এতে করে ঘুম না আসাটাকে আরও দীর্ঘায়িত করে দেয়া হয়। ঘুমানোর অন্তত ১ ঘণ্টা আগে থেকেই ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতি থেকে নিজেকে দূরে রাখুন। মোবাইলে অ্যালার্ম দিলেও সেই মোবাইলকে একেবারে মাথার কাছে রাখবেন না।
  • সারাদিন কি করলেন ভাবুন – জেগে ওঠার পর ঘুমানোর আগ পর্যন্ত সারাদিন কোথায় কি করলেন সেটা গোড়া থেকে ভাবতে শুরু করুন। আলহামদুলিল্লাহ আমার ঘুমে কোন সমস্যা হয়না, যখন খুশি ঘুমাতে পারি। তবুও কোনদিন ঘুম না আসলে আমি এই পদ্ধতি অনুসরণ করি।
  • উল্টা গুণুন – ১০০ থেকে ১ অবধি উল্টাপথে গোণা শুরু করুন। ১ পর্যন্ত আসার আগেই হয়তো আপনি ঘুমিয়ে পোড়বেন !
  • ঘুমানোর জায়গা পরিষ্কার করে নিন – ঘুমানোর জায়গা যদি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না থাকে ঠিকমতো তাহলে সেটা ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। আর ঘুমানোর খাটে এসব ময়লা টয়লা বিরক্তির কারণও হতে পারে। তাই বিছানা ভালোভাবে পরিষ্কার করে নেয়া উচিত।

ফ্রীলাঞ্চিং এ উন্নতি করতে হলে

কোন বিষয়ে ভাল দক্ষতা আর সেই বিষয়ের উপরে বাস্তব জীবনে দক্ষ কর্মী হওয়া এক কথা নয় । বিষয়টা আরেকটু সহজ ভাবে বলা জেতে পারে , ধরুন আপনি একজন ভাল ওয়েব ডেভেলপ করতে পারেন সেটা আপনার বিষয় ভিত্তিক দক্ষতা কিন্তু এর মানে এই নয় যে আপনি আপনার এই দক্ষতা দিয়ে ভাল ফ্রীলাঞ্চিং করতে পারবেন ! ( আমি বলছি না যে পারবেনই না  ) । ফ্রীলাঞ্চিং হল সেলফ ব্রান্ড বিজনেস । এই ক্ষেত্রে ভাল কিছু করতে হলে আপনাকে যেমন কাজে দক্ষ হতে হবে তেমনি যোগাযোগ সহ নিজেকে উপস্থাপন এবং আরও বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষ হতে হবে ।
মানুষকে জানান দিতে হবে যে আপনি একটি বিষয়ের উপরে দক্ষ । এই জানান দেওয়ার বিভিন্ন মাধ্যম আছে সেটা হতে পারে ব্লগিং কিংবা রিয়েল লাইফ প্রজেক্টের সাথে যুক্ত থাকা ।
বাস্তবতাকে মেনে নিতে শিখুন । একটা ছোট উদাহরণ দেই , ধরুন আপনি চিন্তা করলেন যে আপনি আম খাবেন । আপনি করলেন কি সাথে সাথে বাজার থেকে আমের চারা রোপণ করলেন আর রোপণ করার পর পরই আম খাওয়ার জন্য আম গাছের গোরা ধরে বসে পরলেন !!!
আপনার ভাগ্যে কি ফল পাওয়া সম্ভব । অবশ্যই না । সেটা পেতে হলে আপনাকে গাছের যত্ন নিতে হবে , অপেক্ষা করতে হবে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ।
একদিন যখন গাছটি বড় হবে তখন দেখবেন গাছে ফল আসতে শুরু করেছে ।
তখন এতই আম আসবে যে আপনার নিজের পক্ষে খাওয়া সম্ভব হবে না । তখন সেগুলো আপনি পরিবার , প্রতিবেশীদের দিতে পারবেন বা বাজারে বিক্রিও করতে পারবেন ।
এবার আছি আসল কথায় , আমরা অনেকেই ভাবি যে চাকরি নেই ফ্রীলাঞ্চিং করবো , যেই ভাবা সেই কোন একটা মার্কেটপ্লেসে ঢুকে কোন কাজ জেনে বা না জেনে কিংবা অনেক জেনে সারাদিন কাজে আপ্লাই শুরু । তারপর এভাবে কয়েকমাস করে অবশেষে কাজ না পেয়ে হতাশা ……
আগেই বলেছি ফ্রিলাঞ্চিং হল সেলফ ব্রান্ডিং । নিজেকে তুলে ধরতে হবে সবার মাঝে । আর এই ক্ষেত্রে রয়েছে অনেক অনেক প্রতিযোগিতা ।
এই প্রতিযোগিতায় টিকটে হলে প্রথমে আপনাকে নিজেকে গরে নিতে হবে । যে বিষয়ে আপনার দক্ষতা আছে সেই বিষয়ের উপরে আপনার প্রজেক্ট রেডি করুন ।
যেমন আপনি যদি ডেভেলপার হন তাহলে না না রকম ওপেনসোর্স প্রজেক্টের সাথে যুক্ত হন , প্লাগিন , এক্সটেনশান ডেভেলপ করুন , গীটহাবে রিপু করুন
যদি ডিজাইনার হন তাহলে সব সময় প্রাক্টিস এর মধ্যে থাকুন আপনার কাজগুলো বেহান্স বা ড্রিবলে রাখুন । দেখবেন ক্লায়েন্টরা আপনার কাজ দেখে আপনার সাথে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করছে । মনে রাখবেন এই প্রতিযোগিতার বাজারে ক্লায়েন্টদের “আমি উমুক পারি আমি তুমুক পারি” বলার চাইতে কোন রিয়েল লাইফ প্রোজেক্টের লিঙ্ক দিলেই তারা আপনার প্রতি ভরসা পাবে ।
ক্লায়েন্টদের না না রকমের প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করবেন , তারা কিছু না বুঝলে তাদের খুলে বুঝান । আপনার সততা ও দক্ষতা দ্বারা আপনি আপনার সম্পর্কে ক্লায়েন্টদের মাঝে নির্ভরশীলতা সৃষ্টি করুন ।
আর সব কথার শেষ কথা ভাল করে কাজ শিখুন এবং তারপর মার্কেটপ্লেসে আসুন । আপনি কাজের সবকিছু জানেন না এটাই স্বাভাবিক কিন্তু কিছু না জেনে সেটা জানার চেষ্টা করলে না না এটা অস্বাভাবিক । কাজের জন্য জানার পাশাপাশি অজানা বিষয়গুলার একটা লিস্ট করুন । তারপর অবসরে শুরু করে দিন গুগল সার্চ করা । দেখবেন আসতে আসতে বিষয় টা আয়ত্ব হয়েছে । নতুন শিক্ষা বিষয়টি নিয়ে ফাইনালি কোন প্রাকটিস প্রজেক্ট করুর এবং পরে ক্লায়েন্টের কাজে নেমে পরুন । নতুন বিষয় জানার প্রুতি ভাললাগা তৈরি করুন ।
সকলের ফ্রীলাঞ্চিং ক্যারিয়ার সফল হোক , আজকের মত এই টুকুই   :)

কিছু দুর্বল পাসওয়ার্ড যা হ্যাকারদের কাছে এগুলো ব্রেক করা কোনো ব্যাপারই না

জীবনে আমরা প্রচুর বোকা বোকা কাজ করে থাকি। তার মধ্যে অন্যতম দুর্বল পাওয়ার্ড দেয়া। অনেকেই পাসওয়ার্ড নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামাতে চান না। তাই একেবারই সহজ দিয়ে ফেলেন। অনেকে আবার নিজে ভুলে যাবেন বলে এমন পাসওয়ার্ড দেন যা ব্রেক করা খুবই সহজ। কেউ কেউ আবার পাসওয়ার্ড জটিল করতে গিয়ে হাস্যকর করে ফেলেন। হ্যাকারদের কাছে কিন্তু এগুলো ব্রেক করা কোনো ব্যাপারই না। দেখে নিন এমনই কিছু দুর্বল পাসওয়ার্ড।


পাসওয়ার্ড


Starwars (স্টারওয়ারস)
এই বছর দ্য ফোর্স অ্যাওকেনস ছবির মু্ক্তির জন্য অনেকেরই মাথায় ঘুরছিল স্টারওয়ারস শব্দটা। তাই পাসওয়ার্ড হিসেবেও ব্যবহার হয়েছে। এই পাসওয়ার্ড ব্রেক করা কিন্তু খুব সোজা। যদি হ্যাকাররা বুঝে যান আপনার পাসওয়ার্ড
Passw0rd (পাসওয়ার্ড)
অনেকেই পাসওয়ার্ড শব্দটা ব্যবহার করে ভাবেন খুব বুদ্ধিমানের মতো পাসওয়ার্ড দিয়েছেন। ‘O’ -বদলে জিরো দিয়ে পাসওয়ার্ড লিখলে ব্রেক করাও সহজ। স্প্লাশডেটা জানাচ্ছে, এটা ব্রেক করাও খুবই সহজ।
Solo (সোলো)
সিঙ্গল, স্বাধীনচেতা মানুষরা প্রায়ই এই পাসওয়ার্ড দিয়ে থাকেন। এর সঙ্গে অনেক সময় কিছু স্পেশাল ক্যারেক্টর দিয়ে পাসওয়ার্ড জটিল করার চেষ্টা করা হয়। হ্যাকাররা কিন্তু জানাচ্ছেন এই পাসওয়ার্ড খুবই কমন।
Qwertyuiop
দেখে খুবই জটিল মনে হচ্ছে? এ বার নিজের কম্পিউটার কি বোর্ডের দিকে তাকিয়ে দেখুন। কী কী লেটার রয়েছে প্রথম সারিতে? পরপর সাজালেই পাওয়া যাবে এই পাসওয়ার্ড। হ্যাকারদের কাছে এই পাসওয়ার্ড খুবই কমন।
Princess (প্রিন্সেস)
অনেক মহিলাই নিজেকে রাজকুমারী ভাবতে ভালোবাসেন। তার ফল গিয়ে দাঁড়ায় পাসওয়ার্ডে। স্প্লাশডেটা জানাচ্ছে এটা কমন পাসওয়ার্ডের তালিকায় পাঁচ নম্বরে রয়েছে।
Login (লগিন)
পাসওয়ার্ড ভুলে যাওয়ার ভয়ে অনেকেই লগিন শব্দটাকেই পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করেন। মনিটরে লগিন শব্দটা দেখেই যাতে পাসওয়ার্ড মনে পড়ে যায়। আর এতে হ্যাকারদের কেল্লাফতে।
1qaz2wsx
এটাও দেখতে খুব অদ্ভুত লাগছে তো? এ বার কি বোর্ডে ‘1’ দেখুন। তার নিচে কোনাকুনি কী কী রয়েছে? একই ভাবে ‘2’-এর নিচে কোনাকুনি দেখুন তো কী কী রয়েছে? এ বার বুঝেছেন তো এই পাসওয়ার্ড কত সোজা?
1234567890
এই পাসওয়ার্ড সম্পর্কে নতুন করে আর বলার কিছুই নেই। দয়া করে এটা ব্যবহার করবেন না।
Welcome (ওয়েলকাম)
স্প্লাশডেটা অনুযায়ী গত বছরের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত পাসওয়ার্ড ওয়েলকাম।

মূল্যবান স্মার্টফোনটি হারিয়ে গেলে বা চুরি হয়ে গেলে আপনি আপনার হারানো ডিভাইসটি লক করে বা ডাটা মুছে দিতে পারবেন

স্মার্টফোনের ব্যবহার বাড়ার সাথে সাথে সমান তালে বাড়ছে স্মার্টফোন চোরের সংখ্যাও। আপনার প্রিয় এবং মূল্যবান স্মার্টফোনটি হারিয়ে গেলে বা চুরি হয়ে গেলে আপনার সমস্যা বা কষ্টের অন্ত থাকে না। কিন্তু আপনার ডিভাইসে যদি অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজার সার্ভিসটি চালু করা থাকে তাহলে আপনি আপনার হারানো ডিভাইসটি লক করে বা ডাটা মুছে দিতে পারবেন। এতে ডিভাইসের ডাটা চোরের হাতে পড়া থেকে রক্ষা করতে পারবেন।

আসুন জেনে নিই কিছু তথ্যঃ
Ring-আপনার ডিভাইসটি পাঁচ মিনিটের জন্য ফুল ভলিউম এ রিং হবে। এখন অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে ডিভাইস যদি সাইলেন্ট করা থাকে তাহলে কি হবে?? এই প্রশ্নের উত্তর হল ডিভাইস সাইলেন্ট অথবা ভাইব্রেশনে দেয়া থাকলেও রিং হবে।
Lock- আপনার ইচ্ছেমত একটি পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে আপনি ডিভাইসটি লক করতে পারবেন।
Erase- এই অপশনের সাহায্যে আপনি আপনার ডিভাইসের সকল ডাটা মুছে ফেলতে পারবেন। অর্থাৎ ফ্যাক্টরি রিসেট করতে পারবেন।
প্রথমেই আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে যে আপনি আপনার ডিভাইসের জন্য ডিভাইস ম্যানেজার সার্ভিসটি চালু করেছেন কিনা। যদি না করে থাকেন তাহলে আপনি আপনার অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে গুগল এর যে মেইল অ্যাড্রেসটি ব্যবহার করে থাকেন তা দিয়ে নিচের পেজ এ লগইন করে সার্ভিসটি চালু করে নিতে পারেন।
Android Device Manager Login
আপনি যদি প্রথমবারের মত এই সার্ভিসটি চালু করতে যান তাহলে এটি ডিভাইস অ্যাডমিন হিসেবে কাজ করার জন্য আপনার কাছে পারমিশন/অনুমতি চাইবে। অনুমতি দিয়ে কাজ সম্পন্ন করুন।
কিভাবে ডিভাইস ম্যানেজার সেট করবেন- 
১) প্রথমে আপনার ডিভাইসের অ্যাপ ড্রয়ারে থাকা Google Settings এ যান।
২) এখন Google Settings এর লিস্টে আপনি Android Device Manager অপশন পাবেন। অপশনটি সিলেক্ট করুন।
৩) এবার আপনি নিচের ছবির মত আরো দুটি অপশন পাবেন। Locate this device remotely এবং Allow remote lock and data factory reset. সাধারনত দ্বিতীয় অপশনটি আনচেক করা থাকে। আপনি যদি দ্বিতীয় অপশনটি অন/চেক করে দেন তাহলে আপনার ডিভাইস হারিয়ে বা চুরি হয়ে গেলে আপনি ডিভাইস ম্যানেজারের সাহায্যে ডিভাইসের সব ডাটা মুছে দিতে পারবেন এবং ডিভাইসটি লক ও করে দিতে পারবেন।
৪) এখন কোন কারণে যদি আপনি আপনার অ্যাপ ড্রয়ারে Google Settings খুজে না পান তাহলে চিন্তার কোন কারণ নেই। আপনি ডিভাইস ম্যানেজার আপনার ডিভাইসের Security সেটিংস্‌ এ যেয়ে ও অন করতে পারবেন।
৫) Security সেটিংস্‌ এ যাওয়ার পর Device Administrators সিলেক্ট করুন। তারপর Android Device Manager অপশনটি মার্ক করে দিন। ব্যাস আপনার কাজ শেষ।
ডিভাইস ম্যানেজারে যদি  আপনার ডিভাইসটি না দেখায় অথবা Unknown Location দেখায় তাহলে যা করবেন-  
১) আপনার ডিভাইসের প্লে স্টোর অ্যাপ আপডেট করে নিন।
২) এবার অ্যাপ ড্রয়ার থেকে  Google Settings>Android Device Manager এ যেয়ে Allow remote factory reset অপশনটি আনচেক করে দিন।
৩) এবার আপনার ডিভাইসের  Settings>Apps > All > এ যেয়ে Google Play services ওপেন করেন এবং ডাটা ক্লিয়ার করে দিন।
৪) এবার পুনরায় অ্যাপ ড্রয়ার থেকে  Google Settings এ যেয়ে Allow remote factory reset অপশনটি চেক করে দিন।
৫) আপনার ডিভাইসটি রিস্টার্ট/রিবুট করুন।
মনে রাখবেন আপনার ডিভাইসটি যদি হারিয়ে যাওয়ার পর অফ থাকে তাহলে Android ডিভাইস ম্যানেজার কাজ করবে না। কিন্তু ডিভাইসটি চালু করলেই এটি কাজ করবে।

ওয়েবসাইট এর ভিজিটর বাড়ানোর সেরা ১০ টি উপায়

আপনি একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক। এখন আপনার প্রতিষ্ঠানের অনেক নিয়মিত কাস্টমার প্রয়োজন হবে যাতে করে আপনি খুব দ্রুত ব্যাবসায় সফলতা অর্জন করতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে টার্গেটেড কাস্টমারদের কাছে সঠিক ধারণা দেয়াটা অনেক জরুরি। এটি আপনার প্রতিষ্ঠানে ভিজিটর বাড়াতে এবং ব্যাবসার প্রচারে অনেক গুরুত্ত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। কাজেই আপনাকে পণ্যের গুণগত মানের উপর ভিত্তি করে আকর্ষণীয় পোস্ট তৈরি করতে হবে যাতে করে টার্গেটেড কাস্টমারদের কাছে পণ্য সম্পর্কে বেশ আগ্রহ তৈরি করতে পারেন। আপনার পোস্টগুলোতে যত ভালভাবে প্রোডাক্টগুলোর গুণগত মানের কথা উপস্থাপন করতে পারবেন তত বেশী আপনার পণ্যের নিয়মিত কাস্টমার পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আপনার প্রোডাক্টগুলোকে অতি দ্রুত গ্রাহকদের কাছে প্রচার করতে ভাল মানের পেইজ পোস্টের কোনো বিকল্প নেই। আসুন জেনে নিই কিভাবে অনেক ভাল মানের পেজ পোস্ট তৈরি করা যায় এবং এই পোস্টগুলোর মাধ্যমে কিভাবে আপনার প্রতিষ্ঠানে বা ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়াতে পারেন।
১. ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর জন্য পোস্টের লিংকগুলো ব্যাবহার করুন :
ওয়েবসাইটে প্রচুর পরিমানে ভিজিটর পাওয়ার জন্য আপনার পোস্টের লিংকগুলো অনেক কার্যকরী ভুমিকা রাখবে কেননা পোস্টটি পড়ে অনেকের কাছেই আপনার সাইটে ঘুরে আসার আগ্রহ প্রকাশ করার সম্ভাবনা থাকে। পেইজের শেয়ারিং টুলে সাইটের URLটি যোগ করে নিন কারণ সাইটের টাইটেল, বিবরণ, ইমেজ ইত্যাদি অনেককিছুই আপনার URL থেকে পাওয়া যাবে, কাজেই আপনার পোস্টে কোন্ ধরণের টেক্সট এবং ইমেজ ব্যাবহার করবেন সেটা আপনার প্রোডাক্টের উপর ভিত্তি করে আপনাকেই নির্ধারণ করতে হবে। ইউজারদের কাছে এই ধরণের ভাল মানের টেক্সট এবং ইমেজের গুরুত্ত্ব অনেক বেশী, কারণ তথ্যবহুল এবং আকর্ষণীয় টেক্সট বা ছবির মাধ্যমেই তারা আপনার প্রোডাক্টের প্রতি আগ্রহ অনুভব করবে এবং সাধারণত ইউজাররাই এই ধরণের ইমেজগুলোর গুরুত্ত্ব অনেকাংশে বাড়িয়ে তুলে, তাই অবশ্যই ভাল মানের টেক্সট, ইমেজ ব্যাবহারের ক্ষেত্রে সচেষ্ট থাকতে হবে যাতে সুনিশ্চতভাবে আপনার পোস্টের ইমেজগুলো অতি দ্রুত টার্গেটেড কাস্টমারদের কাছে প্রচার পায়।
২. পোস্ট রিলেটেড ইমেজ এবং ভিডিও ব্যাবহার করুন  :
আপনার প্রোডাক্ট বা পণ্যের রিলেটেড ভাল মানের ছবি বা আপনার পণ্য ব্যাবহার করে লাভবান হয়েছেন এমন কাস্টমারদের ছবি শেয়ার করার চেষ্টা করুন যাতে অন্যেরাও আপনার পণ্য ব্যাবহারের ক্ষেত্রে আগ্রহ অনুভব করে। বড় মাপের মিডিয়া সাইটগুলোও এই ধরণের ভাল মানের ছবি এবং ভিডিও গুলোর প্রতি আকৃষ্ট হয়ে আপনার পোস্টের ইমেজ এবং ভিডিও গুলো প্রচার করে থাকে। পোস্টটি যথাসম্ভব সংক্ষিপ্ত কিন্তু তথ্যবহুল করে লেখার চেষ্টা করুন, কারণ ইউজাররা তুলনামূলকভাবে ছোট এবং সংক্ষিপ্ত পোস্টগুলো পড়তে বেশী পছন্দ করে।
৩. ইউজার/কাস্টমারদের মতামতের উপর গুরুত্ত্ব দিন  :
আপনার অডিয়্যান্সদের জন্য আপনার পণ্যের গুণগত মান বিবেচনার সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় মতামত দেয়ার বা মন্তব্য করার সুব্যাবস্থা রাখুন এবং কাস্টমারদের আপনার পণ্যের প্রতি বিশ্বস্ততা বাড়াতে তাদের ধারণাগুলোর যথাযত গুরুত্ত্ব দেয়ার চেষ্টা করুন। ব্যাবসায় সফলতার জন্য এটি টার্গেটেড কাস্টমারদের আপনার প্রোডাক্টের প্রতি আকর্ষণ তৈরি করতে বা তাদেরকে আগ্রহী করে তুলতে গুরুত্ত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে থাকে।
উদাহরণস্বরুপ আমরা  ক্রিয়েটিভ আইটি (http://www.creativeit-ltd.com/) এর কথা বিবেচনা করতে পারি। এটি একটি আই টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র যেটি প্রায় অনেকদিন থেকে আই টি সেকশানের বিভিন্ন বিষয়ের উপর অনেক গুরুত্ত্বপূর্ণ প্রশিক্ষণ দিয়ে চলেছে এবং তাদের ফেসবুক পেজ বা গ্রুপে তাদের অডিয়্যান্সদের জন্য প্রয়োজনীয় মতামতের সুব্যাবস্থা রেখেছে। এতে করে ইউজাররা তাদের দরকারী অনেক প্রশ্নের উত্তর খুব সহজে পেয়ে যাচ্ছে বা তারাও তাদের গুরুত্ত্বপূর্ণ মতামত জানাতে পারছে।
                                                                                                  
৪. আকর্ষণীয় ডিস্কাউন্ট এবং প্রোমোশান এর ব্যাবস্থা করুন :
অনলাইনে বিক্রি বাড়াতে বা টার্গেটেড কাস্টমারদের আগ্রহী করে তোলার জন্য নিজের পণ্যের স্পেশাল কিছু অফার দেয়ার ব্যাবস্থা করুন। আপনার প্রোডাক্টের সাথে সম্পৃক্ত পেইজের লিংকগুলো আপনার ওয়েবসাইটে যুক্ত করুন।
যেমন ক্রিয়েটিভ আই টি কোম্পানি সবসময় তাদের পোস্টগুলোর মাধ্যমে স্পেশাল কিছু অফার দেয়ার ব্যাবস্থা রাখে যা তাদের ব্যাবসায়ীক সফলতার ক্ষেত্রে অনেক সহায়ক হয়। যেমন সম্প্রতি তারা গ্রাফিক্স ডিজাইনে ১০০ জন নারীর জন্য ফ্রী স্কলারশীপের বিশাল অফার চালু করে। এছাড়াও তাদের পোস্টগুলোতে সবসময় অনেক বড় বড় স্পেশাল অফারের ব্যবস্থা রাখা হয়।
৫. আকর্ষণীয় তথ্য প্রদান করুন   :
আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে যত বেশী আকর্ষণীয় তথ্য দিতে পারবেন তত বেশি কাস্টমারদের আপনার পণ্যের প্রতি আগ্রহী করে তুলতে পারবেন। কাজেই আপনার পেইজের সাথে যুক্ত আছেন এমন কাস্টমারদের জন্য বা আপনার পণ্যের গ্রাহক সংখ্যা বাড়ানোর জন্য আকর্ষণীয় তথ্য প্রদানের মাধ্যমে তাদেরকে যথাসম্ভব আকৃষ্ট করার চেষ্টা করুন। আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে আকর্ষণীয় তথ্য, কন্টেন্ট বা ইভেন্টসের গুরুত্ত্বপূর্ণ তথ্য দেয়ার মাধ্যমেও গ্রাহকদের আকর্ষণ করার চেষ্টা করুন।
৬. সময়ের প্রতি খেয়াল রাখুন :
আপনাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে কোন সময়ে আপনার ক্রেতারা আপনার পণ্যের প্রতি বেশী আগ্রহ প্রকাশ করছে এবং কখন আপনার পোস্টগুলোর প্রতি তাদের নজর পড়ছে, সেই অনুযায়ী আপনি পোস্ট দিতে পারেন বা পোস্টগুলোর রিপ্লাই দিতে পারেন যাতে আপনার পোস্টগুলো অতি দ্রুত টার্গেটেড কাস্টমারদের কাছে দৃষ্টিগোচর হয়। যেমন বর্তমান কোনো উপলক্ষে বা ছুটির দিনগুলোতে আপনার পোস্টগুলোতে বেশি পরিমাণ রিপ্লাই পাওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি। আপনাকেও অবশ্যই যথাসময়ে তাদের মন্তব্যগুলোতে রিপ্লাই দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে কারন যতদ্রুত আপনি তাদের মন্তব্যগুলোর প্রতি নজর রেখে ভাল রিপ্লাই দিতে পারবেন তত দ্রুত আপনার প্রোডাক্টের প্রতি আগ্রহী ক্রেতা পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
টিপস : আপনার আগাম কোনো প্রোডাক্টের বিক্রির সম্ভাবনা বাড়াতে প্রায় দুই সপ্তাহ আগে থেকে প্রোডাক্টটি সম্পর্কে সবাইকে কিছুটা ধারণা দেয়ার জন্য নিয়মিত ছোটখাটো পোস্ট দেয়ার চেষ্টা করুন যাতে সবাই আপনার আপকামিং প্রোডাক্টির জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে।
৭. পরিকল্পনামাপিক ক্যালেন্ডার তৈরি করুন  :
আপনার ফ্যানদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে প্রতি সপ্তাহে বা প্রতি মাসে কোন্ প্রোডাক্টের উপর আলোচনা বা পর্যালোচনা হবে তার একটি সুনির্দিষ্ট ক্যালেন্ডার তৈরি করা। এটি শুধুমাত্র আপনার নিয়মিত পোস্টগুলোর জন্য সহায়ক হবেনা, বরং আপনাকে ভাল পরিকল্পনা তৈরি করতে, টার্গেটেড কাস্টমারদের আগ্রহী করতে অনেকখানি সাহায্য করবে এবং আপনার ব্যাবসার ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্ত্বপূর্ণ ইভেন্ট বা নিউজ পেতে সাহায্য করবে। আপনার কাজের ক্ষেত্রে সহায়ক হবে বা আপনার প্রোডাক্টের কাস্টমার পেতে সাহায্য করবে এরকম কয়েকটি গ্রুপের সাথে সংশ্লিষ্টতা রাখার চেষ্টা করুন।
৮. পোস্ট দেয়ার সময়সূচী নির্ধারণ করুন :
সময় নির্ধারণ করে আপনার পোস্টগুলো শেয়ার করার ব্যাবস্থা করুন। বিশেষ করে যখন আপনার প্রোডাক্টের ফ্যানরা অনলাইনে অবস্থান করবে তখন আপনার পোস্টগুলো শেয়ার করার চেষ্টা করুন যাতে পোষ্টগুলো অতিদ্রুত তাদের কাছে দৃষ্টিগোচর হয়। আপনার পোস্টটি শেয়ার করার পরে আপনি সহজেই খুজে নিতে পারবেন আপনার কোন কাস্টমাররা  অনলাইনে আছে এবং আপনার পেইজে অবস্থান করছে । আপনি চাইলে আপনার টপ পেইজের এডিট পেইজে গিয়ে এক্টিভিটি লগ সিলেক্ট করে আপনার শেয়ারকৃত পোস্টটি নির্ধারণ করে নিতে পারবেন।
৯. আপনার পোস্টগুলোকে টার্গেটেড করুন  :
আপনার পোস্টগুলো যদি বিশেষ কোনো গ্রুপের সদস্যদের উদ্দেশ্যে হয় তাহলে পেইজের শেয়ারিং টুলের নিচের বাম দিকে থাকা টার্গেট      আইকনে ক্লিক করে এড টার্গেটিং সিলেক্ট করে পোস্টটি টার্গেটেড করে নিতে পারেন। স্ত্রী/পুরুষ, রিলেসানশীপ স্ট্যাটাস, এডুকেশানাল স্ট্যাটাস, আগ্রহী ব্যাক্তি, বয়স, লোকেশান, ভাষা ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা সাপেক্ষে আপনার পোস্টটি টার্গেটেড করতে পারেন।
১০. আপনার পোস্টের পারফরম্যান্স এর প্রতি নজর রাখুন  :
আপনার কাস্টমারদের সাথে পোস্টগুলোর সম্পৃক্ততা বাড়াতে বা পোস্টগুলোর প্রচার বাড়ানোর জন্য কি করা প্রয়োজন তা বুঝার জন্য নিয়মিত পেইজের সাথে এক্টিভ থাকার চেষ্টা করুন। পেইজের সাথে সম্পৃক্ত থাকার মাধ্যমে কাস্টমারদের চাহিদা সম্পর্কে আপনার যথেষ্ট ভাল ধারণা তৈরি হবে এবং তারা কোন ধরণের কন্টেন্ট এর প্রতি বেশি আগ্রহী তা বুঝতে সাহায্য করবে। কাজেই পেইজের সাথে নিয়মিত সম্পৃক্ত থাকা আপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্ত্বপূর্ণ।

Facebook হ্যাকিং থেকে বাঁচাতে ১২টি টিপস

কিছুদিন থেকে আবারও ফেসবুক আইডি হ্যাকারদের তৎপরতা শুরু হয়েছে। এর মাঝে অনেকেরই আইডি হ্যাক হয়েছে। কারও কারও আইডি ফেরত পাওয়া গেছে, অনেকেরটা যায়নি। কেউ জানেনা “কেন” বা “কখন” কার আইডি হ্যাক হবে। “আমার তো আইডিতে তেমন কিছু নাই, আমার আইডি হ্যাক করবে কেন?” এই সব প্রশ্ন অবান্তর।
আইডি হ্যাক হলে কী হয়? বিশেষ করে মেয়েদের আইডিতে অনেক ধরনের মেসেজ থাকে, ছবি থাকে, Only me করা অনেক কন্টেন্ট থাকে। ফেসবুকে ও ওয়েবে অনেক পেইজ বা সাইট আছে, যেখানে মেয়েদের ছবি ও পরিচিতি, ইনবক্স মেসেজ ইত্যাদি পোস্ট করা হয়। আহামরি কিছু না, সাধারণ ছবি। অথচ সেসব ছবি বা কন্টেন্টে নরকের কীটদের নোংরা কমেন্ট দেখলে গা ঘিন ঘিন করে উঠবে যে কোন নোংরা মানুষের।
একটা ফেসবুক আইডি শুধু একটা আইডি না, এটা একটা ব্যক্তিগত ডায়েরি, শত শত স্মৃতির একটা আর্কাইভ। ফেসবুকের প্রতিটি পোস্টে কমেন্টে ছবিতে ছড়িয়ে আছে অনেক অনেক মায়া, সুখ বা দুঃখের স্মৃতি। প্রিয় এই জিনিসটি হাতছাড়া হয়ে গেলে কষ্ট হওয়াই স্বাভাবিক। একই সাথে নিজের নিরাপত্তাও পড়ে যায় হুমকির মুখে। তাহলে কীভাবে ঠেকাবেন আইডি হ্যাক হওয়া?
১) ইমেইল
আইডি যে ইমেইল দিয়ে করা, সেই ইমেইলের এক্সেস নিশ্চিত করবেন। অনেকেই ইমেইল তেমন ইউজ করেনা দেখে আর সেই ইমেইলটির খোঁজ রাখে না, এটা করা যাবে না। দরকার হলে ইমেইলের পাসওয়ার্ড চেঞ্জ করে ইমেইল এক্টিভেট করে রাখবেন। আর অবশ্যই – “ফেসবুকের পাসওয়ার্ড আর ইমেইলের পাসওয়ার্ড একই হবে না”। ইয়াহু মেইল ইনএকটিভ ইমেইল ইউজারদের একাউন্ট লক করে রাখে, মাঝে মাঝে লগইন করলেই এই সমস্যা হবে না।
২) রিপ্লেস ইমেইল
আইডি সংশ্লিষ্ট ইমেইলে ঢুকতে না পারলে আরও একটা ইমেইল খুলে সেটা এড করুন ফেসবুক প্রোফাইলে। নতুন ইমেইল খোলার ব্যাপারে হেল্প লাগলে বিশ্বাসভাজন কারও কাছ থেকে সাহায্য নিন।
৩) পাসওয়ার্ডে কারিগরি
পাসওয়ার্ড বদলে দিন। পাসওয়ার্ডে অন্তত একটা ক্যাপিটাল লেটার, একটা সংখ্যা আর একটা সিম্বল (!, @, #, $, %, ^, &) দিন। এরপর পাসওয়ার্ডটা কোথাও লিখে রাখুন। হতে পারে প্রিয় কোন বইয়ের পাতায়। মাঝের কোন পাতায় লিখে রাখতে পারেন। সেখানে অবশ্যই লিখবেন না যে এটা ফেসবুক বা ইমেইল পাসওয়ার্ড। শুধু আপনি জানবেন এটা কী।
৪) ইংরেজিতে নাম থাকা চাই
ফেসবুকে বাংলায় নাম যাই থাকুক, ইংরেজিতে নিজের আসল নাম, বা নামের প্রথম অংশ থাকা খুবই দরকারি। আর জন্মতারিখ যেন ঠিক থাকে।
৫) ভরসার বন্ধু
ট্রাস্টেড ফ্রেন্ড এড করে রাখুন, প্রয়োজনে হেল্প পাবেন।
৬) দুই ধাপের যাচাই
টু-স্টেপ ভেরিফিকেশনটা অনেক কাজের, কিন্তু অনেক সময় ফোন হারিয়ে গেলে, নম্বর পাল্টালে বা টেকনিকাল কোন সমস্যার জন্য নিজের একাউন্টে নিজেই আর ঢোকা যায় না।
৭) নতুন কম্পিউটারে বসলে
নতুন কোন পিসিতে বসলে প্রাইভেট ব্রাউজিং উইন্ডো খুলে ফেসবুকে লগইন করুন। ক্রোমের জন্য Ctrl + Shift + N আর ফায়ারফক্সের জন্য Ctrl + Shift + P এক সাথে প্রেস করলে প্রাইভেট ব্রাউজিং উইন্ডো ওপেন হবে। এই উইন্ডো বন্ধ করার পর এর কোন হিস্টোরি ব্রাউজারে থাকবে না। জানান নিশ্চয়, ব্রাউজারে যা কিছুই করেন না কেন, এর রেকর্ড থাকে, যে কেউ ইচ্ছে করলেই সেটা দেখতে পারে।
৮)লিঙ্কে ক্লিক করুন বুঝে
ফেসবুক ইনবক্সে বা ওয়ালে কোন লিঙ্ক পেলেই ক্লিক করতে হয় না। অনেক লিঙ্কে ক্লিক করলেও আইডি হ্যাক হবার চান্স থাকে। অনেক ভাইরাস টাইপের এপ্লিকেশনও আছে, যেগুলো তোমার অজান্তেই আপনার একাউন্টের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেবে, এরপর যা ইচ্ছে তাই আপনার ওয়ালে বা আপনার বন্ধুদের ওয়ালে পোস্ট করবে।
৯) এক্টিভিটি লগ
এক্টিভিটি লগ চেক করুন। নিজের প্রোফাইলের উপরে ডান দিকে View Activity Log এর লিঙ্ক পাবেন, যেখানে আপনার করা সব এক্টিভিটির বিবরণ থাকবে, যদি কিছু থাকে যা আপনি করেননি, বা সন্দেহজনক, তবে দ্রুত সেই এপ্লিকেশনটি মুছে ফেল। ( সেটিংসের লিঙ্ক পাবে এখানে – https://www.facebook.com/settings?tab=applications )
১০) ব্যাক আপ
নোট গুলোর ব্যাকআপ রাখুন। আইডি হ্যাক হলে যে তা ফেরত পাওয়া যাবে, এর কোন নিশ্চয়তা নেই, কাজেই নোট বা গুরুত্বপূর্ণ লেখাগুলোর ব্যাকআপ রাখা জরুরী। একটা ওয়ার্ড ফাইলে নোটগুলো সেভ করে রাখতে পারেন, অথবা নিজেই নিজেকে ইমেইল করে রাখতে পারেন লেখা গুলো। তাহলে ফেসবুক একাউন্ট হারালেও নোটগুলো হারাবে না।
১১) কম্পিউটারের নিরাপত্তা
পিসিতে এন্টি ভাইরাসের সাথে সাথে এন্টি ম্যালওয়ার সফটওয়ার থাকাও জরুরী। অনেক ম্যালওয়ার এন্টি ভাইরাসের নিরাপত্তা ফাঁকি দিতে পারে। মোবাইলের জন্যেও এন্টিভাইরাস দরকারি।
১২) সাহায্য চান
একাউন্ট হ্যাক হলে নিজে নিজে রিকভার করতে না পারলে এই বিষয়ে জানে এমন বিশ্বাসযোগ্য কারও সাহায্য নিন। নিজে নিজে মাতবরি করে অবস্থা জটিল করবেন না।