বৃহস্পতিবার, ২ নভেম্বর, ২০১৭

ইউটিউবের নিয়ম কানুন

আমরা যারা নতুন ইউটিউবার তারা অনেকে যানিনা ইউটিউবের নিয়ম।কানুন বা community guidelines....
আর না জানার কারনে আমরা যেসব ভিডিও আপ করি ওইগুলোতে Ad বা বিজ্ঞাপন show করে না। অথবা অনেকের চেনেল suspended হয়ে যায়।
চলুন দেখে নি কোন কোন বিষয়গুলো আমাদের মাথায় রাখতে হবে!
ইউটিউব কমিউনিটি গাইডলাইন নিয়ে সবচেয়ে ভালোভাবে লেখা আছে ইউটিউবের নিজস্ব ব্লগে। আমি সেই লেখা অবলম্বনে পুরো ব্যাপারটা আপনাদের জন্য সম্পূর্ণ বাংলায় তুলে আনছি। প্রায়ই দেখা যায় চ্যানেল সাসপেন্ড হচ্ছে, এর কারণ Community guideline এর violation. আপনি যদি ইউটিউবার হোন বা, ভবিষ্যতে হতে চান তাহলে অবশ্যই ভাল করে এই কমিউনিটি গাইডলাইন জেনে নেবেন।ইউটিউব কমিউনিটিকে সম্মান করতে শিখুন আপনি নিশ্চয়ই একটি সমাজ এবং একটি পরিবারের সদস্য। আপনার চারপাশের মানুষগুলোর সাথে আচরণের ক্ষেত্রে আপনাকে কিছু আচরণবিধি এমনিতেই মেনে চলতে হয়। ইউটিউবেওঅনেক বড় একটি সম্প্রদায়ের মত। এখানে যা খুশী তাই করতে পারবেন না। চলুন দেখে নেয়া যাক কি কি করা যাবে না-
নগ্নতা এবং যৌনতা পরিহার করুন:এটা কোন পর্ণ সাইট না, এখানে আপনি শিক্ষামূলক, বিনোদনমূলক কিংবা শৈল্পিক মাণসম্পন্ন ভিডিউ আপলোড করতে পারবেন কিন্তু নগ্নতা বা, যৌনতা এখানে একেবারেই নিষিদ্ধ
সহিংস বা, রক্তাক্ত কিছু চলবে না:এটা হতাশা এবং অসম্মানজনক। লোকজনকে সহিংস করে তোলে এমন কিছু ইউটিউবেশেয়ার করা যাবে না। অন্যদেরকে কোনভাবে অপরাধে উদবুদ্ধকরবেন না।
এটা ঘৃণা ছড়ানোর জায়গা নয়:প্রায়শই এই কাজটি এক শ্রেণীর বিকৃত রুচির মানুষদের করতে দেখা যায়। কোন ব্যক্তি, গোষ্ঠী, ধর্ম, বর্ণ, লিংগ, বয়স, যৌন পরিচয় এর ভিত্তিতে কারো প্রতি এই ধরণের ঘৃণা ছড়াতে পারবেন না। আপনার প্রাথমিক উদ্দেশ্য যদি হয় এই ধরণের কাজ করা, তাহলে ইউটিউব থেকে দূরে থাকুন।
স্প্যামিং এবং ভূল ট্যাগ বা, নাম দেয়া: ভিডিওর টাইটেল এবং ট্যাগ অবশ্যই প্রাসংগিক হতে হবে। একটি উদাহরণ না দিয়ে পারছি না, প্রচন্ড জনপ্রিয় একটি চ্যানেল আছে আমাদের দেশে নাম Mojar Tv. ওরা একটি ভিডিওর নাম দিয়েছে Dhaka attack full movie|……. আর ঐ ভিডিওতে আছে শুধু সাক্ষাতকার, আপনি যাবেন সিনেমা দেখতে পাবেন সাক্ষাতকার। এটাকেই বলা হয় Misleading Title. এটা থেকে নিজেকে দূরে রাখবেন। ট্যাগেও অপ্রাসংগিক কিছু দিবেন না।
ক্ষতিকর এবং ভয়ংকর কনটেন্ট:এমন কোন ভিডিও দেবেন না, যামানুষের জন্য ক্ষতিকর। যেমন: কিছু শিক্ষামূলক এডাল্ট কনটেন্ট আছে যা, শিশুদের জন্য ক্ষতিকর। এগুলোকে Age restricted করে দিতে হবে।
কপিরাইট:জেমস আপনার উপভোগের জন্য গান তৈরি করেন, ঐ গানথেকে আয় করার কোন অধিকার আপনার নেই। এরকম বিখ্যাত শিল্পিদের গান, নাটক বা, অন্য যেকোন ডিজিটাল প্রডাক্ট আপনার চ্যানেলে অনুমতি ছাড়া আপলোড করা অপরাধ, এর জন্য জেল জরিমানা হতে পারে। ইউনিক কন্টেন্ট নিজে তৈরি করুন।
থ্রেট বা, অন্যদের প্রাইভেসি নষ্ট করা: অন্যকে থ্রেট দেয়া, অপরাধ করার জন্য উসকে দেয়া বা, কারো ব্যক্তিগত তথ্য সবার কাছে অনুমতি ছাড়া তুলে ধরা অপরাধ। Prank এরনামে কিছু ইউটিউব চ্যানেল এই কাজগুলো করছে। ইউটিউব থেকে আপনি permanently banned হতে পারেন।ইউটিউব এর কাছে অভিযোগ করুনএই সব গাইডলাইন ভংগ না করলেও ভূল করে আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ youtube আনতে পারে, সেক্ষেত্রে ওদের কাছে আবেদন করুন আপনার strike তুলে নেয়া হবে।আর, আপনি যদি কোন ভিডিওতে এমন কিছু দেখে থাকেন, তাহলে ইউটিউবের কাছে রিপোর্ট করুন। ওরা সেটা ভালোভাবে দেখে ঐ ভিডিও creator এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।
শেষ কথা: শিক্ষা এবং বিনোদনের জন্য বৈধভাবে ইউটিউব ব্যবহার করুন, সুনাম এবং টাকা দুটোই পাবেন। ছলচাতুরী করে পাওয়া সফলতা সাময়িক, দ্রুত মোহভংগ ঘটবে। আমার দেয়াতথ্যগুলো youtube এর সোর্স থেকে যাচাই করে তারপর বিশ্বাস করবেন। আপনার সফলতা কামনা করছি।
ধন্যবাদ। Happy youtubing....

বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

আপনার এন্টি ভাইরাস কি সত্যিই কাজ করছে?


  • আপনার এন্টি ভাইরাস কি সত্যিই কাজ করছে? নাকি আপনার অজান্তেই এন্টি ভাইরাস থাকা সত্বেও ভাইরাসরা বিচরন করছে আপনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গুলোতে।

যাকে আপনার প্রান প্রিয় এন্টি ভাইরাস ভাবছেন সে কাল সাপ নাতো? ছলনাময়ী এই এন্টি ভাইরাস মিথ্যা প্রত্যাশা দিয়ে আপনাকে প্রতারনা করছে নাতো? ১ মিনিটে নিজেই প্রমান করে নি  ভাইরাসের কার্যক্ষমতা সম্পর্কে। 

প্রথমে নোটপেড চালু করুন। এবার নিচের কোডটি একটা নোটপেডে সেভ করে যেকনো নাম দিন।যদি এই ফাইলটা আপনার এন্টি ভাইরাস ধরতে পারে ভাইরাস হিসাবে এবং এই ফাইলটা যদি রিনেম অথবা ডিলিট করতে পারে থাহলে বুঝে নিবেন আপনার এন্টি ভাইরাসটি সত্যি কাজের।



X5O!P%@AP[4\PZX54(P^)7CC)7}$EICAR-STANDARD-ANTIVIRUS-TEST-FILE!$H+H*

আর যদি না ধরতে পারে তাহলে বুঝে নিবেন এই এন্টি ভাইরাসের উপর ভরসা 
রাখা মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ এটা কোন ভাইরাস কোড নয়, শুধুমাত্র একটি ভাইরাসের লজিক। এবং এটি আপনি চাইলে যে
 কোন সময় পিসি থেকে ডিলেট ও করে দিতে পারবেন।

রবিবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৭

আপনার কম্পিউটার ২৪/৭ চালু রাখলে কি হবে? কোনটি ভালো, কাজ শেষে অফ করা? নাকি সবসময় অন করেই রাখা?

পনি যখন কম্পিউটার ব্যবহার করেন তখন অন করেন আবার কাজ না থাকলে কম্পিউটার অফ করে দেন। কিন্তু যদি সবসময়ই আপনার কম্পিউটার অন করে রাখেন, সেক্ষেত্রে কি কোন সমস্যা হবে? যদি আপনি একজন গেমার হোন, সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই অনেক বড় বড় সাইজের গেম ডাউনলোড করতে হয়, হতে পারে আপনার ইন্টারনেট স্পীড তেমন ফাস্ট নয় (সর্বোপরি আমরা বাংলাদেশে বাস করি) —আর এই ক্ষেত্রে আপনার কম্পিউটার’কে ২-৩ দিন একটানা অন করে রাখার প্রয়োজন পড়তে পারে। অনেকে তাদের কম্পিউটার অফ করতেই চান না। আবার অনেকে কাজ না থাকলেই কম্পিউটার বন্ধ করে দেন ভয়ে, “হাই রে, অনেকক্ষণ ধরে কম্পিউটার’টা অন আছে, এই বুঝি কি নষ্ট হলো!” তো সঠিক সিদ্ধান্ত কোনটি? এই আর্টিকেল থেকে এই প্রশ্নের উত্তরটিই খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করবো…

কেন কম্পিউটার সবসময় অন রাখবেন বা অফ করবেন?

কম্পিউটার অফ আপনার কম্পিউটার ২৪/৭ চালু রাখলে কি হবে? কোনটি ভালো, কাজ শেষে অফ করা? নাকি সবসময় অন করেই রাখা?
দেখুন, আপনি হয়তো জেনে খুশি হবেন, আপনি চাইলে আপনার কম্পিউটার’কে অন/অফ করেও ব্যবহার করতে পারেন আবার আপনি চাইলে ২৪/৭ অন রেখেও কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারেন। এতে কোনই সমস্যা নেই, তবে আপনাকে কিছু ব্যাপার অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে। যদি ২৪/৭ কম্পিউটার অন করে রাখতে চান, সেক্ষেত্রে অবশ্যই একটি ইউপিএস থাকা প্রয়োজনীয় হবে। তবে আগেই বলে নিচ্ছি, কম্পিউটার অন/অফ করে ইউজ করা বা সর্বদা অন করে রেখে ইউজ করা; উভয় ক্ষেত্রেই কিছু সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে। এই আর্টিকেলে আমি সকল বিষয় গুলোকে কভার করার চেষ্টা করেছি, এবং আশা করছি আপনি আপনার উত্তর পেয়ে যাবেন। এই ব্যাপারে অনলাইন রিসার্স করার সময়, অনেক বিশেষজ্ঞ’দের মতামত দেখেছি।
এক কম্পিউটার গীকের মতে, কম্পিউটার অন/অফ করে ব্যবহার করবেন, নাকি সারাদিন রাত অন করে রাখবেন, সেটা নির্ভর করে আপনার কম্পিউটার ব্যবহার করার অভ্যাসের উপর। যদি আপনি সারাদিনে ১ ঘণ্টা বা ২ ঘণ্টা কেবল কম্পিউটার ব্যবহার করেন, সেক্ষেত্রে অবশ্যই অপ্রয়োজনের সময় কম্পিউটার অফ করে দেওয়াই ভালো হবে। আর যদি আপনি দিনে কয়েকবার কম্পিউটার ব্যবহার করেন, বা একটানা ৫-৬ ঘণ্টার উপর কম্পিউটার ব্যবহার করেন, সেক্ষেত্রে কম্পিউটার ২৪/৭ অন করে রাখায় ভালো হবে। দেখুন, যদি টেকনিকালি কথা বলি, আর সেখানে যদি আপনার কম্পিউটার হেলথ নিয়ে কথা আসে, তো অবশ্যই সবসময় আপনার কম্পিউটার’কে অন করে রাখায় ভালো সিদ্ধান্ত। যখন আপনি দিনের মধ্যে কয়েকবার কম্পিউটার অন/অফ করবেন; অন হওয়ার সময় কম্পিউটার হীট জেনারেট করে, আর হীট সত্যিই ইলেকট্রনিক ডিভাইজের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর ব্যাপার।
তবে আপনার কম্পিউটারে কিছু এমন যন্ত্রাংশ রয়েছে, যেগুলো জীবন সীমা লিমিটেড। যেমন, হার্ড ড্রাইভ, এসএসডি, ডিস্ক ড্রাইভ —ইত্যাদি। যদি আপনার এলসিডি প্যানেল মনিটর‘কে ২৪/৭ অন করে রাখেন, তো সেটা কেবল ২ বছর পর্যন্তই কাজ করবে। আবার ডেস্কটপ হার্ড ড্রাইভ গুলোকে প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা চলার জন্য তৈরি করা হয়। যদি ২৪ ঘণ্টা সেটা’কে চালান সেক্ষেত্রে গড় আয়ু কমে যাবে। যদিও এন্টারপ্রাইজ ড্রাইভলাগানো থাকলে সেটা ২৪/৭ চলার জন্য প্রস্তুত। সাথে আপনার ল্যাপটপের ব্যাটারির লাইফও সীমিত হয়ে থাকে। অপর’দিকে যদি আপনার বিদ্যুতের সমস্যা থাকে, সেক্ষেত্রে অবশ্যই সবসময় কম্পিউটার অন রাখা ভালো বুদ্ধি হবে না। পাওয়ার ফেইলর আপনার কম্পিউটারের অনেক গুরুতর সমস্যা তৈরি করতে পারে। হতে পারে আপনার হার্ড ড্রাইভে ব্যাড সেক্টর তৈরি করে দেবে। তো অবশ্যই একটি ইউপিএস থাকা প্রয়োজনীয়, যেটা কারেন্ট’কে সর্বদা নিয়ন্ত্রিত রাখে, আচানক কারেন্ট চলে যাওয়া বা হাই ভোল্টেজ লো ভোল্টেজ প্রবলেম থেকে রক্ষা করবে।

কম্পিউটার অফ করার সুবিধা/অসুবিধা

কম্পিউটার ২৪/৭ অন আপনার কম্পিউটার ২৪/৭ চালু রাখলে কি হবে? কোনটি ভালো, কাজ শেষে অফ করা? নাকি সবসময় অন করেই রাখা?
প্রথমে কম্পিউটার শাটডাউন করার সুবিধা নিয়ে আলোচনা করে নেওয়া যাক। দেখুন, কম্পিউটার সর্বদা অন করে রাখা মানে কিন্তু অনেক পাওয়ার কনজিউম করা। অঝথাই আপনার অনেক বৈদ্যুতিক বিল চলে আসবে। প্রয়োজনের সময় কম্পিউটার অন আর প্রয়োজন শেষে কম্পিউটার অফ করার মাধ্যমে আপনি অনেকটা এনার্জি সেভ করতে সক্ষম হবেন। প্রতিনিয়ত কম্পিউটার শাটডাউন করার মাধ্যমে লিমিটেড লাইফের হার্ডওয়্যার যেমন হার্ড ডিস্ক, এসএসডি, মনিটর, ডিস্ক ড্রাইভ ইত্যাদির লাইফ টাইম বাড়ানো যেতে পারে। যদিও শুধু কম্পিউটার শাটডাউন করলেই হবে না, যন্ত্রাংশ গুলোর লাইফ টাইম বৃদ্ধি করার জন্য অবশ্যই আপনাকে সেগুলোকে নিয়মিত মুছতে হবে এবং ধুলোবালি থেকে পরিষ্কার রাখতে হবে। তাছাড়া অপ্রয়োজনের সময় আপনার কম্পিউটার’কে শাটডাউন করলে বৈদ্যুতিক সমস্যা, বাজ পড়া, লো/হাই ভোল্টেজ প্রবলেম থেকে আপনার কম্পিউটার’কে বাঁচানো সম্ভব হবে।
যদি কথা বলি অসুবিধা নিয়ে, তো প্রত্যেকবার কম্পিউটার অফ করার পরে আবার সময় ধরে কম্পিউটার অন হওয়া অনেকের জন্যই বিরক্তিকর ব্যাপার হতে পারে। আপনি ইনস্ট্যান্টলি আপনার কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারবেন না, আপনাকে প্রথমে বিরক্তিকর অন হওয়ার প্রসেস কমপ্লিট করতে হবে। কম্পিউটার অন হওয়ার সময় অনেক হীট জেনারেট করে, ফলে প্রসেসর, র‍্যাম, জিপিইউ ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। বারবার পাওয়ার অন/অফ আপনার কম্পিউটারের হার্ড ড্রাইভ, অপটিক্যাল ড্রাইভ, প্রিন্টার ইত্যাদিরও ক্ষতি করতে পারে।

কম্পিউটার ২৪/৭ চালু রাখার সুবিধা/অসুবিধা

আপনার কম্পিউটার ২৪/৭ চালু রাখলে কি হবে? কোনটি ভালো, কাজ শেষে অফ করা? নাকি সবসময় অন করেই রাখা?
কম্পিউটার সবসময়ই অন রাখার আসল সুবিধা হচ্ছে, আপনার কম্পিউটার সর্বদা যেকোনো কিছু করার জন্য রেডি থাকে। জাস্ট আপনার মেশিনের সামনে বসে পড়ুন আর যা ইচ্ছা কাজ করতে আরম্ভ করে দিন। হ্যাঁ, কম্পিউটার সর্বদা অন রাখার জন্য হয়তো আপনার ইলেক্ট্রিসিটি বিল বেড়ে যাবে, কিন্তু আপনার প্রয়োজনই যদি সেই রকমের হয়ে থাকে, তো এখানে বিল কোন ব্যাপার নয়। কম্পিউটার সবসময় অন রাখার আরেকটি সুবিধা হচ্ছে, আপনি যখন ঘুমিয়ে থাকবেন, তখনো আপনার কম্পিউটার আপনার টাস্ক গুলো পুরন করার কাজে নিয়োজিত থাকবে। আপনি ফাইল ডাউনলোড, আপলোড, ব্যাকআপ, ভিডিও এনকোডিং, গ্রাফিক্স রেন্ডারিং ইত্যাদি কাজে কম্পিউটার’কে লাগিয়ে রাখতে পারবেন। মানে আপনি বসে বা শুয়ে রেস্ট করবেন, কিন্তু আপনার কম্পিউটার আপনার হয়ে কাজ করেই যাবে। সাথে আপনার কম্পিউটার সর্বদা আপডেটেড থাকবে, সবসময়ই লেটেস্ট অপারেটিং সিস্টেম আপডেট, এন্টিভাইরাস আপডেট স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার কম্পিউটারে অ্যাপ্লাই হয়ে যাবে, আর আপনি অনেক বড় সিকিউরিটি রিস্ক থেকে বেঁচে যাবেন।
যদি কথা বলা হয় ২৪/৭ কম্পিউটার অন রাখার অসুবিধা নিয়ে, সেক্ষেত্রে হেভি ইউজ করার জন্য অবশ্যই আপনার ইলেক্ট্রিসিটি বিল অনেক বেড়ে যাবে। যদি আপনার সেই পরিমানের কোন কাজ না থাকে তো এতে আপনার অনেক টাকার অপচয় ঘটতে পারে। সাথে সর্বদা কম্পিউটার অন রেখে অনেক সফটওয়্যার রান করিয়ে রেখে যদি কোন কারণে আপনার কম্পিউটার রি-বুট করার দরকার হয়, সেক্ষেত্রে আপনাকে অনেক ঝামেলা পোহাতে হবে। সফটওয়্যার গুলোকে বন্ধ করে দেওয়া বা টাস্ক গুলোকে সাসপেন্ড করে দেওয়া সত্যিই অনেক ঝামেলার ব্যাপার হতে পারে। ম্যাক ওএস এক্স এ অ্যাডভান্স ফিচার রয়েছে, কম্পিউটার রিবুট করার পরেও সকল কাজ গুলোকে রিজিউম করা যায়।

এবার আসা যাক শেষ সিদ্ধান্তে, আপনার কম্পিউটার’কে অফ করা যাবে, এতে কোন ক্ষতি হবে না তো? —হ্যাঁ অবশ্যই আপনার কম্পিউটার’কে অফ করতে পারবেন, আগেই বলেছি যদি আপনি কম্পিউটার খুববেশি ব্যবহার না করেন, তো অফ করে রাখায় ভালো হবে। এতে অনেক হার্ডওয়্যারের লাইফ টাইম বৃদ্ধি পাবে।
যদি আপনার কম্পিউটার’কে ২৪/৭ অন করেই রাখেন সেক্ষেত্রে কি হবে? কোন ক্ষতি হবে না তো? না, কোনই ক্ষতি হবে না। তবে অবশ্যই পাওয়ারের বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে, সাথে কম্পিউটার কুলিং সিস্টেম ঠিকঠাক থাকতে হবে, আর আমার মতে ওয়্যারান্টি পার হয়ে যাওয়ার পরে কম্পিউটার সবসময় অন করে রাখায় ভালো হবে। তারপরও সবকিছুই নির্ভর করে আপনার চাহিদা এবং আপনার অভ্যাসের উপর। আশা করছি, আর্টিকেলটি আপনার জন্য যথেষ্ট সাহায্য পূর্ণ ছিল।

সোমবার, ৭ আগস্ট, ২০১৭

রাগ নিয়ন্ত্রণ !!! স্টেপ বাই স্টেপ প্রক্রিয়া

বর্তমান প্রজন্মের কিশোর ও তরুণদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট...
রাগ খুবই স্বাভাবিক একটি আবেগ এবং এটি স্বাস্থ্যকরও, তবে যতক্ষণ এর ওপর তোমার নিয়ন্ত্রণ আছে তক্ষণই এটা ভাল। যখনি দেখবে রাগ তোমার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে, তখন তোমার নিজেকে এবং আশেপাশের মানুষদের নিরাপদে রাখার জন্য তোমাকে একটা কিছু করতে হবে।
রাগ নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে তোমার যা যা জানা প্রয়োজন তার সবই এখানে বলা আছে। তুমি কিভাবে বুঝতে পারবে তোমার রাগ নিয়ন্ত্রণের সমস্যা আছে কি না? থাকলে কি করতে হবে, আর কি করা যাবে না?
তোমার কি রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে সমস্যা হচ্ছে?
------------------------------------------------------------
যদি তোমার রাগ নিয়ন্ত্রণে সমস্যা হয়, তাহলে সবচেয়ে ভালো সাহায্য তুমি তখনি পাবে যখন সেটা স্বীকার করবে। তোমাকে এটা মেনে নিতে হবে যে তোমার রাগ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে এবং সেটাকে প্রতিহত করার উপায়ও তোমাকে নিজেকেই খুঁজতে হবে। তুমি নিচের প্রশ্নগুলো নিজেকে করে দেখতে পারো -
১। কেউ তোমার মতের বিরুদ্ধে গেলেই কি তোমার শান্ত থাকা কঠিন হয়ে পড়ে?
২। তোমার পরিবারের সদস্যরা কি তোমার সঙ্গে দ্বন্দ্ব এড়িয়ে চলে, কিংবা তারা কি তোমার রাগ নিয়ে ভীত থাকে?
৩। প্রচণ্ড রাগের বশে কি তুমি জিনিসপত্র (যেমন, গ্লাস, টেবিল, চেয়ার, ছাইদানি ইত্যাদি) ভেঙ্গে ফেলো কিংবা দেয়ালে জোরে ঘুষি মারো বা কখনো মেরেছো?
৪। রাগের মাথায় তুমি কি কখনো কারো গায়ে হাত তুলেছো, চড় মেরেছো বা আঘাত করেছো?
৫। যদি তোমাকে কোনো কথার মাঝখানে থামিয়ে দেয়া হয় বা সমালোচনা করা হয়, তাহলে কি তুমি রেগে যাও?
৬। ধরা যাক, কেউ তোমাকে কিছু বললো বা এমন কিছু করলো যার কারণে তুমি অনেক কষ্ট পেলে কিন্তু সে সময় তাকে কিছু বললে না। পরে কি তুমি 'তাকে কি বলতে পারতে' বা ' তাকে তখন আসলে কি বলা উচিত ছিলো' সেটা ভেবে মনে মনে গজগজ করে সময় পার করো?
৭। কেউ যদি তোমার সাথে কোনো ভুল করে, তাহলে কি তুমি তাকে সহজে ক্ষমা করতে পারো না?
৮। যখন তোমার প্রচণ্ড রাগ হয়, কিংবা তুমি প্রচণ্ড হতাশ বা আহত বোধ করো তখলে কি রাগ প্রশমনের জন্য তোমার খাওয়া-দাওয়ার মাত্রা বেড়ে যায়, কিংবা তুমি কি অ্যালকোহল বা অন্য কোনো মাদক ব্যবহার করে নিজের রাগ কমাতে চাও?
৯। অনিয়ন্ত্রিত রাগের জন্য কি তোমার কাজের অসুবিধা হয়?
১০। তুমি কি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রেগে যাওয়ার জন্য আবার নিজের অপর প্রচণ্ড রাগ অনুভব করো?
যদি তোমার বেশিরভাগ প্রশ্নের উত্তরই 'হ্যাঁ' হয়, তাহলে বুঝতে হবে যে তোমার রাগ নিয়ন্ত্রণের সমস্যা আছে এবং এ ব্যাপারে তোমাকে এখনই কিছু করতে হবে।
কেন রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে?
-----------------------------------------
অনেক কম বয়সে রাগ নিয়ন্ত্রনহীনতার সমস্যা হলে সেখান থেকে অনেক স্বাস্থ্যজনিত সমস্যাও হতে পারে। আবেগের সাথে কিন্তু তোমার শরীরের সম্পর্ক ওতপ্রোত। রাগের কারণে তোমার শরীরে এমন কিছু পরিবর্তন হয়, যা থেকে নিচের বিষয়গুলো ঘটতে পারে -
1) উচ্চ রক্তচাপ
2) হজমে সমস্যা
3) কোমরের নিম্নদেশে দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা
4) হার্ট অ্যাটাক
5) ঠাণ্ডা ও সর্দি
তাছাড়া তোমাকে কিন্তু তোমার মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাপারেও চিন্তা করতে হবে। নিয়ন্ত্রনহীন রাগের কারণে বিষণ্ণতা, অস্বাভাবিক খাদ্যাভ্যাস, মাদকাসক্তি, কারো সাথে সম্পর্ক তৈরিতে সমস্যা এবং আত্মহত্যার প্রবণতা তৈরি হতে পারে।
যেসব কিশোর-কিশোরীর রাগ নিয়ন্ত্রণের সমস্যা থাকে তাদের কিন্তু বন্ধু সংখ্যাও খুব কম থাকে। তাদের আচরণ অনেক নেতিবাচক হয়, এবং পরীক্ষাতেও তারা ভালো গ্রেড পায় না। তাদের এরকম রাগের কারণে তারা অন্যের যথেষ্ট মনোযোগ পায় ঠিকই, কিন্তু তারপরও তারা সবসময় একা বোধ করে এবং অখুশি থাকে।
যদি তুমি প্রচণ্ড রাগের কারণে আক্রমনাত্নক আচরণ করো, তাহলে দেখবে তোমার বন্ধুবান্ধব আর পরিবারের সদস্যরা তোমার কারণে বেশ ভীত থাকছে। তারা হয়তো তোমার সাথে খোলামেলাভাবে কথাও বলতে পারবে না, এবং ধীরে ধীরে হয়তো তাদের সাথে তোমার দূরত্ব তৈরি হবে। যদি রাগের মাথায় জিনিসপত্র ছোঁড়াছুঁড়ির অভ্যাস থাকে তোমার, তাহলে কারো বিপদ ঘটিয়ে ফেলার আগেই কারো সাহায্য নাও।
কিভাবে বুঝবে যে তোমার রাগ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে?
-------------------------------------------------------------------------
এবার একটু পেছনের কথা চিন্তা করো। এমন একটা ঘটনার কথা ভাবো, যেখানে তোমার প্রচণ্ড রাগ উঠেছিলো। তখন তোমার কেমন লেগেছিলো? কি এমন হয়েছিলো যে তোমার অত রাগ হয়েছিলো? রাগ হলে একেকজনের আচরণ একেকরকম হয়, কিন্তু কিছু বিষয়ে সাদৃশ্য থাকে, যেমন -
1) তোমার হৃদস্পন্দনের গতি বেড়ে যায়
2) তোমার শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত গতিতে চলতে থাকে
3) তোমার মুষ্টি বদ্ধ হয়ে যেতে থাকে
4) তোমার মনে হতে থাকে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে এবং মনে হয় ঘামতে শুরু করবে
এভাবেই তোমার শরীর অনিয়ন্ত্রিত রাগের জন্য প্রস্তুত হতে থাকে।
কিন্তু তুমি ভেবে দেখো, নির্দিষ্ট কিছু পরিস্থিতিতেই কিন্তু তোমার এমন রাগ হয় যে তুমি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলো। তুমি যদি সেটা চিহ্নিত করতে পারো, তাহলে কিন্তু সেরকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে সেই ঘটনা তোমাকে নিয়ন্ত্রণ করার আগেই তুমি নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আসতে পারবে। তোমাকে এটা মনে রাখতে হবে যে তোমার চিন্তা, অবস্থা, আচরণ সবকিছুই পরস্পর সম্পর্কিত। তুমি যেটা চিন্তা করো, সেটা তোমার অনুভূতিকে প্রভাবিত করে, আবার সেই অনুভূতিই কিন্তু তোমার আচরণের ওপর প্রভাব ফেলে। আবার উল্টোভাবে, তোমার আচরণের কারণেও কিন্তু তোমার চিন্তায় প্রভাব পড়তে পারে, আবার তা থেকে তোমার অনুভূতিও প্রভাবিত হতে পারে। যেহেতু, এগুলা সবই একটা আরেকটার সাথে সংযুক্ত, একটাতে পরিবর্তন আনলেই কিন্তু অন্যগুলোর মধ্যেও বড় পরিবর্তন আসবে - সেটা চিন্তাই হোক, অনুভূতিই হোক আর আচরণই হোক।
কিভাবে তুমি রাগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারো ?
-----------------------------------------------------
যখনি তোমার মনে হবে রাগ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে এবং শরীরের ভেতরে বিক্রিয়াগুলো শুরু হয়ে গেছে, তখন যা যা করতে পারো -
1) ধীরে এবং লম্বা করে শ্বাস নাও এবং তার চেয়ে বেশি সময় নিয়ে শ্বাস ছাড়ো। তোমার শ্বাস-প্রশ্বাস শিথিল করতে এটা সাহায্য করবে।
2) এক থেকে দশ পর্যন্ত গোনো। এটা তোমাকে শান্ত হবার সময় দেবে এবং সেই সময়টুকুতে তুমি পরিষ্কারভাবে চিন্তাও করতে পারবে,
3) মনে মনে বার বার বলো, ' আমি নিয়ন্ত্রণে আছি'।
4) শরীরের পেশীগুলোকে শক্ত করার চেষ্টা করো এবং নিজেকে শান্ত করার চেষ্টা করো। তাতে কি পরিবর্তন হচ্ছে সেটা অনুভব করার চেষ্টা করো।
5) চোখ বন্ধ করে পছন্দের কোনো ব্যক্তি, স্থান বা এমন কিছুর কথা ভাবো যা তোমাকে আনন্দ দেয়। এটা তোমাকে শান্ত হতে সাহায্য করবে।
6) যে কারণে রাগ হচ্ছে, ওই পরিস্থিতি থেকেই বের হয়ে আসো। সেখান থেকে নিজেকে সরিয়ে নাও। তাতেও হয়তো তোমার রাগ কিছুটা প্রশমিত হবে।
7) শারীরিক যে টেনশনটা হচ্ছে সেটাকে ছেড়ে দাও। যদি তোমার মনে হয় যে কোনো কিছুতে আঘাত করলে তোমার ভালো লাগবে, তাহলে ম্যাট্রেসে আঘাত করো। যদি তোমার প্রচণ্ড চিৎকার করতে ইচ্ছা হয়, তাহলে বালিশে মুখ গুঁজে চিৎকার করতে পারো।
যদি তোমার দীর্ঘমেয়াদী সাহায্যের প্রয়োজন হয়
----------------------------------------------------------------
অনেকেরই এটা মেনে নিতে সমস্যা হয় যে তাদের অনিয়ন্ত্রিত রাগের সমস্যা আছে এবং তারা ক্রমাগতই আরও ক্রোধাতুর ও আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতে থাকে। তোমার যদি এরকম সমস্যা থাকে এবং সেটা যদি তুমি চিহ্নিত করতে পারো, এবং রাগের লক্ষণগুলোও যদি ধরে ফেলতে পারো, তাহলে কিন্তু তুমি নিজেই নিজেকে সাহায্য করতে পারো এবং কাউকে বলতেও পারো তোমাকে নির্দেশনা দেবার জন্য।
কিছু পরামর্শ, যা তোমার জন্য সহায়ক হতে পারে -
1) ব্যায়াম - তোমার মানসিক চাপ কমানোর জন্য দৌড়ানো, হাঁটা, সাঁতার কাটা, যোগব্যায়াম কিংবা অন্যান্য মেডিটেশন টেকনিক সহায়ক হতে পারে। ব্যায়ামের ফলে শরীর থেকে এনডোরফিনস (Endorphines) নিঃসৃত হয়, যা এরকম মুহুর্তে তোমার শরীরকে শিথিল করতে সাহায্য করবে এবং তোমার রাগকে প্রশমিত করবে।
2) নিজের প্রতি যত্নশীল হও - প্রতিদিন নিজের বিশ্রামের জন্য একটু হলেও সময় বের করো এবং যথেষ্ট পরিমাণ ঘুমাও। মাদক বা অ্যালকোহল এর ব্যবহার কিন্তু তোমার রাগের অনুভূতিকে না কমিয়ে বরং আরও ঘনীভূতই করবে কেবল। সে কারণেই যত রাগই হোক, অগ্রহণযোগ্য কিছু করা যাবে না মোটেই।
3) সৃষ্টিশীল কিছু করো - লেখালেখি, গান, নাচ বা ছবি আঁকা তোমার টেনশনকে প্রশমিত করার জন্য সহায়ক হতে পারে।
4) মন খুলে কথা বলো - এরকম হলে আস্থাশীল কারো সাথে কথা বলো বা দেখা করো। সে তোমার বন্ধু হতে পারে, আত্মীয় হতে পারে, শিক্ষক হতে পারে এমনকি তোমার পরিচিত এমন কেউ হতে পারে যাকে তুমি ভালো শ্রোতা বলে ভাবো। এমনকি, তুমি চাইলে কোনো কাউন্সেলরের সাথে কথা বলতে পারো, তোমার অনুভূতিকে বুঝে নিয়ে তার নিয়ন্ত্রণের জন্য কি কৌশল অবলম্বন করা উচিত সে ব্যাপারে তার কাছ থেকে সাহায্য নিতে পারো। তোমার অনুভূতিগুলো আরেকজন বন্ধুকে জানালেও তোমার উপকার হতে পারে। তাতে হয়তো তুমি ঘটনার ভিন্ন একটা দৃষ্টিভঙ্গি পাবে।
5) দৃষ্টিভঙ্গিটা পাল্টাও - 'এটা একদমই ঠিক হলো না', কিংবা ' এরকম মানুষের চোখের সামনে থাকাই ঠিক না' জাতীয় চিন্তা- ভাবনা থেকে নিজেকে সরিয়ে নেবার চেষ্টা করো কারণ এগুলা পরিস্থিতিকে আরও নিয়ন্ত্রণের বাইরে নিয়ে যায়। এসব চিন্তা তোমাকে রাগের উৎসের দিকেই নিবিষ্ট করে রাখবে। বরং, এসব চিন্তা যদি মন থেকে ঝেড়ে ফেলতে পারো, তাহলে দেখবে যে রাগ নিয়ন্ত্রণ করা অনেক সহজ হয়ে গেছে।
6) 'সবসময়' (সবসময়ই তুমি এমন করো), ' কখনোই নয়' (কখনোই তুমি আমার কথা শোনো না) , ' উচিৎ/ উচিৎ নয়' (আমি যা চাই তোমার তাই করা উচিৎ/ আমার চোখের সামনেই তোমার থাকা উচিৎ নয়) , 'অবশ্যই/ অবশ্যই নয়' ( আমাকে অবশ্যই সময়মতো যেতে হবে/ আমি অবশ্যই সময়মত যেতে পারবো না) জাতীয় শব্দগুলো যত কম ব্যবহার করা যায় ততোই ভালো।
7) বিশ্রাম নাও - রাগের কারণে আমাদের অনেক শক্তি ক্ষয় হয় এবং তা আমাদেরকে ক্লান্ত করে দেয়। এক্ষেত্রে একটু বিশ্রাম নেয়া, ঘুমানো বা তাড়াতাড়ি শুতে যাওয়া সহায়ক হতে পারে। ঘুম আমাদেরকে কোনো কিছুতে নিবিষ্ট হতে এবং অনুভূতিকে সামাল দিতে সাহায্য করে।
8) মজা করো - যখন তোমার অনেক রাগ হবে, তখন রাগের পরিস্থিতি বা বিষয়টাকেই কৌতুককর দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখতে পারলে রাগ নিয়ন্ত্রণ অনেক সহজ হয়ে যায়। যেমন, মনে করো, তোমার খুবই একটা বাজে দিন গেলো। সেদিন হয়তো তোমার কোনো কাজই ঠিকমতো হয়নি। যেখানে তুমি যদি নিজেকে পরিস্থিতির শিকার ভেবে আরও রাগ না করে উল্টো নিজেকে একটা মজার চরিত্র হিসেবে ভেবে নিতে পারো, তাহলেই কিন্তু রাগকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। যেমন ধরো, তুমি নিজেকে সাউথ পার্ক-এর একজন চরিত্র হিসেবে ভাবো। তাহলে ওরকম পরিস্থিতিতে কি হবে? তখন যদি কোনোকিছুই ঠিকমতো না হয় এবং সারাদিন এরকম চলতেই থাকে, তাহলে তুমি হতাশ হবার বদলে সেটাকে একটা কৌতুক হিসেবে দেখবে এবং তাতে তোমার প্রচণ্ড রকমের রাগও হবে না। যদি এভাবে ভাবতে পারো যে জীবনে কোনো কিছুকেই খুব সিরিয়াসভাবে নেয়ার কিছু নেই, তাহলেই কিন্তু খুব সহজ দৃষ্টিভঙ্গিতে সবকিছু দেখা যায়।
[ইন্টারনেট হতে সংগ্রহীত]

বুধবার, ২ আগস্ট, ২০১৭

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট করার জন্য কি কি শেখা প্রয়োজন ?

ওয়েব ও সফটওয়্যার ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট এর জন্য প্রথমতো আমাদের যে দুটি ল্যাংগুয়েজ জানা প্রয়োজন তা হলো –
১। এইচটিএমএল এবং
২। সিএসএস
এই দুটোই মার্কআপ ল্যাংগুয়েজ, কোন প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ নয়। এ দুটো ল্যাংগুয়েজ দিয়ে আপনি একটি Static ওয়েব সাইট বা সফটওয়্যার তৈরি করতে পারবেন।
পরবর্তিতে আপনি যখন
৩। পিএইচপি এবং
৪। এসকিউএল
এখানে পিএইচপি একটি প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ এবং এসকিউএল ডাটাবেস ল্যাংগুয়েজ। এই দুটোই ল্যাংগুয়েজ শিখলে আপনি একটি Dynamic ওয়েব সাইট অথবা সফটওয়্যার তৈরি করতে পারবেন।
এরপর আপনি
৫। জাভাস্ক্রিপ্ট ল্যাংগুয়েজ শিখলে আপনি একটি আকর্ষনীয় ও দৃষ্টি নন্দন ওয়েব সাইট অথবা সফটওয়্যার তৈরি করতে পারবেন।
তাছাড়া ওয়েব ও সফটওয়্যার ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট করার সময় আপনাদের বিভিন্ন গ্রাফিক্স এর কাজ করার প্রয়োজন হবে।
সেজন্য- PhotoShop, Illustrator বা Graphics এর কাজ মোটামুটি জানা থাকা উত্তম।
এছাড়াও আমরা চাইলে সি, পাইথন অথবা ভিজুয়াল বেসিক দিয়ে সফটওয়্যার তৈরি করতে পারি। তবে Speed এর কথা ভাবলে সি দিয়ে সফটওয়্যার অথবা Application তৈরি করা সব ছেয়ে উত্তম।
মার্কআপ ল্যাংগুয়েজ এবং প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ কি?
এইচটিএমএল এবং সিএসএস দুটোই মার্কআপ ল্যাংগুয়েজ। এরকম আরো অনেক মার্কআপ ল্যাংগুয়েজ আছে। এ দুটি ল্যাংগুয়েজ দিয়ে আপনি যতটুকু কোড লিখবেন সে ততটুকুরই ফলাফল প্রকাশ করবে। এর বাইরে সে কিছুই করতে পারবেনা। আপনি যদি এই দুটি ল্যাংগুয়েজ কে প্রশ্ন করেন যে ৫ এবং ৫ যোগ করলে কত হবো? সে আপনাকে কে কোন ফলাফল দিতে পারবেনা কেননা এটি একটি মার্কআপ ল্যাংগুয়েজ। কিন্তু আপনি যদি কোন প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ, যেমন- পিএইচপি বা জাভাস্ক্রিপ্টকে কে প্রশ্ন করেন যে ৫ এবং ৫ যোগ করলে কত হবো? সে আপনাকে সাথে সাথে বলে দেবে ১০। অথবা যদি প্রশ্ন করেন ৫ এবং ৫ গুণ করলে কত হবে? সে তাও বলে দিতে পারবে। কারণ এটি একটি প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ। এরকম পিএইচপি বা জাভাস্ক্রিপ্ট ছাড়াও আরো অনেক প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ আছে।
Static এবং Dynamic কি?
আমরা আমাদের ওয়েব সাইট বা সফটওয়্যার দুট ভাবে তৈরি করতে পারি। একটি হলো Static এবং অপরটি হলো Dynamic। আমাদের যেসব ওয়েব বা সফটওয়্যার পেইজের কোন কিছু সংযুক্ত, সম্পাদনা বা বাতিল করতে, মূল কোডে যাওয়া ছাড়া পরিবর্তন করা সম্ভব নয় সেগুলো হলো Static পেইজ। আর যেসব ওয়েব বা সফটওয়্যার পেইজর কোন কিছু সংযুক্ত, সম্পাদনা বা বাতিল করতে মূল কোডে যাওয়া ছাড়া পরিবর্তন করা সম্ভব সেগুলো হলো Dynamic পেইজ। যেমন Facebook এর কথাই ধরুন, আমরা চাইলে Facebook আমাদের Profile, যেকোন Post, Friend যোকোন সময় Add, Edit এবং Delete করতে পারছি। মূলত ওই ওয়েব সাইটটি Dynamic হওয়াতে আমাদের জন্য তা করা সম্ভব হয়েছে। তাই আমাদের কোন ওয়েব সাইট বা সফটওয়্যার তৈরির করার সময় সব কিছু Dynamic হচ্ছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
কিভাবে তৈরি হয় ওয়েবসাইট ?
প্রথমে একজন ডিজাইনার ওয়েবসাইটির ডিজাইন করে । সাধারনত ফটোশপ দিয়ে ডিজাইটির একটি বাহ্যিক রূপ দেয় । কিন্তু ফটোশপে যেসব টেক্সট  ইমেজ ব্যবহার করা হয়  সেগুলোত আমরা যেই ব্রাউজার ব্যবহার করি যেমন  ফায়ারফক্স, গুগল ক্রোম ইত্যাদি বুঝতে পারবে না । এই ব্রাউজারগুলোকে বোঝানোর জন্য আলাদা কিছু ভাষা আছে যেমন – এইচটিএমএল, সিএসএস, জাভাস্ক্রীপ্ট ইত্যাদি । প্রথমে এইচটিএমএল দিয়ে ফটোশপে যে ডিজাইনটি করা হয় সেটি একটি কাঠামো তৈরি করা হয় । তারপর সিএসএস দিয়ে ফটোশপে যে ডিজাইন করা হয়েছে সেই রকম ডিজাইন করা হয় । জাভাস্ক্রীপট এবং জেকুয়েরি দিয়ে ডিজাইনে বিভিন্ন রকম এডভান্স ফিচার যেমন যোগ করা হয়।এরপর পিএইচপি মাইএসকউএল ইত্যাদি দিয়ে ওয়েব সাইটি ব্যবহার উপযোগী করা হয়  ।
কিভাবে শিখবেন ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
প্রথমেই আপনাকে মনস্থির করতে হবে যে কমপক্ষে দুই বছর সময় ব্যয় করবেন  শুধু শেখার জন্য। তারপর ফেসবুকের দুইটা গ্রুপে যোগ দিবেন একটা হল আর আর ফাউন্ডেশনের অফিসিয়ার গ্রুপ আর একটি হল  odesk help  গ্রুপ। গ্রুপে যোগ দিয়েই প্রথমেই গ্রুপের ফাইল গুলো পড়ে ফেলেন । প্রথমে কিছুই বুঝবেন না তারপরও ধৈর্য ধরে পড়ে ফেলেন।  এরপর গ্রুপে যে যত পোষ্ট দিবে নিয়মিত পড়তে থাকেন।
কোথায়  শিখবেন ?
এখন অনলাইনে এত রিসোর্স  যে খুব সহজে একা একাই  আপনি শিখতে পারবেন। w3schools  যেখানে সব টিউটোরিয়াল রিসোর্স পাবেন।  আর টুলস্ পেজে পাবেন সব রকম  টুলস্ । অথবা বিভিন্ন প্রকার ট্রেনিং সেন্টার থেকেও শিখতে পারেন। একটা ব্যাপারে লক্ষ্য রাখবেন ।আমাদের দেশে এখন পযর্ন্ত  ভাল মানের ট্রেনিং সেন্টার আছে হাতে  গোনা কয়েকটি।

ওয়েব ডিজাইন” স্বপ্নের ক্যারিয়ার শুরু থেকে সফলতা- যেমন হবে আপনার পথ চলা



"ওয়েব ডিজাইন" আমার স্বপ্নের ক্যারিয়ার শুধু আমার না হয়তো আপনার এবং আপনার এবং আপনারও! অনেকেরই স্বপ্নের ক্যারিয়ার এই ওয়েব ডিজাইন অনেকে স্বপ্ন দেখে ওয়েব ডিজাইনার হিসেবে জীবনে সফল হবার হয়তো আপনিও দেখেছেন আমি দেখেছি, এখনো দেখি
স্বপ্ন শুধু দেখার বিষয় নয় স্বপ্ন পূরণ করার মাঝেই পূর্ণ সার্থকতা জীবনে সেই ব্যক্তি সার্থক এবং সফল যে তার স্বপ্ন পূরণ করেছে আমরা অনেক সপ্নই দেখি সব হয়তো পূরণ করা সম্ভব নয় তবে চেষ্টা করতে দোষ কি? অন্তত বলতে পারবো, না! আমি আমার স্বপ্ন পূরণের চেষ্টা করেছি আপনার স্বপ্ন আপনি মার্ক জুকারবারগের মত সফল ব্যক্তি হবেন কিন্তু একবার ভেবে দেখেছেন?
 আপনি এই স্বপ্ন পূরণ করার জন্য কি কখনো চেষ্টা করেছেন? তাহলে ভাবুন কিভাবে আপনার স্বপ্ন পূরণ হবে? ভাবুন কিভাবে আপনি সফল হবেন? অনেকে হয়তো চেষ্টা করতে চেয়েও পর্যাপ্ত গাইডলাইন এর অভাবে বা অন্য কোন সমস্যায় করতে পারেননি অথবা চেষ্টা করেও সফল হননি কিন্তু মনকে একটা সান্ত্বনা দেয়া যায় "আমি চেষ্টা করেছি " আপনি মার্ক জুকারবারগ হবার চেষ্টা যদি করে থাকেন, মার্ক জুকারবারগ হতে না পারলেও অন্তত মেহেদী হাসান (বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় এবং সবচেয়ে বড় বাংলা টেকনোলজি ব্লগিং সাইট টেকটিউনস এর প্রতিষ্ঠাতা) বা সায়েদা গুলশান ফেরদোউস জানা (বাংলাদেশের প্রথম বাংলা কমিউনিটি ব্লগ সামহোয়ারিন ব্লগ এর প্রতিষ্ঠাতা) হতে পারবেন আপনার সফলতা সম্পূর্ণ নির্ভর করবে আপনার চেষ্টা এবং পরিশ্রম এর উপর
আপনি আপনার সপ্ন পুরনে সচেষ্ট হোন, সফলতা আপনাকে খুজে নিবে
আপনার স্বপ্ন ওয়েব ডিজাইন ক্যারিয়ার গড়ার। আপনি স্বপ্ন দেখুন বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ওয়েব ডিজাইনার হবার। আপনি স্বপ্ন দেখুন বাংলাদেশের সেরা একজন ওয়েব ডিজাইনার হবার। এবং সেই স্বপ্ন পূরণে পরিপূর্ণ চেষ্টা করুন। আপনার লক্ষ থাকবে আপনার স্বপ্ন, সফলতা আপনাকে খুজে নিবে
আমি ওয়েব ডিজাইন ক্যারিয়ার নিয়ে ধারাবাহিক টিউন লিখবো কি করতে হবে, কি করবেন না, কিভাবে করবেন, কেন করবেন ইত্যাদি আরো অনেক প্রশ্নের উত্তর পাবেন আশা করি যারা ওয়েব ডিজাইন কি তাও বুঝেন না তাদের কেও সহজে বুঝিয়ে দেয়ার চেষ্টা করবো সময় নিয়ে ধৈর্য ধরে টিউন গুলো পড়ুন আমি বলছি "হতাশ হয়ে ফিরতে হবে না" অবশ্যই উপকৃত হবেন আর আমার টিউন পড়ে কেউ উপকৃত হলেই আমি সার্থক

 

 

ওয়েব ডিজাইন কি?

একজন মানুষের মনে সর্বপ্রথম সাধারণ যে প্রশ্ন টি আসবে, সেটি হল ওয়েব ডিজাইন কি?
একটি ওয়েবসাইট এর দৃশ্যমান অংশ তৈরি করাই ওয়েব ডিজাইন
আপনি একটি ওয়েবসাইট যা দেখতে পান তা তৈরি করাই ওয়েবডিজাইন। একটি ওয়েবসাইট দেখতে কেমন হবে, এর ব্যাকগ্রাউন্ড এর রং কি হবে, ব্যাকগ্রাউন্ড কোন ছবি থাকবে কিনা, থাকলে কি ছবি থাকবে। লেখা কত বড় হবে, কেমন স্টাইল এর হবে, কি রঙের হবে। ইত্যাদি নির্ধারণ করাই ওয়েব ডিজাইন। ওয়েব ডিজাইন এর কাজ ওয়েবসাইট এর দৃশ্যমান অংশ নিয়ে কাজ করা। যেমন ধরুন ফেসবুক, এর রং নীল বাম পাশে ছবি বা অনেক সময় ভিডিও থাকে। উপরে লগিন বক্স। ডানে সাইনাপ বক্স। আবার গুগল দেখুন। এর এসব কিছুই নেই। মাঝে একটি লোগো এবং এর নিচে সার্চ বক্স। এরকম প্রতিটা ওয়েবসাইট দেখতে ভিন্ন হয় কেন? এদের ডিজাইন এর কারনে। প্রত্যেক ওয়েবসাইট আলাদা ভাবে ডিজাইন করা হয়। প্রত্যেকের বিশেষ বৈশিষ্ট্য সহ বিশেষ ইউনিক ডিজাইন হয়

 

ওয়েব ডিজাইন কিভাবে করতে হয়?

কিছু ভাষা ব্যবহার করে ওয়েব ডিজাইন করা হয়। এসব ভাষাকে কম্পিউটার এর ভাষা বা ওয়েব পেজ এর ভাষা বলতে পারেন। মানুষের যেমন আলাদা ভাষা আছে, সে তার ভাষা বোঝে। তেমনি ওয়েব পেজ এর আলাদা ভাষা আছে এবং সে সেই ভাষা বোঝে। ওই ভাষায় তাকে যা বলা হবে সে তাই করবে। যদি বলা হয় তোমার রং পাল্টাও সে তা পালটে দেবে। আপনাকে ওয়েব ডিজাইন করতে হলে এসব ভাষা জানতে বা শিখতে হবে। আর এসব ভাষা কম্পিউটার লিখে ওয়েব পেজ তৈরি করা হয়। কয়েকটি ওয়েব পেজ নিয়েই একটি ওয়েবসাইট। অনেক সময় মাত্র একটি পেজ নিয়েই একটি ওয়েবসাইট হতে পারে
Webcoachbd.com এভাবে বলা হয়েছেঃ

 

ওয়েব ডিজাইন কি

ওয়েব ডিজাইন হচ্ছে একটা ওয়েবসাইটের জন্য বাহ্যিক গঠন তৈরী করা। ওয়েব ডিজাইনারের মুল কাজ একটা সাইটের জন্য টেমপ্লেট (ওয়েবপেজ) বানানো,এখানে কোন এপ্লিকেশন থাকবেনা। যেমন লগিন সিস্টেম, নিউজলেটার সাইনআপ, পেজিনেশন, ফাইল আপলোড করে ডেটাবেসে সেভ করা,ইমেজ ম্যানিপুলেশন, যদি সাইটে বিজ্ঞাপন থাকে তাহলে প্রতিবার পেজ লোড হওয়ার সময় বিজ্ঞাপনের পরিবর্তন এগুলি এপ্লিকেশন, ওয়েব এপ্লিকেশন। এসব তৈরী করতে হয় প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ দিয়ে। কোন প্রকার এপ্লিকেশন ছাড়া একটা সাইট তৈরী করা এটাই ওয়েব ডিজাইন, এধরনের ডিজাইনকে বলতে পারেন স্টাটিক ডিজাইন।ওয়েব ডিজাইনের জন্য এই ধারনাটি সাধারনত ব্যবহৃত হচ্ছে

 

 

 

ডিজাইন নাকি ডেভেলপমেন্ট?



আমরা প্রথমেই যে ভুলটি করি, সেটি হল ওয়েব ডিজাইন আর ডেভেলপমেন্ট কে গুলিয়ে ফেলি ওয়েব ডিজাইন আর ওয়েব ডেভেলপমেন্ট সম্পূর্ণ আলাদা জিনিস ওয়েব ডিজাইন কি আমি তা বলেছি আসলে আমরা ডিজাইন বলতে কি বুঝি? কোন কিছু তৈরি করাই ডিজাইন, আর একটি ওয়েবপেজ এর দৃশ্যমান অংশ তৈরি করা হচ্ছে ওয়েব ডিজাইন আর ওয়েব ডেভেলপ হচ্ছে ওয়েবসাইট এর প্রান দেয়া অর্থাৎ কাজ করার শক্তি দেয়া একটি সহজ এবং মজার উদাহরণ দেখুন, এখানে গাড়ি কে ওয়েবসাইট মনে করুনঃ
ধরুন একটি গাড়ি বানাতে হবে। এখন একজন গাড়িটি দেখতে কেমন হবে, উচ্চতা, প্রস্থ, রং, ইত্যাদি ঠিক করবে। এবং সে অনুযায়ী গাড়ি বানাবে। এখন যে গাড়ি ডিজাইন করলো এবং বানালো সে হচ্ছে ওয়েব ডিজাইনার এবং এই গাড়ি ডিজাইন করে বানানোটা ওয়েব ডিজাইন
আরেকজন গাড়িতে ইঞ্জিন লাগিয়ে গাড়ির সব তার জোড়া দিয়ে ইঞ্জিন, লাইট ইত্যাদি ঠিক করে গাড়িটিকে চলার উপযোগী করে তুল্ল। গাড়িটি কিভাবে চলবে, কি চাপলে কি কাজ করবে। কোন দিকে ঘুরালে কোন দিকে ঘুরবে। ইত্যাদি সব ঠিক করলেন তিনি। এক্ষেত্রে তিনি হচ্ছেন ওয়েব ডেভেলপার। আর এই গাড়িতে প্রাণ দেয়াটাই ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
ফেসবুক দেখতে কেমন, কই ছবি থাকবে, কই চ্যাট বক্স থাকবে, কই হোম বাটন থাকবে, কোনটার রং কেমন হবে ইত্যাদি হচ্ছে ওয়েব ডিজাইন এর কাজ। আর ফেসবুক স্টেটাস লিখে দিলেই তা সবার কাছে পৌঁছে যাবে, ইমেইল পাসওয়ার্ড দিয়ে লগিন ক্লিক করলেই লগিন হয়ে যাবে। কিছু লিখে লাইক ক্লিক করলে একটা লাইক যোগ হবে এবং মালিকের কাছে লাইক এর নোটিফিকেশন চলে যাবে, ইত্যাদি ডেভেলপমেন্ট এর কাজ

আরো সন্দেহ আছে?

ধরুন একটি মানুষকে আপনি দেখতে পাচ্ছেন। তার হাত আছে, পা আছে, মাথা আছে, গোলগাল মুখ, দেখতে সুন্দর। এটাই হচ্ছে তার ডিজাইন। আবার আপনি দেখতে পাচ্ছেন সে হাটতে পারে, কথা বলে, বিভিন্ন কাজ করে, খেলা করে, তাকে কিছু করতে বললে করে, কোন প্রশ্ন করলে জবাব দেয়। এটা হচ্ছে তার ডেভেলপমেন্ট
আশা করছি বুঝে গেছেন। এবার আর হয়তো ডিজাইন আর ডেভেলপমেন্ট কে এক করে বা গুলিয়ে ফেলবেন না। এবং এটাও হয়তো বুঝে গেছেন যে ওয়েব ডিজাইন থেকে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কঠিন? মাটি দিয়ে একটা মানুষ (মূর্তি) বানানো সহজ, কিন্তু তাতে প্রাণ দেয়া সহজ নয় (এক্ষেত্রে সম্ভব নয়, উদাহরণ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে)





Webcoachbd.com এভাবে বলা হয়েছেঃ

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কি

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট হচ্ছে ওয়েবসাইটের জন্য এপ্লিকেশন তৈরী করা। লগিন সিস্টেম, নিউজলেটার সাইনআপ, পেজিনেশন, ফাইল আপলোড করে ডেটাবেসে সেভ করা,ইমেজ ম্যানিপুলেশন, যদি সাইটে বিজ্ঞাপন থাকে তাহলে প্রতিবার পেজ লোড হওয়ার সময় বিজ্ঞাপনের পরিবর্তন এগুলি এপ্লিকেশন, ওয়েব এপ্লিকেশন। এখানে যে এপ্লিকেশনগুলির উল্লেখ করেছি এধরনের আরো হাজারো এপ্লিকেশন আছে, ওয়েব ডেভেলপারকে এসব এপ্লিকেশন তৈরী করতে হবে।যদি ফ্রিল্যান্সিং করেন তাহলে ক্লাইন্টের চাহিদা অনুযায়ী এমনও এপ্লিকেশন তৈরী করা লাগতে পারে যার অস্তিত্ব পৃথিবীতে নেই।এই বিষয়টি বেশি চ্যালেন্জিং এবং ডাইনামিক।অর্থ্যাৎ আপনাকে এপ্লিকেশন ডিজাইন করতে হবে।তাই ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কে আরও সুনির্দিষ্ট করে বলা যায় ওয়েব এপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট
এখন আপনি ওয়েব ডিজাইন শিখবেন না ওয়েব লেভেলপমেন্ট শিখবেন সেটা ঠিক করুন যদি সিদ্ধান্ত হয়ে থাকে 'ওয়েব ডিজাইন' তবে টিউনটি পড়তে থাকুন অবশ্য আপনি যদি ওয়েব ডেভেলপিং শিখতে চান তাও আপনাকে মোটামোটি ওয়েব ডিজাইন জানতে হবে অর্থাৎ এর কোন বিকল্প নেই! সুতরাং ডিজাইনার হন আর ডেভেলপার... টিউন পড়ে যান, উপকৃত হবেন আমি আপনাকে হাত ধরে শুরু করিয়ে দিবো এবং সফলতার রাস্তা দেখিয়ে দিবো এরপর বাকিটা পথ আপনাকে নিজ পায়ে হাটতে হবে অবশ্য মাঝ পথে হোঁচট খেলে কি করতে হবে সে ব্যবস্থা আমি বলে দিবো তাই চেয়ারের সাথে নিজেকে দড়ি দিয়ে বেধে টিউন পড়া চালিয়ে জান 

 

 

কেন হবেন ওয়েব ডিজাইনার?



ওয়েব ডিজাইন সম্পর্কে জানার পর আপনার মনে প্রথম যে প্রশ্ন টি আশার কথা সেটি হল আমি ওয়েব ডিজাইনার কেন হব? ওয়েব ডিজাইনার হয়ে আমার লাভ? লাভ অবশ্যই আছে! লাভ ছাড়া কি কেও কখনো কোন কাজ করে? হয়তো আপনিও করবেন না তাই আপনাকে লাভ গুলো আঙ্গুল তুলে দেখিয়ে দেই, তাহলে আপনার ওয়েব ডিজাইন হবার আগ্রহ অনেক গুন বেড়ে যাবে - গ্যারান্টি!!!
প্রথমেই আসি আয় প্রসঙ্গে। এটাই হয়তো আপনার প্রথম চিন্তা! আমার আয় কত হবে ওয়েব ডিজাইন শিখলে? আচ্ছা তাহলে আসুন কিছু তথ্য জেনে নেইঃ
একজন ওয়েব ডিজাইনার এর গড় বেতন ৭৭,০০০ ডলার। সর্বনিম্ন বেতন ৪০,০০০ডলার এবং সর্বোচ্চ বেতন ৮৫,০০০ ডলার
কিছু উচ্চ বেতন প্রদানকারী দেশঃ
·         Philadelphia, PA: $79,717
·         San Francisco, CA: $79,551
·         New York, NY: $77,475
কিছু নিম্ন বেতন প্রদানকারী দেশঃ
·         San Juan, Puerto Rico: $48,965
·         Greensboro, NC: $55,489
·         Burlington, VT: $57,052
সুত্রabout.com  indeed.com
বাংলাদেশ এর কোন ফার্ম একজন ওয়েব ডিজাইনার এর বেতন প্রায় ১৫০০০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৫০০০০ টাকা পর্যন্ত !
এবার নিশ্চই ওয়েব ডিজাইনার হবার ইচ্ছা শক্তি বেড়ে গেছে😀 দারান... আরো বাকি আছে !
রয়েছে ফ্রীল্যান্স মার্কেট প্লেস  কাজ করার সুযোগ। ফ্রীল্যান্স মার্কেট প্লেস আপনি কাজ করতে পারেন একজন ফ্রীল্যান্সার হিসেবে। ফ্রীল্যান্স মার্কেট প্লেস একজন ওয়েব ডিজাইনার এর ঘন্টায় রেট সর্বোচ্চ ৫০ ডলার পর্যন্ত (প্রায়) এর বেশি হতে পারে! মোটামোটি নতুনদের ঘন্টায় রেট - ডলার (ভালো মানের ওয়েব ডিজাইনার). অর্থাৎ প্রতিদিন ঘন্টা কাজ করলে আপনার প্রতিদিন ২৫ ডলার এবং মাসে ৬০০ ডলার অর্থাৎ প্রায় ৪৮০০০ টাকা 😀
(ফ্রীল্যান্সিং, মার্কেট প্লেস ওডেস্ক নিয়ে ৫ম পর্বে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।)
এছাড়া আপনি ওয়েব ডিজাইন এর উপর ব্লগিং করে অর্থাৎ লেখালেখি করে আয় করতে পারেন মাসে ৫০০০০ হাজার টাকার বেশি। এক্ষেত্রে আর্টিকেললিখে বিক্রি করে বা নিজের ব্লগ টিউন করে আয় করতে পারেন। নিজের ব্লগ হলে গুগল এডসেন্স থেকে ভালো আয় করতে পারবেন। নিয়ে আমার এই টিউন টি দেখতে পারেনঃ একই সাথে ওয়েব ডিজাইন শিখুন এবং পাশাপাশি ভালো আয় করুন - "গোপন রহস্য"
এছাড়াও আরো অনেক সুযোগ সুবিধা রয়েছে ওয়েব ডিজাইনার হিসেবে কাজ করার। আপনি একটি ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আপনি বিভিন্য থীম বানিয়ে বিক্রি করতে পারেন। বিভিন্ন ইফেক্ট বানিয়ে বিক্রি করতে পারেন। ওয়েবসাইট লেয়াউট বানিয়ে বিক্রি করতে পারেন। কোন ফরেইন অফিস অনলাইন এই চাকরী করতে পারেন


আপনার একটি মুক্ত স্বাধীন ক্যারিয়ার হবে একটি উন্নত ক্যারিয়ার হবে ভার্চুয়াল জগতে একটি অন্য রকম পরিচয় সৃষ্টি হবে পাবেন প্রচুর সম্মান

যেভাবে হবেন ওয়েব ডিজাইনার

ওয়েব ডিজাইনার হতে হলে আগে আপনাকে ওয়েব ডিজাইন সম্পর্কে জানতে হবে ওয়েব ডিজাইন সম্বন্ধে ভাল মত বুঝতে হবে আমি আশা করছি এই টিউন আমি মোটামোটি বোঝাতে পেরেছি এবার আপনি ভেবে দেখুন, ওয়েব ডিজাইন কি আপনার ভালো লাগে? এর প্রতি কি আপনার সত্যিকার অর্থে আগ্রহ আছে? এই ভাল লাগা বা আগ্রহের কারণ যদি হয় শুধু আয় করা বা টাকার লোভ তাহলে ওয়েব ডিজাইন শেখার বা ওয়েব ডিজাইনার হবার কথা ভুলে যান আর যদি সত্যি সত্যি মন থেকে আপনার ওয়েব ডিজাইন ভাল লাগে এবং আগ্রহ আছে তাহলে আপনি ওয়েব ডিজাইনার হতে পারবেন
ওয়েব ডিজাইনার হতে হলে আপনাকে সবার আগে নিজেকে প্রস্তুত করে নিতে হবে। নিজেকে কিভাবে প্রস্তুত করবেন সেটা নিয়ে আমি পরের পর্বের একটি টিউনে আলোচনা করেছি
প্রথমেই আপনাকে কাজ শিখতে হবে। অনেক সময় আর পরিশ্রম দিতে হবে। পরিশ্রম এর কোন বিকল্প নেই। যেকোনো কাজেই আপনাকে সফল হতে হলে অনেক পরিশ্রম করতে হবে। ওয়েব ডিজাইন নিয়ে ঘাটাঘাটি করুন। ওয়েব ডিজাইন নিয়ে যত পারবেন জানার চেষ্টা করুন
নিজের মনকে স্থির করুন, লক্ষ্য স্থির করুন। আপনার লক্ষ একটাই আপনাকে একজন ভালো এবং সফল ওয়েব ডিজাইনার হতে হবে। ধীরে ধীরে মনোযোগ সহকারে কাজ শিখতে থাকুন, শেখার পাশাপাশি যা শিখেছেন তা নিয়েই কাজ করুন। নিজে নিজে এসব নিয়ে ঘাটাঘাটি করুন, বিভিন্ন ব্লগ পড়ুন, বই পড়ুন, ধৈর্য হারিয়ে ফেলবেন না। ধৈর্য যেকোনো কাজের ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ধৈর্য সহকারে কাজ শিখতে থাকুন আর করতে থাকুন

সংগৃহীত
টেকটিউনস ডট কম