শুক্রবার, ১৮ নভেম্বর, ২০১৬

অদ্ভুত ১০টি ভয়!

ভয় একটি মানসিক ক্রিয়া। নানান রকম ভয় দানা বাঁধে মানুষের মনে। কখনো কখনো সেই ভয় মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। তখন তা রূপ নেয় ব্যাধিতে। নানান রকম অদ্ভুত, উদ্ভট ভয়ের দুনিয়ায় বন্দী জীবন যাপন করছেন অনেকেই। তেমনই ১০টি ফোবিয়ার কথা জানব আজ।
Agyrophobia- এগিরোফোবিক হচ্ছে রাস্তা পারাপারের ভয়।
এই ফোবিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তি সড়ক, মহাসড়ক পার হতে মারাত্মক ঝুঁকি অনুভব করে। স্বাভাবিকভাবেই নগর জীবনে এদের অবস্থা হয় খুবই শোচনীয়। এগিরোফোবিক্স একটি গ্রীক শব্দ। অর্থ হচ্ছে বাঁক বা ঘূর্নন, যেহেতু একজন ফোবিয়াগ্রস্থ ব্যাক্তি ট্রাফিককে ভয় করে এবং এড়ানোর চেষ্টা করে। এই ফোবিয়া বিভিন্নরকম হতে পারে। কেউ হয়তো চওড়া রাস্তাকে ভয় করে। আবার কেউ হয়ত সিঙ্গেল লেন রাস্তাকে ভয় করে, অথবা শুধু রাস্তার পাশে হাঁটতে বা পার হতেও ভয় লাগতে পারে তার।

Mageirocophobia- অদ্ভুত এই ফোবিয়ায় মানুষ রান্না করতে ভয়বোধ করে। এই শব্দটি গ্রীক শব্দ মাগেইরোকোস থেকে এসেছে যার মানে হল একজন রান্নায় দক্ষ ব্যাক্তি। এই ব্যাধি একজন মানুষের মধ্যে অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণের প্রবণতা তৈরি করতে পারে যদি সে একা বসবাস করে। এরা প্রচন্ডভাবে ভাল রাঁধুনিদেরও ভয় করতে পারে। রান্না সংক্রান্ত সকল কিছুই তারা এড়িয়ে যেতে চেষ্টা করে। তবে অন্যান্য ফোবিয়ার মত এক্ষেত্রেও বিভিন্ন রোগীর মাঝে রোগের লক্ষণ এবং ধরণের পার্থক্য হয়।
Pediophobia- পুতলকে ভয়! এই ফোবিয়া আক্রান্ত ব্যাক্তি অযৌক্তিকভাবেই ভয় করে পুতলকে! ভয়টি ভৌতিক চিন্তা থেকে যাকে বলা হয়, “false representation of sentient beings”। এই পুতুল এমনকি রোবট হতে পারে, মেনিকুইন হতে পারে, হতে পারে ছোট্ট কোন বার্বি ডল। এই ফোবিয়া কিন্তু পেডিফোবিয়া বা পিডিয়াফোবিয়া নয় যা শিশুদের প্রতি ভীতির কারণে হয়ে থাকে। সিগমন্ড ফ্রয়েডের মতে এই ফোবিয়ায় একজন রোগী মনে করেন, পুতুলটি জীবন্ত হয়ে যাবে এবং তার ক্ষতি করবে।
Deipnophobia- ডিনারের সময় কথা বলতে ভয়। খাবার খাওয়ার সময় অনেকরকম অদ্ভুত আলোচনা হয়ত হয়। তবে কিছু মানুষ বাড়াবাড়িভাবে ভয় করে এই আলোচনাকে। তাই রাতের খাবার হয় তারা একা খায় অথবা খাবার টেবিলে চুপ করে থাকে।
Eisoptrophobia- আয়নাকে ভয়। এই ফোবিয়াগ্রস্থ মানুষ আয়নায় নিজের প্রতিবিম্বকে ভয় করে। আরও স্পষ্ট করে বললে, তারা মনে করে আয়নার পেছনে আছে কোন ভৌতিক পৃথিবী। যদিও তারা জানে এই ভয় অযৈক্তিক, তবু তারা সবস্ময় উদ্বিগ্ন হয়ে থাকে। তারা আরও মনে করে, আয়না ভেঙ্গে ফেলা মন্দ ভাগ্যের পরিচয়। আবার এটাও মনে করে, আয়নার দিকে তাকালে আয়নার পেছনের ভয়াল ভৌতিক পৃথিবী তাকে টেনে নেবে ভেতরে। অনেকসময় আয়নায় তারা নিজের পেছনে মানুষের ছায়া বা মূর্তি দেখতে পায়।
Demonophobia- পিশাচের ভয়। এক্ষেত্রে মানুষ মনে করে পৃথিবীতে ভৌতিক অতিপ্রাকৃত চরিত্র যেমন ভূত, পিশাচ ঘুরে বেড়ায় এবং তারা যেকোন সময় তার ক্ষতি করতে পারে। এই ব্যাধিতে আক্রান্ত ব্যক্তি নিজেও বুঝতে পারে যে তার ভয় অযৌক্তিক। তবু সে ভুতের সিনেমা দেখা এমনকি বিকৃত মুখভঙ্গি বা অন্ধকার ঘরকে ভয় করে।
Pentheraphobia- শ্বাশুড়িকে ভয়! সকল ফোবিয়ার মধ্যে এটাই সম্ভবত সবচেয়ে সাধারণ। সব বিবাহিত মানুষ নারী হোক বা পুরুষ একবার হলেও এই ভয়ের মধ্য দিয়ে যায়! পশ্চিমা বিশ্বে এই ধরণের ফোবিয়া বেশী দেখা যায়।
Arachibutyrophobia- মুখের ভেতরে উপরের মাড়িতে পিনাট বাটার লেগে যাওয়ার ভয়। ভয় যে কত অদ্ভুত হয়! তবে এই ডিসর্ডার সচরাচর দেখা যায় না। ভয়ের সমাধানটিও সহজ। পিনাট বাটার না কিনলেই হল।
Cathisophobia- বসার ভয়। এই ব্যাধি অর্শ্বরোগের কারণে হতে পারে। তবে কখনো কখনো এটি ছোটবেলায় শারিরিকভাবে লাঞ্ছিত হওয়ার কারণেও হতে পারে। হয়ত, স্কুলে শাস্তি হিসেবে ধারালো কিছুর উপর বসতে দেওয়া হত। অথবা সামনে অপছন্দের ব্যাক্তির বসে থাকার কারণেও একজন ফোবিয়াগ্রস্থ ব্যক্তি বসতে ভয় পেতে পারেন।
Automatonophobia- কথা বলতে পারে এমন ডামি (Ventriloquist’s Dummy) পুতুলকে ভয়। অনেক সার্কাস বা নাটকের শো তে এমন পুতুল আনা হয়, যার ভেতরে হাত ঢুকিয়ে পুতুলের মুখ নাড়িয়ে দেখানো হয় যে সে কথা বলছে। এই ধরণের পুতুলের ভয়ই automatonophobia।

ঘুমের অদ্ভুত কিছু গুণাবলী

ঘুমাতে কে না ভালবাসে? ঘুমের কথা শুনলেই তো অনেকের ঘুম চলে আসে। তবে যাই বলুন না কেন, সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হবার জন্য ঘুমের অবদান অনস্বীকার্য। এজন্য ডাক্তাররা নিয়মিত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য নিয়মিত ঘুমানো অত্যন্ত আবশ্যক। স্বল্প নিদ্রার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে পারে এবং পরবর্তীতে নানান জটিল রোগের কারন হয়ে দাঁড়াতে পারে।
পরিমিত ঘুম আমাদের মস্তিষ্ককে সচল রাখতে সহায়তা করে। ঘুমানোর সময় আমাদের দেহে নিউরনের মধ্যে শক্তির সঞ্চার হয় আর ঘুম অল্প হলে আমাদের স্নায়ুতন্ত্র সঠিকভাবে কাজ করা বন্ধ করে দেয়। এর ফলে আমরা কাজে ঠিকমতো মনোনিবেশ করতে পারি না।
স্বল্প নিদ্রার কারণে আমাদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশার সৃষ্টি হয়। এতে যেকোনো কাজে ত্রুটির পরিমাণ বেড়ে যায় এবং আমরা খারাপ চিন্তা ভাবনা করি।
আমাদের দেহে ক্ষুধার মাত্রা নিয়ন্ত্রন করে “ল্যাপটিন” নামক প্রোটিন, আমরা যখন স্বল্প নিদ্রায় ভুগি তখন আমাদের দেহে ল্যাপটিনের পরিমাণ বেড়ে যায় এবং ক্ষুধা বেশি লাগে। এজন্যই, আমরা যখন রাত জাগি,তখন আমাদের ক্ষুধা পায়।
স্বল্প নিদ্রার কারণে উচ্চ রক্তচাপের সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়াও স্বল্প নিদ্রা ডায়বেটিসের কারণ হয়েও দাঁড়াতে পারে। তাছাড়াও ঘুমের মাধ্যমে আমরা ত্বকের বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে সক্ষম।
বিশেষজ্ঞরা তাই সবসময়েই পরিমিত ঘুমের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তাদের মতে নিয়মিত একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই আমদের ঘুমাতে যাওয়া উচিত। ঘুমানোর আগে মাথা থেকে দুশ্চিন্তা যথাসম্ভব দূরে রাখা দরকার। একটি ভালো ঘুমের জন্য ঘুমাতে যাওয়ার আগে ধূমপান হতে বিরত থাকা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। ঘুমানোর জন্য সবসময় একটি নীরব এবং শান্তিপূর্ণ স্থান বেছে নিতে হবে।
স্বল্প নিদ্রা দূর করার জন্য বিশেষজ্ঞদের মতে, দুধের সাথে মধু মিশিয়ে খেতে হবে এবং ভিটামিন বি সমৃদ্ধ খাবার (যেমন- বাদাম) খেতে হবে। এছাড়াও, কলা এবং দধি স্বল্প নিদ্রা দূরীকরণে সহায়ক।
তবে খেয়াল রাখবেন,  পরিমিত ঘুমের কথাই কিন্তু আমি বলেছি। ঘুমের এত উপকারিতা জেনে সারাদিন ঘুমাতে থাকলে সেটাও কিন্তু বিপত্তি নিয়ে আসবে। স্বল্পনিদ্রা যেমন শরীরের জন্য ক্ষতিকর, ঠিক তেমনি অধিক নিদ্রাও শরীরের জন্য উপকার করেনা,বরং অপকারটাই করে। অধিক নিদ্রার ফলে আপনার অলসতা বৃদ্ধি পাবে, শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে মেজমেজ অনুভব করবেন এবং শারীরিক দুর্বলতা বৃদ্ধি পাবে। এমনকি আপনার  যদি নিয়মিত অধিক নিদ্রা হয়, তবে সেটি আপনার কোন শারীরিক সমস্যর লক্ষণ হিসেবেও দেখা দিতে পারে। তাই অধিক ঘুম হলে সেটিও আপনার জন্য চিন্তার কারণই বটে!

এই যে থামেন… হুট হাট করে বাজার থেকে স্মার্টফোন কেনার আগে অবশ্যই লিখাটি পড়ুন

স্মার্টফোন কেনার আগে থেকে সতর্ক থাকলেই ভালো, কেনার পরে সমস্যা পড়লে পস্তাতে হবে। তাই আসুন জেনে নিই স্মার্টফোন কেনার আগে কিছু জরুরি তথ্য






ডিসপ্লের মান: স্মার্টফোন কেনার সময় পর্দার গুণগত মান দেখে নেওয়াটা অনেক বেশি প্রয়োজনীয় । সবচেয়ে ভালো মানের ডিসপ্লে ১০৮০পি (১৯২০ x ১০৮০ পিক্সেলস) ফোনের দাম বেশ চড়া। এক্ষেত্রে কেনার আগে খেয়াল করে দেখতে হবে ভিন্ন ভিন্ন কোণ থেকে দেখলে ছবি পরিষ্কার দেখা যায় কিনা। তবে সাধারণ মানের মোবাইলের ডিসপ্লে ৭২০পি-এর কম হয়ে থাকে।
ডিজাইন: যে কোনো স্মার্টফোন কেনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এর ডিজাইন। তাই আগে থেকেই মনস্থির করুন কোন ডিজাইনের স্মার্টফোন ভালো লাগে। বাজারের সব স্মার্ট ফোনের নজরকাড়া ডিজাইন রয়েছে। কাজেই নিজের ব্যক্তিগত চাহিদা এবং রুচি অনুযায়ী ডিজাইন পছন্দ করাই ভালো।
ওজন : স্মার্টফোন কিনতে যাওয়ার আগে কেমন ওজনের মোবাইল ফোনসেট কিনবেন তা একবার ভেবে নিবেন। কারণ মোবাইল ফোনসেট যত বড় হয় সাধারণত এর ওজনও তত বেশি হয়। তবে ফোনসেটে ব্যাটারি লাগানোর কারণেও সোবাইলের ওজন বেশি হয়।
পর্দার আকার: বড় স্ক্রিনের মোবাইল বেশি জনপ্রিয় হলেও সহজে বহন করতে চাইলে ছোট পর্দার মোবাইল নেওয়া উচিত। এক্ষেত্রে চার ইঞ্চি বা সাড়ে চার ইঞ্চি বা পাঁচ ইঞ্চি পর্দার মোবাইল ফোনেরও বেশ চাহিদা রয়েছে।
অপারেটিং সিস্টেম: এখনকার সবচেয়ে জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেমের মধ্যে অ্যান্ড্রয়েড, আইওএস ৭, উইন্ডোজ অন্যতম। এক্ষেত্রে স্মার্টফোন কেনার আগে পছন্দেরটি বেছে নিন। কারণ অপারেটিং সিস্টেমের ওপর ভিত্তি করেই গোটা ফোনের সব কার্যক্রম নির্ধারিত হয়।
দাম : এমনিতেই মোবাইল ফোনসেটের দাম যত বেশি হবে, তার সবকিছুই তত ভালো হবে। তবে মোবাইল ফোনসেট কেনার আগে একই মডেলের অন্য কোনো সংস্করণ খুব শিগগিরই বাজারে আসলে তা থেকে কোনো সুবিধে পান কিনা কেনার আগে তা অবশ্যই ভেবে নিন।
ব্যাটারির শক্তি: মোবাইল ফোনটি কেমন তার ওপর ভিত্তি করে ব্যাটারির শক্তি নির্ধারিত হয়। তবে বড় মাপের স্ক্রিনের জন্য শক্তিশালী ব্যাটারি প্রয়োজন হয়। আর এখন ৩০০০ এমএএইচ সবচেয়ে বেশি শক্তির ব্যাটারি হিসেবে বাজারে চালু রয়েছে।
ব্লু টুথ: ব্লু টুথ ছাড়া অন্য কোনো মোবাইলের সঙ্গে কিছুই লেনদেন করতে পারবেন না। তাই কেনার আগে ব্লু-টুথ আছে কিনা তা একবার যাচাই করে নিন।
র‌্যামের ক্ষমতা : ফোনের কার্যক্রমে দ্রুততা এনে দেয় র‌্যাম। কাজেই ফোন কিনতে গেলে ২ জিবি র‌্যাম নেওয়ার চেষ্টা করা উচিত। তবে আধুনিক মোবাইলগুলো ৩ জিবি পর্যন্ত র‌্যাম নিয়ে বাজারে আসছে।
ওয়্যারলেস চার্জিং: তার ছাড়া চার্জ দেওয়ার ব্যবস্থা অবশ্য খুব প্রয়োজনীয় কিছু নয়। তবে যেখানে সেখানে প্লাগ পয়েন্ট না থাকার সমস্যায় ওয়্যারলেস চার্জিং সিস্টেম বেশ ভালো।
থ্রি-জি নাকি ফোর-জি:  দেশে সবেমাত্র থ্রি-জি কানেকশন চালু হয়েছে। ডাটা কানেকশনের গতি নির্ভর করে এর ওপর। আরো দ্রুত কানেকশন দেয় ফোর-জি। এ যুগের স্মার্টফোনের জন্য থ্রি-জি কানেকশন নিতে পারে এমন মোবাইল সাধারণত বেশি ভালো।
পপুলার রিভিউ ও রেটিং সাইট ব্যবহার করুন: ইন্টারনেট থাকলে নানা সাইটে ঢুঁ মারতেই হয়। তবে ম্যালওয়্যারের আক্রমণ থেকে বাঁচতে পপুলার রিভিউ ও রেটিং সাইটে ঘোরাফেরা করবেন।
অ্যাক্সেসরিজ: অ্যাক্সেসরিজ সব মোবাইলের সঙ্গেই দেওয়া হয়। তবে অ্যাক্সেসরিজ দেখে ফোন পছন্দ করার দরকার নেই। স্মার্ট অ্যাক্সেসরিজ বেশ আকর্ষণীয় দেখায়। আর ভালো মানের ফোনের অ্যাক্সেসরিজও বেশ ভালো হয়।
সফটওয়্যার আপডেট রাখা: ফোনের সফটওয়্যার প্রতিনিয়ত আপডেট হচ্ছে। যদি নিজের ফোনের সফটওয়্যারগুলো আপডেট রাখেন তাহলে যন্ত্রটি সুন্দরমতো কাজ করবে। একইসঙ্গে ফোনটিও আরো অনেক দিন পর্যন্ত ভালো থাকবে।
কন্ট্রাক্ট ফোন নেওয়ার জন্য: ইউরোপ-আমেরিকাতে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিভিন্ন শর্তের ভিত্তিতে মোবাইল ফোনসেট কেনার ব্যবস্থা রয়েছে। আমাদের দেশেও অপারেটর প্রতিষ্ঠানগুলো এমন অফার দিয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে কোন প্রতিষ্ঠান সবচেয়ে বেশি সুবিধা দিচ্ছে এবং মোবাইলগুলোর মডেলের সঙ্গে দাম ও সুবিধাগুলোর তুলনা করে নিজের পছন্দ অনুযায়ী নেবেন।
অ্যাপ্লিকেশন: মোবাইল ফোনসেটটি যেসব অ্যাপস সাপোর্ট করে তাই ব্যবহার করুন। আর যেসব অ্যাপস মোবাইলের জন্য নয় তা অবশ্যই কাজে লাগানোর চেষ্টা করবেন না। তা ছাড়া মোবাইল ফোনসেট অনুযায়ী আলাদাভাবে অ্যাপসের কালেকশন ইন্টারনেটে দেওয়া থাকে। সেখান থেকেই ফোনটির জন্য অ্যাপস বাছাই করে নেওয়া উচিত।
শক্তপোক্ত ফোন: পর্দাতে সহজে দাগ যেন না পড়ে কিংবা হাত থেকে পড়ে গেলেও যেন ভেঙে বা ফেটে যাবে না এমন শক্তপোক্ত ফোনই বাছাই করা উচিত।


স্মার্টফোন কিনবেন, তাহলে এই টিপস গুলো জেনে নিন

স্মার্টফোন হচ্ছে বর্তমান সময়ের পকেট কম্পিউটার। স্মার্টফোন কেবল কথা বলা, এসএমএস ছাড়াও ই-মেইল পাঠানো, ভিডিও কনফারেন্স, সামাজিক যোগাযোগ সাইটের মাধ্যমে যোগাযোগ, ছবি তোলা, ভিডিও করা ইত্যাদি কাজে ব্যবহার করা হয়। বর্তমান সময়ে স্মার্টফোনের বিক্রি ও চাহিদা দুটিই বেড়েছে। তাই স্মার্টফোন কেনার পূর্বে একজন ক্রেতাকে নিচের বিষয়গুলোর দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
* শুধু মডেলের দিকে না তাকিয়ে এর অভ্যন্তরীণ অপারেটিং সিস্টম সফটওয়্যার হিসেবে কি ব্যবহার করা হয়েছে তা লক্ষ করুন। এ ক্ষেত্রে অ্যাপল ওএস, অ্যান্ড্রয়েড, নকিয়া সিম্বিয়ানসহ বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেমের আপডেট ভার্সন ব্যবহার করাই উত্তম।

* ফোনটির ডিসপ্লে সুপার অ্যালমন্ড কিনা তা নিশ্চিত হোন। কেননা টিএফটি ডিসপ্লের তুলনায় অ্যালমন্ড ডিসপ্লের রেজুলেশন ও টাচ্ সেনসিটিভিটি অনেক ভালো।
* ডুয়েলকোর প্রসেসরের স্মার্টফোনগুলো ভালো। এটি উচ্চ গতির মাল্টিটাস্কিংসহ এর ব্যাটারির লাইফ বেশি। এক্ষেত্রে ফোনটির র‌্যাম ৫১২ মেগাবাইটের বা এর ওপরে হলে ভালো হয়।
* ফেনটিতে ওয়াই-ফাই ও থ্রিজি সাপোর্ট সুবিধা আছে কি না তা নিশ্চিত হোন। উন্নত ইন্টারনেট সেবা পেতে এ ফাংশন দুটি আপনাকে সাহায্য করবে।
* ফোনটির সামনে ও পেছনে একটি করে মোট দুটি ক্যামেরা আছে কি না তা দেখে নিন। কেননা, সামনে ক্যামেরা না থাকলে ভিডিও কল করা যাবে না। তাছাড়া, পেছনের ক্যমেরাটি ৮ মেগাপিক্সেলের ওপরে হলে ভালো হয়।
* সামাজিক যোগাযোগের সাইটগুলোতে কাজ করার ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত ব্রাউজিং সুবিধাসহ চ্যাটিং অপশনগুলো কেমন তা যাচাই করে নিন।
* মেমোরি ক্যাপাসিটি কেমন ও এতে এক্সটেনডেট মেমোরি ব্যবহার করা যায় কি না তা দেখে নিন। কেননা, মেমোরি ক্যাপাসিটি কম হলে অধিক অডিও ও ভিডিও ধারণ করা যায় না। এক্ষেত্রে ৮ জিবির ওপরে হলে ভালো হয়।
* জিপিএস (গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম) আছে কি না এবং থাকলেও তা কাজ করে কি না তা খেয়াল করুন।
* ক্যামেরার সঙ্গে উন্নতমানের ফোকাসের ব্যবস্থা আছে কি না তা চেক করুন। রাতে ছবি তুলতে ও ভিডিও করতে এটি আপনাকে সাহায্য করবে।
* বর্তমানে ভয়েস কমান্ড ফাংশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, এ অপশনটি আপনার দৈনন্দিন কাজকে আরো গতিশীল করবে। সুতরাং আপনার ফোনটিতে ভয়েস কমান্ড ফাংশনের ব্যবস্থা আছে কি না দেখে নিন।
* স্মার্টফোন সর্বদা ভালো ব্র্যন্ডের কেনাই উত্তম।
* কেনার সময়ের ওয়্যারেন্টি সম্পর্কে নিশ্চিত হোন।

সোমবার, ১ আগস্ট, ২০১৬

নন-রিমুভেবল ব্যাটারি বনাম রিমুভেবল ব্যাটারি | আপনার কোন ব্যাটারি ওয়ালা ফোন কেনা উচিৎ? – বিস্তারিত টিউন

বন্ধুরা আমি জানি এরকম অনেক স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর মনে প্রশ্ন থাকে একটি রিমুভেবল ব্যাটারি এবং একটি নন-রিমুভেবল ব্যাটারি নিয়ে। আজকের টিউনটি পড়তে থাকুন কেনোনা আমি আজ এই বিষয় নিয়ে অনেক ভালো একটি বর্ণনা দিতে চলেছি যা আপনার মনে সন্দেহ এবং ভুল ধারণা দুটিই দূর করে দেবে। আপনি যদি নিয়মিত পাঠক হয়ে থাকেন তবে অবশ্যই জানেন যে আমি ভূমিকাতে বেশি সময় লাগাতে একদম পছন্দ করি না, তাই চলুন মূল বিষয়ের দিকে ঝাঁপিয়ে পড়া যাক।

নন-রিমুভেবল ব্যাটারি

আপনারা হয়তো লখ্য করে থাকবেন যে অ্যাপেল আইফোন শুরু থেকেই তাদের ফোনে নন-রিমুভেবল ব্যাটারি ব্যবহার করে আসছে। তাতে কিন্তু কারো কোন মাথার ব্যাথা ছিল না। কিন্তু যেই স্যামসাং তাদের গ্যালাক্সি এস৬ ফোনে নন-রিমুভেবল ব্যাটারি ব্যবহার করে দিল তাতেই হাজারটা টিউমেন্টের সূচনা ঘটতে আরম্ভ করে দিল। যাই হোক, অনেক ব্যবহারকারীর মনে প্রশ্ন থাকে যে নন-রিমুভেবল ব্যাটারি ওয়ালা ফোন বেশি ভালো না রিমুভেবল ব্যাটারি ওয়ালা ফোন বেশি ভালো? আবার আমরা প্রায় সবাই মানুষের শোনা কথা নিয়ে বেশি নাচতে পছন্দ করি। আপনাকে হয়তো কোন বন্ধু এসে বল্ল যে নন-রিমুভেবল ব্যাটারি ফোন একদম বেকার, ব্যাটারি খোলা যাবে না, একদমই কেনা উচিৎ নয়। আর সেটা শুনে আপনিও তালে তাল মেলালেন। আর আপনিও আরো ১০ জন বন্ধুকে গিয়ে একই গান শুনালেন। তো আসলে কোন বিষয়ের উপর ভুল ধারণা এভাবেই বিস্তার লাভ করে। আজকে টিউনের একদম গভীরে প্রবেশের পূর্বে একটি জিনিষ জেনে নিন আর সেটা হলো বাস্তবিক ভাবে রিমুভেবল ব্যাটারি বা নন-রিমুভেবল ব্যাটারি বলে কিছু থাকে না। কি আশ্চর্য হয়ে গেলেন? বিশ্বাস হচ্ছে না তো? দাঁড়ান, এখনো লাইন পুরা হয়নি। আসলে মোবাইল ফোনে যা থাকে তা হল একটি ইউজার রিমুভেবল ব্যাটারি এবং আরেকটি হল নন ইউজার রিমুভেবল ব্যাটারি।
অর্থাৎ এক ফোন এমন থাকে যেখানে ইউজার রিমুভেবল ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়। ইউজার মানে একজন ব্যবহারকারী, মানে আপনি বা আমি। ব্যবহারকারী নিজে থেকে ব্যাটারি পরিবর্তন করতে পারে বলে ইউজার রিমুভেবল ব্যাটারি এবং একজন ইউজার নিজে থেকে ব্যাটারি পরিবর্তন করতে না পারলে অর্থাৎ যে ফোনে পারে না সেটি হল নন ইউজার রিমুভেবল ব্যাটারি ফোন। নন ইউজার রিমুভেবল ব্যাটারি তো আপনি বা আমি পরিবর্তন করতে পারবো না কিন্তু যেকোনো মোবাইল রিপেয়ার শপে বা মোবাইল সার্ভিস সেন্টারে ঐ বাক্তি অনেক সহজেই ব্যাটারি পরিবর্তন করে দিতে পারবে। তো এই সমস্যা তো দূর যে ব্যাটারি বেড় করা সম্ভব এবং পরিবর্তন করাও সম্ভব। এবার চলুন আলোচনা করি নন-রিমুভেবল ব্যাটারি ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা কেন পড়লো আমাদের।

নন-রিমুভেবল ব্যাটারির প্রয়োজনীয়তা

আগের দিনের ফোনে কিন্তু এমনটা হতো না কিন্তু আজকের দিনে এটি একটি ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছে যে আপনার ফোনের ব্যাটারি নন-রিমুভেবল হবে। এর পেছনে আসলে আলাদা আলদা দুই তিন কারন রয়েছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক।
  • নন-রিমুভেবল ব্যাটারি ব্যবহারের সবচেয়ে প্রথম এবং গুরুত্বপূর্ণ কারনটি হলো আপনার ফোনের ডিজাইন অনেক ভালো বানানো সম্ভব হয়। আপনার ফোনে যদি একটি নন ইউজার রিমুভেবল ব্যাটারি থাকে তবে আপনার ফোনের ডিজাইন অনেক স্লিম হওয়া সম্ভব হবে, আপনার ফোন ওজনে অনেক হালকা হওয়া সম্ভব হবে। আপনার ফোনটি মেটাল দিয়ে বানানো সম্ভব হবে এবং ফোনের ডিজাইন প্রিমিয়াম হওয়া সম্ভব হবে। কিন্তু আপনার ফোনে যদি ইউজার রিমুভেবল ব্যাটারি থাকে তবে ফোনের ডিজাইন মোটা হতে পারে, ওজনে ভারি হতে পারে। ফোনের পেছনের অংশে হয়তো প্ল্যাস্টিক ব্যবহার করা থাকবে ফলে ফোনে প্রিমিয়াম লুক দেখতে পাওয়া যাবে না। তো ফোনের লুক পরিবর্তন করতে এবং একটি ভালো ফোন তৈরি করতে আমাদের প্রয়োজন পরে নন-রিমুভেবল ব্যাটারির।
  • আগের দিনে, নোকিয়া ফোন গুলোর ক্ষেত্রে যখন ২-৩ বছরের মধ্যে ফোনের ব্যাটারি নষ্ট হয়ে যেতো তখন বাজার থেকে যেকোনো সস্তা ব্যাটারি কিনে নিয়ে এসে ব্যবহার করা হতো। সে সব ব্যাটারির কোয়ালিটি একদম বেকার হতো। আবার নোকিয়ার নামেই অনেক নকল ব্যাটারি কিনতে পাওয়া যেতো। কিন্তু ঐ সকল ব্যাটারি এনে ফোনে লাগানোর পরে কিছু দিন পর দেখা যেতো যে ব্যাটারি ফোনের ভেতর ফুলে গেছে। আবার কখনো কখনো ফোনের ব্যাটারিতে সর্ট সার্কিট হয়ে আগুন লেগে গেছে এমনটাও শুনতে পাওয়া যেতো। কিন্তু দোষ কাকে দেওয়া হতো? আপনার ফোন কোম্পানিকে। বলা হতো আরে ভাই অমুক কোম্পানির ফোন ব্লাস্ট হয়ে গেছে। তো এই অবস্থায় এখন মোবাইল প্রস্তুতকারী কোম্পানিরা ভাবে যে তারা তাদের ফোনে একটি সিল্ড ব্যাটারি লাগিয়ে দেয়। যাতে একজন সাধারন ইউজার তা না খুলতে পারে। এবং ব্যাটারি নষ্ট হলে কেবল মাত্র অনুমোদিত সার্ভিস সেন্টারে সেটি রিপ্লেস করানো হয়। ফলে ব্যবহারকারী একটি সস্তা ব্যাটারি না লাগিয়ে বরং একটি ভালো মানের আসল ব্যাটারি লাগাতে পারে। এর ফলে আপনার সুরক্ষাও বজায় থাকবে এবং কোম্পানির সুনামও বজায় থাকবে।
  • তৃতীয় কারন হলো ব্যাটারি পরিবর্তনের সময় দেখতে পাওয়া যায় আপনার ফোন কোম্পানি দ্বারা প্রস্তুতকৃত ব্যাটারির মূল্য একটু বেশি হয়ে থাকে। যেমন মনে করুন আপনার ফোনে রিমুভেবল ব্যাটারি লাগানো আছে। এবং আপনি পরিবর্তন করতে যাওয়ার সময় দেখলেন যে আপনার ফোন কোম্পানির ব্যাটারির দাম দুই হাজার টাকা এবং একই মানের অন্য কোম্পানির ব্যাটারির দাম ১৫০০ টাকা। তো কেন আপনি ৫০০ টাকা বেশি খরচ করবেন, যেখানে অন্য কোম্পানি কম টাকায় একই মান সরবরাহ করছে। তো এই অবস্থায় ফোন কোম্পানি বেশি মুনাফা অর্জন করা থেকে বাঁধা পায়। এজন্য কিছু কোম্পানি তাদের ফোনে নন-রিমুভেবল ব্যাটারি লাগানোর সিদ্ধান্ত এই জন্য নেয় যে ব্যবহারকারী তাদের কাছেই ব্যাটারি পরিবর্তন করতে আসবে। এবং এতে তারা সামান্য বেশি মুনাফা অর্জন করতে সক্ষম হবে।

নন-রিমুভেবল ব্যাটারি নিয়ে কিছু ভুল ধারণা

এবার চলুন আলোচনা করি আমাদের মনের মধ্যে আটকে থাকা কিছু ভুল ধারণা নিয়ে। দেখুন অনেকে মনে করে থাকেন যে নন-রিমুভেবল ব্যাটারির ফোন মানে আর পরে ব্যাটারি পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। এ বিষয় তো আপনি পরিষ্কার ভাবে জেনেই গেছেন যে আসলে ব্যাটারি পরিবর্তন করা সম্ভব। হাঁ, ২-৩ বছর পরে প্রায় সব ফোনেরই ব্যাটারির সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু আপনি ভেবে দেখুন তো আপনি কি কোন ফোন একটানা ৩ বছর ব্যবহার করেন? হাঁ অনেক সময় কোন ফোন ভালো সার্ভিস দেয় বলে একটানা ব্যবহার করা হয়, কিন্তু বেশিরভাগ সময়ই দেখা যায় যে কোন ফোন ১-২ বছর ব্যবহার করার পরে আমরা বিক্রি করে দেই। এবং তখনকার সময় কোন নতুন ফোন কিনে ফেলি। তো এই অবস্থায় আপনাকে ব্যাটারি পরিবর্তন করার প্রয়োজন পরবেই না। আর যদি পরেও কি সমস্যা? অনেক সহজ ব্যাপার, যে কাজ আপনি নিজে করতেন সেটা ব্যাস কোন সার্ভিস সেন্টারে গেলেই ২-৩ মিনিটে করে দেবে। এবং তারা আপনার থেকে অবশ্যই বেশি দক্ষ।
আবার অনেকে মনে করেন যে ফোনের ব্যাটারি ইউজার রিমুভেবল হওয়াটা অনেক বেশি সুবিধার। একসাথে দুইটি ব্যাটারি ব্যবহার করতে পারবো। একটি চার্জ করে ব্যাকআপ হিসেবে রাখবো এবং আরেকটি ব্যাটারি ফোনে লাগানো অবস্থায় থাকবে। সত্যি? আচ্ছা আপনি আমাকে বলুন তো, আপনি কি কখনো এমন করে আপনার ফোন ব্যবহার করেছেন? হাঁ, এটা করা যায়। একদম যে অসম্ভব সেটা বলছি না। কিন্তু আপনি কেন আরেকটি ব্যাটারি কিনতে টাকা ইনভেস্ট করবেন? আর আজকের দিনে কে একসাথে দুইটি ব্যাটারি নিয়ে ঘোরাফেরা করে? যখন আপনার কাছে দুটি ব্যাটারি থাকবে তখন ভাব্বেন আরে ফোনে তো বেশি চার্জ নাই তো ব্যাটারি পাল্টাই। আবার ভাব্বেন তো আরেকটা ব্যাটারি চার্জ করি। তারপরে ভাব্বেন ফোনটা চার্জে লাগাই, তারপর আবার ব্যাটারি, আবার ফোন। উফফ……

আপনার লাইফ একদম কঠিন হয়ে যাবে। আজকের দিনে ব্যাটারি চার্জ সমস্যা এড়ানোর জন্য আমরা একটি ভালো পাওয়ার ব্যাংক ব্যবহার করে থাকি। যেটা অনেক ভালো একটি সমাধান। তাছাড়া আপনি বাড়িতে থাকুন, অফিসে থাকুন, গাড়িতে থাকুন, সবজায়গাতেই কিন্তু অনেক সহজে আপনার ফোন চার্জ করতে পারবেন এবং ব্যবহার করতে পারবেন।
তো ফোনের ব্যাটারি বারবার পরিবর্তন করার চিন্তা মাথা থেকে সরিয়ে ফেলাটায় উত্তম। কেনোনা এমনটা করতে গিয়ে ফোনের পেছনের অংশটি ঢিল হয়ে যেতে পারে। তাছাড়া বেশি ব্যাটারি পরিবর্তনের ফলে ব্যাটারি পিন নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এবং ব্যাটারির কানেক্টরে দাগ পরে গিয়ে ব্যাটারি অকেজো হয়ে যেতে পারে। তাছাড়া নন-রিমুভেবল ব্যাটারির ফোনে সিম এবং মেমোরি কার্ড খোলা মেলা করা অনেক বেশি সুবিধার হয়ে থাকে।
এবার আসি সবচেয়ে বড় ভুল ধারণা নিয়ে। অনেকে মনে করেন যে ফোন হাং হয়ে গেলে কি করবো? যেমনটা দেখা যেতো আগের নোকিয়া সিম্বিয়ান ফোন গুলোতে। ফোন হাং হয়ে গেলে ব্যাটারি খুলে ফোন রি-স্টার্ট করতাম। কিন্তু ফোনের ব্যাটারিই না খোলা গেলে কীভাবে ফোন রি-স্টার্ট করবো? দেখুন এখনকার দিনের মডার্ন স্মার্টফোন গুলো অনেক কম হাং হয় আর যদি হাং হয়েও যায় তবে ব্যাটারি না খুলে রি-স্টার্ট করার সুবিধা রয়েছে। আপনি যদি আইফোন ব্যবহার করেন তবে আপনার ফোনের পাওয়ার বাটন এবং হোম বাটন একসাথে ১০ সেকেন্ডের জন্য চেপে রাখুন আপনার ফোন রি-স্টার্ট হয়ে যাবে। আপনি অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহার করলে, আপনার ফোনের পাওয়ার বাটন কিছু সময় ধরে রাখুন, আপনার ফোন রিস্টার্ট হয়ে যাবে। তো এটা নিয়ে মাথা ব্যাথা করার কোন চিন্তা নেই বন্ধুরা।

শেষ কথা

তো এই ছিল কারন যার জন্য নন-রিমুভেবল ব্যাটারি ব্যবহার করার প্রয়োজনীয়তা পড়েছিলো আমাদের। আর এটি অবশ্যই ভালো একটি বিষয়। কেনোনা এটি ব্যবহারে আপনার ফোনের ডিজাইন অনেক বেশি সুন্দর হয়ে যায়, এবং এটি অবশ্যই মূল্য রাখে। আর তাছাড়া আমাদের অবশ্যই সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া উচিৎ। আমাদের অবশ্যই নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করা উচিৎ। আর তবেই পরিবর্তন করা সম্ভব হবে স্মার্টফোন প্রজন্ম। আর আপনার অবশ্যই এটার উপর কোন ভাবার দরকার নেই যে আপনার ফোনের ব্যাটারি রিমুভেবল না নন-রিমুভেবল অ্যাবল। ব্যাস একটি ভালো মানের ব্যাটারি হলেই হলো যেটা আপনি চার্জ এবং ডিসচার্জ করবেন। যাই হোক বন্ধুরা আজকের টিউন এই পর্যন্তই ছিল। আশা করছি টিউনটি অবশ্যই উপভোগ করেছেন। তাই অবশ্যই টিউনটি শেয়ার করে আমাকে সমর্থন করুন। এবং অবশ্যই আপনার যেকোনো প্রশ্ন বা মতামত জানাতে নিচে আমাকে টিউমেন্ট করুন।

স্মার্টফোন কেনার আগে কিছু বিষয় খেয়াল করবেন

স্মার্টফোন হচ্ছে বর্তমান সময়ের পকেট কম্পিউটার। স্মার্টফোন কেবল কথা বলা, এসএমএস ছাড়াও ই-মেইল পাঠানো, ভিডিও কনফারেন্স, সামাজিক যোগাযোগ সাইটের মাধ্যমে যোগাযোগ, ছবি তোলা, ভিডিও করা ইত্যাদি কাজে ব্যবহার করা হয়। বর্তমান সময়ে স্মার্টফোনের বিক্রি ও চাহিদা দুটিই বেড়েছে। তাই স্মার্টফোন কেনার পূর্বে একজন ক্রেতাকে নিচের বিষয়গুলোর দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
* শুধু মডেলের দিকে না তাকিয়ে এর অভ্যন্তরীণ অপারেটিং সিস্টম সফটওয়্যার হিসেবে কি ব্যবহার করা হয়েছে তা লক্ষ করুন। এ ক্ষেত্রে অ্যাপল ওএস, অ্যান্ড্রয়েড, নকিয়া সিম্বিয়ানসহ বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেমের আপডেট ভার্সন ব্যবহার করাই উত্তম।

* ফোনটির ডিসপ্লে সুপার অ্যালমন্ড কিনা তা নিশ্চিত হোন। কেননা টিএফটি ডিসপ্লের তুলনায় অ্যালমন্ড ডিসপ্লের রেজুলেশন ও টাচ্ সেনসিটিভিটি অনেক ভালো।
* ডুয়েলকোর প্রসেসরের স্মার্টফোনগুলো ভালো। এটি উচ্চ গতির মাল্টিটাস্কিংসহ এর ব্যাটারির লাইফ বেশি। এক্ষেত্রে ফোনটির র‌্যাম ৫১২ মেগাবাইটের বা এর ওপরে হলে ভালো হয়।
* ফেনটিতে ওয়াই-ফাই ও থ্রিজি সাপোর্ট সুবিধা আছে কি না তা নিশ্চিত হোন। উন্নত ইন্টারনেট সেবা পেতে এ ফাংশন দুটি আপনাকে সাহায্য করবে।
* ফোনটির সামনে ও পেছনে একটি করে মোট দুটি ক্যামেরা আছে কি না তা দেখে নিন। কেননা, সামনে ক্যামেরা না থাকলে ভিডিও কল করা যাবে না। তাছাড়া, পেছনের ক্যমেরাটি ৮ মেগাপিক্সেলের ওপরে হলে ভালো হয়।
* সামাজিক যোগাযোগের সাইটগুলোতে কাজ করার ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত ব্রাউজিং সুবিধাসহ চ্যাটিং অপশনগুলো কেমন তা যাচাই করে নিন।
* মেমোরি ক্যাপাসিটি কেমন ও এতে এক্সটেনডেট মেমোরি ব্যবহার করা যায় কি না তা দেখে নিন। কেননা, মেমোরি ক্যাপাসিটি কম হলে অধিক অডিও ও ভিডিও ধারণ করা যায় না। এক্ষেত্রে ৮ জিবির ওপরে হলে ভালো হয়।
* জিপিএস (গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম) আছে কি না এবং থাকলেও তা কাজ করে কি না তা খেয়াল করুন।
* ক্যামেরার সঙ্গে উন্নতমানের ফোকাসের ব্যবস্থা আছে কি না তা চেক করুন। রাতে ছবি তুলতে ও ভিডিও করতে এটি আপনাকে সাহায্য করবে।
* বর্তমানে ভয়েস কমান্ড ফাংশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, এ অপশনটি আপনার দৈনন্দিন কাজকে আরো গতিশীল করবে। সুতরাং আপনার ফোনটিতে ভয়েস কমান্ড ফাংশনের ব্যবস্থা আছে কি না দেখে নিন।
* স্মার্টফোন সর্বদা ভালো ব্র্যন্ডের কেনাই উত্তম।
* কেনার সময়ের ওয়্যারেন্টি সম্পর্কে নিশ্চিত হোন।

ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়ানোর কিছু উপায়

বর্তমান সময়ে বলা যায় চারদিকে স্মার্টফোনের বিপ্লব চলছে। আইটি প্রফেশনাল, বিজনেস এক্সিকিউটিভ থেকে শুরু করে, শিক্ষক, ছাত্র, গৃহিণী কিংবা আমজনতা সকলের হাতেই এখন স্মার্টফোন শোভা পাচ্ছে। বলা যায় আধুনিক জীবনযাত্রার এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে স্মার্ট ফোন।
বাজারে বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেম চালিত স্মার্ট ফোন থাকলেও অ্যান্ড্রয়েড চালিত স্মার্ট ফোন গুলোই চাহিদার শীর্ষে রয়েছে। তুলনামূলক কম মূল্যে অধিক সুবিধা, বিভিন্ন ধরণের কাস্টোমাইজেশন সুবিধা থাকার কারণেই স্মার্টফোনের বাজারে অ্যান্ড্রয়েড এত জনপ্রিয়।
তবে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা প্রায়ই যে ব্যাপারটি নিয়ে বিরক্তি এবং অভিযোগ করে থাকেন তা হলো অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের ব্যাটারি ব্যাকআপ। শক্তিশালি প্রসেসর, র‍্যাম, হাই রেজুলেশন ডিসপ্লে এবং নানাবিধ ব্যবহারের কারণর অধিক ধারণক্ষমতা সম্পন্ন ব্যাটারি থেকেও অনেক সময় দেখা যায় ব্যবহারকারী ব্যক্তি তার কাঙ্ক্ষিত ব্যাটারি ব্যাকআপ পাচ্ছেন না।
অথচ সহজ কিছু টিপস ফলো করে সহজেই ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়িয়ে নেয়া সম্ভব।আজকে আপনাদের জন্য থাকছে অ্যান্ড্রয়েডে ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়ানোর সহজ কিন্তু অত্যন্ত কার্যকর কিছু কৌশল। চলুন তবে দেখে নেই কিভাবে কি করবেন

সাধারণ কর্মপদ্ধতি

১) বিনা প্রয়োজনে আপনার অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের  Wifi, GPS, Bluetooth, 3G কানেক্টিভিটি অন করে রাখবেন না। Wifi, GPS, Bluetooth, 3G প্রচুর ব্যাটারি ইউটিলাইজ করে থাকে।
২) আপনার ডিভাইসটি অটো ব্রাইটনেস সমর্থিত হলে সেটি অটো করে রাখাই ভাল। অটো ব্রাইটনেস না থাকলে ম্যানুয়ালি সেট করে নিলে ভাল ব্যাকআপ পাওয়া যায়। সব সময় ডিসপ্লে ব্রাইটনেস ১০০ তে দিয়ে রাখার প্রয়োজন নেই। নিচের ডাটা অনুযায়ী ব্রাইটনেস সেট করে আমরা ব্যাটারি ব্যাকআপে বেশ উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখেছি।
দিনের বেলা
ঘরের ভিতরঃ 30-40%
ঘরের বাইরেঃ 50-70%
রাস্তায়ঃ 90-100%
রাতের বেলা
ঘরের ভিতরঃ 05-30%
ঘরের বাইরেঃ 15-40%
রাস্তায়ঃ 20-40%
মোট কথা, অযথা বেশি ব্রাইটনেস ব্যবহার না করে সময় উপযোগী ব্রাইটনেস ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। এতে আপনার দৃষ্টি শক্তি যেমন ভাল থাকবে, ব্যাটারি ব্যাকআপও বৃদ্ধি পাবে অনেক গুণ।
৩) লাইভ ওয়ালপেপার জিনিসটা ব্যবহার না করাই শ্রেয় কেননা এটি বেশ ভাল ব্যাটারি ইউটিলাইজ করে। বিশেষ কোনও প্রয়োজনে যেমন বন্ধু মহলে ডিভাইসটির আকর্ষণ বাড়াতে আপনি এটি ব্যবহার করতে পারেন তবে নিজের হাতে আসতেই সাধারণ ওয়ালপেপার সেট করে নিন। কারও কারও মতে কালো রঙের ওয়ালপেপার ব্যবহার করলে আরও ভাল ফল পাওয়া যায়।
৪) সেন্সর ব্যবহার করে কাজ করে এমন কোনও অ্যাপস বন্ধ করতে চাইলে কেবল মিনিমাইজ না করে পুরোপুরি বন্ধ করবেন। আইসক্রিম স্যান্ডউইচ এবং এর পরবর্তি অ্যান্ড্রয়েড ভার্সনগুলোতে খুব সহজেই হোম বাটন চেপে ধরে সেই এপস টাকে ডানে বামে সোয়াইপ করে বন্ধ করতে পারবেন। অন্যান্য ভার্সনের ক্ষেত্রে কোনও ভাল টাস্ক ম্যানেজার ব্যবহার করুন।
৫) একটার বেশি Antivirus কিংবা Battery Saver অ্যাপস কখনও ব্যবহার করবেন না। Juice Defender অ্যাপসটি ব্যাটারি সেভার হিসেবে বেশ কাজের। গুগল প্লে স্টোর থেকে এটি বিনা মুল্যে সংগ্রহ করা যাবে।
৬) রুটেড ডিভাইস ব্যবহারকারীগন অ্যাপ রান টাইম ম্যানেজমেন্ট এর জন্য  Greenify অ্যাপটি ব্যাবহার করতে পারেন। এতে করে অযাচিত, অপ্রয়োজনীয় অ্যাপস আপনার ডিভাইসের ব্যাকগ্রাউন্ড এ রান করতে পারবে না, ফলে ব্যাটারি অনেক বাড়বে। এই অ্যাপটিও প্লে স্টোর থেকে বিনা মুল্যে ডাউনলোড করা যাবে।
এতক্ষন যে কৌশলগুলো অনুসরণ করতে বলা হয়েছে সেগুলো আমরা অনেকেই জানি। এবার আসুন কিছু অ্যাডভান্সড কৌশল জেনে নেই।

অ্যাডভান্সড কর্মপদ্ধতি

কৌশলগুলো কেবল মাত্র  Li-ion ব্যাটারির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। প্রায় সব ফোনেই আজকাল Li-ion ব্যাটারি ব্যবহৃত হয়। অনেকে এ পদ্ধতিগুলোর সাথে দ্বিমত প্রকাশ করতে পারেন। কিন্তু ইন্টারনেট ঘেঁটে এবং নিজেদের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা এ পদ্ধতিতেই ভাল ফল পেয়েছি। আশা করি আপনারাও এতে উপকৃত হবেন।  
  • ব্যাটারিকে সহজে ১৫-২০এর নিচে ড্রেইন হতে দিবেন না অর্থাৎ ব্যাটারি ১৫-২০% হলেই  দেরি না করে চার্জে লাগাবেন।
  • নিতান্তই বাধ্য না হলে চার্জে লাগানো অবস্থায় ফোন চালাবেন না।
  • চার্জ একটানা দেয়ার চেষ্টা করবেন। খেয়াল রাখবেন একবার চার্জে লাগালে অন্তত যাতে ৩৫চার্জ একবারেই হয়। আর পুরো একটানা দিতে পারলেতো কথাই নেই।
  • ব্যাটারি ১০০% হওয়ার পর এক সেকেন্ডও আর চার্জে লাগিয়ে রাখবেন না। ১০০% চার্জ হওয়ার সাথে সাথেই সেটি আনপ্লাগ করুন। মনে রাখবেন রাত্রে ফোন চার্জে লাগিয়ে কখনও ঘুমাবেন না।
  • ঘন ঘন আপনার ফোনটি চার্জ দিবেন না। চার্জ ৫০% এর উপর থাকলে অযথাই চার্জে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে ৩৫-৩০% এর নিচে নামার পর চার্জে দেওয়া যাবে।
  • যেসব অ্যাপস এর Wakelock আছে সেসব অ্যাপস পরিহার করার চেষ্টা করুন। Wakelock আছে কিনা তা Better Battery Stats এই অ্যাপসটি দিয়ে দেখে নিতে পারেন।
  • প্রতি মাসে বা বিশ দিনে একবার ব্যাটারি সম্পূর্ণ ০% হয়ে ফোন বন্ধ হয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন, বন্ধ হলে আবার চালান,কিছুক্ষন চলে আবার বন্ধ হলে একটানা কোন বিরতি ছাড়া ১০০% পর্যন্ত চার্জ দিন, ১০০% হলে ফোন চার্জ থেকে খুলুন এবং ফোন বন্ধ করুন। এবার ব্যাটারি খুলে তা আবার সেটে লাগান এবং সেট অন করুন। দেখবেন ১০-১২% চার্জ কমে গেছে। এ অবস্থায় ফোনটি আবার চার্জে দিন এবং চার্জ ১০০% হলে ডিভাইস আনপ্লাগ করুন। এই কাজটা প্রতি ২০-৩০ দিনে একবার করবেন।
উপরের টিপস গুলো যথাযথ অনুসরণ করে আপনারা আপনাদের অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়িয়ে নিতে পারবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি। তো আর দেরি না করে যারা তাদের ব্যাটারি নিয়ে হতাশায় ভুগছেন, তারা কৌশলগুলো অনুসরণ করুন। আর এ সংক্রান্ত কোন মতামত আমাদের জানাতে ভুলে যাবেন না যেন।


সোমবার, ৪ জুলাই, ২০১৬

আট উপায়ে স্মার্টফোনের চার্জ ধরে রাখুন

স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা আধুনিক প্রযুক্তির সব সুবিধা ভোগ করলেও একটা দুর্ভোগ রয়েছে। সেটা হলো দ্রুত চার্জ ফুরিয়ে যাওয়ার সমস্যা।
অ্যানড্রয়েড, আইফোন ও উইন্ডোজ সব অপারেটিংয়ে চালিত স্মার্টফোনেই রয়েছে এ সমস্যা। যাদের বেশির ভাগ সময়ই স্মার্টফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হয়, তাদের দিনে অন্তত দুবার তো চার্জ দিতেই হয়। আর সে জন্য সঙ্গে রাখতে হয় আলাদা একটি পাওয়ার ব্যাংক


ব্যাটারির চার্জ সাশ্রয়ের জন্য বিভিন্ন রকমের অ্যাপ্লিকেশনও রয়েছে। তবে এর বাইরেও স্মার্টফোন ব্যবহারের কিছু নিয়ম আছে, যেগুলো মেনে চললে কিছুটা সাশ্রয় করতে পারবেন ব্যাটারির চার্জ। এসব পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ভারতীয় দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়ার অনলাইন সংস্করণে।
১. ডিসপ্লের ঔজ্জ্বল্য কমিয়ে ফেলুন
এটা হয়তো অনেকেই জানেন এবং প্রয়োগ করে থাকেন। যাঁরা এখনো এই কাজটা করেন না, তাঁরা ডিসপ্লের ঔজ্জ্বল্য বা ব্রাইটনেস কমিয়ে রাখা শুরু করুন। এ পদ্ধতি ল্যাপটপ, ট্যাবের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
২. কালো ওয়ালপেপার ব্যবহার করুন
অ্যামোলেড স্ক্রিনের ফোনে কালো বা এ ধরনের রঙের ওয়ালপেপার ব্যবহার করলে চার্জ কম খরচ হয়। কারণ, অ্যামোলেড স্ক্রিনের আলো খরচ হয় বিভিন্ন রঙের পেছনে। তাই যত রঙিন ওয়ালপেপার দেওয়া হবে, আলোর খরচ বাড়বে, সে সঙ্গে চার্জও খরচ হবে।
৩. লো-পাওয়ার মোড
আপনার ফোনে যদি অ্যানড্রয়েড ৫ দশমিক শূন্য বা এর পরের ভার্সনের অপারেটিং সিস্টেম থাকে, তাহলে আপনার কপাল ভালো। কারণ, ফোনের চার্জ ১৫ শতাংশের কম হলেই এসব অপারেটিং সিস্টেমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে লো-পাওয়ার মোড চালু হয়ে যায়। অ্যানড্রয়েড অপারেটিংয়ের মার্শম্যালো ভার্সনে রয়েছে ‘ডোজ’ নামে একটি নতুন ফিচার। স্মার্টফোনের চার্জ কমে গেলে এই ফিচার ফোনটিকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে হাইবারনেশন মোডে নিয়ে যায় আর অনেকক্ষণ ধরে অব্যবহৃত অবস্থায় থাকা অ্যাপগুলো বন্ধ করে দেয়।
৪. লক স্ক্রিন নোটিফিকেশন চালু করুন
স্মার্টফোনের চার্জ বাঁচানোর আরেকটি ভালো বুদ্ধি হচ্ছে লক স্ক্রিন নোটিফিকেশন চালু করে রাখা। এতে বারবার আপনাকে লক খুলে নোটিফিকিশেন দেখতে হবে না। ফলে চার্জ কম খরচ হবে।
৫. ব্যবহারের পর অ্যাপস বন্ধ করুন
ঠিকমতো বন্ধ না করার কারণে অনেক সময় বিভিন্ন অ্যাপস চালু থাকে, যেটা অনেকে খেয়াল করেন না। বিশেষ করে জিপিএস ও ওয়াই-ফাইয়ের ক্ষেত্রে এ ব্যাপারটা বেশি ঘটে। আর এ দুটি অ্যাপস চালু থাকলে দ্রুত চার্জ ফুরিয়ে যায়। তাই কাজ শেষ হওয়ার পর অ্যাপস বন্ধ করুন।
৬. অ্যাপস ডাউনলোড ও আপডেট
অ্যাপস ডাউনলোড ও আপডেটের ক্ষেত্রে ওয়াই-ফাই সংযোগ ব্যবহার করুন। মোবাইলের ডাটা ব্যবহার করলে চার্জ বেশি খরচ হবে, এ ছাড়া সময়ও যাবে বেশি। সে ক্ষেত্রে দ্রুতগতির ওয়াই-ফাই সংযোগ ব্যবহার করলে তাড়াতাড়ি অ্যাপসগুলো ডাউনলোড ও আপডেট হয়ে যাবে। মোবাইলের চার্জও কম খরচ হবে।
৭. এয়ারপ্লেন মোড চালু করুন
স্মার্টফোনটি এয়ারপ্লেন মোডে থাকলে সব ধরনের ওয়ার‍লেস ফিচার বন্ধ হয়ে যায়। এতে ফোনের চার্জ কম খরচ হয়।
৮. আসল ব্যাটারি ব্যবহার করুন
স্মার্টফোনের ব্যাটারি নষ্ট হয়ে গেলে আসল ব্যাটারি ব্যবহারের চেষ্টা করুন। এতে আপনার ফোন ভালো থাকবে এবং চার্জও থাকবে অনেকক্ষণ।

বৃহস্পতিবার, ২ জুন, ২০১৬

স্মার্টফোনে কি অ্যান্টিভাইরাস জরুরি?

মার্টফোনের নিরাপত্তা অনেকখানিই নির্ভর করে ব্যবহারকারীর সচেতনতার ওপরl প্রথম আলোস্মার্টফোনে অ্যান্টিভাইরাস অ্যাপ কতটা প্রয়োজনীয়? নতুন ফোন কেনার পর প্রথমেই কি অ্যান্টিভাইরাস অ্যাপ ইনস্টল করতে হবে? অথবা অ্যান্টিভাইরাস অ্যাপগুলো ব্যবহারকারীদের কতটা নিরাপদ রাখতে পারে? এই ধরনের প্রশ্নগুলো প্রায় সব স্মার্টফোন ব্যবহারকারীই করে থাকেন।
অ্যান্টিভাইরাস অ্যাপ ইনস্টল করা প্রয়োজনীয় কি না, এর সরাসরি উত্তর শুধু হ্যাঁ অথবা না দিয়ে দেওয়া যাবে না। স্মার্টফোন ব্যবহারের ওপর অনেকাংশে নির্ভর করে এটি। অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রাম বা অ্যাপ ইনস্টল করা বাধ্যতামূলক নয় আবার অ্যান্টিভাইরাস অ্যাপ থাকলেও যে সেটি সবকিছু থেকে নিরাপদ রাখবে, এমন নয়।

স্মার্টফোনের ভাইরাস
ডেস্কটপ ও ল্যাপটপ কম্পিউটার ব্যবহারকারী মাত্রই ভাইরাস শব্দটির সঙ্গে পরিচিত। কম্পিউটারের জন্য ক্ষতিকর এই প্রোগ্রামগুলো ব্যবহারকারীর কাজে বিভিন্ন সমস্যা তৈরি করে থাকে। স্মার্টফোনের এই ধরনের অ্যাপগুলোও ভাইরাস নামে পরিচিতি পেয়েছে। কিন্তু স্মার্টফোনের অপারেটিং সিস্টেমগুলো যেমন অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস এমনভাবে তৈরি, যেন এটিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কোনো ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে না পারে। তবে এটি ছাড়াও আরও বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস রয়েছে।
কীভাবে ভাইরাস আসতে পারে মুঠোফোনে
ইনস্টল করা অ্যাপ থেকে ভাইরাস ছড়াতে পারে। গুগল প্লে স্টোর থেকে যেহেতু সব অ্যাপ ইনস্টল করা হয়ে থাকে, তাই ভাইরাস যারা তৈরি করে থাকে, তাদের মূল লক্ষ্য থাকে এই গুগল প্লে। গুগল এই জায়গাটির নিরাপত্তা দেওয়ার কাজ করে যাচ্ছে নিয়মিতভাবে।
মুঠোফোনে ভাইরাস আসার এটিই একমাত্র পথ নয়। ই-মেইলের সংযুক্ত ফাইল (অ্যাটাচমেন্ট), এমএমএস, এসএমএস বা অন্যান্য জনপ্রিয় মেসেঞ্জার অ্যাপ যেমন ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমেও ভাইরাস বা ম্যালওয়্যার ছড়াতে পারে। আবার অনেকে গুগল প্লে ছাড়াও সরাসরি এপিকে (অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন প্যাকেজ) নামিয়ে ইনস্টল করে থাকেন।
কীভাবে নিরাপদ থাকা যাবে
নিরাপদ থাকাটা অধিকাংশ নির্ভর করে ব্যবহারকারীর ওপর। অনেক ক্ষেত্রে তাই অ্যান্টিভাইরাস থাকা সত্ত্বেও ক্ষতিকর অ্যাপ ইনস্টল হয়ে যেতে পারে। সাধারণত অ্যান্ড্রয়েডে গুগল প্লে ছাড়া অন্য কোনো মাধ্যম থেকে অ্যাপ ইনস্টল করা উচিত নয়। এসএমএস বা অন্য কোনো মেসেঞ্জার থেকে পাওয়া লিংক খুলে নির্দিষ্ট সাইটের লিংক কি না, সেটি দেখে নেওয়া উচিত। মজিলা ফায়ারফক্স বা গুগল ক্রোম থেকে কোনো লিংক খোলার সময় সেটি ক্ষতিকর হিসেবে চিহ্নিত করা থাকলে তা এড়িয়ে যাওয়া উচিত।
অ্যান্টিভাইরাস অ্যাপ ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে খেয়াল রাখতে হবে, ওই অ্যাপটি মুঠোফোনে সব সময় চলতে থাকবে এবং এর ফলে অন্য কাজের অ্যাপগুলোর চলার গতি ধীর হয়ে যেতে পারে। গুগল প্লেতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তৈরি বিনা মূল্যের এবং প্রিমিয়াম অ্যান্টিভাইরাস অ্যাপ পাওয়া যায়। স্মার্টফোনের অ্যান্টিভাইরাসগুলো যে শুধু ভাইরাস স্ক্যান করে এমন নয়। বরং এগুলোর থাকে একাধিক নিরাপত্তাবৈশিষ্ট্য। যেমন প্রায় সব অ্যান্টিভাইরাস অ্যাপেই ফোন লক করা বা প্রয়োজন হলে ফোনের সব তথ্য মুছে ফেলার মতো সুবিধা রয়েছে। আবার ফোন চুরি হয়ে গেলে অন্য কম্পিউটার বা এসএমএসের মাধ্যমে ক্যামেরা দিয়ে ছবি তোলা, শব্দ ধারণ করা, ফোনের অবস্থান শনাক্ত করার মতো সুবিধা দেওয়া থাকে। এসব সুবিধার কয়েকটা আবার অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএসএর সঙ্গে দেওয়া থাকে।
ভাইরাস থেকে সুরক্ষার পাশাপাশি আরও নিরাপত্তার জন্য কিছু কাজ করা উচিত। যেমন—
 স্বয়ংক্রিয় স্ক্রিন লক: একটি নির্দিষ্ট সময় পর যেন মুঠোফোনের স্ক্রিন স্বয়ংক্রিয়ভাবে লক হয়ে যায় সেটি সক্রিয় রাখা।
 স্ক্রিন লক পাসওয়ার্ড: মুঠোফোনের স্ক্রিন লকটি পাসওয়ার্ড দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হওয়া উচিত।
 লক স্ক্রিনে যোগাযোগের ই-মেইল বা ফোন নম্বর লিখে রাখা। কোনোভাবে ফোন হারিয়ে গেলে এবং যদি স্ক্রিন লক করা থাকে, তবে এই লক স্ক্রিনের তথ্য দেখে যোগাযোগ করা যাবে।
 গুগল প্লে ছাড়া অন্যান্য সোর্স থেকে অ্যাপ ইনস্টল নিষ্ক্রিয় রাখা এবং সরাসরি এপিকে ফাইল থেকে অ্যাপ ইনস্টল না করা।
 অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজারে আপনার ফোনটি সক্রিয় আছে কি না, সেটি যাচাই করা। www.google.com/android/devicemanage
 আইক্লাউড থেকে ফোন শনাক্ত করার অপশনটি সক্রিয় করা www.icloud.com/#find ।
 যেকোনো লিংকই সরাসরি খোলার আগে যাচাই করে নেওয়া উচিত। বিশেষ করে কোনো পাতায় লগ–ইন করার আগে ওয়েবসাইটের ঠিকানার সঙ্গে মিলিয়ে নেওয়া উচিত।
 সাম্প্রতিক সময়ের ফোনগুলোতে নিরাপত্তার আরও যে বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যেমন আঙুলের ছাপ শণাক্ত করা এবং স্মার্টলক সক্রিয় করা যেতে পারে।

স্মার্টফোনের নিরাপত্তায় যে ৭টি ভুল আপনি করে থাকেন

১. স্মার্টফোনের পর্দায় নাক গুঁজে রাস্তায় হাঁটা, কিংবা পেছনের পকেটে রেখে বেমালুম ভুলে গেলে সহজেই তা চুরি হয়ে যেতে পারে। দুর্ঘটনার আশঙ্কাও থাকে।
২. স্মার্টফোনের স্ক্রিন লক না থাকলে এটি কারও হাতে চলে গেলে সহজেই ফোনে থাকা তথ্য অন্য কেউ দেখতে পাবে। ‘টাচ আইডি’ থাকলে ভালো, না হলে অন্তত পাসওয়ার্ড ঠিক করে দিন।

৩. ফোন হারিয়ে গেলে হা-হুতাশ না করে বরং তা ‘ট্র্যাক’ করার চেষ্টা করুন। বাংলাদেশে এ ক্ষেত্রে প্রথমেই থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে হবে।
৪. অ্যাপ স্টোরগুলোতে বিনা মূল্যের নিরাপত্তা সফটওয়্যার যেমন আছে, টাকা দিয়ে কেনার সুযোগও আছে। সুযোগ থাকা সত্ত্বেও স্মার্টফোনটি এভাবে অনিরাপদ রাখা কি ঠিক হচ্ছে?
.৫. বিনা মূল্যে ওয়াই-ফাই পেয়েছেন, এতে খুশি হয়ে তা ব্যবহার করতে যাওয়া ঠিক হবে না। বিমানবন্দর কিংবা ক্যাফের ওয়াই-ফাই নিরাপদ হলেও অন্যান্য ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক আপনার ফোনের নিরাপত্তা নষ্ট করতে পারে।
৬. অপরিচিত কারও কাছ থেকে কোনো ই-মেইল, তাৎক্ষণিক বার্তা বা এসএমএসে লিংক পেলে তা যাচাই না করে ক্লিক করে খুলতে যাবেন না।
.৭. স্মার্টফোনের অপারেটিং সিস্টেম সব সময় হালনাগাদ করে নিতে হবে। অ্যাপগুলোর ক্ষেত্রেও তাই। এ ব্যাপারটা ভুলে যাওয়া যাবে না।

শুক্রবার, ১৩ মে, ২০১৬

বজ্রপাত থেকে বাঁচার ১৪ উপায় জেনে রাখুন

এ মৌসুমে দেশে বজ্রপাতের সংখ্যা অনেক বেড়ে যায়। আর বজ্রপাতের কারণে এ সময় জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ লেখায় দেওয়া হলো কয়েকটি উপায়, যা বজ্রপাত থেকে বাঁচতে সহায়ক হবে। এক নিবন্ধে বিষয়টি জানিয়েছে উইকিহাউ।


কীভাবে হয় এই বজ্রপাত?
প্রাকৃতিকভাবেই বায়ুমণ্ডলে বিদ্যুৎ সৃষ্টি হয়ে মেঘে জমা থাকে। এই বিদ্যুৎ মেঘে দুটি চার্জ ধনাত্মক ও ঋণাত্মক হিসেবে থাকে। বিপরীত বিদ্যুৎশক্তির দুটো মেঘ কাছাকাছি এলেই পারস্পরিক আকর্ষণে চার্জ বিনিময় হয়। ফলে বিদ্যুৎ চমকায়। মেঘের নিচের অংশ ঋণাত্মক চার্জ বহন করে। আবার ভূপৃষ্ঠে থাকে ধনাত্মক চার্জ। দুই চার্জ মিলিত হয়ে তৈরি করে একটি ঊর্ধ্বমুখী বিদ্যুৎপ্রবাহ রেখা, যা প্রচণ্ড বেগে উপরের দিকে উঠে যায়। ঊর্ধ্বমুখী এই বিদ্যুৎপ্রবাহ উজ্জ্বল আলোর যে বিদ্যুৎপ্রবাহের সৃষ্টি করে তা-ই বজ্রপাত। বজ্রপাতের তাপ ৩০ থেকে ৬০ হাজার ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত হয়। বিজ্ঞানীদের মতে, আকাশে যে মেঘ তৈরি হয়, তার ২৫ থেকে ৭৫ হাজার ফুটের মধ্যে বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে বেশি। বজ্রপাতের গতি প্রতি সেকেন্ডে ৬০ হাজার মিটার বেগে নিচে নেমে যায়। এই বিপুল পরিমাণ তাপসহ বজ্র মানুষের দেহের ওপর পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই তার মৃত্যু হয়।

বজ্রপাতের স্থায়িত্বকাল এক সেকেন্ডের দশ ভাগের এক ভাগ। ঠিক এই সময়েই বজ্রপাতের প্রভাবে বাতাস সূর্যপৃষ্ঠের পাঁচ গুণ বেশি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। প্রচণ্ড শব্দে কেঁপে ওঠে চারপাশ। শব্দের গতি আলোর গতির থেকে কম হওয়ায় বজ্রপাতের পরই শব্দ শোনা যায়। বজ্রপাত ভূমিকম্পের চেয়েও অনেক বেশি শক্তিশালী। একটি বজ্রপাতে প্রায় ৫০ হাজার অ্যাম্পিয়ার বিদ্যুৎশক্তি থাকে। অথচ বাসাবাড়ির বিদ্যুৎ চলে গড়ে ১৫ অ্যাম্পিয়ারে। একটি বজ্র কখনও কখনও ৩০ মিলিয়ন ভোল্ট বিদ্যুৎ নিয়েও আকাশে জ্বলে ওঠে। বাংলাদেশে বছরের দুটি মৌসুমে বজ্রপাত বেশি হয়। জনসংখ্যার ঘনত্ব বেশি হওয়ায় বাংলাদেশে বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে। আবহাওয়া অধিদফতরের সাপ্তাহিক ও দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস তালিকায় নতুন যুক্ত হয়েছে বজ্রঝড়। কাল বৈশাখীর বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা দুনিয়ার বুকে বাংলাদেশেই বেশি। দুর্যোগের বলয়ে বন্দি বাংলাদেশের বুকে এই বজ্রদুর্যোগ দীর্ঘ করছে মৃত্যুর মিছিল। বাংলাদেশে বজ্রপাতের ওপর তেমন কোনো গবেষণা না হলেও ইউরোপ, জাপান ও আমেরিকায় চলছে বিস্তর গবেষণা। ২০০৮ সালে সুইডেনের উপসালায় অনুষ্ঠিত ২৯তম ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন লাইটিং প্রটেকশন’ শীর্ষক সম্মেলনে তেল আবিব বিশ্ববিদ্যালয়ের জিওফিজিক্স বিভাগের গবেষক কলিন প্রাইস তার ‘থান্ডারস্টর্ম, লাইটিং অ্যান্ড ক্লাইমেট চেঞ্জ’ শীর্ষক গবেষণাপত্রে দেখান, বায়ুদূষণ তথা পরিবেশ দূষণের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে বজ্রপাতের। এ নিবন্ধে বলা হয়, বজ্রপাতে একদিকে যেমন বায়ুদূষণের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে, তেমনি বায়ুদূষণের ফলে বেড়েছে পরিবেশে বজ্রপাতের হার ও এর তীব্রতা।
জেনে রাখুন বাঁচার উপায় গুলো–
১. দালান বা পাকা ভবনের নিচে আশ্রয় নিন
ঘন ঘন বজ্রপাত হতে থাকলে কোনো অবস্থাতেই খোলা বা উঁচু স্থানে থাকা যাবে না। সবচেয়ে ভালো হয় কোনো একটি পাকা দালানের নিচে আশ্রয় নিতে হবে।

২. উঁচু গাছপালা ও বিদ্যুৎ লাইন থেকে দূরে থাকুন
কোথাও বজ্রপাত হলে উঁচু গাছপালা বা বিদ্যুতের খুঁটিতে বজ্রপাতের সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই এসব স্থানে আশ্রয় নেবেন না। খোলা স্থানে বিচ্ছিন্ন একটি যাত্রী ছাউনি, তালগাছ বা বড় গাছ ইত্যাদিতে বজ্রপাত হওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত বেশি থাকে।


৩. জানালা থেকে দূরে থাকুন
বজ্রপাতের সময় বাড়িতে থাকলে জানালার কাছাকাছি থাকবেন না। জানালা বন্ধ রাখুন এবং ঘরের ভেতর থাকুন।


৪. ধাতব বস্তু স্পর্শ করবেন না
বজ্রপাত ও ঝড়ের সময় বাড়ির ধাতব কল, সিঁড়ির রেলিং, পাইপ ইত্যাদি স্পর্শ করবেন না। এমনকি ল্যান্ড লাইন টেলিফোনও স্পর্শ করবেন না। বজ্রপাতের সময় এগুলো স্পর্শ করেও বহু মানুষ আহত হয়।


৫. বিদ্যুৎচালিত যন্ত্র থেকে সাবধান
বজ্রপাতের সময় বৈদ্যুতিক সংযোগযুক্ত সব যন্ত্রপাতি স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন। টিভি, ফ্রিজ ইত্যাদি বন্ধ করা থাকলেও ধরবেন না। বজ্রপাতের আভাষ পেলে আগেই এগুলোর প্লাগ খুলে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করুন। অব্যবহৃত যন্ত্রপাতির প্লাগ আগেই খুলে রাখুন।


৬. গাড়ির ভেতর থাকলে…
বজ্রপাতের সময় গাড়ির ভেতরে থাকলে সম্ভব হলে গাড়িটি নিয়ে কোনো কংক্রিটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নিন। গাড়ির ভেতরের ধাতব বস্তু স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন। গাড়ির কাচেও হাত দেবেন না।


৭. খোলা ও উঁচু জায়গা থেকে সাবধান
এমন কোনো স্থানে যাবেন না, যে স্থানে আপনিই উঁচু। বজ্রপাতের সময় ধানক্ষেত বা বড় মাঠে থাকলে তাড়াতাড়ি নিচু হয়ে যান। বাড়ির ছাদ কিংবা উঁচু কোনো স্থানে থাকলে দ্রুত সেখান থেকে নেমে যান।


৮.পানি থেকে সরুন
বজ্রপাতের সময় আপনি যদি ছোট কোনো পুকুরে সাঁতার কাটেন বা জলাবদ্ধ স্থানে থাকেন তাহলে সেখান থেকে সরে পড়ুন। পানি খুব ভালো বিদ্যুৎ পরিবাহী।


৯. পরস্পর দূরে থাকুন
কয়েকজন মিলে খোলা কোনো স্থানে থাকাকালীন যদি বজ্রপাত শুরু হয় তাহলে প্রত্যেকে ৫০ থেকে ১০০ ফুট দূরে সরে যান। কোনো বাড়িতে যদি পর্যাপ্ত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা না থাকে তাহলে সবাই এক কক্ষে না থেকে আলাদা আলাদা কক্ষে যান।


১০. নিচু হয়ে বসুন
যদি বজ্রপাত হওয়ার উপক্রম হয় তাহলে কানে আঙুল দিয়ে নিচু হয়ে বসুন। চোখ বন্ধ রাখুন। কিন্তু মাটিয়ে শুয়ে পড়বেন না। মাটিতে শুয়ে পড়লে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে।


১১. বজ্রপাতের আগ মুহূর্তের লক্ষণ জানুন
আপনার উপরে বা আশপাশে বজ্রপাত হওয়ার আগের মুহূর্তে কয়েকটি লক্ষণে তা বোঝা যেতে পারে। যেমন বিদ্যুতের প্রভাবে আপনার চুল খাড়া হয়ে যাবে, ত্বক শিরশির করবে বা বিদ্যুৎ অনুভূত হবে। এ সময় আশপাশের ধাতব পদার্থ কাঁপতে পারে। অনেকেই এ পরিস্থিতিতে ‘ক্রি ক্রি’ শব্দ পাওয়ার কথা জানান। আপনি যদি এমন পরিস্থিতি অনুভব করতে পারেন তাহলে দ্রুত বজ্রপাত হওয়ার প্রস্তুতি নিন।


১২. রবারের বুট পরুন
বজ্রপাতের সময় চামড়ার ভেজা জুতা বা খালি পায়ে থাকা খুবই বিপজ্জনক। এ সময় বিদ্যুৎ অপরিবাহী রাবারের জুতা সবচেয়ে নিরাপদ।


১৩. বাড়ি সুরক্ষিত করুন
আপনার বাড়িকে বজ্রপাত থেকে নিরাপদ রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন। এজন্য আর্থিং সংযুক্ত রড বাড়িতে স্থাপন করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে দক্ষ ইঞ্জিনিয়ারের পরামর্শ নিতে হবে। ভুলভাবে স্থাপিত রড বজ্রপাতের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিতে পারে।


১৪. বজ্রপাতে আহত হলে
বজ্রপাতের সময় আশপাশের মানুষের খবর রাখুন। কেউ আহত হলে বৈদ্যুতিক শকে আহতদের মতো করেই চিকিৎসা করতে হবে। প্রয়োজনে দ্রুত চিকিৎসককে ডাকতে হবে বা হাসপাতালে নিতে হবে। একই সঙ্গে এ সময় বজ্রাহত ব্যক্তির শ্বাস-প্রশ্বাস ও হৃৎস্পন্দন ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। এ বিষয়ে প্রাথমিক চিকিৎসায় প্রশিক্ষণ নিয়ে রাখুন।

(সংগৃহীত)

মঙ্গলবার, ১০ মে, ২০১৬

আপনার কম্পিউটার এর speed বাড়াতে জেনে নিন কিছু টিপস

অনেক সময় আমাদের কম্পিউটার খুব slow কাজ করে। আর সেটা খুব বিরক্তিকর লাগে।তবে এই বিরক্তি দূর করার জন্য আছে কিছু টিপস।ভাবছেন আমি মজা করছি,না আমি মজা করসি না।তাহলে কেন বিরক্তি দূর করার টিপস বললাম?এটাই হয়তো চিন্তা করছেন।আপনার slow কম্পিউটারকে যদি একটু fast করা যায় তাহলে কি আপনার বিরক্তি দূর হবে না?আশা করি হবে।তাহলে এবার জেনে নেওয়া যাক কম্পিউটার এর speed বাড়ানোর কিছু টিপস…




টিপসঃ
১। কিছু সময় পরপর Start থেকে Run-এ ক্লিক করে tree লিখে ok করুন এতে র‌্যামের কার্যক্ষমতা বাড়ে।
২। Ctrl + Alt + Delete চেপে বা টাস্কবারে মাউস রেখে ডান বাটনে ক্লিক করে Task Manager খুলুন।তারপর Processes-এ ক্লিক করুন।অনেকগুলো প্রোগ্রাম-এর তালিকা দেখতে পাবেন। এর মধ্যে বর্তমানে যে প্রোগ্রামগুলো কাজে লাগছে না সেগুলো নির্বাচন করে End Process-এ ক্লিক করে বন্ধ করে দেন। যদি ভুল করে কোনো প্রোগ্রাম বন্ধ করে দেন এবং এতে যদি অপারেটিং সিস্টেম এর কোন সমস্যা হয় তাহলে কম্পিউটার রিস্টার্ট করুন।
৩। কম্পিউটারের র‌্যা ম কম থাকলে কম্পিউটার ধীর গতির হয়ে যায়। ভার্চুয়াল মেমোরি বাড়িয়ে কম্পিউটার গতি কিছুটা বাড়ানো যায়। ভার্চুয়াল মেমোরি বাড়ানোর জন্য প্রথমে My computer-এ মাউস রেখে ডান বাটনে ক্লিক করে properties-এ যান। এখন Advance-এ ক্লিক করে performance এর settings-এ ক্লিক করুন। আবার Advance-এ ক্লিক করুন। এখন change-এ ক্লিক করে নতুন উইন্ডো এলে সেটির Initial size ও Maximum size-এ আপনার ইচ্ছামত size লিখে set-এ ক্লিক করে ok দিয়ে বেরিয়ে আসুন। তবে Initial size-এ আপনার কম্পিউটারের র‌্যা মের size-এর দ্বিগুন এবং Maximum size-এ র‌্যা মের size-এর চারগুন দিলে ভাল হয়।
৪। কন্ট্রোল প্যানেলে যান। Add or Remove-এ দুই ক্লিক করুন। Add/Remove windows components-এ ক্লিক করুন। নতুন যে উইন্ডো আসবে সেটির বাম পাশ থেকে অদরকারি প্রোগ্রামগুলোর পাশের টিক চিহ্ন তুলে দিন। তারপর Accessories and Utilities নির্বাচন করে Details-এ ক্লিক করুন। নতুন যে উইন্ডো আসবে সেটি থেকে যে প্রোগ্রামগুলো আপনার কাজে লাগে না সেগুলোর টিক চিহ্ন তুলে দিয়ে OK করুন। এখন next-এ ক্লিক করুন।Successful meassage আসলে Finish-এ ক্লিক করুন।

বুধবার, ২৭ এপ্রিল, ২০১৬

স্মার্টফোনে ভাইরাস হুমকি!!!

মোবাইল বা স্মার্টফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় নিত্যপ্রয়োজনীয় অনুসঙ্গে পরিণত হওয়া ডিভাইসটিতে নিরাপত্তা হুমকি বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছে অ্যান্টিভাইরাস নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ম্যাকাফি। ম্যাকাফি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০০৯ সালের তুলনায় ২০১০ সালে নতুন ধরনের মোবাইল ম্যালওয়্যারের পরিমাণ বেড়েছে ৪৬ শতাংশ। বর্তমানে অন্যতম জনপ্রিয় মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম ‘অ্যানড্রয়েড’ও পরিণত হয়েছে ক্ষতিকর ট্রোজন ভাইরাসের অন্যতম লক্ষ্য।সেইসঙ্গে নকিয়া’র সিমবিয়ান এবং ব্ল্যাকবেরি অপারেটিং সিস্টেম চালিত মোবাইল ফোনও রয়েছে হ্যাকারদের নজরে। বিভিন্ন গেম, লিংক, বিজ্ঞাপনের ছদ্মবেশে মোবাইলে প্রবেশ করে এসব ভাইরাস। এরপর ব্যবহারকারীর অজান্তেই আক্রান্ত মোবাইল থেকে তথ্য চলে যায় অপরাধীর কাছে। তবে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মোবাইল ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া না হওয়া পুরোটাই নির্ভর করে ব্যবহারকারীর সতর্কতার ওপর।
২০০৭ সালে বাংলাদেশে মোবাইল ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া নিয়ে গুজব ছড়িয়েছিলো। কিন্তু তখন স্মার্টফোন বা বর্তমানে অ্যান্ড্রয়েড এর মতো জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম আসেনি। কিন্তু সম্প্রতি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন অপারেটিং সিস্টেমনির্ভর স্মার্টফোন এবং স্মার্টফোনে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট ব্যবহার, মোবাইল ব্যাংকিং, মোবাইলে নিত্যনতুন কাজের সঙ্গে বেড়ে গেছে নিরাপত্তা ঝুঁকিও।
সমসাময়িক স্মার্টফোন নির্মাতারা সাধারণত দাবি করেন, তাদের তৈরি মোবাইল ফোনে এমন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে যা ভাইরাস প্রতিরোধী। কিন্তু ম্যাকাফি, সিমানটেক বা ক্যাসপারস্কি ল্যাবের বিশেষজ্ঞরা পাল্টা যুক্তি দিয়ে বলছেন, ‘হ্যাকার বা সাইবার অপরাধীরা তো বসে নেই।’ তাই এখন স্মার্টফোন ভাইরাস নিয়ে ভাবার সময় হয়েছে।
ইন্টারনেট এবং কম্পিউটার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ম্যাকাফি-এর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কম্পিউটারের পাশাপাশি এখন স্মার্টফোনেও সাইবার আক্রমণের আশংকা বেড়ে গেছে, এর কারণ স্মার্টফোনের উন্নত সংস্করণ এখন অর্থ লেনদেনসহ ব্যবহৃত হচ্ছে বিভিন্ন ধরণের ডেটা সংরক্ষণের মাধ্যম হিসেবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘আপনার স্মার্টফোন যদি ভাইরাস আক্রমণের বাইরে মনে করেন, তারপরও দ্বিতীয়বার ভাবুন। আপনার স্মার্টফোনটি আপনি যে সব কাজে ব্যবহার করছেন বা তাতে যে ধরনের ডেটা রাখছেন তা আপনার অজান্তেই চুরি হয়ে যেতে পারে।’ যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি ইনফরমেশন সিকিউরিটি সেন্টার (জিটিআইএসসি)-এর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যতো বেশি সংখ্যক ব্যবহারকারী স্মার্টফোন ব্যবহার করবেন, ততো বেশি ধরনের অ্যাপ্লিকেশন আর্থিক লেনদেন ও অন্যান্য কাজে ব্যবহৃত হতে থাকবে, আর এর ফলে, সাইবার অপরাধীরা অপরাধ ঘটানোর ফাঁক-ফোকর পাবে আরো বেশি।

Android সমাচার (A to Z)

প্রতিনিয়ত অ্যান্ড্রয়েড ফোনের চাহিদা দিন দিন বেরেই চলছে। আমরা অ্যান্ড্রয়েড তো ব্যবহার করি ঠিকই, কিন্তু এখনো অনেকই অ্যান্ড্রয়েড সম্পর্কিত বহুল ব্যবহৃত বিভিন্ন শব্দাবলী জানেন না। বিশেষ করে নতুন অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা, যারা অ্যান্ড্রয়েড সম্পর্কে ততটা জানেন তাদের জন্য এই মেগা পোষ্ট। আসুন এবার শুরু করা যাক।

 

 

Android কি ?

অ্যান্ড্রয়েড হচ্ছে গুগলের একটি অপারেটিং সিস্টেম। আমরা কম্পিউটারে যেমন উইন্ডোজ, উবুন্টু, লিনাক্স ম্যাক ইত্যাদি অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করি, তেমনি স্মার্টফোন ও ট্যাবলেট ডিভাইসের জন্য তৈরি করা হয়েছে এই অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম। উইন্ডোজের যেমন এক্সপি, ভিসতা, ৭ ও ৮ ইত্যাদি সংস্করণ রয়েছে, ঠিক তেমনি অ্যান্ড্রয়েডেরও বিভিন্ন সংস্করণ রয়েছে। জনপ্রিয়তা পাওয়া সর্বশেষ কয়েকটি সংস্করণের নাম অ্যান্ড্রয়েড জিঞ্জারব্রেড (২.৩-২.৪), অ্যান্ড্রয়েড আইসক্রিম স্যান্ডউইচ (৪.০) এবং অ্যান্ড্রয়েড জেলি বিন (৪.১, ৪.২, ৪.৩), কিটক্যাট (৪.৪-৪.৪.৬)
A দিয়ে শুরুঃ-
AGPS: এ-জিপিএস মূলত অ্যাসিসটেড জিপিএস এর সংক্ষিপ্ত রুপ। এই প্রযুক্তি যেসব ডিভাইসে রয়েছে সেসব ডিভাইসের জিপিএস দ্রুত অবস্থান নির্ণয় করতে পারে। এ কাজের জন্য প্রযুক্তিটি মোবাইল নেটওয়ার্কের সাহায্য নেয়া। মোবাইল টাওয়ারের অবস্থান জেনে জিপিএস স্যাটেলাইটগুলো সহজেই ডিভাইসের সম্ভাব্য অবস্থান নির্ণয় করতে পারবে।
APK: অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের ইন্সটলযোগ্য ফাইল এক্সটেনশন। উইন্ডোজ ব্যবহারকারীরা যেমন .exe ফাইল ব্যবহার করে বিভিন্ন সফটওয়্যার ইন্সটল করে থাকেন, ঠিক তেমনি অ্যান্ড্রয়েডে .apk ফাইল ব্যবহার করে অ্যাপ্লিকেশান ইন্সটল করা হয়।
ADB: অ্যান্ড্রয়েড ডিবাগ সেতু. এটি বহুল ব্যবহৃত একটি টুল যা একটি ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ কম্পিউটার থেকে আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনকে সংযোগ করে ও কমান্ড পাঠায়।
Android Market: অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশনের জন্য Google-এর সংগ্রহস্থলের জন্য আসল নাম। মার্চ 2012 সালে এটি Google Play Store নামে পরিবর্তিত হয়।
AOKP: AOKP এর পূর্ণরুপ হচ্ছে Android Open Kang Project. অন্যতম কাস্টম রম ডেভেলপার গ্রুপ। যে গ্রুপটি অ্যান্ড্রয়েডের ওপেন সোর্স ডেভেলপ ও কাস্টোমাইজ করে বিভিন্ন সেটের উপযোগী কাস্টম রম রিলিজ করে।
Apps: Apps হচ্ছে অ্যাপ্লিকেশান এর সংক্ষিপ্ত রূপ। যা আপনি ডাউনলোড করে আপনার স্মার্টফোনে চালান। এটা ফ্রী বা কিনতে পাওয়া যায়।
B দিয়ে শুরুঃ-
Bootloader: বুটলোডার হচ্ছে ফোনের ইন্টারনাল মেমোরির একটি অংশ যা ফোনের অপারেটিং সিস্টেমকে চালু করে। অ্যান্ড্রয়েডের ক্ষেত্রে, ডিভাইসের (হার্ডওয়্যার) অপারেটিং সিস্টেম (অ্যান্ড্রয়েড) চালু করায় যা তাই বুটলোডার। অপারেটিং সিস্টেম চালু হওয়ার আগেই ছোটখাট পরিবর্তন আনার জন্য ডিভাইস রুট করা হয়ে থাকে। এছাড়াও কাস্টম রম ব্যবহারের জন্য বুটলোডার আনলক করার দরকার হয়। সাধারণত এই কাজে ডিভাইসের ওয়ারেন্টি বাতিল হয়। তবে অনেক ডিভাইসই আবার বুটলোডার লক করে আনরুট করে ওয়ারেন্টি ফিরিয়ে আনা যায়।
Brick: Brick এর অর্থ হচ্ছে ইট। আর ফোন বা ডিভাইস ব্রিক করা মানে একে অনেকটা ইটে রূপান্তরিত করা। মূলত রুট বা এ জাতীয় অ্যাডভান্সড কাজ করার সময় অসাবধানবশত ফোন ব্রিক হয়ে যেতে পারে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্রিক হওয়া ফোন ঠিক করা যায়। তবে হার্ড ব্রিক হলে সে ফোন ঠিক হওয়ার সুযোগ কমই থাকে। সাধারণত হার্ডওয়্যারে সমস্যা হলে, যেমন মাত্রাতিরিক্ত ওভারক্লকিং-এর ফলে সিপিইউ অনেক গরম হয়ে বন্ধ হয়ে গেলে ফোন হার্ড ব্রিক হয়ে থাকে।
Bug: Bug শব্দের আভিধানিক অর্থ হচ্ছে পোকা। আর স্মার্টফোনে Bug এর মানে হচ্ছে কোন ভুল বা ত্রুটি। সহজ ভাষায় কোন Apps ঠিকমতো কাজ না করাকে স্মার্টফোনে Bug বলা হয়ে থাকে।
C দিয়ে শুরুঃ-
Custom: সাধারণত ডিভাইসের সঙ্গে আসেনি এমন জিনিসগুলোকেই কাস্টম বলা হয়। যেমনঃ- যে রম ডিভাইসে দেয়া থাকে না তাকে কাস্টম রম বলে। রম সম্পর্কে জানতে ডকে দেখুন।
Custom Rom: গুগল তথা অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান কতৃক ব্যতীত অন্য যেসব রম ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করে ব্যবহারকারীরা ব্যবহারের সুবিদা পেয়ে থাকেন, সেগুলোকে কাস্টম রম বলে। উল্লেখ্য যে, সাধারণত কোম্পানি কতৃক দেয়া রম থেকে কাস্টম রমে অনেক সুযোগ সুবিদা থাকে।
Customize: নিজের মতো করে আলাদাভাবে বিভিন্ন সেটিংস ঠিকঠাক করা ও সাজানো। আপনার ডিভাইসের সিপিইউ কত দ্রুত বলে হিসেব করা হয়। ডিভাইস রুট করার মাধ্যমে সিপিইউ’র এই ক্লক স্পিড নিজের ইচ্ছেমতো বাড়ানো-কমানো যায়। এ নিয়ে নিচে ওভারক্লক ও আন্ডারক্লক বিষয়ে দেখুন।
CPU: সিপিইউ আপনার ডিভাইস পরিচালনার মূল কাজটি করে থাকে। এটিই নিয়ন্ত্রণ করে আপনার ডিভাইস কতটা দ্রুত কাজ করতে পারবে, কতটুকু কাজের ভার একসঙ্গে নিতে পারবে ইত্যাদি।
CaynozenMod/CM: সায়ানোজেন মূলত একজন রম ডেভেলপারের নাম যিনি অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের মাঝে সর্বাধিক জনপ্রিয়। বর্তমানে তিনি তার কিছু নিবেদিত ডেভেলপারদের সঙ্গে এক হয়ে সায়ানোজেনমড নামের এই কাস্টম রম তৈরি করে থাকেন। সংক্ষেপে একে সিএম বলেও ডাকা হয়। এর বিভিন্ন সংস্করণ একটি সংখ্যা দিয়ে বোঝানো হয় সেটি অ্যান্ড্রয়েডের কোন সংস্করণের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। যেমনঃ আইসক্রিম স্যান্ডউইচের জন্য CM9, জেলি বিনের জন্য CM10, কিটক্যাটের জন্য CM11 ইত্যাদি।
D দিয়ে শুরুঃ-
Device: যে কোন গ্যাজেট বা প্রযুক্তি পণ্যকেই ডিভাইস বলা যেতে পারে। একটি ঘড়ি যদি অ্যান্ড্রয়েডে চালিত হয় তাহলে আমরা ঘড়িটিকে ডিভাইস বলতে পারি। তবে স্বাভাবিক অর্থে ডিভাইস বলতে স্মার্টফোন বা ট্যাবলেট পিসিকে বোঝানো হয়ে থাকে। এটি নির্ভর করে কি ধরনের ডিভাইসের কথা বলা হচ্ছে এর উপর।
Dalvik Cache: রাইটেবল ক্যাশ যাতে আপনার অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের সকল এপিকে ফাইলের বাইটকোড অপটিমাইজ করা থাকে। আপনার সকল অ্যাপ্লিকেশান দ্রুত লোড নিতে ও ভাল পারফর্ম করতে এই ক্যাশে সকল ইনফর্মেশন দেয়া থাকে।
E দিয়ে শুরুঃ-
External: এর অর্থ আলাদা। যেমন এক্সটারনাল মেমোরি স্লট বলতে বোঝায় আলাদা মেমোরি কার্ড লাগানোর জায়গা।
F দিয়ে শুরুঃ-
Flash: ফ্ল্যাশ করা বলতে কাস্টম রম, রিকোভারি ইমেজ ইত্যাদি ফোনের ইন্টারনাল মেমোরিতে থাকা রম বা কোন সফটওয়্যারের অংশকে বদলে ইন্সটল করার পদ্ধতিকে বঝানো হয়।
Factory Reset: ফ্যাক্টরি রিসেট করলে এটি আপনার সকল যাবতীয় ইনফরমেশন ওয়াইপ বা মুছে ফেলবে। সাধারণত ফ্যাক্টরি রিসেট করতে হয় যখন ফোন অনেক স্লো, কোন কিছু ক্র্যাশ এবং প্যাটার্ন লক না খোলা গেলে। ফ্যাক্টরি রিসেট সেটিং বা রিকভারি মড থেকে করা যায়।
Fastboot: বুটলোডারের আরেকটি মোড, যা কিনা আপনি নিজেই ম্যানুয়ালি এর বিভিন্ন কাস্টমাইজ করে ফ্ল্যাশ দিতে পারবেন।
FC: FC এর পূর্নরুপ হচ্ছে force close. যখন কোন অ্যাপ ক্র্যাশ করে অটোমেটিক বন্ধ হয়ে যায় তখন এই লেখাটা আসে।
Firmware: ফার্মওয়্যার হল কোন একটি অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের সকল গুরুত্বপূর্ণ ফাইলের সমষ্ঠি। ফোনের সকল System Ui, System Apps, Settings সবকিছুই এই ফার্মওয়্যারের অংশ। এককথায় ফার্মওয়্যার অ্যান্ড্রয়েডের প্রাণ। এই ফার্মওয়্যার এর কোন ফাইলে সমস্যা হলে ফোন স্লো হয়ে যায় বা ল্যাগ করে। তখন ডিভাইসের যেকোন কাজ করতে অসুবিধা হয়। যখন এই সমস্যাটা হয় তখন উচিত ফোন রিস্টোর দেয়া অথবা ফার্মওয়্যার আপডেট দেয়া।
Froyo: অ্যান্ড্রয়েড ফ্রোয় (২.২). এটা গুগল ১০মে ২০১০ সালে তাদের নেক্সাস ওয়ান ডিভাইসে রিলিজ করার মাধ্যমে ঘোষণা করে।
G দিয়ে শুরুঃ-
Google: আমাদের আধুনিক প্রযুক্তির বস এবং অ্যান্ড্রয়েড মালিক।
GPU: জিপিইউ হচ্ছে “গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট”- এর সংক্ষিপ্ত রূপ। এর কাজ হল আপনার ডিসপ্লেতে যেসব জিনিস আসবে তা প্রসেস করা, কিছুটা বলতে পারেন আরেকটি প্রসেসর যার কাজ শুধু গ্রাফিক্স যেমন মুভি, গেম গ্রাফিক্স এসব প্রসেস করা। জিপিইউ শক্তিশালী হলে উন্নতমানের গেমস এবং এইচডি মুভি চালাতে কোন সমস্যা হবে না।
Gingerbread: অ্যান্ড্রয়েড জিঞ্জারব্রেড (২.৩-২.৪), অ্যান্ড্রয়েডের বহুল আলোচিত ও ব্যবহৃত অ্যান্ড্রয়েড ভার্শন। যেটা প্রথম নেক্সাস এস এ রিলিজ দেয়া হয়েছিল।
G1: এটি অ্যান্ড্রয়েডের প্রথম স্মার্টফোন, যা HTC T-mobile এর জন্য ২০০৮ সালে বাজারে রিলিজ করে। এটি HTC Dream নামেও পরিচিত।
Galaxy: স্যামসাং এর অ্যান্ড্রয়েড বেসড স্মার্টফোন সিরিজ।
Gmail: গুগল ওয়েব বেসড ইমেইল সেবা।
Google Play: মুভি, অ্যাপস, গেমস এবং বই বিক্রির গুগলের অনলাইন শপ। এটি ২০১২ সালের মার্চ এর ৬ তারিখ যাত্রা শুরু করে। এটি মূলত অ্যান্ড্রয়েড মার্কেটের পরিবর্তিত রূপ যা প্লেষ্টোর নামে বহুল পরিচিত।
Google Now: আপনার বা আপনার কাঙ্খিত যেকোন অবস্থান নির্ভুলভাবে নির্ণয় করতেঅ্যান্ড্রয়েড জেলি বিন এর গুগল সার্চ অ্যাপ এটি।
Google Wallet: প্লেষ্টোর সহ গুগলের বিভিন্ন সেবা কেনাকাটা করতে আপনার ভার্চুয়াল মানিব্যাগ এটি।
Gorilla Glass: CORNING থেকে তৈরি একটি স্ক্র্যাচ প্রতিরোধী কাচ যা এখন বেশিরভাগ স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেট এ ব্যবহৃত হচ্ছে।
GPS: জিপিএস হচ্ছে গ্লোবাল পজিশানিং সিস্টেম। আপনার ফোনে থাকা জিপিএস স্যাটেলাইটের মাধ্যমে আপনি পৃথিবীর যেই প্রান্তে থাকুন না কেন সে আপনার অবস্থান খুজে বের করবে।
Gyros/Gyroscope: জায়রোস্কোপ হলো কৌণিক অক্ষে নড়াচড়া বুঝতে পারে এমন একটি সেন্সর। এটি কৌণিক ত্বরণের উপর ভিত্তি করে কোন কিছুর অবস্থান নির্ণয় বা পরিমাপ করতে পারে। এক্সেলেরমিটারের কিছু সীমাবদ্ধতা দূর করার জন্য ব্যবহৃত হয়। অ্যাক্সেলেরোমিটার ছয়টি অক্ষে অর্থাৎ ডানে বামে সামনে পিছনে উপরে নিচে পজিশন নির্ণয় করতে পারলেও কৌণিক অক্ষ নিরূপণ করতে ব্যর্থ। অন্যদিকে অ্যাক্সেলেরোমিটার এবং জায়রোস্কোপ একত্রে ব্যবহারের ফলে একটি স্মার্টফোনে মোট ৬ টি অক্ষে মোশন সেন্স করতে পারে যা শুধুমাত্র অ্যাক্সেলেরোমিটারের তুলনায় কিছুটা বেশি সূক্ষ্ম ফলাফল দিতে সক্ষম।
H দিয়ে শুরুঃ-
Hack/Hacking: অ্যান্ড্রয়েডে হ্যাকিং বলতে অ্যান্ড্রয়েড সিস্টেমে নতুন কাস্টমাইজেশান যুক্ত করকে বুঝায়।
Hard Reset: এটি একটি প্রক্রিয়া যার।মাধম্যে আপনার ফোনের অপারেটিং সিস্টেম ফ্যাক্টরিতে বানানোর পর যেমন ছিল সে অবস্থায় নিয়ে যাওয়া। এটি করলে আপনার ফোনের সকল ড্যাটা ,লগিনইনস এবং পাসওয়ার্ড মুছে যাবে।
Honeycomb: অ্যান্ড্রয়েড হানিকম্ব (৩.২), শুধুমাত্র ট্যাবলেট পিসির জন্য বানানো রম বিশেষ। এটিই প্রথম ভার্শন যা ফুল ডুয়েল কোর প্রসেসর সাপোর্টেড। হানিকম্ব সংবলিত প্রথম ট্যাব হল Motorola Xoom.
I দিয়ে শুরুঃ-
iOS: অ্যাপলের আইফোন, আইপড টাচ ও আইপ্যাডের বিভিন্ন সংস্করণে ব্যবহৃত অপারেটিং সিস্টেম। একে গুগলের অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ধরা হয়।
Internal: ফোনের সঙ্গে বিল্টইন থাকা মেমোরি যা থেকে ফোনকে আলাদা করা যায় না।
Ice Cream Sandwich: গুগল জিঞ্জারব্রেডের পর হানিকম্ব-এ ব্যাপক ফিচার যুক্ত করে কিন্তু হানিকম্ব বানানো হয়েছিল ট্যাবের জন্য। তাই স্মার্টফোন ব্যাবহারকারীদের সন্তুষ্ট করেতে গুগল প্রায় একই ফিচার সংবলিত অ্যান্ড্রয়েড আইসক্রিম স্যান্ডউইচ (৪.০) রিলিজ করে। আইসক্রিম স্যান্ডউইচ সংবলিত প্রথম স্মার্টফোন হল Samsung Galaxy Nexus.
IMEI: আইএমআইই হচ্ছে “ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকিউপমেন্ট আইডেন্টি”। মূলত প্রত্যেক ফোনে একটি করে ইউনিক আইডেন্টফিকেশান দেয়া থাকে ফোনটিকে শনাক্ত করতে।
IPS: আইপিএস হচ্ছে “ইন-প্লেন সুইচিং”, মুলত.এটি উন্নত প্রযুক্তির স্মার্টফোন ডিসপ্লে বিশেষ। এটি আপনাকে সবচেয়ে ভাল এঙ্গেল ভিউ ও কালার দিবে। এটি সর্বপ্রথম আইফোনে ব্যবহৃত হয়েছে, পরবর্তীতে এখন অ্যান্ড্রয়েড বেসড সকল হাই রেঞ্জের স্মার্টফোনে এটি ব্যবহৃত হচ্ছে।
J দিয়ে শুরুঃ-
Jelly Bean: অ্যান্ড্রয়েড জেলি বিন (৪.১, ৪.২, ৪.৩), অ্যান্ড্রয়েডের আরেকটি বহুল আলোচিত ও ব্যবহৃত অ্যান্ড্রয়েড ভার্শন। এতে অ্যান্ড্রয়েডের নতুন সেবা Google Now ও Project Butter সংযোজন করে বাজারে রিলিজ করা হয়।
দিয়ে শুরুঃ-
Kernel: কম্পিউটার ও বিভিন্ন ডিভাইসে কার্নেল হচ্ছে সে জিনিস যা অ্যাপ্লিকেশান বা অপারেটিং সিস্টেম এবং হার্ডওয়্যারের মধ্যে সমন্বয় সৃষ্টি করে। মোবাইলের ক্ষেত্রে, আপনি যখন কোনো অ্যাপ্লিকেশান টাচ করেন, তখন সেই টাচ কোথায় হয়েছে এবং তার কী কমান্ড রয়েছে সেই নির্দেশটি হার্ডওয়্যারে পৌছানোর কাজটিই এই কার্নেল করে থাকে। অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম চালিত ফোন ও ট্যাবলেট লিনাক্সের বিভিন্ন কার্নেলের উপর তৈরি করা হয়ে থাকে।
Kitkat: KitKat হচ্ছে Android Version-4.4.x, এর Released Date ৩১শে অক্টোবর,২০১৩।
L দিয়ে শুরুঃ-
Launcher: অ্যান্ড্রয়েডে Launcher হচ্ছে সেই জিনিস যা আপনার মোবাইলের “Main View’ প্রদর্শন করে। আপনার ফোনের বিভিন্ন Featuresকে মোবাইলের Home Screen ফুটিয়ে তুলতেই মূলত Launcher ব্যবহৃত হয়ে থাকে। যেমন- ADW Launcher, Launcher Pro, Go Launcher, SPB Shell 3D Regina 3D, Launcher 7 ও Next Launcher 3D।
Linux: কম্পিউটারের চারটি অপারেটিং সিস্টেমের মধ্যে লিনাক্স একটি। এই অপারেটিং সিস্টেমটি ওপেন সোর্স ভিত্তিক। বহুল আলোচিত মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েড এই লিনাক্স কমান্ড দিয়েই তৈরি। অ্যান্ড্রয়েড ওপেন সোর্স ভিত্তিক বলে আমরা এটির সোর্স কোড বের করে ইচ্ছে মত কাস্টমাইজ করতে পারি।
Live wallpapers: এনিমেটেড ওয়ালপেপার যা অ্যান্ড্রয়েডের অন্যতম ফিচার। এটি অ্যান্ড্রয়েড ২.২ থেকে ব্যবহার শুরু হয়েছে।
Lollipop: Android Version 5.0 কে বলা হয় Lollipop (ললিপপ)। Lollipop এর রিলিজের তারিখ- ১২ই নভেম্বর, ২০১৪।
দিয়ে শুরুঃ-
Malicious: ক্ষতিকারক প্রোগ্রাম যা ডিভাইসের তথ্য হ্যাকারদের কাছে পাচার করতে পারে অথবা ডিভাইসের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ হ্যাকারদের দখলে দিয়ে দিতে পারে।
MiUi: অ্যান্ড্রয়েডের জনপ্রিয় কাস্টম রম গুলোর মধ্যে MiUi নিঃসন্দেহে অন্যতম। MiUiএর পূর্ণনাম XiaoMI User Interface। এটির নির্মাতা হল চাইনিজ অ্যান্ড্রয়েড ডেভেলপার ও স্মার্টফোন.ম্যানুফ্যাকচারার কোম্পানি Xiaomi Tech। এটির এত জনপ্রিয়তার মূল কারণ হল Xiaomi অ্যান্ড্রয়েডের স্টক রমকে কাস্টমাইজ করে এতে অ্যাপেল এর ios ও স্যামসাং এর টাচওয়িয (TouchWiz) এর মিলিত UI সংযোজন করে চমক দেখিয়েছে। এই রমটি i-phone রম নামেও পরিচিত কারণ এটির ইউজার ইন্টারফেস i-phone রম বেসড।
N দিয়ে শুরুঃ-
NFC: নিয়ার ফিল্ড কমিউনিকেশনের সংক্ষিপ্ত রূপ। এই প্রযুক্তির ফলে কোন প্রকার ইন্টারনেট বা ব্লুটুথ সংযোগ ছাড়াই দু’টি এনএফসি-এনাবলড ডিভাইস পাশাপাশি রেখে রেডিও সিগন্যালের মাধম্যে ফাইল ট্রান্সফার করা যায়। স্যামসাং গ্যালাক্সি এস থ্রি’র বিজ্ঞাপনে অনেকে এই প্রযুক্তির ব্যবহার দেখে থাকবেন।
Nexus: নেক্সাস গুগলের নিজস্ব স্মার্টফোন। (যার ম্যানুফ্যাকচারার হল LG, তবে Samsung এবং HTCও ২/১টি সেট বের করেছে) এটি “Pure Google” ডিভাইস নামেও পরিচিত মানে নেক্সাস ইউজে আসল অ্যান্ড্রয়েডের অনুভুতি পাওয়া যায় এবং অ্যান্ড্রয়েডের যেকোন আপডেট বা আপগ্রেড প্রথম নেক্সাস ডিভাইসে পাওয়া যায়। নেক্সাসের সিরিজের ডিভাইসগুলো হল Nexus One, Nexus S, Nexus 4, Nexus 7, Nexus 10, Galaxy Nexus.
O দিয়ে শুরুঃ-
OS: ডিভাইসের মূল সিস্টেম সফটওয়্যার। অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের অপারেটিং সিস্টেমই হচ্ছে অ্যান্ড্রয়েড। অন্য কোথায়, অ্যান্ড্রয়েডই হচ্ছে অপারেটিং সিস্টেম। তবে এর বিভিন্ন সংস্কণের বিভিন্ন নাম রয়েছে। যেমনঃ জিঞ্জারব্রেড, আইসক্রিম স্যান্ডউইচ, জেলি বিন ইত্যাদি।
Overclock: প্রসেসরের গতিকে স্বাভাবিকের চেয়ে বাড়িয়ে তোলাকে ওভারক্লক বলা হয়। তবে একটি নির্দিষ্ট সীমার বেশি ওভারক্লক করলে ডিভাইস স্থায়ীভাবে নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
OTG: OTG এর পূর্নরুপ হচ্ছে On The Go। এক বিশেষায়িত কেবল, যার সাহায্যে ওটিজি সাপোর্টেড অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে কীবোর্ড, মাউস, পেনড্রাইভ ও গেমপ্যাড চালানো যায়।
দিয়ে শুরুঃ-
Processor: সিপিইউকেই প্রসেসর বলে ডাকা হয়ে থাকে। তবে আরও সঠিকভাবে বলতে গেলে, ডিভাইসের যাবতীয় কাজ যে হার্ডওয়্যার সম্পন্নকরে তাকেই প্রসেসর বলে।
PIN: PIN এর পূর্নরুপ হচ্ছে Personal Identification Number. যাতে চারটি ডিজিট থাকে।
Pixel: ডিসপ্লের প্রতিটি ফোটাকে (ডট) পিক্সাল বলে। এই পিক্সালের জন্যই আমরা ডিসপ্লেতে বিভিন্ন ইমেজ ও টেক্সট দেখতে পারি।
Q দিয়ে শুরুঃ-
QR Code: এটি ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট বারকোড যখন স্মার্টফোনের মাধ্যমে এটি দিয়ে স্ক্যান করবেন তখন এটি ওয়েব লিঙ্ক ওপেন করতে পারবে, অ্যাপ্লিকেশানটির ডাউনলোডেড মার্কেট ওপেন করতে পারবে, ইত্যাদি।
দিয়ে শুরুঃ-
Retina Display: রেটিনা ডিসপ্লে এমন ধরনের ডিসপ্লে যা মানুষের সাধারন চোখ দিয়ে পিক্সেলগুলোকে আলাদা করা বোঝা সম্ভব
নয়। এর ছবির কোয়ালিটি,শার্পনেস খুবই উন্নত মানের।
Root:
ডিভাইসের পূর্ণ কর্তৃত্ব হাতে নেয়ার প্রক্রিয়া।
Rom: রম হচ্ছে রিড অনলি মেমোরির সংক্ষিপ্ত রূপ। অ্যান্ড্রয়েড জগতে রম দুই ধরনের হয়ে থাকে। স্টক রম ও কাস্টম রম। এগুলো হচ্ছে ফোনের ইন্টারনাল মেমোরিতে থাকা কিছু ড্যাটা যা অপারেটিং সিস্টেমের সঙ্গে লোড হয়ে থাকে। মূলত এটিই পুরো ডিভাইসের ইন্টারফেসকে নিয়িন্ত্রন করে। স্টক রম হচ্ছে যেটি দিভাইসটির প্রস্তুতকারক কোম্পানি দিয়ে থাকে, আর কাস্টম রম হচ্ছে যেটি ব্যবহারকারীরা আলাদা ডাউনলোড করে ইন্সটল করতে পারেন।
Reset: এটি ফোনকে পুনরায় বুট করে। রিসেট দু ধরনের সফট ও হার্ড। সফট রিসেট হল শুধুমাত্র ফোনকে অন অ্যান্ড অফ করার মাধম্যে ব্যাটারি পুল করে। আর হার্ড রিসেট ফ্যাক্টরি রিসেট নামেও পরিচিত। ফ্যাক্টরি রিসেট করলে এটি আপনার সকল যাবতীয় ইনফরমেশন ওয়াইপ বা মুছে ফেলবে। সাধারণত ফ্যাক্টরি রিসেট করতে হয় যখন ফোন অনেক স্লো, কোন কিছু ক্র্যাশ এবং প্যাটার্ন লক না খোলা গেলে। ফ্যাক্টরি রিসেট সেটিং বা রিকভারি মড
থেকে করা যায়।
Resolution: রেজুলেশান বুঝাতে কত সংখ্যক নিজস্ব পিক্সাল ডিসপ্লেতে আছে। সবচেয়ে কমন ফোন রেজুলেশান হল ১২৮০ বা ৭২০ পিক্সাল। ৭২০পি হল সর্ট ডাইমেনশান আর ১২৮০পি হল লং। যদি আপনার ডিসপ্লেতে উজ্জ্বল ও ঝঁকঝকে ছবি পেতে পার ইঞ্চি পিক্সাল ডিসপ্লেতে প্রচুর পরিমানে থাকা বাঞ্ছনীয়।
Recovery Mode: এডমিনিস্ট্রেশান সংক্রান্ত ফোন বা ট্যাবের যেকোন কাজ সম্পান্দন করতে রিকভারি মড ব্যবহার করা হয়। ফোন বা ট্যাব চালুর শুরুতে রিকভারি মড বুট করতে হয়। সাধারণত আনলক বুটলোডারে একটি সিম্পল রিকভারি মড দেয়া থাকে। তবে বেশি কাজ সম্পান্দনে কাস্টম রিকভারি মডই ব্যবহৃত হয়। জনপ্রিয় দুটি রিকভারি মড হল TeamWin Recovery Project (TWRP) এবং Clockwork (CWM)।
S দিয়ে শুরুঃ-
Stock: ফোন বা ডিভাইসের সাথে ডিফল্ট যেসব থাকে সেগুলোকে স্টক বলে। যেমনঃ স্টক ব্রাউজার, স্টক রম ইত্যাদি।
SDK: SDK এর পূর্নরুপ হচ্ছে Software Development Kit. এটি একটি বিশেষায়িত টুল কিট যার মাধ্যমে অ্যান্ড্রয়েড প্লাটফর্মের জন্য বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশান ডেভেলপ করা যায়।
Super AMOLED: ডিসপ্লে জগতে এমোলেড অনন্য। আর সুপার এমোলেড তার পরবর্তী সংযোজন। এটি এমোলেড থেকে উজ্জ্বল, অধিক ব্যাটারি সাশ্রয়ী এবং কম আলো প্রতিফলিত করে। উল্লেখ্য স্যামসাংই প্রথম এমোলেড ডিসপ্লে ব্যবহার করে।
Super AMOLED Plus: পূর্ববর্তী এমোলেডের ব্যাপক উন্নয়ন ঘটিয়ে সুপার এমোলেড প্লাস এর আগমন, যাতে ৫০% এরও বেশি সাব পিক্সাল এবং আরজিবি মেট্রিক্স সংযোজন করা হয়েছে। ফলে এটি এখন পাতলা, উজ্জ্বল এবং আরো কার্যকরী. স্যামসাং গ্যালাক্সি এস ৪ এর অন্যতম আকর্ষণ হল এই সুপার এমোলেড প্লাস ডিসপ্লে।
T দিয়ে শুরুঃ-
Tweak: ডিভাইসের কোন।সেটিংসে ছোটখাটো পরিবর্তন আনা।
TouchWiz: স্যামসাং এর নিজস্ব লউনচার বা ইউজার ইন্টারফেস।
U দিয়ে শুরুঃ-
Underclock: প্রসেসরের কাজ করার ক্ষমতা কমিয়ে আনাকে আন্ডারক্লক বলে। ফোন যখন অলস পড়ে থাকে সেই সময়ে প্রসেসরের কাজ কমিয়ে এনে ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়ানোর প্রক্রিয়াকে আন্ডারক্লক বলা হয়।
Unroot: রুট করে সুপারইউজার পারমিশন পাওয়া যায়। এই পারমিশনকে বাতিল করে ডিভাইসকে আগের মতো লক করার পদ্ধতিকে বলে আনরুট।
Unlock Root: একটি পিসি অ্যাপ যার সাহায্যে অনেক অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস এক ক্লিকে রুট করা যায়।
USB: USB = Universal Serial Bus. যার মাধ্যমে ফোন বা ট্যাবকে পিসির সাথে সংযোগ করা যায়।
V দিয়ে শুরুঃ-
Vanilla: একটি টিম যা স্টক অ্যান্ড্রয়েডকে বর্ণনা করে।
Vroot: একটি পিসিঅ্যাপ্স যার সাহায্যে Android ডিভাইস Root করা যায়।
W দিয়ে শুরুঃ-
Widget: ওইগেট হল কোন অ্যাপের সর্টকার্ট আইকন যা হোমস্ক্রিন বা ফোন’স ডেক্সটপ সেট করে ঐ অ্যাপকে দ্রুত এক্সেস করা যায়।
Wipe: ডিভাইসের কোন ইনফো মুছে ফেলাই হল ওয়াইপ।
X দিয়ে শুরুঃ-
XDA: এক্সডিএ হলো অ্যান্ড্রয়েড-ভিত্তিক ডেভেলপারদের সবচেয়ে বড় ফোরাম। বেশিরভাগ কাস্টম রমসহ বিভিন্ন অ্যাডভান্সড বিষয়ে এখানেই আলোচনা করা হয়।
Xperia: সনি এর অ্যান্ড্রয়েড বেসড স্মার্টফোন সিরিজ।
দিয়ে শুরুঃ-
YouTube: গুগল ওয়েব বেসড ভিডিও স্ট্রিমিং সেবা। স্টক রমে ইউ টিউব অ্যাপটি দেয়াই থাকে, না থাকলে প্লেস্টোর থেকে ডাউনলোড করে নেয়া যায়, কিন্তু এটি দিয়ে কোন ভিডিও ডাউনলোড করা যায় না।
Z দিয়ে শুরুঃ-
z4root:
একটি পিসি অ্যাপ যার সাহায্যে অনেক অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস এক ক্লিকে রুট করা যায়

সোমবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৬

এই প্রচন্ড গরমে সুস্থ থাকার কিছু টিপস

গ্রীষ্মের শুরুতে তাপমাত্রার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আসহনীয় গরম কিন্তু এই গরমে বাড়িতে বসে থাকার তো কোনো উপায় নেই। যান্ত্রিক জীবনের সাথে তাল মিলিয়ে সবাইকে প্রতিনিয়তই বাইরে যেতে হচ্ছে। আর গরম বাড়ার সাথে সাথে মানুষের অসুস্থ হওয়ার প্রবণতাও বাড়ছে। কারন সবাইকে কোনো না কোন কাজে প্রতিদিনই বাইরে যেতে হয়। সেক্ষেত্রে নিয়মিত খাওয়াদাওয়ার অভাব, পানি কম খাওয়া, বাইরের ধূলা বালি, রোদ ইত্যাদির জন্য সবাই প্রতিনিয়ত অসুস্থ হয়ে পড়ছে। কিন্তু একটু সতর্ক হলেই আমরা এই গরমেও নিজেদের সতেজ রাখতে পারি। সেক্ষেত্রে আমাদের কিছু বিষয়ের দিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। তাই আজ আমরা এই গরমে সুস্থ থাকার কয়েকটি উপায় তুলে ধরব।


আপনার পরিধেয় পোশাক নির্বাচন

এই গরমে সুস্থ থাকার একটি প্রধান উপায় হচ্ছে সঠিক পোশাক নির্বাচন। আর এই সময় সবচেয়ে উপকারী পোষাক হচ্ছে সূতি কাপড়ের তৈরি পোশাক। কারন সারাদিন বাইরে থাকার ফলে শরীরে যে ঘাম হয় তা সূতি খাপড় খুব সহজেই শুষে নিতে পারে। এছাড়া সূতির পাশাপাশি ধূপিয়ান, লিলেন, টাইডাই ও কটনও নির্বাচন করতে পারে। কাতান, টিস্যু, জর্জেট এই ধরনের কাপড় যথা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। এছাড়া যারা বাইরে যাওয়ার সময় শাড়ি পরে থাকেন তারা সূতি, খাদি কাপড় নির্বাচন করতে পারেন। আজকাল সূতি কাপড়ের উপর অনেক ধরনের হালকা ডিজাইনের নকশা দেখা যায়। এসব পোশাকও সবার গায়ে খুব ভালো মানিয়ে যায়। এছাড়া রঙ নির্বাচনের খেত্রেও অনেক সতর্ক থাকা উচিত। এ সময় উজ্জ্বল রঙের পোষাক না পরাই ভালো। হালকা নীল, ধূসর, বালামী, হালকা গোলাপী, সাদা, মেজেন্টা এই ধরনের রঙ বেশী ভালো হয়। ছেলেদের ক্ষেত্রে টি শার্ট, থ্রী কোয়ার্টার প্যান্ট অথবা সূতির চেক শার্ট বেছে নিতে পারেন। এই ধরনের পোষাক সব যায়গায় ব্যাবহারের জন্য খুবই মানানসই হয়।

পর্যাপ্ত পরিমানে পানি ও ঠান্ডা  জাতীয় পানিয় পান করা‍

এই সময় শরীর থেকে ঘামের মাধ্যমে প্রচুর পরিমানে পানি শরীর থেকে বের হয়ে যায়। ফলে শরীরে পানিশূন্যতা ও বিভিন্ন ধরনের রোগ হয়ে থাকে। তাই এই সময় সুস্থ থাকতে চাইলে প্রচুর পরিমানে পানি পান করুন। প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ গ্লাস পানি পান করুন। এছাড়া পানির সাথে সাথে বিভিন্ন ফলের জুস যেমন আম, তরমুজ, আখের রস, ডাবের পানি পান করুন। এ সময় বাড়িতে স্যালাইন অথবা গ্লুকোজ রাখুন। কারণ এগুলো শরীরে পানিশূন্যতা কমিয়ে শরীরে লবনের পরিমান ঠিক রাখতে সাহায্য করে। তবে রাস্তার পাশে অস্বাস্থকর পানীয় থেকে সাবধান থাকুন। কারন এগুলো পানে শরীর সুস্থ থাকার পরিবর্তে অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।


খাবারের ক্ষেত্রে সতর্কতা

এই সময় সচরাচর ভারী খাবার নয়া খাওয়াই ভালো। এছাড়া অতিরিক্ত তেল যুক্ত খাবারও এই সময় এড়িয়ে চলা উচিত। কারন ভারী খাবার খেলে এই সময় অতিরিক্ত গরম লাগবে এবং শরীর খারাপ হওয়ারও সম্ভাবনা থাকে। বিশেষ করে বিকালের নাস্তায় হালকা ফলমূল ও ফলের রস খেতে পারেন। এতে শরীর সুস্থ থাকবে। তাছাড়া ভিটামিন সি আর্থৎ টক জাতীয় ফল খেতে পারেন।

সঠিক জুতা নির্বাচন

গরমের সময় সবসময় খোলামেলা জুতা পরা উচিত। এতে শরীর ঠান্ডা থাকে। এ সময় কখনো মোজা পরা উচিত নয়। এতে পায়ে বাতাস চলাচল করতে পারে নয়া এবং শরীর গরম থাকে। প্রতিদিন ব্যাবহারের জন্য খোলামেলা স্যান্ডের ব্যাবহার করতে পারেন।

অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনটি সুরক্ষিত রাখার দশ উপায়

ব্যবহারকারী চাইলেই সুরক্ষিত রাখতে পারবেন নিজের অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনটি। হাতের অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনটি সুরক্ষিত রাখার দশ উপায় নিয়ে আজকে টিউন করলাম এই পেজে।




অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার
আপনার অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনটি ক্ষমতা প্রায় একটি কম্পিউটারের সমান। কিন্তু এতেও রয়েছে বিভিন্ন দুর্বলতা। কম্পিউটারের মতো সহজেই স্মার্টফোনটি ভাইরাসের শিকার হতে পারে। এ জন্য অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনটিতে অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ইনস্টল করা প্রয়োজন। ফলে অধিকাংশ ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা পাবে স্মার্টফোনটি।
ডাউনলোড করুন নিরাপদ অ্যাপ্লিকেশন
অ্যান্ড্রয়েড ফোনের জন্য রয়েছে অসংখ্য সফটওয়্যার ও অ্যাপ্লিকেশন। ব্যবহারকারী নিজের অজান্তেই অনেক ক্ষেত্রে ক্ষতিকর অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করেন। এ কারণে বিভিন্ন স্মার্টফোন নিরাপত্তা সংস্থা কোনো অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করার আগে এর নির্মাতা ও প্রদানকারী সাইট সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের।
মুছে ফেলুন অপরিচিত এসএমএস
অনেক স্মার্টফোন টেক্সট মেসেজ বা এসএমএস-এর মাধ্যমে ভাইরাস আক্রান্ত হয়। এমনও হতে পারে, আপনার স্মার্টফোনটিতে অপরিচিত নাম্বার থেকে মেসেজ এসেছে যে, আপনার ফোনটি ভাইরাসে আক্রান্ত। এ রকম মেসেজ খুললেই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে আপনার স্মার্টফোনটি। তাই সচেতন স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর উচিত সন্দেহজনক টেক্সট মেসেজ এলেই তা মুছে ফেলা।
সাবধান থাকুন
অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করার সময় নিশ্চিত হয়ে নিন অ্যাপ্লিকেশনটির নির্মাতা সম্পর্কে। আপনার অ্যাপ্লিকেশনটি ‘পাইরেটেড’ কপি কি না তাও জেনে নিন। কারণ, এ রকম অ্যাপে থাকে স্মার্টফোনের জন্য ক্ষতিকর ম্যালওয়্যার। আর তাই সবসময় ব্যবহার করুন নিরাপদ অ্যাপ্লিকেশন।
আপডেটেড রাখুন ওএস
কিছুদিন পরপরই বের হচ্ছে আপডেটেড ওএস, যার মাধ্যমেও নিশ্চিত করতে পারেন আপনার স্মার্টফোনটির নিরাপত্তা। আপডেটেড ওএস সবসময় চেষ্টা করে স্মার্টফোনটিকে আরও সুরক্ষিত রাখার ও বিভিন্ন নতুন সেবার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার। সুতরাং ব্যবহারকারীদের উচিত অপারেটিং সিস্টেমের নতুন ভার্সন বের হলেই স্মার্টফোনের অপারেটিং সিস্টেম আপডেট করে নেওয়া।
সাবধানে ব্যবহার করুন ‘ক্লাউড স্টোরেজ’
অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের ক্লাউড স্টোরেজ সুবিধাটি ব্যবহার করে সহজেই সংরক্ষণ করা যায় প্রয়োজনীয় তথ্য। তবে সেবাটি আরও সতর্কভাবে ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। ক্লাউড স্টোরেজ সেবাটির সঙ্গে একাধিক ফিচার ব্যবহার না করে পর্যাপ্ত ফাইল শেয়ার করার পরামর্শ দেন তারা।
ডেটা ব্যাকআপ রাখুন
যে কোনো সময় নষ্ট, চুরি অথবা হারিয়ে যেতে পারে আপনার অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনটি। সে ক্ষেত্রে আশঙ্কা রয়েছে আপনার মূল্যবান ও ব্যক্তিগত তথ্য হারিয়ে যাবার এবং অন্য কারও হাতে চলে যাওয়ার। এ ঝামেলা থেকে বাঁচার জন্য ব্যবহার করুন ব্যাকআপ। ফলে ফিরে পাবেন আপনার দরকারি তথ্যগুলো। আর যদি আপনার ফোনটি হারিয়ে যায় অথবা চুরি হয়, তাহলে ‘রিমোট-ওয়াইপ ফিচার’ ব্যবহার করে মুছে ফেলা যাবে ব্যক্তিগত তথ্য। এতে ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করা যাবে। সুতরাং ব্যবহার করুন ফিচারটি এবং নিরাপদ রাখুন আপনার ফোন।
আর্থিক লেনদেনে সাবধান
স্মার্টফোন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের মাধ্যমে লেনদেন না করার পরামর্শই দিয়েছেন। এতে করে ক্রেডিট কার্ডভিত্তিক ডেটা বেহাত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তারা জানিয়েছেন, ফোনের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন সহজ হলেও বেশ ঝুঁকিপূর্ণ।
এনক্রিপ্ট করুন ডেটা
এনক্রিপশন বলতে বুঝায় ডেটাকে গোপন কোডে পরিণত করা। এনক্রিপশন ব্যবহার করে মেশিন চালানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এনক্রিপশন ব্যবহার করে ডেটার নিরাপত্তা বাড়ানো সম্ভব হয়। এনক্রিপটেড ডেটাতে প্রবেশ করতে পাসওয়ার্ডের প্রয়োজন পড়ে। অ্যান্ড্রয়েড ফোনে সুবিধাটির জন্য সেটিংস থেকে সিকিউরিটি অপশন সিলেক্ট করে এনক্রিপ্ট চালু করতে পারবেন ব্যবহারকারী।
চালু করুন পাসকোড
অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনকে সুরক্ষিত রাখতে ব্যবহার করুন পাসকোড অথবা প্যাটার্ন লক। আপনার পাসকোড যদি সংখ্যামূলক হয়, তবে কোডটিকে চার ডিজিটের বেশি রাখুন। আকারে বড় এবং জটিল পাসকোড ব্যবহার করা বেশি নিরাপদ। পাসকোড বা প্যাটার্ন লকের মাধ্যমে নিরাপদ রাখুন আপনার অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনটি।

শুক্রবার, ৮ এপ্রিল, ২০১৬

মনোঃসংযোগ ধরে রাখার ১৫ টি উপায়

আমরা প্রতিদিন বিক্ষিপ্তভাবে নানা কাজ করি। আর এ কাজগুলো অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নির্দিষ্ট পরিকল্পনা অনুযায়ী সুবিন্যস্তভাবে করা হয় না। এক্ষেত্রে সঠিকভাবে মনোঃসংযোগ করতে পারলে তা দিনের কার্যক্রম ঠিকভাবে করতে সহায়ক হবে। এ লেখায় দেওয়া হলো কোনো একটি নির্দিষ্ট কাজে মনোযোগী হওয়ার কিছু উপায়। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে বিজনেস ইনসাইডার।
১. নিয়মিত শারীরিক অনুশীলন
শারীরিক অনুশীলন শুধু শরীরই ভালো করে না এটি মনের স্বাস্থ্যও ঠিক করে। কোনো একটি বিষয়ে মনোযোগী হওয়ার ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য শারীরিক অনুশীলনের গুরুত্ব রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শারীরিক অনুশীলন মস্তিষ্কের উন্নতি করে এবং মনোযোগ ধরে রাখতে সহায়তা করে।




২. ধ্যান
মস্তিষ্কের কার্যক্রম বাড়ানোর জন্য ধ্যান হতে পারে একটি দারুণ উপায়। এজন্য আপনার একটি ভালো সময় বেছে নিতে হবে, যে সময়ে আপনি সচেতন ও জেগে থাকবেন। এরপর সোজা হয়ে বসে নিজের শ্বাস-প্রশ্বাসের দিকে লক্ষ্য রাখবেন এবং তা দেহে কীভাবে কাজ করছে তা অনুভব করবেন। যখনই আপনি বিক্ষিপ্ত হয়ে যাবেন তখনই এ কাজটি করবেন।
৩. একসঙ্গে একাধিক কাজ বাদ দিন
বিভিন্ন গবেষণাতে দেখা গেছে, একসঙ্গে একাধিক কাজ বা মাল্টিটাস্কিং আপনার উৎপাদনশীলতা কমিয়ে দেয়। এর মূল কারণ মস্তিষ্কের নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি যেখানে হয় সেখানেই একাধিক বিষয় একসঙ্গে চালানো যায় না। ডানা ফাউন্ডেশনের বই ‘ব্রেইন ফিটনেস’-এ বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে জানানো হয়েছে, মাল্টিটাস্কিং তথ্য-প্রক্রিয়াজাত করার ক্ষেত্রে ‘বটলনেক’ তৈরি করে। এতে বাস্তবে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে যায় এবং নতুন বিষয় শেখার ব্যবস্থায় বাধা দেয়। এ কারণে হাতের কাজটি শেষ করাতেই সবচেয়ে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেন বিশেষজ্ঞরা।
৪. কর্মতালিকা করুন
আপনার সারা দিনে কোন কোন কাজ করতে হবে তার একটি তালিকা করুন। সময় বাঁচাতে হলে কোন কোন খাতে সময় ব্যয় করছেন তার আসল হিসেবটি বের করুন। প্রতি ঘণ্টা কোথায় কী কী কাজে যাচ্ছে তার তালিকা করুন। সেখান থেকে কোন কাজগুলোতে অতিরিক্ত সময় দিচ্ছেন তা বোঝার চেষ্টা করুন।
৫. সামান্য ক্যাফেইন গ্রহণ করুন
চা কিংবা কফির মাধ্যমে দেহে ক্যাফেইন গ্রহণ করা যায়। আপনি যদি সামান্য ক্যাফেইন গ্রহণ করেন তাহলে তা মনোযোগ বাড়াতে সহায়তা করে। তাই সামান্য চা বা কফি পান করা যেতে পারে।
৬. বিরতি নিন
একটানা কাজ করতে থাকলে তা কোনো কাজই সফলভাবে শেষ করতে নিরুৎসাহিত করে। এ কারণে নির্দিষ্ট সময় অন্তর বিরতি নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
৭. কাজের সময় কাজ
কাজের সময় শুধুই কাজ করুন। ব্যক্তিগত সময়ে শুধুই ব্যক্তিগত কাজ করুন। উভয় বিষয়ের মিশ্রণ আপনার জন্য বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। কাজের সময় ব্যক্তিগত চিন্তাভাবনা বাদ দিন। কিছু সময় শুধুই কাজের জন্য বরাদ্দ রাখুন।
৮. মস্তিষ্কের অনুশীলন করুন
কোনো একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে মনোযোগ দেওয়ার জন্য মস্তিষ্ককে প্রশিক্ষণ দিন। এজন্য আপনার ঐকান্তিক ইচ্ছা ও প্রচেষ্টা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনি যদি কোনো একটি দিকে মনোযোগী না হয়ে হাজার বিষয়ে মনোযোগ দিতে চান তাহলে তা কোনো কাজে আসবে না।
৯. নিরব স্থান বাছুন
আশপাশের শব্দ আপনাকে যদি বিরক্ত করে তাহলে এমন একটি স্থান খুঁজে বের করুন যেখানে কোনো বিরক্তিকর শব্দ হয় না। এ স্থানে আপনি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করা শুরু করুন। এতে আপনার কাজের গতি বাড়বে।
১০. দূরের জিনিসে দৃষ্টি নিবদ্ধ করুন
আমরা অনেকেই দিনের অধিকাংশ সময় কম্পিউটার স্ক্রিন, মনিটর, স্মার্টফোন কিংবা ট্যাবের দিকে তাকিয়ে ব্যয় করি। এতে আমাদের মন আগের তুলনায় অনেক বিক্ষিপ্ত হয়ে যাচ্ছে। এ সমস্যা কাটাতে কিছুক্ষণের জন্য হলেও কিছুটা দূরের কোনো বস্তুর দিকে মনোযোগী হন।
১১. ভালোভাবে ঘুমান
রাতে যদি ভালোভাবে ঘুম না হয় তাহলে দিনের কাজে মনোযোগ দেওয়া সম্ভব নাও হতে পারে। তাই রাতে ভালোভাবে ঘুমানোর দিকে মনোযোগী হোন।
১২. অফলাইনে কাজ করুন
অনলাইনের কারণে আমাদের দৈনন্দিন কার্যক্রমে ক্রমাগত ব্যাঘাত ঘটে। আর এ ব্যাঘাত থেকে বাঁচতে অফলাইনে থেকে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করুন। এতে কাজের গতি ও মনোযোগ যেমন বাড়বে তেমন কাজের মানও বাড়বে।
১৩. আদর্শ পড়ার স্থান ঠিক করুন
মনোযোগের সঙ্গে পড়াশোনার জন্য প্রয়োজন আদর্শ স্থান। ঘন ঘন স্থান পরিবর্তন আপনার পড়ার মনোযোগ নষ্ট করতে পারে। আর তাই পড়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট স্থান ঠিক করুন। সে স্থানে বসে নিয়মিত মনোযোগের সঙ্গে পড়াশোনা করার চেষ্টা করুন।
১৪. একঘেয়েমিকে উপভোগ করুন
কাজ করতে গিয়ে যদি আপনি ক্লান্ত হয়ে যান তাহলে একঘেয়েমিতে আক্রান্ত হতে পারেন। আর এ একঘেয়েমিও মাঝে মাঝে আপনার কাজে লাগতে পারে। যেমন ক্লান্ত হওয়ার পর একঘেয়েমিতে আক্রান্ত হয়ে অন্য কোনো কাজ না করে তা কিছুক্ষণ উপভোগ করুন।
১৫. সময় ধরে কাজ করুন
প্রত্যেকটি কাজ সমাধান করতেই একটি নির্দিষ্ট সময় লাগবে। আর এ সময়টি যদি আপনি আগে থেকে ঠিক করে রাখেন তাহলে তা কাজটি মনোযোগ দিয়ে করতে সহায়তা করবে। এজন্য করতেই হবে এমন কাজগুলো পৃথকভাবে তালিকাবদ্ধ করুন। এবার এই কাজগুলো প্রতিদিন নিয়মমাফিক করে ফেলার পরিকল্পনা করে ফেলুন। চেষ্টা করবেন পুরো ঝরঝরে মন নিয়ে কাজগুলো করতে। এর পাশাপাশি তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয় এমন কাজের তালিকা করে সেগুলো করার সময় বেঁধে নিন।

পিসি থেকে ম্যালওয়্যার পরিষ্কার করার উপায়

আপনার পিসিটি কি আজকাল খুব ধীরে চলছে? কোন কিছু ওপেন করতে গেলে নানা রকম পপ-আপ চলে আসছে? কিম্বা ব্রাউজারটি অল্পতেই হ্যাং করছে? এ গুলো সবই ভাইরাস, স্পাইওয়্যার অথবা অন্যকোন অনিষ্টকারী সফটওয়্যার দ্বারা আপনার পিসিটি আক্রান্ত হবার লক্ষণ। অনেক সময় হার্ডওয়্যার জনিত কারণেও এই সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে; কিন্তু আপনার পিসিতে কোন অনিষ্টকারী সফটওয়্যার রয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখা বুদ্ধিমানের কাজ। এখানে দেয়া হল কিভাবে আপনি তা করবেন।


প্রথম ধাপ: সেফ মোডে প্রবেশ করুন

প্রথমে আপনার পিসিটির ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করুন। যতক্ষণ পর্যন্ত আপনার সিস্টেম পুরোপুরি ভাইরাসমুক্ত না হচ্ছে ততোক্ষণ পর্যন্ত সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখুন। এর ফলে অনিষ্টকারী সফটওয়্যারগুলো আর বিস্তার লাভ করতে পারবে না অথবা আপনার প্রয়োজনীয় ডাটা চুরিও করতে পারবে না।
আপনার কাছে যদি মনে হয় আপনার পিসিটি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে তাহলে উইন্ডোজ সেভ মোডে রিস্টার্ট করুন। যেহেতু এই মোডে জরুরী সার্ভিস সমূহ ছাড়া আর কিছুই চালু হয় না তাই কোন ভাইরাস যদি উইন্ডোজ লোড হবার সাথে সাথে চালু হত সেগুলো সেফমোডে থাকার কারণে আর লোড হতে পারবে না।
সেভ মোডে লোড হবার জন্য প্রথমে পিসি সাট-ডাউন করুন। এরপর পিসি স্টার্ট দিয়ে F8 কী-টিকে বার বার চাপ দিন। আপনার সামনে আসবে অ্যাডভান্সড বুট অপশন মেন্যু সেখান থেকে “সেফ মোডে উইথ নেটওয়ার্কিং” নির্বাচন করুন এবং এন্টার চাপ দিন।
এই সেফ মোডে আপনার পিসিটি যদি দ্রুত চলে তাহলে ধরে নিতে পারেন আপনার পিসিতে ভাইরাস রয়েছে। তবে এমনও হতে পারে আপনার পিসিতে অনেক বেশী প্রোগ্রাম রয়েছে যেগুলো উইন্ডোজের সাথে সাথে লোড হয়ে থাকে।

দ্বিতীয় ধাপ: টেম্পোরারি ফাইলগুলো ডিলিট করুন

ভাইরাস স্ক্যান করবার আগে আপনার টেম্পোরারি ফাইলগুলো মুছে ফেলুন। মুছে ফেলবার জন্য আপনার প্রয়োজন হবে ডিস্ক ক্লিনআপ টুলটি যা উইন্ডোজের সাথেই থাকে। একে পেতে পারেন তিন ভাবে-
  • ১. start->search [disk cleanup]->enter।
  • ২. start->All Programs->Accessories->System Tools->Disk Cleanup
  • অথবা
  • ৩. উইন্ডোজ এক্সপ্লোরার থেকে হার্ড-ড্রাইভের উপর রাইট ক্লিক করে প্রোপারটিজ নির্বাচন করে ডিস্ক ক্লিনআপের অপশন পেয়ে যাবেন।

তৃতীয় ধাপ: ম্যালওয়্যার স্ক্যানার ডাউনলোড করুন

আপনার মেশিনে যে অ্যান্টিভাইরাস রয়েছে সেই স্ক্যানার ব্যবহার করে স্ক্যান করলে কিন্তু আপনি ম্যালওয়্যারগুলোকে পাবেন না। কারণ সে এই ভাইরাসগুলো ধরতে পূর্বেই ব্যর্থ হয়েছে বলেই আজ আপনাকে বিশেষভাবে স্ক্যান করতে হচ্ছে, তাই না?
ডাউনলোড করুন BitDefender Free Edition, Kaspersky Virus Removal Tool, Malwarebytes, Norman Malware Cleaner, অথবা SuperAntiSpyware এগুলোকে বলে অনডিমান্ড স্ক্যানার। আর সাধারণভাবে আমরা যে সকল অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করে থাকি তাদেরকে বলে রিয়েল টাইম অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রাম। অনডিমান্ড স্ক্যানার আপনি একের অধিক ইনস্টল করতে পারেন কিন্তু একের অধিক রিয়েল টাইম অ্যান্টিভাইরাস ইনস্টল করলে কিন্তু কাজ করবে না।
মনে রাখবেন কোন অ্যান্টিভাইরাসের সাহায্যে আপনি ১০০% নিরাপত্তা পাবেন না, আর তাই দুই-তিনটি স্ক্যানার ব্যবহার করে চেক করুন, যেন আপনার মেশিন সম্পূর্ণরূপে অনিষ্টকারী সফটওয়্যার মুক্ত হয়।

চতুর্থ ধাপ: ওয়েব ব্রাউজারটিকে ঠিক করুন

অনিষ্টকারী সফটওয়্যারগুলো আপনার উইন্ডোজের সিস্টেম ফাইল এবং অন্যান্য সেটিংগুলোর ক্ষতি সাধন করে থাকতে পারে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশী যেটি ঘটে তা হচ্ছে ব্রাউজারের হোম পেজ পরিবর্তন অথবা ইন্টারনেটের সংযোগ সেটিং পরিবর্তন করে ফেলা যাতে ইন্টারনেট সংযোগের সাথে সাথে আবার আপনি এই ভাইরাস দ্বারা আবার আক্রান্ত হন।
আর তাই ব্রাউজার লঞ্চ করবার পূর্বে আপনার হোমপেজ এবং সংযোগ সেটিংগুলো পরীক্ষা করে দেখুন। ব্রাউজারে হোমপেজ পরীক্ষা করবেন এভাবে, start-> control panel-> internet options। যদি এখানে অপরিচিত কোন ওয়েবসাইটের নাম দেখেন যা আপনি এর আগে কখনো শোনেননি তাহলে use blank বাটনটিতে ক্লিক করুন।
এরপর, সিলেক্ট করুন Connections ট্যাবটি এবং ক্লিক করুন LAN settings বাটনে। আপনার আইএসপি যদি প্রক্সি ব্যবহার করতে না বলে আপনাকে তাহলে এখানে Automatically detect settings সিলেক্ট করা অবস্থায় থাকবে।

পঞ্চম ধাপ: উইন্ডোজ নষ্ট হলে আপনার ফাইল সমূহকে রিকভার করুন

কোন মতেই যদি অনিষ্টকারী সফটওয়্যারগুলোর হাত থেকে রক্ষা না পান অথবা উইন্ডোজ যদি ঠিক মত কাজ না করে তাহলে আপনার হাতে থাকছে শেষ অস্ত্র উইন্ডোজ রি-ইনস্টল করা। তবে তার আগে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো সংরক্ষণ করুন ইউএসবি বা এক্সটারনাল ড্রাইভে। আপনার ই-মেইল ক্লায়েন্টের (আউটলুক বা উইন্ডোজ মেইল) সেটিং এবং মেসেজগুলো সেভ করতে ভুলবেন না। আপনার মেশিনের প্রয়োজনীয় ড্রাইভার, বিশেষ করে নেটওয়ার্ক ড্রাইভারটিকে সেভ করবার জন্য ব্যবহার করুন ডাবল ড্রাইভারের মত সফটওয়্যার।
আপনি ব্যাকআপ প্রক্রিয়া শুরু করবার আগেই যদি উইন্ডোজ কাজ করা বন্ধ করে দেয় অথবা স্টার্ট না হয় তাহলে আপনার ফাইলগুলোতে প্রবেশ করবার জন্য ব্যাবহার করুন হিরেন্স বুটসিডির মত কোন লাইভ সিডি।
সবকিছু ঠিকঠাক মত ব্যাকআপ হবার পর আপনার পিসিটিতে আবার নতুন করে উইন্ডোজ ইনস্টল করুন। ভাইরাস আক্রান্ত মেশিনে উইন্ডোজ রিইনস্টলের সময় ফরম্যাট করাটা বুদ্ধিমানের কাজ।

পিসিকে কিভাবে ভাইরাস মুক্ত রাখবেন

সবসময় রিয়েল টাইম অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করবেন। বাংলাদেশে অনেকেই অত্যধিক দামের কারণে অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যারগুলো কিনতে চাননা। তাদের জন্য একটা টিপস, অ্যান্টিভাইরাস কোম্পানিগুলো তাদের ট্রায়াল সংস্করণগুলো একমাস থেকে তিনমাস পর্যন্ত ট্রায়াল হিসেবে ব্যবহার করতে দেয়। ডাউনলোড করুন ট্রায়াল সংস্করণ, ব্যবহার করুন একমাস, তারপর আরেকটি ডাউনলোড করুন, সেটা শেষ হয়ে গেলে আরেকটি, তারপর আরেকটি…! ভালো কিছু অ্যান্টিভাইরাসের মাঝে রয়েছে, নরটন, অ্যাভাস্ট, এভিজি, কমোডো আর আপনার পিসিতে যদি অরিজিনাল উইন্ডোজ থাকে তাহলে ব্যবহার করতে পারেন মাইক্রোসফটের Microsoft Security Essentials। এই অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যারটি সম্পূর্ণরূপে ফ্রি।
আপনার ব্যাকআপ করা ডাটাগুলো রিস্টোর করবার আগে ভাইরাস স্ক্যান করে নিতে ভুলবেন না। উইন্ডোজ এবং অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যারগুলো সবসময় আপটুডেট রাখাটাও ভাইরাসমুক্ত থাকবার মূল চাবিকাঠি হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।

Collected 

শুক্রবার, ২৫ মার্চ, ২০১৬

মানব প্রজাতির স্বাস্থ্যের অনেক ক্ষতি করছে ওয়াইফাই

মানুষ স্বভাবতই অভ্যাসের দাস। বস্তুকেন্দ্রিক কোনো কিছুতে নূণ্যতম সুবিধা পেলে সেই সুবিধার নেতিবাচক দিক বিবেচনা না করেই মানুষ সেই সুবিধা গ্রহন করতে থাকে।
অথচ পাছে এই ভাবনা থাকে না যে, আজকের এই সুবিধা হয়তো অনতিবিলম্বেই তার এবং এই গোটা বিশ্বের মানুষের জন্য অমঙ্গল বয়ে আনবে। যেমন ধরা যাকে ইন্টারনেট সেবা ওয়াইফাই’র কথাই। অনেক বিশেষজ্ঞরা দীর্ঘদিন ধরেই ওয়াইফাইয়ের ক্ষতিকারক দিকগুলো নিয়ে বিস্তর কথা বলে যাচ্ছেন কিন্তু মানুষ একটু সুবিধার জন্য ওই কথাগুলো শুনেও না শোনার মতো আছে।

চিকিৎসাশাস্ত্রের বিভিন্ন জার্নাল মারফত জানা যায়, গত বছরগুলোতে গোটা বিশ্বেই ব্রেন টিউমার, লিউকোমিয়া এবং দুর্বল স্মৃতিশক্তিজনিত সমস্যা বেশি দেখা দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্বব্যাপী যতই ওয়াইফাইয়ের মাধ্যমে ইলেকট্রেস্মগ ছড়াচ্ছে ততই মানুষের মধ্যে এধরনের রোগের প্রবনতা বাড়ছে। আনাদৌ নামের একটি এজেন্সিকে একদল বিজ্ঞানী জানান, বিজ্ঞানী বা গবেষক সমাজে এটা স্বীকৃতি যে মোবাইল, ওয়্যারলেস ল্যান, বেসি সেল এবং অন্যান্য তারবিহীন যন্ত্র থেকে যে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড (তরিৎ চৌম্বকীয় শক্তি) নির্গত হয় তার মানবশরীরের রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে শুধু তাই নয় শরীরের তাপমাত্রা থেকে শুরু করে পানির ভারসাম্যতাও নষ্ট করে।
স্টকহলমের ক্যারোলিন্সকা ইনিস্টিটিউটের নিউরোসায়ান্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ওলে জনসন এবিষয়ে বলেন, মানব প্রজাতির উপর করা পরীক্ষা নিরীক্ষার মধ্যে ওয়্যারলেস প্রযুক্তি প্রয়োগ হলো সবচেয়ে বড় পরীক্ষা। আমরা ইতোমধ্যেই ইলেকট্রেস্মগ দ্বারা আক্রান্ত, আর একারণে মানুষের শরীরে বিভিন্ন রোগের মাত্রাও বেড়ে গেছে। বিশ্বের মানুষের চাহিদা অনুযায়ী তারবিহীন প্রযুক্তিও ছড়িয়ে যাচ্ছে, একে বন্ধ করার উপায় নেই।
বিশেষজ্ঞদের মতে পৃথিবীর রাজনীতিবিদদের এখনই এই সমস্যা থেকে বাঁচার উপায় খুঁজে বের করা দরকার। কারণ এখনই যে পরিমান মানুষ এবং প্রকৃতি উভয়েই তারবিহীন প্রযুক্তির কারণে আক্রান্ত হচ্ছে, এর হার আগামীতে আরও বাড়ার আগেই যদি সমাধান বের না করা যায় তাহলে একদিন হয়তো মহামারী আকারে মানুষকে মরতে দেখতে হতে পারে। শুধু মানুষই মারা যাচ্ছে বা যাবে তা নয়, বৃক্ষরাজি সরাসরি ওয়াইফাইয়ের কারণে আক্রান্ত হচ্ছে।
দীর্ঘমেয়াদী মাথাব্যথা, স্মৃতিশক্তি দুর্বল, ঝিমঝিম ভাব, হতাশা, ঘুমে সমস্যা হলো ওয়াইফাই আক্রান্তদের সাধারণ সমস্যা। কিন্তু এর বাইরেও অটিজম, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিকের মতো খারাপ রোগও হতে পারে এর কারণে। তামাক এবং এক্সরে রশ্মির কারণে মানবদেহে কি কি সমস্যা হচ্ছে তা আমরা এই সময়েই দেখতে পাচ্ছি, কিন্তু ওয়াইফাই সমস্যার কারণে আগামী ২০ বছর পরে পৃথিবীতে কি ঘটতে যাচ্ছে সেটা দেখার জন্য মানুষ অপেক্ষা করবে নাকি এখনই এর প্রতিকারে ব্যবস্থা নেবে তা ভাবার সময় এসেছে।
নিউইয়র্কের একদল গবেষক নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চলের উপর ওয়াইফাইয়ের ক্ষতিকারক প্রভাব পরিমাপে জরিপ চালান। সেই জরিপে দেখা যায়, ওই অঞ্চলের গাছের বৃদ্ধি স্বাভাবিক গাছের তুলনায় কম এবং সেখানে বসবাসরত মানুষের ত্বকে সমস্যা শুরু হয়ে যায়। এই ত্বকের সমস্যা দীর্ঘদিন চললে একটা সময় মেলানিন নষ্ট হয়ে যায় এবং তখনই শরীরে ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। যেমনটা আমরা ইউরোপে ত্বকের ক্যান্সারে আক্রান্ত অগুনতি মানুষের মধ্যে দেখতে পারি।

বিশ্বে মোবাইলে সাইবার ঝুঁকিতে শীর্ষে আছে বাংলাদেশও

বিশ্বের ২১৩ দেশে সাইবার সিকিউরিটি কোম্পানি ক্যাসপারস্কির ২০১৫ সালের তৃতীয় এবং চূড়ান্ত ল্যাব রিপোর্ট ‘আইটি থ্রেট ইভোলিউশন ইন কিউ থ্রি টু থাউজেন্ড ফিফটিন’ অনুযায়ী মোবাইলে সাইবার ঝুঁকিতে সবার শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ (প্রতি ৪টি ডিভাইসের অন্তত ১টি এখানে ভাইরাসাক্রান্ত)।
প্রতিবেদন অনুযায়ী ২১৩টি দেশের মধ্যে কম্পিউটারে ভাইরাসের আক্রমণের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৯তম। আর এসব ভাইরাসের ৬৪.৪৪ শতাংশই স্থানীয় এবং আঞ্চলিক ভাইরাস।
সে হিসেবে আঞ্চলিক ভাইরাস সংক্রমণের দিক থেকেও সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বর্তমান সময়ের সিকিউরিটি থ্রেটের বেশিরভাগই মোবাইল ফোনকেন্দ্রিক আর মোবাইল মেলওয়্যারের সবচেয়ে বেশি হার নিয়ে প্রথম সাইবার ঝুঁকির দেশ হিসেবে বাংলাদেশের নাম উঠে এসেছে।

এ ব্যাপারে ক্যাসপারস্কি ল্যাবের মেলওয়্যার-বিশেষজ্ঞ টিম আর্মস্ট্রং বলেন, মোবাইল ফোনে মেলওয়্যার ভাইরাস ছড়িয়ে দেয়ার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে হ্যাকাররা। তিনি বলেন, গত বছরের (২০১৪) তুলনায় এ বছর (২০১৫) মোবাইল ফোনে মেলওয়্যার ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সর্বশেষ (ডিসেম্বর ২০১৫) প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশে মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৩ কোটি ৩৭ লাখ ২০ হাজার।
এর মধ্যে মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫ কোটি ১৪ লাখ ৫৩ হাজার। বাংলাদেশে বড় একটি অংশ মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার করার কারণে বিশ্বের সাইবার ক্রিমিনালরা বাংলাদেশের প্রতি বেশি নজর দিচ্ছে। এদিকে থ্রিজির মাধ্যমে দ্রুতগতিতে ব্রাউজিং সেবা পাওয়া ও স্মার্টফোনের মূল্য সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে আসায় সাধারণ মানুষ ভুলে মোবাইল মেলওয়্যারে আক্রান্ত হচ্ছে।
মূলত মোবাইল কনটেন্টে সংযুক্ত ভাইরাসই মোবাইল মেলওয়্যার। সাধারণত মোবাইল থেকে কোনো ওয়েবসাইট ব্রাউজ করার সময় ‘নিষিদ্ধ বিজ্ঞাপন, সিস্টেম স্লো বা এ ধরনের সতর্কবার্তা প্রদর্শন, কোনো গান বা ভিডিও খুঁজতে গেলে ভিন্ন ফরম্যাটের ফাইল দেখানো বা তা নিজ থেকে ডাউনলোড হতে শুরু হওয়া ইত্যাদি মোবাইল মেলওয়্যারের কারণেই হয়ে থাকে।
নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আক্রান্ত হ্যান্ডসেটের অবস্থা স্প্যাম ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত কম্পিউটারের মতোই হচ্ছে। বাজারে যেসব অ্যান্টিভাইরাস পাওয়া যাচ্ছে, তা বর্তমানে প্রেরিত স্প্যামগুলোর ভাইরাস থেকে হ্যান্ডসেটকে মুক্ত রাখতে ততোটা সক্ষম নয় বলেও জানান বিশেষজ্ঞরা।
যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি ইনফরমেশন সিকিউরিটি সেন্টার (জিটিআইএসসি) থেকে প্রকাশিত বার্ষিক উত্থানশীল সাইবার হুমকি শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়, যত বেশি সংখ্যক ব্যবহারকারী স্মার্টফোন ব্যবহার করবেন, তত বেশি অ্যাপ্লিকেশনই আর্থিক লেনদেন ও অন্যান্য কাজে ব্যবহৃত হতে থাকবে, যার মাধ্যমে সাইবার অপরাধীরা অপরাধ সংঘটনের সুযোগ পাবে আরও বেশি। মোবাইলে অ্যাড সংক্রান্ত মেলওয়্যারের বাইরেও অনেকভাবে ভাইরাস ছড়ানো হচ্ছে।প্রথমদিকে কম্পিউটার ভাইরাসের মতোই এক্সিকিউটেবল ফাইলরূপে স্প্যামগুলো আসত যার কারণে সে স্প্যামগুলো শনাক্ত ও ব্লক করা খুবই সহজ ছিল।
কিন্তু বর্তমানে এ ঝুঁকিপূর্ণ স্প্যাম বা মেলওয়্যারগুলো আসছে এমপি থ্রি ফাইল, পিকচার বা এ জাতীয় মিডিয়া ফাইলের ছদ্মবেশে, যার কারণে ব্যবহারকারীর জন্য কোনটি স্প্যাম আর কোনটি স্প্যাম নয়, তা শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়েছে। মেলওয়্যার ট্র্যাক করা ও নিরাপত্তার জন্য সফটওয়্যার তৈরি ও সরবরাহ করা একটি কোম্পানি অ্যাডাপটিভ মোবাইলের কর্মকর্তা কনি জানান, অ্যাডাপটিভ মোবাইল একটি বিশেষ ভাইরাস চিহ্নিত করেছে যার নাম বিসেলো। এটি দু’ভাবে ছড়াতে পারে।
প্রথমত এটি এমএমএসের ছদ্মবেশে আক্রমণ করতে পারে। কিংবা ফোনের ব্লুটুথ ওয়্যারলেস প্রযুক্তি ব্যবহার করে সার্চ করলে তখন এটি মোবাইলে প্রবেশ করতে পারে। অ্যাডাপটিভ মোবাইল এ ভাইরাসটিকে বলছে এয়ারবোর্ন ভাইরাস বা বাতাসবাহী ভাইরাস।