বৃহস্পতিবার, ২ নভেম্বর, ২০১৭

ইউটিউবের নিয়ম কানুন

আমরা যারা নতুন ইউটিউবার তারা অনেকে যানিনা ইউটিউবের নিয়ম।কানুন বা community guidelines....
আর না জানার কারনে আমরা যেসব ভিডিও আপ করি ওইগুলোতে Ad বা বিজ্ঞাপন show করে না। অথবা অনেকের চেনেল suspended হয়ে যায়।
চলুন দেখে নি কোন কোন বিষয়গুলো আমাদের মাথায় রাখতে হবে!
ইউটিউব কমিউনিটি গাইডলাইন নিয়ে সবচেয়ে ভালোভাবে লেখা আছে ইউটিউবের নিজস্ব ব্লগে। আমি সেই লেখা অবলম্বনে পুরো ব্যাপারটা আপনাদের জন্য সম্পূর্ণ বাংলায় তুলে আনছি। প্রায়ই দেখা যায় চ্যানেল সাসপেন্ড হচ্ছে, এর কারণ Community guideline এর violation. আপনি যদি ইউটিউবার হোন বা, ভবিষ্যতে হতে চান তাহলে অবশ্যই ভাল করে এই কমিউনিটি গাইডলাইন জেনে নেবেন।ইউটিউব কমিউনিটিকে সম্মান করতে শিখুন আপনি নিশ্চয়ই একটি সমাজ এবং একটি পরিবারের সদস্য। আপনার চারপাশের মানুষগুলোর সাথে আচরণের ক্ষেত্রে আপনাকে কিছু আচরণবিধি এমনিতেই মেনে চলতে হয়। ইউটিউবেওঅনেক বড় একটি সম্প্রদায়ের মত। এখানে যা খুশী তাই করতে পারবেন না। চলুন দেখে নেয়া যাক কি কি করা যাবে না-
নগ্নতা এবং যৌনতা পরিহার করুন:এটা কোন পর্ণ সাইট না, এখানে আপনি শিক্ষামূলক, বিনোদনমূলক কিংবা শৈল্পিক মাণসম্পন্ন ভিডিউ আপলোড করতে পারবেন কিন্তু নগ্নতা বা, যৌনতা এখানে একেবারেই নিষিদ্ধ
সহিংস বা, রক্তাক্ত কিছু চলবে না:এটা হতাশা এবং অসম্মানজনক। লোকজনকে সহিংস করে তোলে এমন কিছু ইউটিউবেশেয়ার করা যাবে না। অন্যদেরকে কোনভাবে অপরাধে উদবুদ্ধকরবেন না।
এটা ঘৃণা ছড়ানোর জায়গা নয়:প্রায়শই এই কাজটি এক শ্রেণীর বিকৃত রুচির মানুষদের করতে দেখা যায়। কোন ব্যক্তি, গোষ্ঠী, ধর্ম, বর্ণ, লিংগ, বয়স, যৌন পরিচয় এর ভিত্তিতে কারো প্রতি এই ধরণের ঘৃণা ছড়াতে পারবেন না। আপনার প্রাথমিক উদ্দেশ্য যদি হয় এই ধরণের কাজ করা, তাহলে ইউটিউব থেকে দূরে থাকুন।
স্প্যামিং এবং ভূল ট্যাগ বা, নাম দেয়া: ভিডিওর টাইটেল এবং ট্যাগ অবশ্যই প্রাসংগিক হতে হবে। একটি উদাহরণ না দিয়ে পারছি না, প্রচন্ড জনপ্রিয় একটি চ্যানেল আছে আমাদের দেশে নাম Mojar Tv. ওরা একটি ভিডিওর নাম দিয়েছে Dhaka attack full movie|……. আর ঐ ভিডিওতে আছে শুধু সাক্ষাতকার, আপনি যাবেন সিনেমা দেখতে পাবেন সাক্ষাতকার। এটাকেই বলা হয় Misleading Title. এটা থেকে নিজেকে দূরে রাখবেন। ট্যাগেও অপ্রাসংগিক কিছু দিবেন না।
ক্ষতিকর এবং ভয়ংকর কনটেন্ট:এমন কোন ভিডিও দেবেন না, যামানুষের জন্য ক্ষতিকর। যেমন: কিছু শিক্ষামূলক এডাল্ট কনটেন্ট আছে যা, শিশুদের জন্য ক্ষতিকর। এগুলোকে Age restricted করে দিতে হবে।
কপিরাইট:জেমস আপনার উপভোগের জন্য গান তৈরি করেন, ঐ গানথেকে আয় করার কোন অধিকার আপনার নেই। এরকম বিখ্যাত শিল্পিদের গান, নাটক বা, অন্য যেকোন ডিজিটাল প্রডাক্ট আপনার চ্যানেলে অনুমতি ছাড়া আপলোড করা অপরাধ, এর জন্য জেল জরিমানা হতে পারে। ইউনিক কন্টেন্ট নিজে তৈরি করুন।
থ্রেট বা, অন্যদের প্রাইভেসি নষ্ট করা: অন্যকে থ্রেট দেয়া, অপরাধ করার জন্য উসকে দেয়া বা, কারো ব্যক্তিগত তথ্য সবার কাছে অনুমতি ছাড়া তুলে ধরা অপরাধ। Prank এরনামে কিছু ইউটিউব চ্যানেল এই কাজগুলো করছে। ইউটিউব থেকে আপনি permanently banned হতে পারেন।ইউটিউব এর কাছে অভিযোগ করুনএই সব গাইডলাইন ভংগ না করলেও ভূল করে আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ youtube আনতে পারে, সেক্ষেত্রে ওদের কাছে আবেদন করুন আপনার strike তুলে নেয়া হবে।আর, আপনি যদি কোন ভিডিওতে এমন কিছু দেখে থাকেন, তাহলে ইউটিউবের কাছে রিপোর্ট করুন। ওরা সেটা ভালোভাবে দেখে ঐ ভিডিও creator এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।
শেষ কথা: শিক্ষা এবং বিনোদনের জন্য বৈধভাবে ইউটিউব ব্যবহার করুন, সুনাম এবং টাকা দুটোই পাবেন। ছলচাতুরী করে পাওয়া সফলতা সাময়িক, দ্রুত মোহভংগ ঘটবে। আমার দেয়াতথ্যগুলো youtube এর সোর্স থেকে যাচাই করে তারপর বিশ্বাস করবেন। আপনার সফলতা কামনা করছি।
ধন্যবাদ। Happy youtubing....