বুধবার, ২৭ এপ্রিল, ২০১৬

স্মার্টফোনে ভাইরাস হুমকি!!!

মোবাইল বা স্মার্টফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় নিত্যপ্রয়োজনীয় অনুসঙ্গে পরিণত হওয়া ডিভাইসটিতে নিরাপত্তা হুমকি বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছে অ্যান্টিভাইরাস নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ম্যাকাফি। ম্যাকাফি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০০৯ সালের তুলনায় ২০১০ সালে নতুন ধরনের মোবাইল ম্যালওয়্যারের পরিমাণ বেড়েছে ৪৬ শতাংশ। বর্তমানে অন্যতম জনপ্রিয় মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম ‘অ্যানড্রয়েড’ও পরিণত হয়েছে ক্ষতিকর ট্রোজন ভাইরাসের অন্যতম লক্ষ্য।সেইসঙ্গে নকিয়া’র সিমবিয়ান এবং ব্ল্যাকবেরি অপারেটিং সিস্টেম চালিত মোবাইল ফোনও রয়েছে হ্যাকারদের নজরে। বিভিন্ন গেম, লিংক, বিজ্ঞাপনের ছদ্মবেশে মোবাইলে প্রবেশ করে এসব ভাইরাস। এরপর ব্যবহারকারীর অজান্তেই আক্রান্ত মোবাইল থেকে তথ্য চলে যায় অপরাধীর কাছে। তবে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মোবাইল ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া না হওয়া পুরোটাই নির্ভর করে ব্যবহারকারীর সতর্কতার ওপর।
২০০৭ সালে বাংলাদেশে মোবাইল ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া নিয়ে গুজব ছড়িয়েছিলো। কিন্তু তখন স্মার্টফোন বা বর্তমানে অ্যান্ড্রয়েড এর মতো জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম আসেনি। কিন্তু সম্প্রতি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন অপারেটিং সিস্টেমনির্ভর স্মার্টফোন এবং স্মার্টফোনে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট ব্যবহার, মোবাইল ব্যাংকিং, মোবাইলে নিত্যনতুন কাজের সঙ্গে বেড়ে গেছে নিরাপত্তা ঝুঁকিও।
সমসাময়িক স্মার্টফোন নির্মাতারা সাধারণত দাবি করেন, তাদের তৈরি মোবাইল ফোনে এমন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে যা ভাইরাস প্রতিরোধী। কিন্তু ম্যাকাফি, সিমানটেক বা ক্যাসপারস্কি ল্যাবের বিশেষজ্ঞরা পাল্টা যুক্তি দিয়ে বলছেন, ‘হ্যাকার বা সাইবার অপরাধীরা তো বসে নেই।’ তাই এখন স্মার্টফোন ভাইরাস নিয়ে ভাবার সময় হয়েছে।
ইন্টারনেট এবং কম্পিউটার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ম্যাকাফি-এর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কম্পিউটারের পাশাপাশি এখন স্মার্টফোনেও সাইবার আক্রমণের আশংকা বেড়ে গেছে, এর কারণ স্মার্টফোনের উন্নত সংস্করণ এখন অর্থ লেনদেনসহ ব্যবহৃত হচ্ছে বিভিন্ন ধরণের ডেটা সংরক্ষণের মাধ্যম হিসেবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘আপনার স্মার্টফোন যদি ভাইরাস আক্রমণের বাইরে মনে করেন, তারপরও দ্বিতীয়বার ভাবুন। আপনার স্মার্টফোনটি আপনি যে সব কাজে ব্যবহার করছেন বা তাতে যে ধরনের ডেটা রাখছেন তা আপনার অজান্তেই চুরি হয়ে যেতে পারে।’ যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি ইনফরমেশন সিকিউরিটি সেন্টার (জিটিআইএসসি)-এর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যতো বেশি সংখ্যক ব্যবহারকারী স্মার্টফোন ব্যবহার করবেন, ততো বেশি ধরনের অ্যাপ্লিকেশন আর্থিক লেনদেন ও অন্যান্য কাজে ব্যবহৃত হতে থাকবে, আর এর ফলে, সাইবার অপরাধীরা অপরাধ ঘটানোর ফাঁক-ফোকর পাবে আরো বেশি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন