শনিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

পড়ালেখা মনে রাখার খুব সহজ স্টাইল


দুই দিন আগে কি পড়ছিলা ভুলে গেছো। কিন্তু গত ঈদে কই নামাজ পড়ছিলা, কয়েক বছর আগে এসএসসি রেজাল্টের সময় কই ছিলা, ঠিকই মনে আছে। তারমানে তোমার পড়ালেখা মনে না থাকলেও, বাকি সব ঠিকই মনে থাকে। তাই বাকি সব মনে রাখার স্টাইলে খুব সহজেই পড়ালেখা মনে রাখতে
পারবে-

1: আগ্রহ নিয়ে খালি মাথায়
পড়তে বসো:
খেলা, মুভি দেখার জন্য তুমি যেমন
আগ্রহ নিয়ে, জিতার আশা নিয়ে বসো।
পড়ার সময়ও একইভাবে, নিজের ভিতর
থেকে আগ্রহ নিয়ে, পড়া কঠিন, মনে
থাকে না, বুঝি না- এইসব ভুলে, খালি
মাথা নিয়ে বসতে হবে। সেই জন্য
ভোরে উঠে পড়তে বসলে মাথা ক্লিন
থাকে এবং পড়া দ্রুত মাথায় ঢুকে।

2: ছোট ছোট অংশে ভাগ করে পড়ো
খুব সিম্পল একটা উদাহরণ দেই। ধরো
তোমার একটা ফোন নাম্বার মনে রাখা
দরকার। এখন ০১৭১৭৬৫৩৯২২
পুরাটা একসাথে পড়লে দুই মিনিট
পরেই ভুলে যাবা। তাই ভেঙ্গে ভেঙ্গে
০১৭১৭ - ৬৫৩ - ৯২২ স্টাইলে
পড়ো। পড়ার সময় চিন্তা করো-
"০১৭১৭ (আধা সেকেন্ড দম নিয়ে)
৬৫৩ (আধা সেকেন্ড দম নিয়ে)
৯২২”, তাহলে মনে রাখা সহজ হবে।
এরপর নাম্বারটা ব্রেইনে সেট করার
টার্গেট নিয়ে খেয়াল করে করে
তিনবার পড়ো। দুইবার না দেখে
কাগজে লিখো। দেখবা এক মাসেও এই
নাম্বার ভুলবা না। শুধু ফোন নাম্বার
না, বড় সাইজের প্রকারভেদ, ব্যবসায়
নীতি, বিশাল প্রমাণ এই সিস্টেমে
ভাগ ভাগ করে পড়ো।

3: মেইন পয়েন্টকে ক্লু হিসেবে
ব্যবহার করো
যেমন ধরো নিউটনের দ্বিতীয় সূত্র-
"কোন বস্তুর ভরবেগের পরিবর্তনের
হার প্রযুক্ত বলের সমানুপাতিক এবং
বল যে দিকে ক্রিয়া করে বস্তুর
ভরবেগের পরিবর্তন সেদিকেই ঘটে।"
পড়ার সময় নিজেই নিজেকে জিজ্ঞেস
করবা- এই সূত্রের মেইন পয়েন্ট কি?
একটু খেয়াল করলেই বুঝতে পারবা এই
সূত্রের মেইন পয়েন্ট হচ্ছে-
"ভরবেগের পরিবর্তন"। এবং
ভরবেগের পরিবর্তনের দুইটা
বৈশিষ্ট্য বলছে। এক: ভরবেগের
পরিবর্তন- বলের সমানুপাতিক। দুই:
ভরবেগের পরিবর্তন- বলের দিকে।
এখন তোমার ব্রেইনে সূত্রের নামের
সাথে মেইন পয়েন্টের কানেকশন সেট
করা লাগবে। যাতে সূত্রের নাম শুনার
সাথে সাথেই মূল বিষয়বস্তু ব্রেইনে
ভেসে উঠে। সেজন্য প্রথমে সূত্রের
নাম লিখবা তারপর কোলন( দিয়ে
মেইন পয়েন্ট লিখবা। অনেকটা
এইভাবে "নিউটনের দ্বিতীয় সূত্র:
ভরবেগের পরিবর্তন- বলের
সমানুপাতিক, বলের দিকে"। এরপর
থেকে যতবার সূত্রের নাম দেখবা
ততবার কানেকশন এবং ক্লু দিয়ে পুরা
সূত্র ইজিলি মনে করতে পারবা।
যদি হাইলাইটার, কলম বা পেন্সিল
দিয়ে দাগিয়ে পড়ার অভ্যাস থাকে,
তাহলে শুধু মেইন পয়েন্ট বা ক্লু
গুলাকে দাগাও। যাতে রিভাইজ দেয়ার
সময় চোখ আগে দাগানো অংশের নিচে
চলে যায়।

4: পড়ার টপিকের সাথে লাইফের
ঘটনা মিশাও
তুমি এক সপ্তাহ আগে কি খাইছিলা
ভুলে গেছো। কিন্তু কয়েক মাস আগে
ঈদের দিন সকালে কি খাইছিলা বা
কয়েক বছর আগে এসএসসি রেজাল্টের
সময় কই ছিলা, ঠিকই মনে আছে।
তারমানে কোন কিছুর সাথে ইমোশন বা
ইস্পেশাল আগ্রহ থাকলে সেই জিনিস
আমরা ভুলি না। সো, প্ৰত্যেকটা
চ্যাপ্টারের গুরুত্বপূর্ণ জিনিসের
সাথে একটা ইমোশন বা লাইফের
স্পেশাল ঘটনা মিশাতে পারলে সেই
জিনিস সহজে ভুলবা না।
ধরো, ফিজিক্সের F = ma সূত্র পড়ার
সময় ভাবলা- বাসা থেকে মেসে আসার
সময় আমি যে বল দিয়ে আমার
লাগেজটাকে টানতেছিলাম সেই বল
(Force) ছিলো F, লাগেজের মধ্যে
যা যা ছিলো সেগুলার ভর(mass)
হচ্ছে m আর a হচ্ছে আমার বলের
কারণে লাগেজ যে ত্বরণ
(acceleration) হইছিলো। তাই
লাগেজ টানার সময় আমি F = ma
পরিমাণ কাজ করছি। আর আমি যেহেতু
জুনের ১১ তারিখ বাসা থেকে মেসে
উঠছিলাম তাই জুনের ১১ তারিখ
আমার F=ma দিবস। দেখছো, কোন
ঘটনা বা স্মৃতির সাথে পড়াকে
মিলাতে পারলে সেটা মনে রাখা
অনেক সহজ এবং মজার হয়ে যায়।

5: যত বেশি লিখে লিখে পড়বে তত
ভালো
দেখে দেখে পড়ার চাইতে হালকা
সাউন্ড বা মনে মনে উচ্চারণ করে
পড়া ভালো। কন্সট্রেশন বেশিক্ষণ
থাকে। তবে অংক, সূত্রের প্রমাণ,
জটিল গ্রাফ অবশ্যই লিখে লিখে
পড়বা। দশবার রিডিং পড়ার চাইতে
একবার লিখে পড়া বেশি ইফেক্টিভ।
যদিও সবকিছু ১০০% লিখে লিখে
পড়তে গেলে বেশি সময় লেগে যাবে।
তাই গুরুত্বপূর্ণ সূত্র, প্রমাণ বা
থিওরি অন্তত একবার না দেখে
লিখবে। ম্যাথ কখনোই সমাধান সামনে
খোলা রেখে করবা না। বরং পাশের
রুমে রাখবা। যতবার আটকে যাবা
ততবার উঠে গিয়ে দেখে আসবা।
তারপরেও না দেখে দেখে করার
প্রাকটিস করো নচেৎ পরীক্ষার হলে
গিয়ে আটকে যাবা।

6: নিজেই নিজের টিচার হয়ে
যাও
ক্লাসের বন্ধুদের সাথে আড্ডায়
পড়ালেখার টপিক নিয়ে আলোচনা করো।
কোন কিছু পড়া শুরু করার আগে কোন
ফ্রেন্ডের কাছ থেকে বুঝে নিতে
পারলে- পড়া বুঝা ও মনে রাখা অনেক
সহজ এবং দ্রুত হয়। আর ফ্রেন্ড খুঁজে না
পাইলে নিজেই নিজের টিচার হয়ে
নিজেকে কোন জিনিস বুঝানোর চেষ্টা
করো। কারো কাছে পড়া বুঝতে গেলে
তার কাছে ১ ঘন্টার বেশি থাকবা
না। তুমি কাউকে পড়া বুঝাতে গেলে
গেলে, ১ ঘন্টার বেশি সময় দিবা
না।

7: পড়ার টেবিল, পড়ার রুম
যে সাবজেক্ট পড়বা সেই সাবজেক্টের
বই ছাড়া অন্য বই টেবিলে রাখা
যাবে না। পড়ার টেবিল দরজার পাশে,
ড্রয়িং রুমে রাখবা না। মানুষ আসতে
যাইতে ডিস্টার্ব হবে। আবার
বারান্দা বা জানালার পাশেও পড়ার
টেবিল রাখবা না। নচেৎ কিছুক্ষণ পর
পর বাইরে তাকিয়ে নিজের অজান্তেই
১৫-২০ মিনিট নষ্ট করে ফেলবা।
পড়ার রুমে কোন ইলেক্ট্রনিক্স যেমন
টিভি, ল্যাপটপ, কম্পিউটার, মোবাইল
ফোন রাখা যাবে না। মোবাইল বন্ধ
করে পাশের রুমে রেখে আসবা। পড়ার
সময় ডিকশনারি ব্যবহার করা লাগলে
প্রিন্ট করা ডিকশনারি ব্যবহার
করবা।

8: রঙ্গিন করে এঁকে পড়ো
অনেকগুলা বৈশিষ্ট্য, পার্থক্য,
প্রকারভেদ মনে না থাকলে। সেগুলার
প্রথম বর্ণ দিয়ে একটা শব্দ বা ছন্দ
তৈরি করো ফেলো। ভূগোল বা
বিজ্ঞানের কঠিন কোন চিত্র বা গ্রাফ
থাকলে, গ্রাফের কিছু অংশ কালো, কিছু
অংশ নীল, কিছু অংশ লাল রঙের কলম/
পেন্সিল দিয়ে আঁকলে, গ্রাফ মনে
রাখা সহজ হবে। কোন চ্যাপ্টারের
গুরুত্বপূর্ণ গ্রাফ, বিদঘুটে পয়েন্টগুলো
কয়েকটা গ্রুপে ভাগ করে আলাদা
কালারের কলম দিয়ে খাতায় লিখো।
তারপর রিকশায়, বাসে বা সেলুনে চুল
কাটার সময় সেই খাতা খুলে সামনে
রেখে দিবা। ব্যস, ফ্রি ফ্রি রিভাইজ
দেয়া হয়ে যাবে।
ইম্পরট্যান্ট চার্ট, পয়েন্টগুলা কাগজে
লিখে দেয়ালে ঝুলিয়ে রাখো। কয়েকটা
গ্রাফ সিলিং এ লাগিয়ে দাও। যাতে
দিনের বেলায় বিছানায় শুইলে সেগুলা
দেখে দেখে রিভাইজ দেয়া যায়। আর
মশারির ভিতর শোয়া লাগলে, মশারির
উপরে বই বা খাতা রেখে ভিতর থেকে
শুয়ে শুয়ে রিভিশন দাও।

9: রিভাইজ, রিভাইজ এন্ড
রিভাইজ
গবেষণায় দেখা গেছে- আমরা আজকে
সারাদিনে যত কিছু, দেখি, শুনি,
জানি বা পড়ি তার ৫দিন পরে
চারভাগের তিনভাগই ভুলে যাই। তবে
এই ভুলে যাওয়া ঠেকানোর জন্য
অনেকগুলা ট্রিকস আছে। যেমন- ৪৫
মিনিট পড়ে ১৫ মিনিটের নিবা এবং
সেই ব্রেকে পড়াটা মনে মনে রিভাইজ
দাও এবং কোথাও আটকে গেলে
আরেকবার দেখে নাও। এবং আজকে
গুরুত্বপূর্ণ কিছু পড়লে আগামীকাল
ঘুমানোর আগে এই জিনিস ২০মিনিটে
রিভাইজ দিয়ে দিবা। তারপর এক
সপ্তাহ পরে আরেকবার রিভাইজ দিলে
এই পড়ার ৯০% জিনিস এক মাস
পর্যন্ত তোমার মনে থাকবে।
প্রত্যেকটা সাবজেক্টের গুরুত্বপূর্ণ
জিনিস, ক্লু, সামারি পয়েন্টগুলা
আলাদা আলাদা খাতায় লিখে রাখবা।
চ্যাপ্টার ওয়াইজ। তারপর টিউশনি
যাওয়ার পথে- রিক্সায়, বাসে, এমনকি
স্টুডেন্টকে অংক করতে দিয়ে সেই
খাতা দেখতে থাকবা।
যে জিনিসটা আজকে পড়ছো সেটা-
গোসল, ভাত খাওয়া, সিঁড়ি দিয়েই
নামা, বাসের জন্য অপেক্ষা, এমনকি
বাথরুম করার সময় চিন্তা করবা।
যতবেশি চিন্তা করবা, যতবেশি মনে
মনে রিভাইজ দিবা তত বেশি মনে
থাকবে।

10: বইয়ের পিছনে সামারি লিস্ট
প্রায় সব বইয়ের পিছনেই দুই-এক
পাতা সাদা পৃষ্ঠা থাকে। আর না
থাকলে স্কচ-টেপ বা পিন দিয়ে
লাগিয়ে নিবা। তারপর যে জিনিসগুলা
ভুলে যাওয়ার চান্স বেশি বা পরে
ভালো করে রিভিশন না দিলে
পরীক্ষার হলে লিখতে পারবা না-
সেগুলা পেইজ নাম্বার সহ বইয়ের
পিছনের সাদা কাগজে লিখে রাখবা।
যাতে ৩-৪ ঘন্টা রিভিশন দেয়ার
সুযোগ পাইলে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ
জিনিসগুলা পৃষ্ঠা নম্বর দিয়ে খুব
সহজেই খুঁজে বের করে রিভিশন দিতে
পারো।

11: ক্লাসে সিনসিয়ার থাকো
পড়ালেখা খুব কঠিন বা বোরিং কিছু
না। একটু খেয়াল করলেই পড়ালেখা
ইজিয়ার বানায় ফেলা যায়। সেজন্য
ক্লাস শুরু হওয়ার সময় থেকে
সিনসিয়ার হতে হবে। ক্লাসের ফার্স্ট
বেঞ্চে বসে, খেয়াল করে ক্লাস নোট
তুলে, সিরিয়াসলি এসাইনমেন্ট করে,
বাসায় এসে ঐদিনের লেকচারগুলোকে
আধা ঘন্টা করে স্টাডি করলে, পড়া
অর্ধেক সহজ হয়ে যায়।

12: সিরিয়াস স্টুডেন্টদের বন্ধু
হও
তিনজন সিরিয়াস স্টুডেন্টের সাথে
একজন অগা-মগা থাকলেও সে
পড়ালেখায় ভালো করা শুরু করবে। আর
আড্ডা, সিনেমা, খেলা দেখার পাগল
পোলাপানদের সাথে বন্ধুত্ব হলে
পড়ালেখায় তোমাকে ছেড়ে পালাবে।
সো, কষ্ট হলেও ভালো স্টুডেন্টদের
সাথে থেকে তাদের ফলো করো।
এটলিস্ট সিরিয়াস স্টুডেন্টদের সাথে
উঠাবসা করো- তোমার মানসিকতায়
পরিবর্তন আসবে। পড়ালেখায় মন
বসবে। রেজাল্ট ভালো হবে।

13. প্রথম অক্ষর নিয়ে মজার কিছু
বানাও
বাংলাদেশ সংবিধানে ১১ টা ভাগ
আছে। এই ভাগগুলা পড়ার সময়
প্রত্যেকটা পয়েন্টের প্রথম অক্ষর
খেয়াল করবি -(প)-প্রজাতন্ত্র, (রি)
রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি, (ম)
মৌলিক অধিকার, (নি) নির্বাহী
বিভাগ, (আ) আইন সভা, (বি) বিচার
বিভাগ, (নি) নির্বাচন, (ম) মহা-
হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, (বা)
বাংলাদেশের কর্ম বিভাগ, (জ) জরুরী
বিধানাবলী, (স) সংবিধান সংশোধন,
বি- বিবিধ। এখন প্রথম অক্ষরগুলা
দিয়ে মজার কিছু একটা বানায় ফেল।
যেমন, "পরীমনি আবি নিমবাজ সবি"
তাইলে আর সংবিধানের ভাগগুলা সহজে
আর ভুলবি না।

সোমবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০১৮

জমির বিভিন্ন বিষয়সমূহ

= ''খতিয়ান'' কি?
= ''সি এস খতিয়ান'' কি?
= ''এস এ খতিয়ান'' কি?
= ''আর এস খতিয়ান'' কি?
= ''বি এস খতিয়ান'' কি?
=“দলিল” কাকে বলে?
=“খানাপুরি” কাকে বলে?
= ''নামজারি'' কাকে বলে ?
=“তফসিল” কাকে বলে?
=“দাগ” নাম্বার/''কিত্তা'' কাকে বলে?
= “ছুটা দাগ” কাকে বলে?
= ''পর্চা'' কাকে বলে ?
= ''চিটা'' কাকে বলে ?
= ''দখলনামা'' কাকে বলে ?
= “খাজনা” ককে বলে?
= ''বয়নামা'' কাকে বলে ?
= ''জমাবন্দি'' কাকে বলে ?
= ''দাখিলা'' কাকে বলে ?
= ''DCR'' কাকে বলে ?
=“কবুলিয়ত” কাকে বলে ?
= “ফারায়েজ” কাকে বলে?
= “ওয়ারিশ” কাকে বলে?
= ''হুকুমনামা'' কাকে বলে ?
= ''জমা খারিজ'' কাকে বলে ?
= ''মৌজা'' কি/ কাকে বলে ?
= “আমিন” কাকে বলে?
= “কিস্তোয়ার” কাকে বলে?
= “সিকস্তি” কাকে বলে ?
= “পয়ন্তি” কাকে বলে?
''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''
=খতিয়ানঃ
মৌজা ভিত্তিক এক বা একাধিক ভূমি মালিকের ভূ-সম্পত্তির বিবরণ সহ যে ভূমি রেকর্ড জরিপকালে প্রস্ত্তত করা হয় তাকে খতিয়ান বলে। এতে ভূমধ্যাধিকারীর নাম ও প্রজার নাম, জমির দাগ নং, পরিমাণ, প্রকৃতি, খাজনার হার ইত্যাদি লিপিবদ্ধ থাকে। আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের খতিয়ানের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। তন্মধ্যে সিএস, এসএ এবং আরএস উল্লেখযোগ্য। ভূমি জরিপকালে ভূমি মালিকের মালিকানা নিয়ে যে বিবরণ প্রস্তুত করা হয় তাকে “থতিয়ান” বলে। খতিয়ান প্রস্তত করা হয় মৌজা ভিত্তিক।
.
= সি এস খতিয়ানঃ
১৯১০-২০ সনের মধ্যে সরকারি আমিনগণ প্রতিটি ভূমিখণ্ড পরিমাপ করে উহার আয়তন, অবস্থান ও ব্যবহারের প্রকৃতি নির্দেশক মৌজা নকশা এবং প্রতিটি ভূমিখন্ডের মালিক দখলকারের বিররণ সংবলিত যে খতিয়ান তৈরি করেন সিএস খতিয়ান নামে পরিচিত।
.
=এস এ খতিয়ানঃ
১৯৫০ সালের জমিদারি অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন পাসের পর সরকার জমিদারি অধিগ্রহণ করেন। তৎপর সরকারি জরিপ কর্মচারীরা সরেজমিনে মাঠে না গিয়ে সিএস খতিয়ান সংশোধন করে যে খতিয়ান প্রস্তুত করেন তা এসএ খতিয়ান নামে পরিচিত। কোনো অঞ্চলে এ খতিয়ান আর এস খতিয়ান নামেও পরিচিত। বাংলা ১৩৬২ সালে এই খতিয়ান প্রস্তুত হয় বলে বেশির ভাগ মানুষের কাছে এসএ খতিয়ান ৬২র
খতিয়ান নামেও পরিচিত।
.
= আর এস খতিয়ানঃ
একবার জরিপ হওয়ার পর তাতে উল্লেখিত ভুলত্রুটি সংশোধনের জন্য পরবর্তীতে যে জরিপ করা হয় তা আরএস খতিয়ান নামে পরিচিত। দেখা যায় যে, এসএ জরিপের আলোকে প্রস্তুতকৃত খতিয়ান প্রস্তুতের সময় জরিপ কর্মচারীরা সরেজমিনে তদন্ত করেনি। তাতে অনেক ত্রুটি-বিচ্যুতি রয়ে গেছে। ওই ত্রুটি-বিচ্যুতি দূর করার জন্য সরকার দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরেজমিনে ভূমি মাপ-ঝোঁক করে পুনরায় খতিয়ান প্রস্তুত করার উদ্যোগ নিয়েছেন। এই খতিয়ান আরএস খতিয়ান নামে পরিচিত। সারাদেশে এখন পর্যন্ত তা সমাপ্ত না হলেও অনেক জেলাতেই আরএস খতিয়ান চূড়ান্তভাবে প্রকাশিত হয়েছে।
সরকারি আমিনরা মাঠে গিয়ে সরেজমিনে জমি মাপামাপি করে এই খতিয়ান প্রস্তুত করেন বলে তাতে ভুলত্রুটি কম লক্ষ্য করা যায়। বাংলাদেশের অনেক এলাকায় এই খতিয়ান বি এস খতিয়ান নামেও পরিচিত।
.
= বি এস খতিয়ানঃ
সর্ব শেষ এই জরিপ ১৯৯০ সা পরিচালিত হয়। ঢাকা অঞ্চলে মহানগর জরিপ হিসাবেও পরিচিত।
.
= “দলিল” কাকে বলে?
যে কোন লিখিত বিবরণ আইনগত সাক্ষ্য হিসাবে গ্রহণযোগ্য তাকে দলিল বলা হয়। তবে রেজিস্ট্রেশন আইনের বিধান মোতাবেক জমি ক্রেতা এবং বিক্রেতা সম্পত্তি হস্তান্তর করার জন্য যে চুক্তিপত্র সম্পাদন ও রেজিস্ট্রি করেন সাধারন ভাবেতাকে দলিল বলে।
.
= “খানাপুরি” কাকে বলে?
জরিপের সময় মৌজা নক্সা প্রস্তুত করার পর খতিয়ান প্রস্তুতকালে খতিয়ান ফর্মের প্রত্যেকটি কলাম জরিপ কর্মচারী কর্তৃক পূরন করার প্রক্রিয়াকে খানাপুরি বলে।
.
= নামজারি কাকে বলে ?
ক্রয়সূত্রে/উত্তরাধিকার সূত্রে অথবা যেকোন সূত্রে জমির নতুন মালিক হলে নতুন মালিকের নাম সরকারি খতিয়ানভুক্ত করার প্রক্রিয়াকে নামজারী বলা হয়।
.
= “তফসিল” কাকে বলে?
জমির পরিচয় বহন করে এমন বিস্তারিত বিবরণকে “তফসিল” বলে। তফসিলে, মৌজার নাম, নাম্বার, খতিয়ার নাম্বার, দাগ নাম্বার, জমির চৌহদ্দি, জমির পরিমাণ সহ ইত্যাদি তথ্য সন্নিবেশ থাকে।
.
= “দাগ” নাম্বার কাকে বলে? / কিত্তা কি ?
দাগ শব্দের অর্থ ভূমিখ-। ভূমির ভাগ বা অংশ বা পরিমাপ করা হয়েছে এবং যে সময়ে পরিমাপ করা হয়েছিল সেই সময়ে ক্রম অনুসারে প্রদত্ত ওই পরিমাপ সম্পর্কিত নম্বর বা চিহ্ন।
যখন জরিপ ম্যাপ প্রস্তুত করা হয় তখন মৌজা নক্সায় ভূমির সীমানা চিহ্নিত বা সনাক্ত করার লক্ষ্যে প্রত্যেকটি ভূমি খন্ডকে আলাদা আলাদ নাম্বার দেয়া হয়। আর এই নাম্বারকে দাগ নাম্বার বলে। একেক দাগ নাম্বারে বিভিন্ন পরিমাণ ভূমি থাকতে পারে। মূলত, দাগ নাম্বার অনুসারে একটি মৌজার অধীনে ভূমি মালিকের সীমানা খূটিঁ বা আইল দিয়ে সরেজমিন প্রর্দশন করা হয়। দাগকে কোথাও কিত্তা বলা হয়।
.
= “ছুটা দাগ” কাকে বলে?
ভূমি জরিপকালে প্রাথমিক অবস্থায় নকশা প্রস্তুত অথবা সংশোধনের সময় নকশার প্রতিটি ভূমি এককে যে নাম্বার দেওয়া হয় সে সময় যদি কোন নাম্বার ভুলে বাদ পড়ে তাবে ছুটা দাগ বলে। আবার প্রাথমিক পর্যায়ে যদি দুটি দাগ একত্রিত করে নকশা পুন: সংশোধন করা হয় তখন যে দাগ নাম্বার বাদ যায় তাকেও ছুটা দাগ বলে।
.
= পর্চা কীঃ / “পর্চা” কাকে বলে?
ভূমি জরিপকালে চূড়ান্ত খতিয়ান প্রস্তত করার পূর্বে ভূমি মালিকদের নিকট খসড়া খতিয়ানের যে অনুলিপি ভুমি মালিকদের প্রদান করা করা হয় তাকে “মাঠ পর্চা” বলে। এই মাঠ পর্চা রেভিনিউ/রাজস্ব অফিসার কর্তৃক তসদিব বা সত্যায়ন হওয়ার পর যদি কারো কোন আপত্তি থাকে তাহলে তা শোনানির পর খতিয়ান চুড়ান্তভাবে প্রকাশ করা হয়। আর চুড়ান্ত খতিয়ানের অনুলিপিকে “পর্চা” বলে।
.
= চিটা কাকে বলে?
একটি ক্ষুদ্র ভূমির পরিমাণ, রকম ইত্যাদির পূর্ণ বিবরণ চিটা নামে পরিচিত। বাটোয়ারা মামলায় প্রাথমিক ডিক্রি দেয়ার পর তাকে ফাইনাল ডিক্রিতে পরিণত করার আগে অ্যাডভোকেট কমিশনার সরেজমিন জমি পরিমাপ করে প্রাথমিক ডিক্রি মতে সম্পত্তি এমনি করে পক্ষদের বুঝায়ে দেন। ওই সময় তিনি যে খসড়া ম্যাপ প্রস্তুত করেন তা চিটা বা চিটাদাগ নামে পরিচিত।
.
= দখলনামা কাকে বলে?
দখল হস্তান্তরের সনদপত্র। সার্টিফিকেট জারীর মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি কোনো সম্পত্তি নিলাম খরিদ করে নিলে সরকার পক্ষ সম্পত্তির ক্রেতাকে দখল বুঝিয়ে দেয়ার পর যে সনদপত্র প্রদান করেন তাকে দখলনামা বলে।
সরকারের লোক সরেজমিনে গিয়ে ঢোল পিটিয়ে, লাল নিশান উড়ায়ে বা বাঁশ গেড়ে দখল প্রদান করেন। কোনো ডিক্রিজারির ক্ষেত্রে কোনো সম্পত্তি নিলাম বিক্রয় হলে আদালত ওই সম্পত্তির ক্রেতাকে দখল বুঝিয়ে দিয়ে যে সার্টিফিকেট প্রদান করেন তাকেও দখলনামা বলা হয়। যিনি সরকার অথবা আদালতের নিকট থেকে কোনো সম্পত্তির দখলনামা প্রাপ্ত হন, ধরে নিতে হবে যে, দখলনামা প্রাপ্ত ব্যক্তির সংশ্লিষ্ট সম্পত্তিতে দখল আছে।
.
= “খাজনা” ককে বলে?
সরকার বার্ষিক ভিত্তিতে যে প্রজার নিকট থেকে ভূমি ব্যবহারের জন্য যে কর আদায় করে তাকে খাজনা বলে।.
.
= বয়নামা কাকে বলে?
১৯০৮ সালের দেওয়ানি কার্যবিধির ২১ আদেশের ৯৪ নিয়ম অনুসারে কোনো স্থাবর সম্পত্তির নিলাম বিক্রয় চূড়ান্ত হলে আদালত নিলাম ক্রেতাকে নিলামকৃত সম্পত্তির বিবরণ সংবলিত যে সনদ দেন তা বায়নামা নামে পরিচিত।
বায়নামায় নিলাম ক্রেতার নামসহ অন্যান্য তথ্যাবলি লিপিবদ্ধ থাকে। কোনো নিলাম বিক্রয় চূড়ান্ত হলে ক্রেতার অনুকূলে অবশ্যই বায়নামা দিতে হবে।
যে তারিখে নিলাম বিক্রয় চূড়ান্ত হয় বায়নামায় সে তারিখ উল্লেখ করতে হয়।
.
= জমাবন্দিঃ
জমিদারি আমলে জমিদার বা তালুকদারের সেরেস্তায় প্রজার নাম, জমি ও খাজনার বিবরণী লিপিবদ্ধ করার নিয়ম জমাবন্দি নামে পরিচিত। বর্তমানে তহশিল অফিসে অনুরূপ রেকর্ড রাখা হয় এবং তা জমাবন্দি নামে পরিচিত।
.
= দাখিলা কাকে বলে?
সরকার বা সম্পত্তির মালিককে খাজনা দিলে যে নির্দিষ্ট ফর্ম বা রশিদ ( ফর্ম নং১০৭৭) প্রদান করা হয় তা দাখিলা বা খাজনার রশিদ নামে পরিচিত।
দাখিলা কোনো স্বত্বের দলিল নয়, তবে তা দখল সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ বহন করে।
.
= DCR কাকে বলে?
ভূমি কর ব্যতিত আন্যান্য সরকারি পাওনা আদায় করার পর যে নির্ধারিত ফর্মে (ফর্ম নং ২২২) রশিদ দেওয়া হয় তাকে DCR বলে।
.
=“কবুলিয়ত” কাকে বলে?
সরকার কর্তৃক কৃষককে জমি বন্দোবস্ত দেওয়ার প্রস্তাব প্রজা কর্তৃক গ্রহণ করে খাজনা প্রদানের যে অঙ্গিকার পত্র দেওয়া হয় তাকে কবুলিয়ত বলে।
.
= “ফারায়েজ” কাকে বলে?
ইসলামি বিধান মোতাবেক মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি বন্টন করার নিয়ম ও প্রক্রিয়াকে ফারায়েজ বলে।
.
= “ওয়ারিশ” কাকে বলে?
ওয়ারিশ অর্থ উত্তরাধিকারী । ধর্মীয় বিধানের অনুয়ায়ী কোন ব্যক্তি উইল না করে মৃত্যু বরন করলেতার স্ত্রী, সন্তান বা নিকট আত্মীয়দের মধ্যে যারা তার রেখে যাওয়া সম্পত্তিতে মালিক হওয়ার যোগ্যতাসম্পন্ন এমন ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণকে ওয়ারিশ বলে।
.
= হুকুমনামা কাকে বলে?
আমলনামা বা হুকুমনামা বলতে জমিদারের কাছ থেকে জমি বন্দোবস্ত নেয়ার পর প্রজার স্বত্ব দখল প্রমাণের দলিলকে বুঝায়। সংক্ষেপে বলতে গেলে জমিদার কর্তৃক প্রজার বরাবরে দেয়া জমির বন্দোবস্ত সংক্রান্ত নির্দেশপত্রই আমলনামা।
.
= জমা খারিজ কিঃ
জমা খারিজ অর্থ যৌথ জমা বিভক্ত করে আলাদা করে নতুন খতিয়ান সৃষ্টি করা। প্রজার কোন জোতের কোন জমি হস্তান্তর বা বন্টনের কারনে মূল খতিয়ান থেকে কিছু জমি নিয়ে নুতন জোত বা খতিয়ান খোলাকে জমা খারিজ বলা হয়। অন্য কথায় মূল খতিয়ান থেকে কিছু জমির অংশ নিয়ে নতুন জোত বা খতিয়ান সৃষ্টি করাকে জমা খারিজ বলে।
.
= “মৌজা” কাকে বলে?
CS জরিপ / ক্যাডষ্টাল জরিপ করা হয় তখন থানা ভিত্তিক এক বা একাধিক গ্রাম, ইউনিয়ন, পাড়া, মহল্লা অালাদা করে বিভিন্ন এককে ভাগ করে ক্রমিক নাম্বার দিয়ে চিহ্তি করা হয়েছে। আর বিভক্তকৃত এই প্রত্যেকটি একককে মৌজা বলে।। এক বা একাদিক গ্রাম বা পাড়া নিয়ে একটি মৌজা ঘঠিত হয়।
.
= “আমিন” কাকে বলে?
ভূমি জরিপের মাধ্যমে নক্সা ও খতিয়ান প্রস্তত ও ভূমি জরিপ কাজে নিজুক্ত কর্মচারীকে আমিন বলে।
.
= “কিস্তোয়ার” কাকে বলে?
ভূমি জরিপ কালে চতুর্ভুজ ও মোরব্বা প্রস্তত করার পর সিকমি লাইনে চেইন চালিয়ে সঠিকভাবে খন্ড খন্ড ভুমির বাস্তব ভৌগলিক চিত্র অঙ্কনের মাধ্যমে নকশা প্রস্তুতের পদ্ধতিকে কিস্তোয়ার বলে।
.
= “সিকস্তি” কাকে বলে?
নদী ভাংঙ্গনের ফলে যে জমি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যায় তাকে সিকন্তি বলে। সিকন্তি জমি যদি ৩০ বছরের মধ্যে স্বস্থানে পয়ন্তি হয় তাহলে সিকন্তি হওয়ার প্রাক্কালে যিনি ভূমি মালিক ছিলেন তিনি বা তাহার উত্তরাধিকারগন উক্ত জমির মালিকানা শর্ত সাপেক্ষ্যে প্রাপ্য হবেন।
= “পয়ন্তি” কাকে বলে?
নদী গর্ভ থেকে পলি মাটির চর পড়ে জমির সৃষ্টি হওয়াকে পয়ন্তি বলে।
--------------------------
আপনার এবং আপনার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বসবাস উপযোগী বসতভিটা এবং চাষাবাদযোগ্য
জমিকে নির্ভেজাল রাখতে আপনি সচেতন হোন।
---------------------------

ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে চাচ্ছেন ? ড্রাইভিং লাইসেন্সের লিখিত পরীক্ষার স্ট্যান্ডার্ড ৮৫টি প্রশ্ন ব্যাংক ও উত্তর নিজে শিখুন এবং অন্যকে শেখার জন্য শেয়ার করুন।

ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে চাচ্ছেন ?
ড্রাইভিং লাইসেন্সের লিখিত পরীক্ষার স্ট্যান্ডার্ড ৮৫টি প্রশ্ন ব্যাংক ও উত্তর
নিজে শিখুন এবং অন্যকে শেখার জন্য শেয়ার করুন।
============================================
০১. প্রশ্ন : মোটরযান কাকে বলে ?
উত্তরঃ মোটরযান আইনে মোটরযান অর্থ কোনো যন্ত্রচালিত যান, যার চালিকাশক্তি বাইরের বা ভিতরের কোনো উৎস হতে সরবরাহ হয়ে থাকে।
০২. প্রশ্ন : গাড়ি চালনার আগে করণীয় কাজ কী কী ?
উত্তরঃ ক. গাড়ির হালনাগাদ বৈধ কাগজপত্র (রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, ফিটনেস সার্টিফিকেট, ট্যাক্সটোকেন, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ইনসিওরেন্স (বিমা) সার্টিফিকেট, রুট পারমিট ইত্যাদি) গাড়ির সঙ্গে রাখা।
খ. গাড়িতে জ্বালানি আছে কি না পরীক্ষা করা, না থাকলে পরিমাণ মতো নেওয়া।
গ. রেডিয়েটর ও ব্যাটারিতে পানি আছে কি না পরীক্ষা করা, না থাকলে পরিমাণ মতো নেওয়া।
ঘ. ব্যাটারি কানেকশন পরীক্ষা করা।
ঙ. লুব/ইঞ্জিন অয়েলের লেবেল ও ঘনত্ব পরীক্ষা করা, কম থাকলে পরিমাণ মতো নেওয়া।
চ. মাস্টার সিলিন্ডারের ব্রেকফ্লুইড, ব্রেকঅয়েল পরীক্ষা করা, কম থাকলে নেওয়া।
ছ. গাড়ির ইঞ্জিন, লাইটিং সিস্টেম, ব্যাটারি, স্টিয়ারিং ইত্যাদি সঠিকভাবে কাজ করছে কি না, নাট-বোল্ট টাইট আছে কি না অর্থাৎ সার্বিকভাবে মোটরযানটি ত্র“টিমুক্ত আছে কি না পরীক্ষা করা।
জ. ব্রেক ও ক্লাচের কার্যকারিতা পরীক্ষা করা।
ঝ. অগ্নিনির্বাপকযন্ত্র এবং ফাস্টএইড বক্স গাড়িতে রাখা।
ঞ. গাড়ির বাইরের এবং ভিতরের বাতির অবস্থা, চাকা (টায়ার কন্ডিশন/হাওয়া/নাট/এলাইমেন্ট/রোটেশন/স্পেয়ার চাকা) পরীক্ষা করা।
০৩. প্রশ্ন : মোটরযানের মেইনটেনেন্স বা রক্ষণাবেক্ষণ বলতে কী বুঝায় ?
উত্তরঃ ত্রুটিমুক্ত অবস্থায় একটি গাড়ি হতে দীর্ঘদিন সার্ভিস পাওয়ার জন্য প্রতিদিন গাড়িতে যে-সমস্ত মেরামত কাজ করা হয়, তাকে মোটরযানের মেইনটেনেন্স বলে।
০৪. প্রশ্ন : একটি মোটরযানে প্রতিদিন কী কী মেইনটেনেন্স করতে হয় ?
উত্তরঃ ২ নং প্রশ্নের উত্তরের খ থেকে ঞ পর্যন্ত।
০৫. প্রশ্ন : সার্ভিসিং বলতে কী বুঝায় ?
উত্তরঃ মোটরযানের ইঞ্জিন ও বিভিন্ন যন্ত্রাংশের কার্যক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য নির্দিষ্ট সময় পরপর যে-কাজগুলো করা হয়, তাকে সার্ভিসিং বলে।
০৬. প্রশ্ন : গাড়ি সার্ভিসিংয়ে কী কী কাজ করা হয় ?
উত্তরঃ ক. ইঞ্জিনের পুরাতন লুবঅয়েল (মবিল) ফেলে দিয়ে নতুন লুবঅয়েল দেওয়া। নতুন লুবঅয়েল দেওয়ার আগে ফ্লাশিং অয়েল দ্বারা ফ্লাশ করা।
খ. ইঞ্জিন ও রেডিয়েটরের পানি ড্রেন আউট করে ডিটারজেন্ট ও ফ্লাশিংগান দিয়ে পরিষ্কার করা, অতঃপর পরিষ্কার পানি দিয়ে পূর্ণ করা।
গ. ভারী মোটরযানের ক্ষেত্রে বিভিন্ন গ্রিজিং পয়েন্টে গ্রিজগান দিয়ে নতুন গ্রিজ দেওয়া।
ঘ. গাড়ির স্পেয়ার হুইলসহ প্রতিটি চাকাতে পরিমাণমতো হাওয়া দেওয়া।
ঙ. লুবঅয়েল (মবিল) ফিল্টার, ফুয়েল ফিল্টার ও এয়ারক্লিনার পরিবর্তন করা।
০৭. প্রশ্ন : গাড়ি চালনাকালে কী কী কাগজপত্র গাড়ির সঙ্গে রাখতে হয় ?
উত্তরঃ ক. ড্রাইভিং লাইসেন্স, খ. রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট (ব্লু-বুক), গ. ট্যাক্সটোকেন, ঘ. ইনসিওরেন্স সার্টিফিকেট, ঙ.ফিটনেস সার্টিফিকেট (মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়) এবং চ. রুটপারমিট (মোটরসাইকেল এবং চালক ব্যতীত সর্বোচ্চ ৭ আসন বিশিষ্ট ব্যক্তিগত যাত্রীবাহী গাড়ির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়)।
০৮. প্রশ্ন : রাস্তায় গাড়ির কাগজপত্র কে কে চেক করতে পারেন/কোন কোন ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিগণকে গাড়ির কাগজ দেখাতে বাধ্য ?
উত্তরঃ সার্জেন্ট বা সাব-ইনসপেক্টরের নিচে নয় এমন পুলিশ কর্মকর্তা, মোটরযান পরিদর্শকসহ বিআরটিএর কর্মকর্তা এবং মোবাইলকোর্টের কর্মকর্তা।
০৯. প্রশ্ন : মোটরসাইকেলে হেলমেট পরিধান ও আরোহী বহন সম্পর্কে আইন কী ?
উত্তরঃ মোটরসাইকেলে চালক ব্যতীত ১ জন আরোহী বহন করা যাবে এবং উভয়কেই হেলমেট পরিধান করতে হবে (মোটরযান অধ্যাদেশ, ১৯৮৩ এর ধারা-১০০)।
১০. প্রশ্ন : সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ কী কী?
উত্তরঃ ক. অত্যধিক আত্মবিশ্বাস, খ. মাত্রাতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো, গ. অননুমোদিত ওভারটেকিং এবং ঘ. অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামাল বহন।
১১. প্রশ্ন : গাড়ি দুর্ঘটনায় পতিত হলে চালকের করনীয় কী ?
উত্তরঃ আহত ব্যক্তির চিকিৎসা নিশ্চিত করা, প্রয়োজনে নিকটস্থ হাসপাতালে স্থানান্তর করা এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিকটবর্তী থানায় দুর্ঘটনার বিষয়ে রিপোর্ট করা।
১২. প্রশ্ন : আইন অনুযায়ী গাড়ির সর্বোচ্চ গতিসীমা কত ?
উত্তরঃ হালকা মোটরযান ও মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৭০ মাইল, মাঝারি বা ভারী যাত্রীবাহী মোটরযানের ক্ষেত্রে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩৫ মাইল এবং মাঝারি বা ভারী মালবাহী মোটরযানের ক্ষেত্রে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩০ মাইল।
১৩. প্রশ্ন : মোটর ড্রাইভিং লাইসেন্স কী ?
উত্তরঃ সর্বসাধারণের ব্যবহার্য স্থানে মোটরযান চালানোর জন্য লাইসেন্স কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইস্যুকৃত বৈধ দলিলই মোটর ড্রাইভিং লাইসেন্স।
১৪. প্রশ্নঃ অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স কাকে বলে ?
উত্তরঃ যে-লাইসেন্স দিয়ে একজন চালক কারো বেতনভোগী কর্মচারী না হয়ে মোটর সাইকেল, হালকা মোটরযান এবং অন্যান্য মোটরযান (পরিবহনযান ব্যতীত) চালাতে পারে, তাকে অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স বলে।
১৫. প্রশ্ন : ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন বয়স কত ?
উত্তরঃ পেশাদার চালকের ক্ষেত্রে ২০ বছর এবং অপেশাদার চালকের ক্ষেত্রে ১৮ বছর।
১৬. প্রশ্ন : কোন কোন ব্যক্তি ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে?
উত্তরঃ মৃগীরোগী, উন্মাদ বা পাগল, রাতকানারোগী, কুষ্ঠরোগী, হৃদরোগী, অতিরিক্ত মদ্যপব্যক্তি, বধিরব্যক্তি এবং বাহু বা পা চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে অসুবিধা হয় এমন ব্যক্তি।
১৭. প্রশ্ন : হালকা মোটরযান কাকে বলে ?
উত্তরঃ যে-মোটরযানের রেজিস্ট্রিকৃত বোঝাই ওজন ৬,০০০ পাউন্ড বা ২,৭২৭ কেজির অধিক নয়, তাকে হালকা মোটরযান বলে।
১৮. প্রশ্ন : মধ্যম বা মাঝারি মোটরযান কাকে বলে ?
উত্তরঃ যে-মোটরযানের রেজিস্ট্রিকৃত বোঝাইওজন ৬,০০০ পাউন্ড বা ২,৭২৭ কেজির অধিক কিন্তু ১৪,৫০০ পাউন্ড বা ৬,৫৯০ কেজির অধিক নয়, তাকে মধ্যম বা মাঝারি মোটরযান বলে।
১৯. প্রশ্ন : ভারী মোটরযান কাকে বলে ?
উত্তরঃ যে-মোটরযানের রেজিস্ট্রিকৃত বোঝাই ওজন ১৪,৫০০ পাউন্ড বা ৬,৫৯০ কেজির অধিক, তাকে ভারী মোটরযান বলে।
২০. প্রশ্ন : প্রাইভেট সার্ভিস মোটরযান কাকে বলে ?
উত্তরঃ ড্রাইভার ব্যতীত আটজনের বেশি যাত্রী বহনের উপযোগী যে-মোটরযান মালিকের পক্ষে তার ব্যবসা সম্পর্কিত কাজে এবং বিনা ভাড়ায় যাত্রী বহনের জন্য ব্যবহৃত হয়, তাকে প্রাইভেট সার্ভিস মোটরযান বলে।
২১. প্র্রশ্নঃ ট্রাফিক সাইন বা রোড সাইন (চিহ্ন) প্রধানত কত প্রকার ও কী কী ?
উত্তরঃ ট্রাফিক সাইন বা চিহ্ন প্রধানত তিন প্রকার। ক. বাধ্যতামূলক, যা প্রধানত বৃত্তাকৃতির হয়,
খ. সতর্কতামূলক, যা প্রধানত ত্রিভুজাকৃতির হয় এবং গ. তথ্যমূলক, যা প্রধানত আয়তক্ষেত্রাকার হয়।
২২. প্রশ্ন : লাল বৃত্তাকার সাইন কী নির্দেশনা প্রদর্শন করে ?
উত্তরঃ নিষেধ বা করা যাবে না বা অবশ্যবর্জনীয় নির্দেশনা প্রদর্শন করে।
২৩. প্রশ্ন : নীল বৃত্তাকার সাইন কী নির্দেশনা প্রদর্শন করে ?
উত্তরঃ করতে হবে বা অবশ্যপালনীয় নির্দেশনা প্রদর্শন করে।
২৪. প্রশ্ন : লাল ত্রিভুজাকৃতির সাইন কী নিদের্শনা প্রদর্শন করে ?
উত্তরঃ সতর্ক হওয়ার নির্দেশনা প্রদর্শন করে।
২৫. প্রশ্ন : নীল রঙের আয়তক্ষেত্র কোন ধরনের সাইন ?
উত্তরঃ সাধারণ তথ্যমূলক সাইন।
২৬. প্রশ্ন : সবুজ রঙের আয়তক্ষেত্র কোন ধরনের সাইন?
উত্তরঃ পথনির্দেশক তথ্যমূলক সাইন, যা জাতীয় মহাসড়কে ব্যবহৃত হয়।
২৭. প্রশ্ন : কালো বর্ডারের সাদা রঙের আয়তক্ষেত্র কোন ধরনের সাইন?
উত্তরঃ এটিও পথনির্দেশক তথ্যমূলক সাইন, যা মহাসড়ক ব্যতীত অন্যান্য সড়কে ব্যবহৃত হয়।
২৮. প্রশ্ন : ট্রাফিক সিগন্যাল বা সংকেত কত প্রকার ও কী কী ?
উত্তরঃ ৩ (তিন) প্রকার। যেমন- ক. বাহুর সংকেত, খ. আলোর সংকেত ও গ. শব্দ সংকেত।
২৯. প্রশ্ন : ট্রাফিক লাইট সিগন্যালের চক্র বা অনুক্রমগুলি কী কী ?
উত্তরঃ লাল-সবুজ-হলুদ এবং পুনরায় লাল।
৩০. প্রশ্ন : লাল, সবুজ ও হলুদ বাতি কী নির্দেশনা প্রদশন করে ?
উত্তরঃ লালবাতি জ্বললে গাড়িকে ‘থামুনলাইন’এর পেছনে থামায়ে অপেক্ষা করতে হবে, সুবজবাতি জ্বললে গাড়ি নিয়ে অগ্রসর হওয়া যাবে এবং হলুদবাতি জ্বললে গাড়িকে থামানোর জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।
৩১. প্রশ্নঃ নিরাপদ দূরত্ব বলতে কী বুঝায়?
উত্তরঃ সামনের গাড়ির সাথে সংঘর্ষ এড়াতে পেছনের গাড়িকে নিরাপদে থামানোর জন্য যে পরিমাণ দূরত্ব বজায় রেখে গাড়ি চালাতে হয় সেই পরিমাণ নিরাপদ দূরত্ব বলে।
৩২. প্রশ্ন : পাকা ও ভালো রাস্তায় ৫০ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি চললে নিরাপদ দূরত্ব কত হবে?
উত্তরঃ ২৫ মিটার।
৩৩. প্রশ্ন : পাকা ও ভালো রাস্তায় ৫০ মাইল গতিতে গাড়ি চললে নিরাপদ দূরত্ব কত হবে ?
উত্তরঃ ৫০ গজ বা ১৫০ ফুট।
৩৪. প্রশ্ন : লাল বৃত্তে ৫০ কি.মি. লেখা থাকলে কী বুঝায় ?
উত্তরঃ গাড়ির সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৫০ কি.মি. অর্থাৎ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে গাড়ি চালানো যাবে না।
৩৫. প্রশ্ন : নীল বৃত্তে ঘণ্টায় ৫০ কি.মি. লেখা থাকলে কী বুঝায় ?
উত্তরঃ সর্বনিম্ন গতিসীমা ঘণ্টায় ৫০ কি.মি. অর্থাৎ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটারের কম গতিতে গাড়ি চালানো যাবে না।
৩৬. প্রশ্ন : লাল বৃত্তের মধ্যে হর্ন আঁকা থাকলে কী বুঝায় ?
উত্তরঃ হর্ন বাজানো নিষেধ।
৩৭. প্রশ্ন : লাল বৃত্তের ভিতরে একটি বড় বাসের ছবি থাকলে কী বুঝায় ?
উত্তরঃ বড় বাস প্রবেশ নিষেধ।
৩৮. প্রশ্ন : লাল বৃত্তে একজন চলমান মানুষের ছবি আঁকা থাকলে কী বুঝায় ?
উত্তরঃ পথচারী পারাপার নিষেধ।
৩৯. প্রশ্ন : লাল ত্রিভুজে একজন চলমান মানুষের ছবি আঁকা থাকলে কী বুঝায় ?
উত্তরঃ সামনে পথচারী পারাপার, তাই সাবধান হতে হবে।
৪০. প্রশ্ন : লাল বৃত্তের ভিতর একটি লাল ও একটি কালো গাড়ি থাকলে কী বুঝায়?
উত্তরঃ ওভারটেকিং নিষেধ।
৪১. প্রশ্ন : আয়তক্ষেত্রে ‘চ’ লেখা থাকলে কী বুঝায় ?
উত্তরঃ পার্কিংয়ের জন্য নির্ধারিত স্থান।
৪২. প্রশ্ন : কোন কোন স্থানে গাড়ির হর্ন বাজানো নিষেধ ?
উত্তরঃ নীরব এলাকায় গাড়ির হর্ন বাজানো নিষেধ। হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালত বা অনুরূপ প্রতিষ্ঠানসমূহের চতুর্দিকে ১০০ মিটার পর্যন্ত এলাকা নীরব এলাকা হিসাবে চিহ্নিত।
৪৩. প্রশ্ন : কোন কোন স্থানে ওভারটেক করা নিষেধ ?
উত্তরঃ ক. ওয়ারটেকিং নিষেধ সম্বলিত সাইন থাকে এমন স্থানে, খ. জাংশনে, গ. ব্রিজ/কালভার্ট ও তার আগে পরে নির্দিষ্ট দূরত্ব, ঘ. সরু রাস্তায়, ঙ. হাসপাতাল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এলাকায়।
৪৪. প্রশ্ন : কোন কোন স্থানে গাড়ি পার্ক করা নিষেধ ?
উত্তরঃ ক. যেখানে পার্কিং নিষেধ বোর্ড আছে এমন স্থানে, খ. জাংশনে, গ. ব্রিজ/কালভার্টের ওপর, ঘ. সরু রাস্তায়,
ঙ. হাসপাতাল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এলাকায়, চ. পাহাড়ের ঢালে ও ঢালু রাস্তায়, ফুটপাত, পথচারী পারাপার এবং তার আশেপাশে, ছ. বাস স্টপেজ ও তার আশেপাশে এবং জ. রেলক্রসিং ও তার আশেপাশে।
৪৫. প্রশ্ন : গাড়ি রাস্তার কোনপাশ দিয়ে চলাচল করবে ?
উত্তরঃ গাড়ি রাস্তার বামপাশ দিয়ে চলাচল করবে। যে-রাস্তায় একাধিক লেন থাকবে সেখানে বামপাশের লেনে ধীর গতির গাড়ি, আর ডানপাশের লেনে দ্রুত গাতির গাড়ি চলাচল করবে।
৪৬. প্রশ্ন : কখন বামদিক দিয়ে ওভারটেক করা যায় ?
উত্তরঃ যখন সামনের গাড়ি চালক ডানদিকে মোড় নেওয়ার ইচ্ছায় যথাযথ সংকেত দিয়ে রাস্তার মাঝামাঝি স্থানে যেতে থাকবেন তখনই পেছনের গাড়ির চালক বামদিক দিয়ে ওভারটেক করবেন।
৪৭. প্রশ্ন : চলন্ত অবস্থায় সামনের গাড়িকে অনুসরণ করার সময় কী কী বিষয় লক্ষ্য রাখা উচিত ?
উত্তরঃ (ক) সামনের গাড়ির গতি (স্পিড) ও গতিবিধি, (খ) সামনের গাড়ি থামার সংকেত দিচ্ছে কি না, (গ) সামনের গাড়ি ডানে/বামে ঘুরার সংকেত দিচ্ছে কি না, (ঘ) সামনের গাড়ি হতে নিরাপদ দূরত্ব বজায় থাকছে কি না।
৪৮. প্রশ্ন : রাস্তারপাশে সতর্কতামূলক ‘‘স্কুল/শিশু” সাইন বোর্ড থাকলে চালকের করণীয় কী ?
উত্তরঃ (ক) গাড়ির গতি কমিয়ে রাস্তার দু-পাশে ভালোভাবে দেখে-শুনে সতর্কতার সাথে অগ্রসর হতে হবে।
(খ) রাস্তা পারাপারের অপেক্ষায় কোনো শিশু থাকলে তাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
৪৯. প্রশ্ন : গাড়ির গতি কমানোর জন্য চালক হাত দিয়ে কীভাবে সংকেত দিবেন ?
উত্তরঃ চালক তার ডানহাত গাড়ির জানালা দিয়ে সোজাসুজি বের করে ধীরে ধীরে উপরে-নীচে উঠানামা করাতে থাকবেন।
৫০. প্রশ্ন : লেভেলক্রসিং বা রেলক্রসিং কত প্রকার ও কী কী ?
উত্তরঃ লেভেলক্রসিং বা রেলক্রসিং ২ প্রকার। ক. রক্ষিত রেলক্রসিং বা পাহারাদার নিয়ন্ত্রিত রেলক্রসিং, খ. অরক্ষিত রেলক্রসিং বা পাহারাদারবিহীন রেলক্রসিং।
৫১. প্রশ্নঃ রক্ষিত লেভেলক্রসিংয়ে চালকের কর্তব্য কী ?
উত্তরঃ গাড়ির গতি কমিয়ে সতর্কতার সাথে সামনে আগাতে হবে। যদি রাস্তা বন্ধ থাকে তাহলে গাড়ি থামাতে হবে, আর খোলা থাকলে ডানেবামে ভালোভাবে দেখে অতিক্রম করতে হবে।
৫২. প্রশ্নঃ অরক্ষিত লেভেলক্রসিংয়ে চালকের কর্তব্য কী ?
উত্তরঃ গাড়ির গতি একদম কমিয়ে সতর্কতার সাথে সামনে আগাতে হবে, প্রয়োজনে লেভেলক্রসিংয়ের নিকট থামাতে হবে। এরপর ডানেবামে দেখে নিরাপদ মনে হলে অতিক্রম করতে হবে।
৫৩. প্রশ্ন : বিমানবন্দরের কাছে চালককে সতর্ক থাকতে হবে কেন ?
উত্তরঃ (ক) বিমানের প্রচণ্ড শব্দে গাড়ির চালক হঠাৎ বিচলিত হতে পারেন, (খ) সাধারণ শ্রবণ ক্ষমতার ব্যাঘাত ঘটতে পারে, (গ) বিমানবন্দরে ভিভিআইপি/ভিআইপি বেশি চলাচল করে বিধায় এই বিষয়ে সতর্ক থাকতে হয়।
৫৪. প্রশ্নঃ মোটরসাইকেল চালক ও আরোহীর হেলমেট ব্যবহার করা উচিত কেন ?
উত্তরঃ মানুষের মাথা শরীরের অন্যান্য অঙ্গের মধ্যে সবচেয়ে বেশি স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। এখানে সামান্য আঘাত লাগলেই মানুষের মৃত্যু ঘটতে পারে।
তাই দুর্ঘটনায় মানুষের মাথাকে রক্ষা করার জন্য হেলমেট ব্যবহার করা উচিত।
৫৫. প্রশ্ন : গাড়ির পেছনের অবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য কতক্ষণ পর পর লুকিং গ্লাস দেখতে হবে ?
উত্তরঃ প্রতিমিনিটে ৬ থেকে ৮ বার।
৫৬. প্রশ্নঃ পাহাড়ি রাস্তায় কী কী সতর্কতা অবলম্বন করতে হয় ?
উত্তরঃ সামনের গাড়ি থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে ১ নং গিয়ারে বা ফার্স্ট গিয়ারে সতর্কতার সাথে ধীরে ধীরে ওপরে উঠতে হবে। পাহাড়ের চূড়ার কাছে গিয়ে আরো ধীরে উঠতে হবে, কারণ চূড়ায় দৃষ্টিসীমা অত্যন্ত সীমিত। নিচে নামার সময় গাড়ির গতি ক্রমে বাড়তে থাকে বিধায় সামনের গাড়ি থেকে বাড়তি দূরত্ব বজায় রেখে নামতে হবে। ওঠা-নামার সময় কোনোক্রমেই ওভারটেকিং করা যাবে না।
৫৭. প্রশ্নঃ বৃষ্টির মধ্যে গাড়ি চালনার বিষয়ে কী কী সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়?
উত্তরঃ বৃষ্টির সময় রাস্তা পিচ্ছিল থাকায় ব্রেক কম কাজ করে। এই কারণে বাড়তি সতর্কতা হিসাবে ধীর গতিতে (সাধারণ গতির চেয়ে অর্ধেক গতিতে) গাড়ি চালাতে হবে, যাতে ব্রেক প্রয়োগ করে অতি সহজেই গাড়ি থামানো যায়। অর্থাৎ ব্রেক প্রয়োগ করে গাড়ি যাতে অতি সহজেই থামানো বা নিয়ন্ত্রণ করা যায়, সেইরূপ ধীর গতিতে বৃষ্টির মধ্যে গাড়ি চালাতে হবে।
৫৮. প্রশ্ন : ব্রিজে ওঠার পূর্বে একজন চালকের করণীয় কী ?
উত্তরঃ ব্রিজ বিশেষকরে উঁচু ব্রিজের অপরপ্রান্ত থেকে আগত গাড়ি সহজে দৃষ্টিগোচর হয় না বিধায় ব্রিজে ওঠার পূর্বে সতর্কতার সাথে গাড়ির গতি কমিয়ে উঠতে হবে। তাছাড়া, রাস্তার তুলনায় ব্রিজের প্রস্থ অনেক কম হয় বিধায় ব্রিজে কখনো ওভারটেকিং করা যাবে না।
৫৯. প্রশ্ন : পার্শ্বরাস্তা থেকে প্রধান রাস্তায় প্রবেশ করার সময় কী কী সতর্কতা অবলম্বন করতে হয় ?
উত্তরঃ পার্শ্বরাস্তা বা ছোট রাস্তা থেকে প্রধান রাস্তায় প্রবেশ করার আগে গাড়ির গতি কমায়ে, প্রয়োজনে থামায়ে, প্রধান রাস্তার গাড়িকে নির্বিঘেœ আগে যেতে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রধান সড়কে গাড়ির গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে সুযোগমত সতর্কতার সাথে প্রধান রাস্তায় প্রবেশ করতে হবে।
৬০. প্রশ্ন : রাস্তার ওপর প্রধানত কী কী ধরনের রোডমার্কিং অঙ্কিত থাকে ?
উত্তরঃ রাস্তার ওপর প্রধানত ০৩ ধরনের রোডমাকিং অঙ্কিত থাকে।
ক. ভাঙালাইন, যা অতিক্রম করা যায়।
খ. একক অখন্ডলাইন, যা অতিক্রম করা নিষেধ, তবে প্রয়োজনবিশেষ অতিক্রম করা যায়।
গ. দ্বৈত অখন্ডলাইন, যা অতিক্রম করা নিষেধ এবং আইনত দণ্ডনীয়। এই ধরনের লাইন দিয়ে ট্রাফিকআইল্যান্ড বা রাস্তার বিভক্তি বুঝায়।
৬১. প্রশ্ন : জেব্রাক্রসিংয়ে চালকের কর্তব্য কী ?
উত্তরঃ জেব্রাক্রসিংয়ে পথচারীদের অবশ্যই আগে যেতে দিতে হবে এবং পথচারী যখন জেব্রাক্রসিং দিয়ে পারাপার হবে তখন গাড়িকে অবশ্যই তার আগে থামাতে হবে। জেব্রাক্রসিংয়ের ওপর গাড়িকে থামানো যাবে না বা রাখা যাবে না।
৬২. প্রশ্ন : কোন কোন গাড়িকে ওভারটেক করার সুযোগ দিতে হবে ?
উত্তরঃ যে-গাড়ির গতি বেশি, এ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস ইত্যাদি জরুরি সার্ভিস, ভিভিআইপি গাড়ি ইত্যাদিকে।
৬৩. প্রশ্ন : হেড লাইট ফ্ল্যাশিং বা আপার ডিপার ব্যবহারের নিয়ম কী ?
উত্তরঃ শহরের মধ্যে সাধারণত ‘লো-বিম বা ডিপার বা মৃদুবিম’ ব্যবহার করা হয়। রাতে কাছাকাছি গাড়ি না থাকলে অর্থাৎ বেশিদূর পর্যন্ত দেখার জন্য হাইওয়ে ও শহরের বাইরের রাস্তায় ‘হাই বা আপার বা তীক্ষ্ম বিম’ ব্যবহার করা হয়। তবে, বিপরীতদিক থেকে আগত গাড়ি ১৫০ মিটারের মধ্যে চলে আসলে হাইবিম নিভিয়ে লো-বিম জ্বালাতে হবে। অর্থাৎ বিপরীতদিক হতে আগত কোনো গাড়িকে পাস/পার হওয়ার সময় লো-বিম জ্বালাতে হবে।
৬৪. প্রশ্ন : গাড়ির ব্রেক ফেল করলে করণীয় কী ?
উত্তরঃ গাড়ির ব্রেক ফেল করলে প্রথমে অ্যাক্সিলারেটর থেকে পা সরিয়ে নিতে হবে। ম্যানুয়াল গিয়ার গাড়ির ক্ষেত্রে গিয়ার পরিবর্তন করে প্রথমে দ্বিতীয় গিয়ার ও পরে প্রথম গিয়ার ব্যবহার করতে হবে। এর ফলে গাড়ির গতি অনেক কমে যাবে। এই পদ্ধতিতে গাড়ি থামানো সম্ভব না হলে রাস্তার আইল্যান্ড, ডিভাইডার, ফুটপাত বা সুবিধামত অন্যকিছুর সাথে ঠেকিয়ে গাড়ি থামাতে হবে। ঠেকানোর সময় যানমালের ক্ষয়ক্ষতি যেনো না হয় বা কম হয় সেইদিকে সজাগ থাকতে হবে।
৬৫. প্রশ্ন : গাড়ির চাকা ফেটে গেলে করণীয় কী ?
উত্তরঃ গাড়ির চাকা ফেটে গেলে গাড়ি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে। এই সময় গাড়ির চালককে স্টিয়ারিং দৃঢ়ভাবে ধরে রাখতে হবে এবং অ্যাক্সিলারেটর থেকে পা সরিয়ে ক্রমান্বয়ে গতি কমিয়ে আস্তে আস্তে ব্রেক করে গাড়ি থামাতে হবে। চলন্ত অবস্থায় গাড়ির চাকা ফেটে গেলে সাথে সাথে ব্রেক করবেন না। এতে গাড়ি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে।
৬৬. প্রশ্ন : হ্যাজার্ড বা বিপদ সংকেত বাতি কী ?
উত্তরঃ প্রতিটি গাড়ির সামনে ও পিছনে উভয়পাশের কর্ণারে একজোড়া করে মোট দু-জোড়া ইন্ডিকেটর বাতি থাকে। এই চারটি ইন্ডিকেটর বাতি সবগুলো একসাথে জ্বললে এবং নিভলে তাকে হ্যাজার্ড বা বিপদ সংকেত বাতি বলে। বিপজ্জনক মুহূর্তে, গাড়ি বিকল হলে এবং দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় এই বাতিগুলো ব্যবহার করা হয়।
৬৭. প্রশ্ন : গাড়ির ড্যাশবোর্ডে কী কী ইন্সট্রুমেন্ট থাকে ?
উত্তরঃ ক. স্পিডোমিটার- গাড়ি কত বেগে চলছে তা দেখায়।
খ. ওডোমিটার – তৈরির প্রথম থেকে গাড়ি কত কিলোমিটার বা মাইল চলছে তা দেখায়।
গ. ট্রিপমিটার- এক ট্রিপে গাড়ি কত কিলোমিটার/মাইল চলে তা দেখায়।
ঘ. টেম্পারেচার গেজ- ইঞ্জিনের তাপমাত্রা দেখায়।
ঙ. ফুয়েল গেজ- গাড়ির তেলের পরিমাণ দেখায়।
৬৮. প্রশ্ন : গাড়িতে কী কী লাইট থাকে ?
উত্তরঃ ক. হেডলাইট, খ. পার্কলাইট, গ. ব্রেকলাইট, ঘ. রিভার্সলাইট ঙ. ইন্ডিকেটরলাইট, চ. ফগলাইট এবং ছ. নাম্বারপ্লেট লাইট।
৬৯. প্রশ্ন : পাহাড়ি ও ঢাল/চূড়ায় রাস্তায় গাড়ি কোন গিয়ারে চালাতে হয় ?
উত্তরঃ ফার্স্ট গিয়ারে। কারণ ফার্স্ট গিয়ারে গাড়ি চালানোর জন্য ইঞ্জিনের শক্তি বেশি প্রয়োজন হয়।
৭০. প্রশ্ন : গাড়ির সামনে ও পিছনে লাল রঙের ইংরেজি “খ” অক্ষরটি বড় আকারে লেখা থাকলে এরদ্বারা কী বুঝায় ?
উত্তরঃ এটি একটি শিক্ষানবিশ ড্রাইভারচালিত গাড়ি। এই গাড়ি হতে সাবধান থাকতে হবে।
৭১. প্রশ্ন : শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে গাড়ি চালানো বৈধ কী ?
উত্তরঃ ইনসট্রাক্টরের উপস্থিতিতে ডুয়েল সিস্টেম (ডাবল স্টিয়ারিং ও ব্রেক) সম্বলিত গাড়ি নিয়ে সামনে ও পিছনে “খ” লেখা প্রদর্শন করে নির্ধারিত এলাকায় চালানো বৈধ।
৭২. প্রশ্ন : ফোরহুইলড্রাইভ গাড়ি বলতে কী বুঝায় ?
উত্তরঃ সাধারণত ইঞ্জিন হতে গাড়ির পেছনের দু-চাকায় পাওয়ার (ক্ষমতা) সরবরাহ হয়ে থাকে। বিশেষ প্রয়োজনে যে-গাড়ির চারটি চাকায় (সামনের ও পিছনের) পাওয়ার সরবরাহ করা হয়, তাকে ফোরহুইলড্রাইভ গাড়ি বলে।
৭৩. প্রশ্ন : ফোরহুইলড্রাইভ কখন প্রয়োগ করতে হয় ?
উত্তরঃ ভালো রাস্তাতে চলার সময় শুধুমাত্র পেছনের দু-চাকাতে ড্রাইভ দেওয়া হয়। কিন্তু পিচ্ছিল, কর্দমাক্ত রাস্তায় চলার সময় চার চাকাতে ড্রাইভ দিতে হয়।
৭৪. প্রশ্ন : টুলবক্স কী ?
উত্তরঃ টুলবক্স হচ্ছে যন্ত্রপাতির বাক্স, যা গাড়ির সঙ্গে রাখা হয়। মোটরযান জরুরি মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও মালামাল টুলবক্সে রাখা হয়।
৭৫. প্রশ্ন : ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যতীত গাড়ি চালালে বা চালানোর অনুমতি দিলে শাস্তি কী ?
উত্তরঃ সর্বোচ্চ ৪ মাস কারাদণ্ড অথবা ৫০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয়দণ্ড (মোটরযান অধ্যাদেশ, ১৯৮৩ এর ১৩৮ ধারা)। এই ক্ষেত্রে মালিক ও চালক উভয়েই দণ্ডিত হতে পারেন।
৭৬. প্রশ্ন : গাড়িতে গাড়িতে নিষিদ্ধ হর্ন কিংবা উচ্চশব্দ উৎপাদনকারী যন্ত্র সংযোজন ও তা ব্যবহার করলে শাস্তি কী ?
উত্তরঃ ১০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা (মোটরযান অধ্যাদেশ, ১৯৮৩ এর ১৩৯ ধারা)।
৭৭. প্রশ্ন : রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, ফিটনেস সার্টিফিকেট ও রুটপারমিট ব্যতীত গাড়ি চালালে বা চালানোর অনুমতি দিলে শাস্তি কী?
উত্তরঃ প্রথমবার অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ ৩ মাস কারাদণ্ড অথবা ২০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয়দণ্ড। দ্বিতীয়বার বা পরবর্তী সময়ের জন্য সর্বোচ্চ ৬ মাস কারাদণ্ড অথবা ৫০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয়দণ্ড (মোটরযান অধ্যাদেশ, ১৯৮৩ এর ১৫২ ধারা)। এই ক্ষেত্রে মালিক ও চালক উভয়েই দণ্ডিত হতে পারেন।
৭৮. প্রশ্ন : মদ্যপ বা মাতাল অবস্থায় গাড়ি চালনার শাস্তি কী ?
উত্তরঃ সর্বোচ্চ ৩ মাস কারাদণ্ড বা ১০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয়দণ্ড। পরবর্তী সময়ে প্রতিবারের জন্য সর্বোচ্চ ২ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা ১০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয়দণ্ড এবং নির্দিষ্ট মেয়াদে ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল (মোটরযান অধ্যাদেশ, ১৯৮৩ এর ১৪৪ ধারা)।
৭৯. প্রশ্ন : নির্ধারিত গতির চেয়ে অধিক বা দ্রুত গতিতে গাড়ি চালনার শাস্তি কী?
উত্তরঃ প্রথমবার অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ ৩০ দিন কারাদণ্ড বা ৩০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয়দণ্ড। পরবর্তীতে একই অপরাধ করলে সর্বোচ্চ ৩ মাস কারাদণ্ড বা ৫০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয়দণ্ড এবং ড্রাইভিং লাইসেন্সের কার্যকারিতা ১ মাসের জন্য স্থগিত (মোটরযান অধ্যাদেশ, ১৯৮৩ এর ১৪২ ধারা)।
৮০. প্রশ্ন : বেপরোয়া ও বিপজ্জনকভাবে গাড়ি চালনার শাস্তি কী ?
উত্তরঃ সর্বোচ্চ ৬ মাস কারাদণ্ড বা ৫০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা এবং যে-কোনো মেয়াদের জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্সের কার্যকারিতা স্থগিত (মোটরযান অধ্যাদেশ, ১৯৮৩ এর ১৪৩ ধারা)।
৮১. প্রশ্ন : ক্ষতিকর ধোঁয়া নির্গত গাড়ি চালনার শাস্তি কী ?
উত্তরঃ ২০০ টাকা জরিমানা (মোটরযান অধ্যাদেশ, ১৯৮৩ এর ধারা-১৫০)।
৮২. প্রশ্ন : নির্ধারিত ওজন সীমার অধিক ওজন বহন করে গাড়ি চালালে বা চালানোর অনুমতি দিলে শাস্তি কী ?
উত্তরঃ প্রথমবার ১,০০০ পর্যন্ত জরিমানা এবং পরবর্তী সময়ে ৬ মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা ২,০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয়দণ্ড (ধারা-১৫৪)। এই ক্ষেত্রে মালিক ও চালক উভয়েই দণ্ডিত হতে পারেন ।
৮৩. প্রশ্ন : ইনসিওরেন্স বিহীন অবস্থায় গাড়ি চালনার শাস্তি কী ?
উত্তরঃ ২,০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা (মোটরযান অধ্যাদেশ, ১৯৮৩ এর ধারা-১৫৫)।
৮৪. প্রশ্ন : প্রকাশ্য সড়কে অথবা প্রকাশ্য স্থানে মোটরযান রেখে মেরামত করলে বা কোনো যন্ত্রাংশ বা দ্রব্য বিক্রয়ের জন্য সড়কে রেখে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে শাস্তি কী ?
উত্তরঃ সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা জরিমানা। অনুরূপ মোটরযান অথবা খুচরা যন্ত্র বা জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করা যাবে (ধারা-১৫৭)।
৮৫. প্রশ্ন : ফুয়েল গেজের কাজ কী ?
উত্তরঃ ফুয়েল বা জ্বালানি ট্যাংকে কী পরিমাণ জ্বালনি আছে তা ফুয়েল গেজের মাধ্যমে জানা যায়।

বৃহস্পতিবার, ২ নভেম্বর, ২০১৭

ইউটিউবের নিয়ম কানুন

আমরা যারা নতুন ইউটিউবার তারা অনেকে যানিনা ইউটিউবের নিয়ম।কানুন বা community guidelines....
আর না জানার কারনে আমরা যেসব ভিডিও আপ করি ওইগুলোতে Ad বা বিজ্ঞাপন show করে না। অথবা অনেকের চেনেল suspended হয়ে যায়।
চলুন দেখে নি কোন কোন বিষয়গুলো আমাদের মাথায় রাখতে হবে!
ইউটিউব কমিউনিটি গাইডলাইন নিয়ে সবচেয়ে ভালোভাবে লেখা আছে ইউটিউবের নিজস্ব ব্লগে। আমি সেই লেখা অবলম্বনে পুরো ব্যাপারটা আপনাদের জন্য সম্পূর্ণ বাংলায় তুলে আনছি। প্রায়ই দেখা যায় চ্যানেল সাসপেন্ড হচ্ছে, এর কারণ Community guideline এর violation. আপনি যদি ইউটিউবার হোন বা, ভবিষ্যতে হতে চান তাহলে অবশ্যই ভাল করে এই কমিউনিটি গাইডলাইন জেনে নেবেন।ইউটিউব কমিউনিটিকে সম্মান করতে শিখুন আপনি নিশ্চয়ই একটি সমাজ এবং একটি পরিবারের সদস্য। আপনার চারপাশের মানুষগুলোর সাথে আচরণের ক্ষেত্রে আপনাকে কিছু আচরণবিধি এমনিতেই মেনে চলতে হয়। ইউটিউবেওঅনেক বড় একটি সম্প্রদায়ের মত। এখানে যা খুশী তাই করতে পারবেন না। চলুন দেখে নেয়া যাক কি কি করা যাবে না-
নগ্নতা এবং যৌনতা পরিহার করুন:এটা কোন পর্ণ সাইট না, এখানে আপনি শিক্ষামূলক, বিনোদনমূলক কিংবা শৈল্পিক মাণসম্পন্ন ভিডিউ আপলোড করতে পারবেন কিন্তু নগ্নতা বা, যৌনতা এখানে একেবারেই নিষিদ্ধ
সহিংস বা, রক্তাক্ত কিছু চলবে না:এটা হতাশা এবং অসম্মানজনক। লোকজনকে সহিংস করে তোলে এমন কিছু ইউটিউবেশেয়ার করা যাবে না। অন্যদেরকে কোনভাবে অপরাধে উদবুদ্ধকরবেন না।
এটা ঘৃণা ছড়ানোর জায়গা নয়:প্রায়শই এই কাজটি এক শ্রেণীর বিকৃত রুচির মানুষদের করতে দেখা যায়। কোন ব্যক্তি, গোষ্ঠী, ধর্ম, বর্ণ, লিংগ, বয়স, যৌন পরিচয় এর ভিত্তিতে কারো প্রতি এই ধরণের ঘৃণা ছড়াতে পারবেন না। আপনার প্রাথমিক উদ্দেশ্য যদি হয় এই ধরণের কাজ করা, তাহলে ইউটিউব থেকে দূরে থাকুন।
স্প্যামিং এবং ভূল ট্যাগ বা, নাম দেয়া: ভিডিওর টাইটেল এবং ট্যাগ অবশ্যই প্রাসংগিক হতে হবে। একটি উদাহরণ না দিয়ে পারছি না, প্রচন্ড জনপ্রিয় একটি চ্যানেল আছে আমাদের দেশে নাম Mojar Tv. ওরা একটি ভিডিওর নাম দিয়েছে Dhaka attack full movie|……. আর ঐ ভিডিওতে আছে শুধু সাক্ষাতকার, আপনি যাবেন সিনেমা দেখতে পাবেন সাক্ষাতকার। এটাকেই বলা হয় Misleading Title. এটা থেকে নিজেকে দূরে রাখবেন। ট্যাগেও অপ্রাসংগিক কিছু দিবেন না।
ক্ষতিকর এবং ভয়ংকর কনটেন্ট:এমন কোন ভিডিও দেবেন না, যামানুষের জন্য ক্ষতিকর। যেমন: কিছু শিক্ষামূলক এডাল্ট কনটেন্ট আছে যা, শিশুদের জন্য ক্ষতিকর। এগুলোকে Age restricted করে দিতে হবে।
কপিরাইট:জেমস আপনার উপভোগের জন্য গান তৈরি করেন, ঐ গানথেকে আয় করার কোন অধিকার আপনার নেই। এরকম বিখ্যাত শিল্পিদের গান, নাটক বা, অন্য যেকোন ডিজিটাল প্রডাক্ট আপনার চ্যানেলে অনুমতি ছাড়া আপলোড করা অপরাধ, এর জন্য জেল জরিমানা হতে পারে। ইউনিক কন্টেন্ট নিজে তৈরি করুন।
থ্রেট বা, অন্যদের প্রাইভেসি নষ্ট করা: অন্যকে থ্রেট দেয়া, অপরাধ করার জন্য উসকে দেয়া বা, কারো ব্যক্তিগত তথ্য সবার কাছে অনুমতি ছাড়া তুলে ধরা অপরাধ। Prank এরনামে কিছু ইউটিউব চ্যানেল এই কাজগুলো করছে। ইউটিউব থেকে আপনি permanently banned হতে পারেন।ইউটিউব এর কাছে অভিযোগ করুনএই সব গাইডলাইন ভংগ না করলেও ভূল করে আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ youtube আনতে পারে, সেক্ষেত্রে ওদের কাছে আবেদন করুন আপনার strike তুলে নেয়া হবে।আর, আপনি যদি কোন ভিডিওতে এমন কিছু দেখে থাকেন, তাহলে ইউটিউবের কাছে রিপোর্ট করুন। ওরা সেটা ভালোভাবে দেখে ঐ ভিডিও creator এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।
শেষ কথা: শিক্ষা এবং বিনোদনের জন্য বৈধভাবে ইউটিউব ব্যবহার করুন, সুনাম এবং টাকা দুটোই পাবেন। ছলচাতুরী করে পাওয়া সফলতা সাময়িক, দ্রুত মোহভংগ ঘটবে। আমার দেয়াতথ্যগুলো youtube এর সোর্স থেকে যাচাই করে তারপর বিশ্বাস করবেন। আপনার সফলতা কামনা করছি।
ধন্যবাদ। Happy youtubing....

বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

আপনার এন্টি ভাইরাস কি সত্যিই কাজ করছে?


  • আপনার এন্টি ভাইরাস কি সত্যিই কাজ করছে? নাকি আপনার অজান্তেই এন্টি ভাইরাস থাকা সত্বেও ভাইরাসরা বিচরন করছে আপনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গুলোতে।

যাকে আপনার প্রান প্রিয় এন্টি ভাইরাস ভাবছেন সে কাল সাপ নাতো? ছলনাময়ী এই এন্টি ভাইরাস মিথ্যা প্রত্যাশা দিয়ে আপনাকে প্রতারনা করছে নাতো? ১ মিনিটে নিজেই প্রমান করে নি  ভাইরাসের কার্যক্ষমতা সম্পর্কে। 

প্রথমে নোটপেড চালু করুন। এবার নিচের কোডটি একটা নোটপেডে সেভ করে যেকনো নাম দিন।যদি এই ফাইলটা আপনার এন্টি ভাইরাস ধরতে পারে ভাইরাস হিসাবে এবং এই ফাইলটা যদি রিনেম অথবা ডিলিট করতে পারে থাহলে বুঝে নিবেন আপনার এন্টি ভাইরাসটি সত্যি কাজের।



X5O!P%@AP[4\PZX54(P^)7CC)7}$EICAR-STANDARD-ANTIVIRUS-TEST-FILE!$H+H*

আর যদি না ধরতে পারে তাহলে বুঝে নিবেন এই এন্টি ভাইরাসের উপর ভরসা 
রাখা মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ এটা কোন ভাইরাস কোড নয়, শুধুমাত্র একটি ভাইরাসের লজিক। এবং এটি আপনি চাইলে যে
 কোন সময় পিসি থেকে ডিলেট ও করে দিতে পারবেন।

রবিবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৭

আপনার কম্পিউটার ২৪/৭ চালু রাখলে কি হবে? কোনটি ভালো, কাজ শেষে অফ করা? নাকি সবসময় অন করেই রাখা?

পনি যখন কম্পিউটার ব্যবহার করেন তখন অন করেন আবার কাজ না থাকলে কম্পিউটার অফ করে দেন। কিন্তু যদি সবসময়ই আপনার কম্পিউটার অন করে রাখেন, সেক্ষেত্রে কি কোন সমস্যা হবে? যদি আপনি একজন গেমার হোন, সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই অনেক বড় বড় সাইজের গেম ডাউনলোড করতে হয়, হতে পারে আপনার ইন্টারনেট স্পীড তেমন ফাস্ট নয় (সর্বোপরি আমরা বাংলাদেশে বাস করি) —আর এই ক্ষেত্রে আপনার কম্পিউটার’কে ২-৩ দিন একটানা অন করে রাখার প্রয়োজন পড়তে পারে। অনেকে তাদের কম্পিউটার অফ করতেই চান না। আবার অনেকে কাজ না থাকলেই কম্পিউটার বন্ধ করে দেন ভয়ে, “হাই রে, অনেকক্ষণ ধরে কম্পিউটার’টা অন আছে, এই বুঝি কি নষ্ট হলো!” তো সঠিক সিদ্ধান্ত কোনটি? এই আর্টিকেল থেকে এই প্রশ্নের উত্তরটিই খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করবো…

কেন কম্পিউটার সবসময় অন রাখবেন বা অফ করবেন?

কম্পিউটার অফ আপনার কম্পিউটার ২৪/৭ চালু রাখলে কি হবে? কোনটি ভালো, কাজ শেষে অফ করা? নাকি সবসময় অন করেই রাখা?
দেখুন, আপনি হয়তো জেনে খুশি হবেন, আপনি চাইলে আপনার কম্পিউটার’কে অন/অফ করেও ব্যবহার করতে পারেন আবার আপনি চাইলে ২৪/৭ অন রেখেও কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারেন। এতে কোনই সমস্যা নেই, তবে আপনাকে কিছু ব্যাপার অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে। যদি ২৪/৭ কম্পিউটার অন করে রাখতে চান, সেক্ষেত্রে অবশ্যই একটি ইউপিএস থাকা প্রয়োজনীয় হবে। তবে আগেই বলে নিচ্ছি, কম্পিউটার অন/অফ করে ইউজ করা বা সর্বদা অন করে রেখে ইউজ করা; উভয় ক্ষেত্রেই কিছু সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে। এই আর্টিকেলে আমি সকল বিষয় গুলোকে কভার করার চেষ্টা করেছি, এবং আশা করছি আপনি আপনার উত্তর পেয়ে যাবেন। এই ব্যাপারে অনলাইন রিসার্স করার সময়, অনেক বিশেষজ্ঞ’দের মতামত দেখেছি।
এক কম্পিউটার গীকের মতে, কম্পিউটার অন/অফ করে ব্যবহার করবেন, নাকি সারাদিন রাত অন করে রাখবেন, সেটা নির্ভর করে আপনার কম্পিউটার ব্যবহার করার অভ্যাসের উপর। যদি আপনি সারাদিনে ১ ঘণ্টা বা ২ ঘণ্টা কেবল কম্পিউটার ব্যবহার করেন, সেক্ষেত্রে অবশ্যই অপ্রয়োজনের সময় কম্পিউটার অফ করে দেওয়াই ভালো হবে। আর যদি আপনি দিনে কয়েকবার কম্পিউটার ব্যবহার করেন, বা একটানা ৫-৬ ঘণ্টার উপর কম্পিউটার ব্যবহার করেন, সেক্ষেত্রে কম্পিউটার ২৪/৭ অন করে রাখায় ভালো হবে। দেখুন, যদি টেকনিকালি কথা বলি, আর সেখানে যদি আপনার কম্পিউটার হেলথ নিয়ে কথা আসে, তো অবশ্যই সবসময় আপনার কম্পিউটার’কে অন করে রাখায় ভালো সিদ্ধান্ত। যখন আপনি দিনের মধ্যে কয়েকবার কম্পিউটার অন/অফ করবেন; অন হওয়ার সময় কম্পিউটার হীট জেনারেট করে, আর হীট সত্যিই ইলেকট্রনিক ডিভাইজের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর ব্যাপার।
তবে আপনার কম্পিউটারে কিছু এমন যন্ত্রাংশ রয়েছে, যেগুলো জীবন সীমা লিমিটেড। যেমন, হার্ড ড্রাইভ, এসএসডি, ডিস্ক ড্রাইভ —ইত্যাদি। যদি আপনার এলসিডি প্যানেল মনিটর‘কে ২৪/৭ অন করে রাখেন, তো সেটা কেবল ২ বছর পর্যন্তই কাজ করবে। আবার ডেস্কটপ হার্ড ড্রাইভ গুলোকে প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা চলার জন্য তৈরি করা হয়। যদি ২৪ ঘণ্টা সেটা’কে চালান সেক্ষেত্রে গড় আয়ু কমে যাবে। যদিও এন্টারপ্রাইজ ড্রাইভলাগানো থাকলে সেটা ২৪/৭ চলার জন্য প্রস্তুত। সাথে আপনার ল্যাপটপের ব্যাটারির লাইফও সীমিত হয়ে থাকে। অপর’দিকে যদি আপনার বিদ্যুতের সমস্যা থাকে, সেক্ষেত্রে অবশ্যই সবসময় কম্পিউটার অন রাখা ভালো বুদ্ধি হবে না। পাওয়ার ফেইলর আপনার কম্পিউটারের অনেক গুরুতর সমস্যা তৈরি করতে পারে। হতে পারে আপনার হার্ড ড্রাইভে ব্যাড সেক্টর তৈরি করে দেবে। তো অবশ্যই একটি ইউপিএস থাকা প্রয়োজনীয়, যেটা কারেন্ট’কে সর্বদা নিয়ন্ত্রিত রাখে, আচানক কারেন্ট চলে যাওয়া বা হাই ভোল্টেজ লো ভোল্টেজ প্রবলেম থেকে রক্ষা করবে।

কম্পিউটার অফ করার সুবিধা/অসুবিধা

কম্পিউটার ২৪/৭ অন আপনার কম্পিউটার ২৪/৭ চালু রাখলে কি হবে? কোনটি ভালো, কাজ শেষে অফ করা? নাকি সবসময় অন করেই রাখা?
প্রথমে কম্পিউটার শাটডাউন করার সুবিধা নিয়ে আলোচনা করে নেওয়া যাক। দেখুন, কম্পিউটার সর্বদা অন করে রাখা মানে কিন্তু অনেক পাওয়ার কনজিউম করা। অঝথাই আপনার অনেক বৈদ্যুতিক বিল চলে আসবে। প্রয়োজনের সময় কম্পিউটার অন আর প্রয়োজন শেষে কম্পিউটার অফ করার মাধ্যমে আপনি অনেকটা এনার্জি সেভ করতে সক্ষম হবেন। প্রতিনিয়ত কম্পিউটার শাটডাউন করার মাধ্যমে লিমিটেড লাইফের হার্ডওয়্যার যেমন হার্ড ডিস্ক, এসএসডি, মনিটর, ডিস্ক ড্রাইভ ইত্যাদির লাইফ টাইম বাড়ানো যেতে পারে। যদিও শুধু কম্পিউটার শাটডাউন করলেই হবে না, যন্ত্রাংশ গুলোর লাইফ টাইম বৃদ্ধি করার জন্য অবশ্যই আপনাকে সেগুলোকে নিয়মিত মুছতে হবে এবং ধুলোবালি থেকে পরিষ্কার রাখতে হবে। তাছাড়া অপ্রয়োজনের সময় আপনার কম্পিউটার’কে শাটডাউন করলে বৈদ্যুতিক সমস্যা, বাজ পড়া, লো/হাই ভোল্টেজ প্রবলেম থেকে আপনার কম্পিউটার’কে বাঁচানো সম্ভব হবে।
যদি কথা বলি অসুবিধা নিয়ে, তো প্রত্যেকবার কম্পিউটার অফ করার পরে আবার সময় ধরে কম্পিউটার অন হওয়া অনেকের জন্যই বিরক্তিকর ব্যাপার হতে পারে। আপনি ইনস্ট্যান্টলি আপনার কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারবেন না, আপনাকে প্রথমে বিরক্তিকর অন হওয়ার প্রসেস কমপ্লিট করতে হবে। কম্পিউটার অন হওয়ার সময় অনেক হীট জেনারেট করে, ফলে প্রসেসর, র‍্যাম, জিপিইউ ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। বারবার পাওয়ার অন/অফ আপনার কম্পিউটারের হার্ড ড্রাইভ, অপটিক্যাল ড্রাইভ, প্রিন্টার ইত্যাদিরও ক্ষতি করতে পারে।

কম্পিউটার ২৪/৭ চালু রাখার সুবিধা/অসুবিধা

আপনার কম্পিউটার ২৪/৭ চালু রাখলে কি হবে? কোনটি ভালো, কাজ শেষে অফ করা? নাকি সবসময় অন করেই রাখা?
কম্পিউটার সবসময়ই অন রাখার আসল সুবিধা হচ্ছে, আপনার কম্পিউটার সর্বদা যেকোনো কিছু করার জন্য রেডি থাকে। জাস্ট আপনার মেশিনের সামনে বসে পড়ুন আর যা ইচ্ছা কাজ করতে আরম্ভ করে দিন। হ্যাঁ, কম্পিউটার সর্বদা অন রাখার জন্য হয়তো আপনার ইলেক্ট্রিসিটি বিল বেড়ে যাবে, কিন্তু আপনার প্রয়োজনই যদি সেই রকমের হয়ে থাকে, তো এখানে বিল কোন ব্যাপার নয়। কম্পিউটার সবসময় অন রাখার আরেকটি সুবিধা হচ্ছে, আপনি যখন ঘুমিয়ে থাকবেন, তখনো আপনার কম্পিউটার আপনার টাস্ক গুলো পুরন করার কাজে নিয়োজিত থাকবে। আপনি ফাইল ডাউনলোড, আপলোড, ব্যাকআপ, ভিডিও এনকোডিং, গ্রাফিক্স রেন্ডারিং ইত্যাদি কাজে কম্পিউটার’কে লাগিয়ে রাখতে পারবেন। মানে আপনি বসে বা শুয়ে রেস্ট করবেন, কিন্তু আপনার কম্পিউটার আপনার হয়ে কাজ করেই যাবে। সাথে আপনার কম্পিউটার সর্বদা আপডেটেড থাকবে, সবসময়ই লেটেস্ট অপারেটিং সিস্টেম আপডেট, এন্টিভাইরাস আপডেট স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার কম্পিউটারে অ্যাপ্লাই হয়ে যাবে, আর আপনি অনেক বড় সিকিউরিটি রিস্ক থেকে বেঁচে যাবেন।
যদি কথা বলা হয় ২৪/৭ কম্পিউটার অন রাখার অসুবিধা নিয়ে, সেক্ষেত্রে হেভি ইউজ করার জন্য অবশ্যই আপনার ইলেক্ট্রিসিটি বিল অনেক বেড়ে যাবে। যদি আপনার সেই পরিমানের কোন কাজ না থাকে তো এতে আপনার অনেক টাকার অপচয় ঘটতে পারে। সাথে সর্বদা কম্পিউটার অন রেখে অনেক সফটওয়্যার রান করিয়ে রেখে যদি কোন কারণে আপনার কম্পিউটার রি-বুট করার দরকার হয়, সেক্ষেত্রে আপনাকে অনেক ঝামেলা পোহাতে হবে। সফটওয়্যার গুলোকে বন্ধ করে দেওয়া বা টাস্ক গুলোকে সাসপেন্ড করে দেওয়া সত্যিই অনেক ঝামেলার ব্যাপার হতে পারে। ম্যাক ওএস এক্স এ অ্যাডভান্স ফিচার রয়েছে, কম্পিউটার রিবুট করার পরেও সকল কাজ গুলোকে রিজিউম করা যায়।

এবার আসা যাক শেষ সিদ্ধান্তে, আপনার কম্পিউটার’কে অফ করা যাবে, এতে কোন ক্ষতি হবে না তো? —হ্যাঁ অবশ্যই আপনার কম্পিউটার’কে অফ করতে পারবেন, আগেই বলেছি যদি আপনি কম্পিউটার খুববেশি ব্যবহার না করেন, তো অফ করে রাখায় ভালো হবে। এতে অনেক হার্ডওয়্যারের লাইফ টাইম বৃদ্ধি পাবে।
যদি আপনার কম্পিউটার’কে ২৪/৭ অন করেই রাখেন সেক্ষেত্রে কি হবে? কোন ক্ষতি হবে না তো? না, কোনই ক্ষতি হবে না। তবে অবশ্যই পাওয়ারের বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে, সাথে কম্পিউটার কুলিং সিস্টেম ঠিকঠাক থাকতে হবে, আর আমার মতে ওয়্যারান্টি পার হয়ে যাওয়ার পরে কম্পিউটার সবসময় অন করে রাখায় ভালো হবে। তারপরও সবকিছুই নির্ভর করে আপনার চাহিদা এবং আপনার অভ্যাসের উপর। আশা করছি, আর্টিকেলটি আপনার জন্য যথেষ্ট সাহায্য পূর্ণ ছিল।

সোমবার, ৭ আগস্ট, ২০১৭

রাগ নিয়ন্ত্রণ !!! স্টেপ বাই স্টেপ প্রক্রিয়া

বর্তমান প্রজন্মের কিশোর ও তরুণদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট...
রাগ খুবই স্বাভাবিক একটি আবেগ এবং এটি স্বাস্থ্যকরও, তবে যতক্ষণ এর ওপর তোমার নিয়ন্ত্রণ আছে তক্ষণই এটা ভাল। যখনি দেখবে রাগ তোমার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে, তখন তোমার নিজেকে এবং আশেপাশের মানুষদের নিরাপদে রাখার জন্য তোমাকে একটা কিছু করতে হবে।
রাগ নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে তোমার যা যা জানা প্রয়োজন তার সবই এখানে বলা আছে। তুমি কিভাবে বুঝতে পারবে তোমার রাগ নিয়ন্ত্রণের সমস্যা আছে কি না? থাকলে কি করতে হবে, আর কি করা যাবে না?
তোমার কি রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে সমস্যা হচ্ছে?
------------------------------------------------------------
যদি তোমার রাগ নিয়ন্ত্রণে সমস্যা হয়, তাহলে সবচেয়ে ভালো সাহায্য তুমি তখনি পাবে যখন সেটা স্বীকার করবে। তোমাকে এটা মেনে নিতে হবে যে তোমার রাগ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে এবং সেটাকে প্রতিহত করার উপায়ও তোমাকে নিজেকেই খুঁজতে হবে। তুমি নিচের প্রশ্নগুলো নিজেকে করে দেখতে পারো -
১। কেউ তোমার মতের বিরুদ্ধে গেলেই কি তোমার শান্ত থাকা কঠিন হয়ে পড়ে?
২। তোমার পরিবারের সদস্যরা কি তোমার সঙ্গে দ্বন্দ্ব এড়িয়ে চলে, কিংবা তারা কি তোমার রাগ নিয়ে ভীত থাকে?
৩। প্রচণ্ড রাগের বশে কি তুমি জিনিসপত্র (যেমন, গ্লাস, টেবিল, চেয়ার, ছাইদানি ইত্যাদি) ভেঙ্গে ফেলো কিংবা দেয়ালে জোরে ঘুষি মারো বা কখনো মেরেছো?
৪। রাগের মাথায় তুমি কি কখনো কারো গায়ে হাত তুলেছো, চড় মেরেছো বা আঘাত করেছো?
৫। যদি তোমাকে কোনো কথার মাঝখানে থামিয়ে দেয়া হয় বা সমালোচনা করা হয়, তাহলে কি তুমি রেগে যাও?
৬। ধরা যাক, কেউ তোমাকে কিছু বললো বা এমন কিছু করলো যার কারণে তুমি অনেক কষ্ট পেলে কিন্তু সে সময় তাকে কিছু বললে না। পরে কি তুমি 'তাকে কি বলতে পারতে' বা ' তাকে তখন আসলে কি বলা উচিত ছিলো' সেটা ভেবে মনে মনে গজগজ করে সময় পার করো?
৭। কেউ যদি তোমার সাথে কোনো ভুল করে, তাহলে কি তুমি তাকে সহজে ক্ষমা করতে পারো না?
৮। যখন তোমার প্রচণ্ড রাগ হয়, কিংবা তুমি প্রচণ্ড হতাশ বা আহত বোধ করো তখলে কি রাগ প্রশমনের জন্য তোমার খাওয়া-দাওয়ার মাত্রা বেড়ে যায়, কিংবা তুমি কি অ্যালকোহল বা অন্য কোনো মাদক ব্যবহার করে নিজের রাগ কমাতে চাও?
৯। অনিয়ন্ত্রিত রাগের জন্য কি তোমার কাজের অসুবিধা হয়?
১০। তুমি কি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রেগে যাওয়ার জন্য আবার নিজের অপর প্রচণ্ড রাগ অনুভব করো?
যদি তোমার বেশিরভাগ প্রশ্নের উত্তরই 'হ্যাঁ' হয়, তাহলে বুঝতে হবে যে তোমার রাগ নিয়ন্ত্রণের সমস্যা আছে এবং এ ব্যাপারে তোমাকে এখনই কিছু করতে হবে।
কেন রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে?
-----------------------------------------
অনেক কম বয়সে রাগ নিয়ন্ত্রনহীনতার সমস্যা হলে সেখান থেকে অনেক স্বাস্থ্যজনিত সমস্যাও হতে পারে। আবেগের সাথে কিন্তু তোমার শরীরের সম্পর্ক ওতপ্রোত। রাগের কারণে তোমার শরীরে এমন কিছু পরিবর্তন হয়, যা থেকে নিচের বিষয়গুলো ঘটতে পারে -
1) উচ্চ রক্তচাপ
2) হজমে সমস্যা
3) কোমরের নিম্নদেশে দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা
4) হার্ট অ্যাটাক
5) ঠাণ্ডা ও সর্দি
তাছাড়া তোমাকে কিন্তু তোমার মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাপারেও চিন্তা করতে হবে। নিয়ন্ত্রনহীন রাগের কারণে বিষণ্ণতা, অস্বাভাবিক খাদ্যাভ্যাস, মাদকাসক্তি, কারো সাথে সম্পর্ক তৈরিতে সমস্যা এবং আত্মহত্যার প্রবণতা তৈরি হতে পারে।
যেসব কিশোর-কিশোরীর রাগ নিয়ন্ত্রণের সমস্যা থাকে তাদের কিন্তু বন্ধু সংখ্যাও খুব কম থাকে। তাদের আচরণ অনেক নেতিবাচক হয়, এবং পরীক্ষাতেও তারা ভালো গ্রেড পায় না। তাদের এরকম রাগের কারণে তারা অন্যের যথেষ্ট মনোযোগ পায় ঠিকই, কিন্তু তারপরও তারা সবসময় একা বোধ করে এবং অখুশি থাকে।
যদি তুমি প্রচণ্ড রাগের কারণে আক্রমনাত্নক আচরণ করো, তাহলে দেখবে তোমার বন্ধুবান্ধব আর পরিবারের সদস্যরা তোমার কারণে বেশ ভীত থাকছে। তারা হয়তো তোমার সাথে খোলামেলাভাবে কথাও বলতে পারবে না, এবং ধীরে ধীরে হয়তো তাদের সাথে তোমার দূরত্ব তৈরি হবে। যদি রাগের মাথায় জিনিসপত্র ছোঁড়াছুঁড়ির অভ্যাস থাকে তোমার, তাহলে কারো বিপদ ঘটিয়ে ফেলার আগেই কারো সাহায্য নাও।
কিভাবে বুঝবে যে তোমার রাগ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে?
-------------------------------------------------------------------------
এবার একটু পেছনের কথা চিন্তা করো। এমন একটা ঘটনার কথা ভাবো, যেখানে তোমার প্রচণ্ড রাগ উঠেছিলো। তখন তোমার কেমন লেগেছিলো? কি এমন হয়েছিলো যে তোমার অত রাগ হয়েছিলো? রাগ হলে একেকজনের আচরণ একেকরকম হয়, কিন্তু কিছু বিষয়ে সাদৃশ্য থাকে, যেমন -
1) তোমার হৃদস্পন্দনের গতি বেড়ে যায়
2) তোমার শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত গতিতে চলতে থাকে
3) তোমার মুষ্টি বদ্ধ হয়ে যেতে থাকে
4) তোমার মনে হতে থাকে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে এবং মনে হয় ঘামতে শুরু করবে
এভাবেই তোমার শরীর অনিয়ন্ত্রিত রাগের জন্য প্রস্তুত হতে থাকে।
কিন্তু তুমি ভেবে দেখো, নির্দিষ্ট কিছু পরিস্থিতিতেই কিন্তু তোমার এমন রাগ হয় যে তুমি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলো। তুমি যদি সেটা চিহ্নিত করতে পারো, তাহলে কিন্তু সেরকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে সেই ঘটনা তোমাকে নিয়ন্ত্রণ করার আগেই তুমি নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আসতে পারবে। তোমাকে এটা মনে রাখতে হবে যে তোমার চিন্তা, অবস্থা, আচরণ সবকিছুই পরস্পর সম্পর্কিত। তুমি যেটা চিন্তা করো, সেটা তোমার অনুভূতিকে প্রভাবিত করে, আবার সেই অনুভূতিই কিন্তু তোমার আচরণের ওপর প্রভাব ফেলে। আবার উল্টোভাবে, তোমার আচরণের কারণেও কিন্তু তোমার চিন্তায় প্রভাব পড়তে পারে, আবার তা থেকে তোমার অনুভূতিও প্রভাবিত হতে পারে। যেহেতু, এগুলা সবই একটা আরেকটার সাথে সংযুক্ত, একটাতে পরিবর্তন আনলেই কিন্তু অন্যগুলোর মধ্যেও বড় পরিবর্তন আসবে - সেটা চিন্তাই হোক, অনুভূতিই হোক আর আচরণই হোক।
কিভাবে তুমি রাগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারো ?
-----------------------------------------------------
যখনি তোমার মনে হবে রাগ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে এবং শরীরের ভেতরে বিক্রিয়াগুলো শুরু হয়ে গেছে, তখন যা যা করতে পারো -
1) ধীরে এবং লম্বা করে শ্বাস নাও এবং তার চেয়ে বেশি সময় নিয়ে শ্বাস ছাড়ো। তোমার শ্বাস-প্রশ্বাস শিথিল করতে এটা সাহায্য করবে।
2) এক থেকে দশ পর্যন্ত গোনো। এটা তোমাকে শান্ত হবার সময় দেবে এবং সেই সময়টুকুতে তুমি পরিষ্কারভাবে চিন্তাও করতে পারবে,
3) মনে মনে বার বার বলো, ' আমি নিয়ন্ত্রণে আছি'।
4) শরীরের পেশীগুলোকে শক্ত করার চেষ্টা করো এবং নিজেকে শান্ত করার চেষ্টা করো। তাতে কি পরিবর্তন হচ্ছে সেটা অনুভব করার চেষ্টা করো।
5) চোখ বন্ধ করে পছন্দের কোনো ব্যক্তি, স্থান বা এমন কিছুর কথা ভাবো যা তোমাকে আনন্দ দেয়। এটা তোমাকে শান্ত হতে সাহায্য করবে।
6) যে কারণে রাগ হচ্ছে, ওই পরিস্থিতি থেকেই বের হয়ে আসো। সেখান থেকে নিজেকে সরিয়ে নাও। তাতেও হয়তো তোমার রাগ কিছুটা প্রশমিত হবে।
7) শারীরিক যে টেনশনটা হচ্ছে সেটাকে ছেড়ে দাও। যদি তোমার মনে হয় যে কোনো কিছুতে আঘাত করলে তোমার ভালো লাগবে, তাহলে ম্যাট্রেসে আঘাত করো। যদি তোমার প্রচণ্ড চিৎকার করতে ইচ্ছা হয়, তাহলে বালিশে মুখ গুঁজে চিৎকার করতে পারো।
যদি তোমার দীর্ঘমেয়াদী সাহায্যের প্রয়োজন হয়
----------------------------------------------------------------
অনেকেরই এটা মেনে নিতে সমস্যা হয় যে তাদের অনিয়ন্ত্রিত রাগের সমস্যা আছে এবং তারা ক্রমাগতই আরও ক্রোধাতুর ও আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতে থাকে। তোমার যদি এরকম সমস্যা থাকে এবং সেটা যদি তুমি চিহ্নিত করতে পারো, এবং রাগের লক্ষণগুলোও যদি ধরে ফেলতে পারো, তাহলে কিন্তু তুমি নিজেই নিজেকে সাহায্য করতে পারো এবং কাউকে বলতেও পারো তোমাকে নির্দেশনা দেবার জন্য।
কিছু পরামর্শ, যা তোমার জন্য সহায়ক হতে পারে -
1) ব্যায়াম - তোমার মানসিক চাপ কমানোর জন্য দৌড়ানো, হাঁটা, সাঁতার কাটা, যোগব্যায়াম কিংবা অন্যান্য মেডিটেশন টেকনিক সহায়ক হতে পারে। ব্যায়ামের ফলে শরীর থেকে এনডোরফিনস (Endorphines) নিঃসৃত হয়, যা এরকম মুহুর্তে তোমার শরীরকে শিথিল করতে সাহায্য করবে এবং তোমার রাগকে প্রশমিত করবে।
2) নিজের প্রতি যত্নশীল হও - প্রতিদিন নিজের বিশ্রামের জন্য একটু হলেও সময় বের করো এবং যথেষ্ট পরিমাণ ঘুমাও। মাদক বা অ্যালকোহল এর ব্যবহার কিন্তু তোমার রাগের অনুভূতিকে না কমিয়ে বরং আরও ঘনীভূতই করবে কেবল। সে কারণেই যত রাগই হোক, অগ্রহণযোগ্য কিছু করা যাবে না মোটেই।
3) সৃষ্টিশীল কিছু করো - লেখালেখি, গান, নাচ বা ছবি আঁকা তোমার টেনশনকে প্রশমিত করার জন্য সহায়ক হতে পারে।
4) মন খুলে কথা বলো - এরকম হলে আস্থাশীল কারো সাথে কথা বলো বা দেখা করো। সে তোমার বন্ধু হতে পারে, আত্মীয় হতে পারে, শিক্ষক হতে পারে এমনকি তোমার পরিচিত এমন কেউ হতে পারে যাকে তুমি ভালো শ্রোতা বলে ভাবো। এমনকি, তুমি চাইলে কোনো কাউন্সেলরের সাথে কথা বলতে পারো, তোমার অনুভূতিকে বুঝে নিয়ে তার নিয়ন্ত্রণের জন্য কি কৌশল অবলম্বন করা উচিত সে ব্যাপারে তার কাছ থেকে সাহায্য নিতে পারো। তোমার অনুভূতিগুলো আরেকজন বন্ধুকে জানালেও তোমার উপকার হতে পারে। তাতে হয়তো তুমি ঘটনার ভিন্ন একটা দৃষ্টিভঙ্গি পাবে।
5) দৃষ্টিভঙ্গিটা পাল্টাও - 'এটা একদমই ঠিক হলো না', কিংবা ' এরকম মানুষের চোখের সামনে থাকাই ঠিক না' জাতীয় চিন্তা- ভাবনা থেকে নিজেকে সরিয়ে নেবার চেষ্টা করো কারণ এগুলা পরিস্থিতিকে আরও নিয়ন্ত্রণের বাইরে নিয়ে যায়। এসব চিন্তা তোমাকে রাগের উৎসের দিকেই নিবিষ্ট করে রাখবে। বরং, এসব চিন্তা যদি মন থেকে ঝেড়ে ফেলতে পারো, তাহলে দেখবে যে রাগ নিয়ন্ত্রণ করা অনেক সহজ হয়ে গেছে।
6) 'সবসময়' (সবসময়ই তুমি এমন করো), ' কখনোই নয়' (কখনোই তুমি আমার কথা শোনো না) , ' উচিৎ/ উচিৎ নয়' (আমি যা চাই তোমার তাই করা উচিৎ/ আমার চোখের সামনেই তোমার থাকা উচিৎ নয়) , 'অবশ্যই/ অবশ্যই নয়' ( আমাকে অবশ্যই সময়মতো যেতে হবে/ আমি অবশ্যই সময়মত যেতে পারবো না) জাতীয় শব্দগুলো যত কম ব্যবহার করা যায় ততোই ভালো।
7) বিশ্রাম নাও - রাগের কারণে আমাদের অনেক শক্তি ক্ষয় হয় এবং তা আমাদেরকে ক্লান্ত করে দেয়। এক্ষেত্রে একটু বিশ্রাম নেয়া, ঘুমানো বা তাড়াতাড়ি শুতে যাওয়া সহায়ক হতে পারে। ঘুম আমাদেরকে কোনো কিছুতে নিবিষ্ট হতে এবং অনুভূতিকে সামাল দিতে সাহায্য করে।
8) মজা করো - যখন তোমার অনেক রাগ হবে, তখন রাগের পরিস্থিতি বা বিষয়টাকেই কৌতুককর দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখতে পারলে রাগ নিয়ন্ত্রণ অনেক সহজ হয়ে যায়। যেমন, মনে করো, তোমার খুবই একটা বাজে দিন গেলো। সেদিন হয়তো তোমার কোনো কাজই ঠিকমতো হয়নি। যেখানে তুমি যদি নিজেকে পরিস্থিতির শিকার ভেবে আরও রাগ না করে উল্টো নিজেকে একটা মজার চরিত্র হিসেবে ভেবে নিতে পারো, তাহলেই কিন্তু রাগকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। যেমন ধরো, তুমি নিজেকে সাউথ পার্ক-এর একজন চরিত্র হিসেবে ভাবো। তাহলে ওরকম পরিস্থিতিতে কি হবে? তখন যদি কোনোকিছুই ঠিকমতো না হয় এবং সারাদিন এরকম চলতেই থাকে, তাহলে তুমি হতাশ হবার বদলে সেটাকে একটা কৌতুক হিসেবে দেখবে এবং তাতে তোমার প্রচণ্ড রকমের রাগও হবে না। যদি এভাবে ভাবতে পারো যে জীবনে কোনো কিছুকেই খুব সিরিয়াসভাবে নেয়ার কিছু নেই, তাহলেই কিন্তু খুব সহজ দৃষ্টিভঙ্গিতে সবকিছু দেখা যায়।
[ইন্টারনেট হতে সংগ্রহীত]